কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৫ এএম
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

যুবশক্তিকে অন্তর্ভুক্ত না করে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় : প্রধান উপদেষ্টা

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বক্তব্যকালে প্রধান উপদেষ্টা। ছবি : সংগৃহীত
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বক্তব্যকালে প্রধান উপদেষ্টা। ছবি : সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যুবকদের অন্তর্ভুক্তি ছাড়া টেকসই বৈশ্বিক অগ্রগতি সম্ভব নয়। প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এর সুফল যেন লোভের প্রাচীরে বন্ধ রাখা না হয়।’

বৃহস্পতিবার (২৫ বৃহস্পতিবার) নিউইয়র্কে ‘যুবদের জন্য বিশ্ব কর্মসূচি’র ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি অনুষ্ঠানে ‘বিশ্ব যুব কর্মসূচি’র চেয়ারপারসনকে উচ্চ পর্যায়ের এই যুব বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানান।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, পঁচাশি বছর বয়সে এসে আজকের আলোচ্য বিষয় ‘অন্তঃপ্রজন্মীয় সহযোগিতার মাধ্যমে বৈশ্বিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা’র গভীরতা আমি অনুভব করছি। গত বছর বাংলাদেশে আমরা দেখেছি যুবশক্তির অসাধারণ ক্ষমতা। তারা সাহসের সঙ্গে বহু বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছে, আমাদের জাতির পথ পুনর্নির্ধারণ করেছে এবং আমাকে সংস্কার ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরের দায়িত্ব দিয়েছে।

তিনি বলেন, যুবরা বিশ্বে পরিবর্তনের এজেন্ট। কিন্তু তারা প্রথমেই ভোগেন বৈষম্য, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, সংরক্ষণবাদ এবং ডিজিটাল বিভাজনের নেতিবাচক প্রভাব।

প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বেকারত্ব। যুব বেকারত্ব প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় চারগুণ বেশি, বিশেষত নিম্ন আয়ের দেশে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমরা একটি জাতীয় যুব উদ্যোক্তা নীতি চালু করেছি, যা অর্থ, দক্ষতা ও বাজার প্রবেশ নিশ্চিত করে। এর ফলে যুবরা চাকরিপ্রার্থী নয়, চাকরি সৃষ্টিকারী হয়ে উঠবে। আমরা স্বাধীন সংস্কার কমিশনগুলোতে যুব অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছি এবং একটি জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা চালু করেছি, যাতে যুবদের কণ্ঠস্বর গণতান্ত্রিক নবায়নে অন্তর্ভুক্ত হয়।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে ‘যুবদের জন্য বিশ্ব কর্মসূচি’, ‘ভবিষ্যতের জন্য চুক্তি’, ‘জাতিসংঘের যুব নীতি ২০৩০’ এবং ‘যুব, শান্তি ও নিরাপত্তা’ এজেন্ডাকে সমর্থন করে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, কোনো দেশ একা যুবশক্তিকে ক্ষমতায়িত করতে পারে না। বাধা দূর করতে, ন্যায় নিশ্চিত করতে এবং অন্তঃপ্রজন্মীয় নেতৃত্বকে উৎসাহিত করতে বৈশ্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। নয়তো হতাশা অশান্তিতে রূপ নিতে পারে, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, মূল কথা খুব সহজ—আমাদের ভবিষ্যৎ একা বহন করতে হবে না। আমাদের শুধু যুবদের তাদের অধিকার, নিরাপদ স্থান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, তারা সঠিকভাবে নির্বাচন করবে—নিজেদের জন্য, পৃথিবীর জন্য এবং আমাদের ভবিষ্যতের জন্য।

সূত্র : বাসস

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টি হতে পারে আজ

ফুলগাজীতে বিএনপির সদস্য খালেদা জিয়া, ৬ ইউনিয়নে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

৪৫ হাজার টাকা বেতনে ওয়ার্ল্ড ভিশনে চাকরি, আবেদন করুন দ্রুত

বাচ্চাদের মধ্যে বাড়ছে ডায়াবেটিস-হৃদরোগের আশঙ্কা, সমাধানে যা করবেন

বকেয়া ভাড়া চাওয়ায় পিটিয়ে জখম

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

২৬ সেপ্টেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

অর্থ উপার্জনকারীদের হাতে স্বাস্থ্যসেবা ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় : প্রধান উপদেষ্টা

জুমার খুতবা চলাকালে দানবাক্স চালানো যাবে কি?

হামলা করেও থামানো যাচ্ছে না গাজাগামী জাহাজের বহর

১০

যুবশক্তিকে অন্তর্ভুক্ত না করে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় : প্রধান উপদেষ্টা

১১

গ্রামীণ এলাকায় হিমাগার স্থাপনে ডাচ সরকারের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

১২

২৬ সেপ্টেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৩

কালিয়াকৈরে ১০ হাজার তালবীজ রোপণের উদ্যোগ

১৪

‘মানুষের ধর্মীয় ও নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা বিধান আমাদের দায়িত্ব’

১৫

অর্থের অভাবে সন্তান বিক্রির চেষ্টা, পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক

১৬

বীরের বেশে তারেক রহমান প্রত্যাবর্তন করবেন : এনামুল হক

১৭

টিকটক করার সময় ট্রেনের ধাক্কা, অতঃপর...

১৮

‘দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছেন মেরিনাররা’

১৯

প্রধান শিক্ষকের হাত-পা ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা

২০
X