গাজার কেউ সুরক্ষিত নয় : জাতিসংঘ
গাজায় সাত মাসের বেশি সময় ধরে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির হামলা থেকে গাজার হাসপাতাল মসজিদ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও রক্ষা পাচ্ছে না। এমনকি হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে ত্রাণকর্মীদেরও। ফলে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন কেউ নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি।  মঙ্গলবার (১৪ মে) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান বলেন, ত্রাণকর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা নয়। কখনো তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করা উচিত হবে না।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি জানান, গাজায় ত্রাণসহায়তা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে অনেক ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন। যুদ্ধের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কেবল ইউএনআরডব্লিউএর ১৮৮ জন নিহত হয়েছেন। গাজায় ত্রাণকর্মীসহ কেউ এখন আর নিরাপদ নয়।  এর আগে রোববার দক্ষিণ গাজার ইউরোপিয়ান হাসপাতালে যাওয়ার সময় জাতিসংঘের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি আগুন দেয় ইসরায়েলিরা। ওই সময় গাড়িতে দুজন ত্রাণকর্মী ছিলেন। এ ঘটনায় গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এ হামলায় প্রথম কোনো বিদেশি স্টাফ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখনো দায় স্বীকার করেনি।  এর আগে বিবিসি জানায়, গাজার উদ্দেশে যাওয়া ট্রাকভর্তি ত্রাণ ফেলে দিচ্ছে ইসরায়েল। সোমবার পশ্চিম তীরে গাজার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া ত্রাণবাহী ট্রাক অবরোধ করে তারা। এ সময় ট্রাক থেকে ত্রাণের প্যাকেজগুলো রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় এবং শস্যের প্যাকেট ছিঁড়ে ফেলা হয়। ট্রাক থেকে ফেলে দেওয়া এ ত্রাণগুলো হেবরনের পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে জর্ডান থেকে এসেছিল। এগুলো গাজা খাদ্য ও ত্রাণ সংকটে থাকা উপত্যকার হাজার হাজার মানুষের জন্য পাঠানো হচ্ছিল। ইসরায়েলিদের এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। তারা এ ত্রাণের ট্রাক লুটের ঘটনাকে ইসরায়েলিদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেছে।  
১৪ মে, ২০২৪

ক্ষোভে জাতিসংঘ সনদ ছিঁড়লেন ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পক্ষে একটি প্রস্তাব পাস হওয়ায় রাগে-ক্ষোভে বৈশ্বিক সংস্থাটির সনদের একটি কপি ছিন্নভিন্ন করেছেন ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। শুক্রবার (১০ মে) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার একপর্যায়ে তিনি এই কাণ্ড করেন। খবর এনডিটিভির। শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের ব্যাপারে একটি ভোটাভুটি হয়। সেখানে প্রস্তাবের পক্ষে ১৪৩ দেশ ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে ২৫টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। আর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ৯টি দেশ এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। প্রস্তাবে ফিলিস্তিন যে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার যোগ্য তার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গত মাসে মার্কিন ভেটোর কারণে ফিলিস্তিনি পূর্ণ সদস্যপদের আবেদন আটকে যাওয়ার বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করতে নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের ফিলিস্তিনপন্থি এই অবস্থান ভালোভাবে নেয়নি ইসরায়েল। ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত এরদান এই প্রস্তাবটিকে জাতিসংঘ সনদের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন। জাতিসংঘ সনদ ছেঁড়ার সময় তিনি বলেন, সাধারণ পরিষদের সদস্যদের মুখের সামনে আমি আয়না ধরছি। এই দিনটি কলঙ্কময় হয়ে থাকবে। আমি চাই সমগ্র বিশ্ব এই মুহূর্তটি মনে রাখুক, এই অনৈতিক কাজটি। আজ আমি আপনার সামনে একটি আয়না ধরতে চাই, যাতে আপনি দেখতে পারেন যে এই ধ্বংসাত্মক ভোটের মাধ্যমে আপনি জাতিসংঘ সনদের কী ক্ষতি ডেকে আনলেন। আপনারা নিজের হাতে এই সনদটি ছিঁড়ে ফেললেন। ২০১১ সালে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন। সেই আবেদন এখনো পড়ে আছে। গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে ভোটের আয়োজন করা হয়। সেখানে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘে পূণ সদস্যপদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১২টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় তা আর পাস হয়নি। তবে পূর্ণ সদস্যপদের আবেদন আবারও সচল করার চেষ্টা করছে ফিলিস্তিন। সাধারণ পরিষদে গত শুক্রবারের এই প্রস্তাব পাস হওয়ায় কার্যকরভাবে তা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হলো।
