ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কারের একগুচ্ছ সুপারিশ চূড়ান্ত করতে মুলতবি বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার (১১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত রয়েছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিনভর আলোচনায় কয়েকটি বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হলেও আরপিও নিয়ে এগোতে পারেনি নাসির উদ্দিন কমিশন। আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে- রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও, সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ ও বিবিধ। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছিলেন, বৃহস্পতিবারের কমিশন সভায় তিনটি বিষয় আলোচ্য ছিল। এর মধ্যে রাজনৈতিক দল ও দল আচরণ বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, আগামী সপ্তাহে তা চলবে বলে জানিয়েছিলেন এ নির্বাচন কমিশনার।
আরপিওর সংশোধন প্রস্তাবের মধ্যে সংস্কার কমিশনের সুপারিশসহ একগুচ্ছ প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করা হয়েছে। ছোটখাটো সংস্কারসহ প্রায় তিন ডজন সংশোধন থাকতে পারে। প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটের বিষয়টিও যুক্ত করা হবে এ সংশোধনীতে। এ ছাড়া আচরণবিধিতে এআই রিলেটেড অপব্যবহার রোধে বিধিনিষেধ যুক্ত করা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে তাও আরপিওতে যুক্ত করা হতে পারে। আইনি সংস্কারের প্রস্তাবনা ইসি যখন অনুমোদন দেবে, তার পরই সরকারের কাছে পাঠাবে ইসি। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবনা চূড়ান্ত হলে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। এরপর তা উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। সরকারের সায় পেলে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে।
মন্তব্য করুন