বিএসএমএমইউ-তে দুই দফা হাতাহাতি
নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন সময় এডহকে নিয়োগ দেওয়া ব্যক্তিদের স্থায়ীকরণ নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসকদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।  এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ও আজ শনিবার (১৬ মার্চ) দুই দফা হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন দুজন। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক রিরাজ করেছে। অভিযোগ উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম না মেনে গত তিন বছরে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিভিন্ন পদে প্রায় দুই হাজার এডহকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ পাওয়া এসব ব্যক্তিদের চাকরি স্থায়ীকরণ করতে আবার নিয়ম ভাঙছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতাদের একাংশ। তাদের দাবি, বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে ২৮ মার্চ। ইতোমধ্যে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ। এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ীকরণ কমিটির মতামত না নিয়ে তড়িঘড়ি করে স্থায়ীকরণের জন্য ভাইভা নিচ্ছেন বর্তমান উপাচার্য। যা সম্পূর্ণ অবৈধ।    বিএসএমএমইউ’র একাধিক সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় স্বাচিপ নেতাদের একাংশ মিছিল করে উপাচার্যের কার্যালয়ের অভিমুখে ঘেরাও করে। এসময় উপচার্যের অনুগতদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমদের অনিয়ম-দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি নিয়ে বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রথম সারির কয়েকটি সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তি এক বছর পর নিয়মিত হবে এবং বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও স্থায়ীকরণ কমিটির মতামতের ভিত্তিতে স্থায়ী হতে পারবেন। স্থায়ীকরণ কমিটিতে থাকবে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রভিসি, ট্রেজারার, বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন বিভাগের ডিন ও হাসপাতাল পরিচালক।   বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন সুমন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী স্থায়ীকরণ হবে ভাইভা বোর্ডের প্রতিটি সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে। কিন্তু সেটি মানছেন না বর্তমান উপার্চায। তড়িঘড়ি করে নিজ অনুগতদের পদোন্নতি ও এডহকে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের স্থায়ী করছিলেন। এতে আর্থিক লেনদেনেরও অভিযোগ রয়েছে।   ডা. জাকির হোসেন সুমন বলেন, বর্তমান উপাচার্য নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে তিনি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চালাতে গেলে প্রভিসি, ট্রেজারার, ডিন এসব পদ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হয়। সেটা তিনি করেননি। পছন্দমতো নিয়োগ দিয়ে, এখন এদের স্থায়ী করার চেষ্টা করছেন।  বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে যতটুকু জানি স্বাচিপের চিকিৎসক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা মিছিল বের করে। ওনাদের দাবি, যেহেতু ইতোমধ্যে নতুন উপাচার্য নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন সুতরাং কোনো পদোন্নতি দেওয়া, স্থায়ীকরণ, সিন্ডিকেট মিটিং করতে দেওয়া হবে  না। এ বিষয়ে বর্তমান উপাচার্য নিজেও আশ্বস্ত করেছেন।     নাম প্রকাশ না করার শর্তে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক চিকিৎসক-কর্মকর্তা বলেন, অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ নিয়ম-নীতিকে পাত্তা না দিয়েই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভাইভা নিচ্ছিলেন। যদিও চলতি মাসের শুরুতেই সিন্ডিকেট মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় নতুন উপাচার্য দায়িত্ব পাওয়ার আগে কোনো পদোন্নতি বা স্থায়ীকরণ যেন না করা হয়। এ ঘটনায় বর্তমান উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমেদকে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া পাওয়া যায়নি। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়ার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ওঠে। তবে এ অভিযোগ মানতে নারাজ কনক কান্তি বড়ুয়ার। তার মতে, বর্তমান উপাচার্যের সঙ্গে তার যোজন যোজন ফারাক।   তিনি বলেন, আমি একক ক্ষমতার বলে কোনো পদোন্নতি দেইনি। যাদের পদোন্নতি হয়েছে নিয়ম মেনেই হয়েছে। যতদিন দায়িত্বে ছিলাম সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছি। বর্তমান উপাচার্য প্রসঙ্গে আমি কোনো মন্তব্য করতে রাজি নই। এ ছাড়া আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন নেই। সুতরাং নো কমেন্টস।  বিএসএমএমইউ’র ডিন (ডেন্টাল অনুষদ) ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল বলেন, নিয়ম অনুযায়ী, এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ হয় ছয় মাসের জন্য। এরপর বাড়লে সেটা আবার ছয় মাসের জন্য বাড়ে। এভাবে এক বছর হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়মিত হয়। নিয়মিত হওয়ার পর চাকরি স্থায়ী করতে হয় মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কমিটির মাধ্যমে। মূলত এ বিষয় নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। গতকাল একটি মিটিং ছিল, সেটি হয়নি।
১৬ মার্চ, ২০২৪

