চুয়াডাঙ্গার ভারত সীমন্তবর্তী দর্শনা থানার বারাদী সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালাকালীন বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতিতে দু’চোরাকারবারী মাথাভাঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় একজন সাাঁতরে উঠে পালাতে সক্ষম হলেও আরেকজন নদীর পানিতে ডুবে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ডুবন্ত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের সময় শরীরে বেঁধে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায় ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম ওজনের ৬৮টি অবৈধ স্বর্ণের বার।
রোববার (৮ অক্টোবর) রাতে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান পিএসসি মেইলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের অবৈধ স্বর্ণেরবারসহ একজন চারাকারবারীর মরদেহ উদ্ধারের খবরটি জানান। মৃত মেরাজ হোসেন (২২) দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান পিএসসি আরও জানান, তারই নির্দেশনায় বারাদী বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার জাকির হোসেনসহ একদল বিজিবি সদস্য চোরাচালান বিরোধী অভিযানের সময় সীমান্ত খুঁটি ৮০/১-আর হতে ২৫ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পৌঁছালে মাথাভাঙ্গা নদী পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার আগে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি দেখে দু’চোরাকারবারী নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় একজন সাঁতরে উঠে পালাতে সক্ষম হলেও আরেকজন নদীর পানিতে ডুবে যায়।
সে সময় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ডুবন্ত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের সময় শরীরে বেঁধে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায় ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম ওজনের ৬৮টি অবৈধ স্বর্ণের বার। স্বর্ণের বার গুলো জব্দ করে উদ্ধার করা লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে দাফনের জন্য পরিবারের সদস্যদের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়।
নায়েক সুবেদার জাকির হোসেন বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করে এবং জব্দ করা অবৈধ স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা করা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন