গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। রবিবার (৩১ মার্চ) ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত কোম্পানির ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।  সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আবুল হাসান চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের স্পন্সর, বোর্ড অব ডিরেক্টররে সদস্য ও শেয়ারহোল্ডাররা। প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধির প্রতি সবসময় সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য চেয়ারম্যান আবুল হাসান চৌধুরী কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। নিরবচ্ছিন্ন গ্রাহক পরিষেবা এবং ব্যবসায়িক পরিচালনা নিশ্চিত করতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাড়ি থেকে কাজের সামঞ্জস্য করার যথাযথ ও আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য গ্রিন ডেল্টা পরিবারের সদস্যদেরও অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান তিনি। বিমা খাতে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং প্রতিষ্ঠার পর থেকে শীর্ষস্থানটি সুরক্ষিত করার জন্য সব শেয়ারহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানান গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ফারজানা চৌধুরী। এ ছাড়া সংকটময় পরিস্থিতিতে নিরলসভাবে কাজ করার জন্য গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।  স্বয়ংক্রিয় গ্রাহক পরিষেবা, ডিজিটালাইজড সল্যুশন, বিমাসংক্রান্ত বিবিধ গ্রাহকসেবা ভবিষ্যতে আরও উন্নত পদ্ধতিতে ও সফলভাবে সম্পাদনের বিষয়ে আশা ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি কোম্পানির সমৃদ্ধির জন্য আর্থিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ধারাবাহিক উদ্ভাবন এবং সর্বোত্তম সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন।  এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির এ চৌধুরী শেয়ারহোল্ডারদের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।  বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত শেয়ারহোল্ডাররা গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পরিষদের দুর্দান্ত কর্মদক্ষতা, সুদক্ষ ও শক্তিশালী করপোরেট প্রশাসন, আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণা ও ২০২৩ সালের বিস্তারিত ও তথ্যবহুল বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেন।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

এক বছরে ঢাকার যাত্রী কমেছে ৩৪ ভাগ, লঞ্চ কমেছে ২৫ শতাংশ
পদ্মা সেতু চালুর আগে প্রতিদিন ঢাকা থেকে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ লঞ্চে বরিশালসহ উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করত। এক বছরের ব্যবধানে এ সংখ্যা ১৭ হাজার কমে ৩৩ হাজার হয়েছে। এই হিসেবে ঢাকার লঞ্চযাত্রী কমেছে ৩৪ ভাগ। এ ছাড়া আগে ঢাকা থেকে প্রতিদিন অন্তত ৮০টি লঞ্চ বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যেত। এই সংখ্যা ২০টি কমে এখন হয়েছে ৬০টি। অর্থাৎ এক বছরে লঞ্চ চলাচল কমেছে ২৫ শতাংশ।  শিপিং এন্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত জরিপ চালিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। জরিপকালে নৌ পরিবহন বিশেষজ্ঞসহ নৌযান মালিক ও শ্রমিক নেতা, লঞ্চ কর্মচারী, যাত্রী ও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। এসসিআরএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ব্যবসায় মন্দার কারণে মালিকরা এক বছরে অন্তত ২০টি লঞ্চ স্ক্র্যাপ (ভেঙ্গে যন্ত্রাংশসহ লোহালক্কড় বিক্রি) করে ফেলেছেন। এ ছাড়া আরও অন্তত ছয়টি লঞ্চ স্ক্র্যাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকার সঙ্গে উপকূলীয় জনপদসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ আধুনিক ও আরামদায়ক হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অঞ্চলে মানুষ সড়কপথে স্বল্পসময়ে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন করতে পারছে। এ কারণে ঢাকা ও বৃহত্তর বরিশালের মধ্যে নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং লঞ্চের যাত্রীসংখ্যা কমে গেছে। তবে প্রতিবেদনে যাত্রী ও লঞ্চ চলাচল কমে যাওয়ার পেছনে সড়কপথে পদ্মা সেতুর ইতিবাচক প্রভাবের পাশাপাশি নাব্যসংকট ও ঢাকার যানজটকেও দায়ী করা হয়েছে। এতে বলা হয়, যথাযথভাবে নদী খনন ও পলি অপসারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণে অনেক নৌপথ বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া যানজট বিড়ম্বনায় সদরঘাট টার্মিনালে যেতে বহু মানুষের অনীহার কারণেও লঞ্চের যাত্রী কমে যাচ্ছে। এসসিআরএফ জানায়, আগে ঢাকা থেকে নৌপথে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া ৫০ হাজার মানুষের মধ্যে ৭০ শতাংশ ছিল বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠিগামী লঞ্চের যাত্রী। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে এসব জেলার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ সড়কপথে যাতায়াত করে। ফলে নৌপথে যাত্রী ও লঞ্চ- দুটোই কমেছে। যদিও লঞ্চমালিকরা দাবি করেন, ৬০ শতাংশ যাত্রী কমে যাওয়ায় তাদের ব্যবসা চরম সংকটে পড়েছে। তবে এ দাবির পক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত দিতে পারেননি তারা। বরং সরকারি তথ্য অনুযায়ী, লঞ্চ ব্যবসা এখনও লাভজনক। তবে আগের তুলনায় মুনাফার হার কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।   মালিকরা দাবি করেন, প্রতিদিন ৩০-৩৫টি লঞ্চে মাত্র ৫-৬ হাজার যাত্রী ঢাকা ছেড়ে যায়। অন্যদিকে সরকারি তথ্য মতে, প্রতিদিন অন্তত ৬০টি লঞ্চ ঢাকা ছেড়ে যায় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর বন্দর ও পরিবহন বিভাগের বরাত দিয়ে এসসিআরএফ জানায়, গত ১৯ আগস্ট ঢাকা নদীবন্দর থেকে সদরঘাট টার্মিনাল ও পাশের ঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে মোট ৬২টি লঞ্চ ছেড়ে যায়। এর মধ্যে চাঁদপুর অঞ্চলের ২২, বরিশাল অঞ্চলের ১০, ভোলা অঞ্চলের ১৪, পটুয়াখালী অঞ্চলের ৬ এবং অন্যান্য অঞ্চলের ১০টি লঞ্চ ছিল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
২৪ আগস্ট, ২০২৩

টাকার ২০ থেকে ২৫ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে : বাণিজ্যমন্ত্রী
আমাদের দেশের টাকার ২০ থেকে ২৫ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।  বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আগামী ২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।  আরও পড়ুন : শিক্ষকদের আজই বাড়ি ফিরতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অন্য দেশের তুলনায় দেশে পণ্যের দাম ধীরগতিতে কমছে। আমাদের দেশের টাকার ২০ থেকে ২৫ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের খরচ ও দেশের টাকার অবমূল্যায়নের বিষয়টি হিসাব-নিকাশ করে পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সয়াবিন তেল, চিনি, ডাল আমদানি করা হয়। বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমার সঙ্গে ট্যারিফ কমিশন দেশেও তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে সেটি বাজারে বাস্তবায়ন হতে হয়তো সময় লাগছে। এর মধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কখনো কখনো সুযোগ নেয়। ভোক্তা অধিকার ও অন্যান্য সরকারি সংস্থা বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। এখানে আমাদের মাঝে কোনো দুর্বলতা নেই বলেও জানান তিনি।  আরও পড়ুন : বন্ধের দিন বড় সমাবেশ করার আহ্বান ডিএমপি কমিশনারের এ সময় তিনি বলেন, ‘দেশে সাড়ে ৩ কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে রয়েছে। আমরা ৫ কোটি মানুষকে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দিচ্ছি। সরকার সাধারণ মানুষের প্রতি যথেষ্ট সংবেদনশীল। টিপু মুনশি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১ বছর আগে এই জিলা স্কুল মাঠে এসে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। উত্তরের মানুষের চাওয়া পূরণে তিনি সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের তিস্তার দুপাড়ে উন্নয়ন দরকার, দ্রুত গ্যাস সরবরাহ দরকার, শিল্পকারখানার জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল করা, ছয় লেন মহাসড়কের কাজ দ্রুত শেষ করাসহ আমাদের নানা চাওয়া রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এসব চাওয়ার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে যাবেন বলে প্রত্যাশা করছি।’  আরও পড়ুন : সুযোগ পেলে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী নেতৃত্ব দিতে সক্ষম : পলক  
২৬ জুলাই, ২০২৩
X