প্রকল্পের টাকা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও অফিস সহায়কের হাতাহাতি
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় টিআর প্রকল্পের টাকা নিয়ে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিসের অফিস সহায়কের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।   উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবনের নিচে ওই ইউপি চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে চিৎকার চেচামেচি ও গালাগাল করেন। এ সময় উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়।  বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দুজন হলেন, টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন এবং পিআইও অফিসের অফিস সহায়ক নূর মোহাম্মাদ। জানা গেছে, উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের হাটখোলা চিলাখাল নামক একটি ব্রিজের সামনে প্রত্যেক বছর বন্যায় কচুরিপানা জমাট বাঁধে এবং পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে ব্রিজসহ আশপাশের জনবসতি হুমকির মুখে পড়ে। আর দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য সেই কচুরিপানা সরানোর জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা টিআর প্রকল্পের অধীন প্রায় ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করেন। সেই প্রকল্পের টাকা নিয়ে চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন ও পিআইও অফিসের অফিস সহায়ক নূর মোহাম্মদের বাগবিতণ্ডা বাধে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।  তবে এ বিষয়ে টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন বলেন, নূর মোহাম্মদের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন আছে। সেই টাকার জন্য কথাকাটাকাটি হয়েছে। এ বিষয়ে সিন্দুর্না ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন ও হাতীবান্ধা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম শাহ বলেন, ঘটনাটি সমাধান হয়ে যাবে। নিউজ করার দরকার নেই।
১৫ মার্চ, ২০২৪

শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলা, হাতাহাতি
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে পাঁচ স্থানে হামলা, সংঘর্ষ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। মৌলভীবাজারে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। মাদারীপুরে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) কর্মকর্তাদের দুপক্ষের মধ্যে। রাজবাড়ীতে এক সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। টাঙ্গাইলে মহিলা আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর— প্রথম প্রহরে মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রটোকল অনুযায়ী প্রথমে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ফুলের তোড়া শহীদ মিনারে অর্পণ করতে যান। তখন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি নেছার আহমদ পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে নিতে বলেন। একপর্যায়ে তিনি পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনে আগানোর চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ সদস্যরা আটকানোর চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালান। মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু এটি জেলার বিষয়। এসপি স্যারের সঙ্গে কথা বললে ভালো হয়।’ মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দি আহমেদ মোল্লার অনুসারী রাজৈর উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান মুকিম সঙ্গীদের নিয়ে শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল দিতে ওঠেন। একই সময় শাজাহান খান এমপির অনুসারী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলামও সঙ্গীদের নিয়ে ফুল দিতে শহীদ মিনারের বেদিতে ওঠেন। এ সময় জাহিদ হাসান মুকিমের সঙ্গে রবিউল মোল্লার বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ সময় উপস্থিত পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দুপক্ষ একে অন্যকে দায়ী করেছে। রাজৈর থানার ওসি আসাদুজ্জামান হাওলাদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পাবিপ্রবি প্রতিনিধি বলেন, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে কর্মকর্তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কেউ আহত না হলেও এক নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টায় প্রভাতফেরি শেষে প্রথমে পাবিপ্রবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্ট্রার শহীদ মিনারে ফুল দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এবং কর্মকর্তা পরিষদ ফুল দেওয়ার পর একে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ এবং সংগঠনগুলো ফুল দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাদের আরেকটি সংগঠন পাস্ট ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) ফুল দিতে আসে। এ সময় কর্মকর্তা পরিষদ ডুরাকে ফুল দিতে বাধা দেয়। প্রথমে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং একপর্যায়ে তা হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তিতে রূপ নেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রক্টর কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা কর্মকর্তাদের দুটি সংগঠনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছি। উপাচার্যকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আশা করি আগামীতে দুটি সংগঠন নিজেদের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখবে।’ রাজবাড়ী শহীদ খুশি রেলওয়ে ময়দানের শহীদ মিনার চত্বরে গতকাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার দেশ রূপান্তর পত্রিকার রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি আব্দুল হালিম শেখ। এ ঘটনায় রাজবাড়ীর গণ্যমাধ্যমকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ১১টার পর কিছু বিশৃঙ্খল যুবক বেদিতে থাকা শত শত ফুলের ডালা নিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় আব্দুল হালিম ছবি তুলতে গেলে তার ওপর হামলা করা হয়। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করেছেন হামলার শিকার সাংবাদিক আব্দুল হালিম শেখ। মামলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন সদর থানার ওসি ইফতেখারুল আলম প্রধান। টাঙ্গাইলে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সকালে স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। নেতাকর্মীরা জানান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিমা বাসেত তার অনুসারীদের নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন। এ সময় সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী আক্তারের নেতৃত্বে অন্যপক্ষ কার্যালয়ের ভেতরের কক্ষে অবস্থান নেয়। এতে সভাপতি পক্ষের নেতারা সাধারণ সম্পাদক পক্ষের লোকদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক দিতে যাবেন না বলে জানিয়ে দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে সংঘর্ষ জড়ান তারা।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে পাবিপ্রবি কর্মকর্তাদের দুগ্রুপের হাতাহাতি
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে কর্মকর্তাদের দুগ্রুপে মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কেউ আহত না হলেও এক নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টায় প্রভাতফেরি শেষে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার শহীদ মিনারে ফুল দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও কর্মকর্তা পরিষদ ফুল দেওয়ার পর একে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো বিভাগ ও সংগঠনগুলো ফুল দেয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাদের আরেকটি সংগঠন পাস্ট ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) ফুল দিতে আসেন। এ সময় কর্মকর্তা পরিষদ ডুরাকে ফুল দিতে বাধা দেয়। প্রথমে দুই গ্রুপের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয় এবং একপর্যায়ে তা হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তিতে রূপ নেয়, যা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, কর্মকর্তা পরিষদের সদস্যরা তাদের ফুলের ডালার ব্যানার ছিড়ে নিয়ে যায় এবং এক নারী কর্মকর্তার গায়ে হাত তোলেন।  তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে কর্মকর্তা পরিষদের সদস্যরা বলেন, কোনো নারী কর্মকর্তার গায়ে হাত তোলা হয়নি বরং বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনকে ফুল দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা শহীদ মিনারে ফুল না দিয়ে শহীদ মিনার চত্বরে এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. হাবিবুল্লাহ, প্রক্টর ড. কামাল হোসেন, সহকারী প্রক্টর ড. মাসুদ রানা, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. নাজমুল হোসেন এসে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে তারা শহিদ মিনারে ফুল দেন। কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশিদ ডন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন থাকবে একটা। সেখানে প্রশাসনের সুযোগ সুবিধা লাভের জন্য নাম নিয়ে একটা সংগঠন সংগঠন খোলা হয়েছে। এই সংগঠনের কোনো বৈধতা নাই। যেহেতু এই সংগঠনের বৈধতা নাই সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই আমরা বাধা দিয়েছি। তবে এই কর্মকর্তাদের যেন ফুল দিতে দেওয়া না হয় আমরা এই বিষয়টি প্রশাসনকে আগেই অবগত করেছি। যদি প্রশাসন আগেই ব্যবস্থা নিত তাহলে আমরা তাদের বাধা দিতাম না। ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক জি এম শামসাদ ফখরুল বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের যে কোনো সংগঠন খোলার অধিকার আছে। কর্মকর্তা পরিষদ সংগঠনে নানা অনিয়মের কারণে আমরা সেখান থেকে বের হয়ে আসছি। আজকে আমরা ফুল দিতে গেলে তারা আমাদের ফুলের ডালার ব্যানার ছিড়ে নিয়ে যায় এবং এক নারী কর্মকর্তার গায়ে হাত তোলে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। প্রশাসনের যদি এর সুষ্ঠু বিচার না করে তাহলে আমরা শনিবার থেকে লাগাতার কর্মসূচি দিব। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা কর্মকর্তাদের দুটি সংগঠনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছি। উপাচার্যকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আশা করি, আগামীতে দুটি সংগঠন নিজেদের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখবেন।
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ছোট্ট বিষয় নিয়ে হাতাহাতি সোহান ও বিদেশি ক্রিকেটারের 
বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের ম্যাচ খেলতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বর্তমানে বন্দরনগরীতে অবস্থান করছে। তার মধ্যে বিপিএলের ৫ দল অবস্থান করছে চট্টগ্রামের র‌্যাডিসন হোটেলে। এক হোটেলে এত খেলোয়াড় একসাথে থাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ থাকলেও পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনাও ঘটে যায়। তেমনি এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের নুরুল হাসানের সঙ্গে। তুচ্ছ এক ঘটনা নিয়ে বিপিএলে খেলা এক বিদেশি ক্রিকেটারের সঙ্গে নাকি হাতাহাতিতে জড়ান রংপুরের অধিনায়ক এমনটাই দাবি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের। সাধারণত নিজ নিজ দলের খেলোয়াড়দের শৃঙ্খলার দায়িত্বে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোই থাকে। তবে শৃঙ্খলার মধ্যে থাকার পরেও অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটে যায়। সোহানের সঙ্গে ক্যারিবীয় এক দ্বন্দ্বে জড়ানোর কারণ মূলত রুম নিয়ে। রংপুরের অধিনায়ক ভুল করে অন্য রুমে ঢুকে যান। তখন প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের সোহানের রুমে ঢুকে যাওয়ার বিষয়টি পছন্দ হয়নি। পরে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি পর্যন্ত চলে যায় বিষয়টি। যদিও পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আগেই সোহানকে সরিয়ে নেন অন্যরা। এমন ঘটনার পর এক নিরাপত্তা গোয়েন্দা বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘খেলার মাঝে ঝামেলা হলে স্পোর্টস শৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে। খেলার বাইরে কিছু হলে আমাদের সেগুলোর খোঁজ রাখতে হয়। কারণ, বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটার খেলছেন। তাদের নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব থাকে। হোটেলে দুই ক্রিকেটারের মধ্যে যা কিছু হয়েছে, তা কোনো ঘটনাই না। কিন্তু ঘটনাটি না ঘটলে ভালো হতো। যেহেতু সোহানের ভুল হয়েছে, দুঃখ প্রকাশ করে চলে গেলেই হতো।’ এ বিষয় নিয়ে রংপুর রাইডার্স প্রকাশ্যে কিছু আনেনি। বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে বিসিবির নিরাপত্তাসংশ্লিষ্টরা অবশ্য বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছে।  
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

হবিগঞ্জে জাল ভোট / স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নৌকার সমর্থকদের হাতাহাতি
হবিগঞ্জ-২ আসনে বানিয়াচং উপজেলার দক্ষিণ সাঙ্গর গ্রামে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা বাধা দিলে তাদের সঙ্গে নৌকার প্রার্থীদের হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় দক্ষিণ সাঙ্গর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। তখন ছবি তুলতে চাইলে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। খবর পেয়ে ওই কেন্দ্রে ছুটে যান স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রিসাইডিং অফিসারের যোগসাজশে জালভোট দিচ্ছে নৌকার সমর্থকরা। প্রিসাইডিং অফিসার আমার এজেন্ট ও ভোটারদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন। একেকজন ১০-১৫টি করে ভোট দিচ্ছে। প্রিসাইডিং অফিসার আমিনুল ইসলাম জানান, সমর্থকদের মধ্যে একটু বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছিল। বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

বগুড়ায় নির্বাচনী প্রচারে স্বতন্ত্র দুই গ্রুপের হাতাহাতি
বগুড়ার আদমদীঘিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার নিয়ে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন বেশকিছু কর্মী। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় দুই পক্ষের কর্মীরা পাল্টাপাল্টি দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জানা যায়, বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয় প্রার্থীদের প্রচার। গত বুধবার দুপুরে আদমদীঘি জনতা ব্যাংকের সামনে স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী খাঁন মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদীর পোস্টারের ওপর কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী অজয় সরকারের পোস্টার লাগানো নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে ট্রাক প্রতীকের কর্মী রাজু আহম্মেদ নয়নসহ ৫ জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় রাজু আহম্মেদ নয়ন বাদী হয়ে নিকটবর্তী থানায় কাঁচি প্রতীকের কর্মী রশিদুল ইসলাম রশিদ, হাসানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে কাঁচি প্রতীকের কর্মী সমর্থক রশিদুল ইসলাম রশিদ জানান, সেদিন আদমদীঘি জনতা ব্যাংকের সামনে কয়েকজন নিয়ে কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী অজয় কুমারের নির্বাচনী প্রচারের কাজ করছিলাম। এ সময় সেখানে ট্রাক প্রতীকের কর্মী সমর্থক আব্দুল হক আবু দলবদ্ধ হয়ে এসে আমার কাছে থেকে হ্যান্ড পোস্টার ছিনিয়ে নেন। এতে বাধা দিলে আমার শার্টের কলার ধরে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি মারেন। পরে একইদিন বিকেলে আমার বাড়ির সামনে এসে তারা হুমকি ধামকি দিয়ে যান। এ ব্যাপারে থানায় ট্রাক প্রতীকের কর্মী সমর্থক আব্দুল হক আবুসহ ৪ জনের নামে লিখিত অভিযোগ করি। তাদের অভিযোগটা ভিত্তিহীন। এ ঘটনার পর থেকে আমাদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান তিনি। আদমদীঘি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, এ ঘটনায় দুই স্বতন্ত্র প্রতিপক্ষ কর্মীর দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৩