১২ মে, ২০২৪

সুদানে ক্ষুধায় বহু মানুষ মারা যেতে পারে: জাতিসংঘ
উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে অনাহারে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের খাদ্যবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি বলেছে, পশ্চিম সুদানের দারফুরে মানুষের অনাহার ঠেকানোর সময় ফুরিয়ে আসছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা গোটা জাতিকে শেষ করে দিচ্ছে। শুক্রবার যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা বলেছে, দারফুর এবং সুদানের অন্যান্য যুদ্ধকবলিত এলাকায় খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। এসব এলাকায় মানবিক সাহায্যের অনুমতি না দিলে ক্ষুধায় বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে। গত বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে এ সংঘাত দেশটিতে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে অনেক মানুষ। যুদ্ধের কারণে দেশটির কৃষি উৎপাদন ৭৮ শতাংশ কমে গেছে। ডব্লিউএফপির পূর্ব আফ্রিকার পরিচালক মাইকেল ডানফোর্ড শুক্রবার বলেছেন, খাদ্যাভাবে মানুষ বাদামের খোসা খেতে বাধ্য হচ্ছে। শিগগির তাদের কাছে সহায়তা না পৌঁছালে দারফুর ও সংঘাত বিধ্বস্ত সুদানের অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক অনাহার এবং মৃত্যুঝুঁকি দেখতে হতে পারে। গত বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের (আইসিআরসি) দুজন কর্মী দক্ষিণ দারফুরে অস্ত্রধারীদের গুলিতে নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন কর্মী। অঞ্চলটিতে সর্বশেষ বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আরএসএফের উত্তর দারফুরের রাজধানী এল ফাশের ঘেরাও করার সময়। পরিস্থিতি বর্ণনা করে সুদানে জাতিসংঘের ডেপুটি হিউম্যানিটেরিয়ান কো-অর্ডিনেটর টবি হেওয়ার্ড বলেন, শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং ক্রমাগত বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। হেওয়ার্ড আরও বলেন, এল ফাশেরই একমাত্র শহর যেটি এখনো আরএসএফ দখল করতে পারেনি। সেখানে অন্যান্য এলাকা থেকে আসা হাজারো উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছে। এল ফাশেরে অন্যান্য এলাকা থেকে সহিংসতায় উদ্বাস্তু হওয়া ৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। তবে ‘ইউএন অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স’ (ওসিএইচএ) বলছে, এল ফাশেরকে তুলনামূলক নিরাপদ মনে করা বাসিন্দারা এখন বিপদে পড়েছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় সেখানকার ৩৬ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছে। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বৃহস্পতিবার বলেন, দুই সপ্তাহ আগে বেড়ে যাওয়া সংঘাতে এল ফাশের ও এর আশপাশে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিম এল ফাশেরে এক ডজনেরও বেশি গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে। যৌন সহিংসতা, শিশু হত্যা, বাড়িঘরে আগুন এবং অবকাঠামো ধ্বংসসহ ভয়ংকর সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। সংঘাতের এমন পরিস্থিতি আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে দারফুরে খাদ্য সহায়তা বিতরণের কাজ থেমে গেছে। ওই অঞ্চলের ১৭ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় ভুগছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি। ওসিএইচএর হিসাবে, যুদ্ধের কারণে সুদানে ৪৬ লাখ শিশুসহ ৮৭ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। দেশটির ২ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের জন্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।
০৫ মে, ২০২৪

ঢাবি ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ আগামীকাল
প্রতিবারের মতো এবছরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সংগঠন (ডিইউমুনা) আয়োজন করতে যাচ্ছে ৪ দিনব্যাপী ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সম্মলেন-২০২৪’। সংগঠনটির ১১তম এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে গত ১১ মার্চ থেকে অংশগ্রহণকারীদের জন্য অনলাইন এবং অফলাইন নিবন্ধন উন্মুক্ত হয়েছিল, যা আগামীকাল রোববার (৫ মে) শেষ হতে যাচ্ছে।  ‘সংঘর্ষের ঊর্ধ্বে সংহতি : ন্যায্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিত উদ্যোগ’- মূল প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে সম্মেলনের এই আসরটি আয়োজিত হতে যাচ্ছে। আগামী ৩০ মে (বৃহস্পতিবার) থেকে ২ জুন (রোববার) পর্যন্ত এই সম্মলেন ১১টি কমিটিতে চলমান থাকবে, যেখানে দেশ-বিদেশ থেকে আগত ৫০০ এর অধিক শিক্ষার্থী অংশ নিতে যাচ্ছে। ডিইউমুনার দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এবারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন-২০২৪ এর মহাসচিব হলেন এস এম নাহিয়ান ইসলাম। বর্তমানে তিনি সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া সম্মেলনের উপমহাসচিব হিসেবে থাকবেন সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আজমল প্রান্ত এবং মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সহসভাপতি মো. আসিফুজ্জামান। বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক বিশ্বে সস্থান দৃঢ় করতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা চর্চার বিকল্প নেই। ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন কূটনৈতিক দক্ষতা, পাবলিক স্পিকিং, আপস-আলোচনা, বিতর্ক, তথ্য অনুসন্ধান, কন্টেন্ট লিখন এবং সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক সামাজিকীকরণের জন্য অনন্য একটি ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত।  প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ডিইউমুনা দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ যুব সম্মেলন হিসেবে নিয়মিত এই সম্মেলন সফলতার সঙ্গে আয়োজন করে আসছে। ২০১২ থেকে এ পর্যন্ত ১০ টি সংস্করণ এ সংগঠনের হাত ধরে রূপায়িত হয়েছে এবং সামগ্রিক আয়োজনে পারদর্শিতার জন্য দেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। 
০৪ মে, ২০২৪

সুদানে ক্ষুধায় মারা যেতে পারে বহু মানুষ : জাতিসংঘ
উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে অনাহারে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের খাদ্যবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি বলেছে, পশ্চিম সুদানের দারফুরে মানুষের অনাহার ঠেকোনোর সময় ফুরিয়ে আসছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা গোটা জাতিকে শেষ করে দিচ্ছে।  শুক্রবার যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা বলেছে, দারফুর এবং সুদানের অন্যান্য যুদ্ধকবলিত এলাকায় খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। এসব এলাকায় মানবিক সাহায্যের অনুমতি না দিলে ক্ষুধায় বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে।  গত বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়। পরবর্তীতে এই সংঘাত দেশটিতে গৃহযুদ্ধের রূপ নেয়। প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে অনেক মানুষ। যুদ্ধের কারণে দেশটির কৃষি উৎপাদন ৭৮ শতাংশ কমে গেছে।  ডব্লিউএফপির পূর্ব আফ্রিকার পরিচালক মাইকেল ডানফোর্ড শুক্রবার বলেছেন, খাদ্যাভাবে মানুষ বাদামের খোসা খেতে বাধ্য হচ্ছে। শিগগিরই তাদের কাছে সহায়তা না পৌঁছালে দারফুর ও সংঘাত বিধ্বস্ত সুদানের অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক অনাহার এবং মৃত্যুঝুঁকি দেখতে হতে পারে।  গত বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের (আইসিআরসি) দুজন কর্মী দক্ষিণ দারফুরে অস্ত্রধারীদের গুলিতে নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন কর্মী। অঞ্চলটিতে সর্বশেষ বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আরএসএফের উত্তর দারফুরের রাজধানী এল ফাশের ঘেরাও করার সময়।  পরিস্থিতি বর্ণনা করে সুদানে জাতিসংঘের ডেপুটি হিউম্যানিটেরিয়ান কোঅর্ডিনেটর টবি হেওয়ার্ড বলেন, শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং ক্রমাগত বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। হেওয়ার্ড আরও বলেন, এল ফাশেরই একমাত্র শহর যেটি এখনো আরএসএফ দখল করতে পারেনি। সেখানে অন্যান্য এলাকা থেকে আসা হাজারো উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছে। এল ফাশেরে অন্যান্য এলাকা থেকে সহিংসতায় উদ্বাস্তু হওয়া ৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। তবে ‘ইউএন অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স’ (ওসিএইচএ) বলছে, এল ফাশেরকে তুলনামূলক নিরাপদ মনে করা বাসিন্দারা এখন বিপদে পড়েছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেখানকার ৩৬ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছে।  ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বৃহস্পতিবার বলেন, দুই সপ্তাহ আগে বেড়ে যাওয়া সংঘাতে এল ফাশের ও এর আশপাশে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিম এল ফাশেরে এক ডজনেরও বেশি গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে। যৌন সহিংসতা, শিশু হত্যা, বাড়িঘরে আগুন এবং অবকাঠামো ধ্বংসসহ ভয়ংকর সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।  সংঘাতের এমন পরিস্থিতি আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে দারফুরে খাদ্য সহায়তা বিতরণের কাজ থেমে গেছে। ওই অঞ্চলের ১৭ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় ভুগছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি। ওসিএইচএ এর হিসাবে, যুদ্ধের কারণে সুদানে ৪৬ লাখ শিশুসহ ৮৭ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। দেশটির ২ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের জন্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। 