নির্বাচন কমিশনের সামনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের হাতাহাতি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আপিল শুনানি চলছে এখন। যেখানে প্রার্থীতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ভিড় করছে নেতাকর্মীরা। এর মধ্যেই ইসি ভবনের সামনে ঘটে গেল হাতাহাতির ঘটনা। দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।  বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।  সূত্র জানায়, কুমিল্লা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিষ্টার নাইম হাসান প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার শুনানিতে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে আসেন। ১ শতাংশ ভোটারের তথ্য নিয়ে গড়মিলে তার প্রার্থিতা বাতিল করেছিল রিটানিং কর্মকর্তা।  প্রার্থিতা ফেরতের শুনানির উদ্দেশে তিনি নির্বাচন কমিশনের ফটক দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরের সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।  এ বিষয়ে ব্যারিষ্টার নাঈম বলেন, আমাকে ও আমার সমর্থকদের কটূক্তিমুলক কথা বলায় আমার সমর্থকরা উত্তেজিত হয়। 
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

সুপার ক্লাসিকোর আগে গ্যালারিতে দর্শকদের হাতাহাতি
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচের গ্যালারিতে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে তা হাতাহাতি রূপ নেয়। ফলে সুপার ক্লাসিকোর ম্যাচটি শুরু হতে কিছুটা দেরি হয়ে যায়।  ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানায় বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল লাতিন আমেরিকার দুই ফুটবল পরাশক্তির। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের কিছু আগে গ্যালারিতে স্বাগতিক সমর্থকদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে এসব ছবি। এতে দেখা যায়, শুরুতে দুদলের সমর্থকরা তর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। সে অবস্থা থেকে একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এতে বেশ কিছু সময় শুরু করা যায়নি ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচটি। পরে আয়োজকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এতে করে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২৫ মিনিট পর, মাঠে গড়ায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সুপার ক্লাসিকো।
২২ নভেম্বর, ২০২৩

নাটোরে আ.লীগের সভায় এমপির উপস্থিতিতেই হাতাহাতি
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরিচিতি সভায় দফায় দফায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ সময় ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সম্মেলনের প্রায় দুই বছর পর গঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরিচিতি সভা চলাকালে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বড়াইগ্রাম পৌরসভা মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী গোপনে কমিটি গঠন করেছে বলে অভিযোগ উঠলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় এমপি ও অতিথিদের সামনেই নেতাকর্মীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে সভাকক্ষে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তীতে মিলনায়তন থেকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বের করে দিয়ে সভা সম্পন্ন করা হয়। এর আগে দুপুরে পৌর মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজীর সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়।  শুরুতেই সভাপতির বক্তৃতাকালে সম্প্রতি উপনির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তোলেন। তিনি বলেন, ‘কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া চিহ্নিত জামায়াত-বিএনপির লোকজনকে এ কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ সময় নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং সংসদ সদস্যের দাবির পক্ষে ও বিপক্ষে তারা হৈচৈ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর পুনরায় সভা শুরু হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার ও শাহজাহান কবীর, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ মুর্ত্তজা আলী বাবলু, বনপাড়া ও বড়াইগ্রাম পৌর মেয়র যথাক্রমে কেএম জাকির হোসেন ও মাজেদুল বারী নয়ন, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা ও মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু বক্তব্য রাখেন। পরে প্রধান অতিথি ৭১ সদস্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও ২১ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন এবং ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এ ব্যাপারে ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে কমিটির মাত্র পাঁচজন সদস্যের নাম ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা বলেছিলেন। কিন্তু তা না করে সভাপতি-সম্পাদক গোপনে কমিটি করেছেন। তা ছাড়া কমিটিতে জামায়াত-বিএনপির লোককে জায়গা দেওয়া হয়েছে। তাদের এ কমিটি পকেট কমিটি।’ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজী বলেন, ‘সংসদ সদস্যের দাবি সঠিক নয়। নিয়মতান্ত্রিকভাবে আলোচনার মাধ্যমেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া জামায়াত-বিএনপির লোকজন নিয়ে কমিটি করার একটি প্রমাণও তিনি দিতে পারবেন না।’  জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, ‘যদি কমিটি নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে জেলা আওয়ামী লীগকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু সেই অজুহাতে দলের ভেতরে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে সেটা সহ্য করা হবে না।’
১৭ অক্টোবর, ২০২৩
X