০৪ মে, ২০২৪

৭০ শতাংশ পরিবেশ সাংবাদিক হামলা-হুমকির মুখে রিপোর্ট করেন : জাতিসংঘ
বিশ্বের ১২৯টি দেশের ৭০ শতাংশ পরিবেশ সাংবাদিক তাদের চাকরি সংক্রান্ত হামলা, হুমকি বা চাপের মুখে পড়ে রিপোর্ট করছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ জানায়, তাদের মধ্যে পাঁচজনের মধ্যে দু’জন পরবর্তীতে শারীরিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। ভোটের জন্য ৯শ’টিরও বেশি সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে রিপোর্টকারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধি এবং ভয় দেখানোর বিষয়ে সতর্ক করেছে। এক বিবৃতিতে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজোলে বলেছেন, চলমান পরিবেশগত সংকট সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য বৈজ্ঞানিক তথ্য ব্যতীত, আমরা কখনোই এটি কাটিয়ে উঠার আশা করতে পারি না। এখনো আমরা যে সাংবাদিকদের ওপর নির্ভর করি এই বিষয়ের তদন্ত করতে তারা সারা বিশ্বে অগ্রহণযোগ্যভাবে উচ্চ ঝুঁকির সম্মুখীন। জলবায়ু-সম্পর্কিত বিভ্রান্তি সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে চলছে। ইউনেস্কো বলছে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে অন্তত ৭৪৯ সাংবাদিক এবং নিউজ মিডিয়া পরিবেশগত বিষয়ে রিপোর্ট করে খুন, শারীরিক নির্যাতন, আটক ও গ্রেপ্তার, অনলাইন হয়রানি বা আইনি আক্রমণের শিকার হয়েছেন। ২০১৯ এবং ২০২৩-এর মধ্যে আক্রমণ ঘটেছে ৩০০টিরও বেশি, যা আগের পাঁচ বছরের তুলনায় ৪২ শতাংশ বেশি। সমস্যাটি বিশ্বব্যাপী, বিশ্বের সমস্ত অঞ্চলের ৮৯টি দেশে হামলা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে তাদের কাজের জন্য কমপক্ষে ৪৪ জন পরিবেশবাদী সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। মাত্র পাঁচটি ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার জরিপে অংশ নেওয়া সাংবাদিকদের এক-তৃতীয়াংশ বলেছেন, তাদের সেন্সর করা হয়েছে। প্রায় ৪৫ শতাংশ সাংবাদিক বলেছেন, তারা হামলার ভয়ে তাদের উৎস প্রকাশ করার ভয়ে বা তাদের গল্পগুলো সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ার কারণে পরিবেশকে কভার করার সময় তারা নিজেরাই সেন্সর আরোপ করেছিল। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই সপ্তাহে চিলিতে একটি সংবাদ স্বাধীনতা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ইউনেস্কো নিপীড়নের সম্মুখীন ৫০০টিরও বেশি পরিবেশগত সাংবাদিকদের আইনি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের জন্য একটি অনুদান কর্মসূচি চালু করার ঘোষণা দেবে।
০৩ মে, ২০২৪

রাফাহতে ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বললেন জাতিসংঘ প্রধান
দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে যে কোনো সময় সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে ইসরায়েল। তবে সম্ভাব্য এই অভিযানের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি রাফাহতে ইসরায়েলের সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।  সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, ইসরায়েল যদি রাফাহতে হামলা চালায় তাহলে হাজার হাজার বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটবে এবং বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে।  সম্ভাব্য পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে জাতিসংঘের প্রধান জোর দিয়ে বলেন, একটি সামরিক হামলা শুধুমাত্র গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে তা নয়, বরং এটা পুরো অঞ্চলজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির তৈরি করবে।    ৭ অক্টোবরের পর গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় পরিস্থিতির উল্লেখ করে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এই মুহুর্তে একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি খুবই জরুরি। তিনি সমস্ত জিম্মিদের অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে গাজায় ব্যাপক ভাবে মানবিক সহায়তায় বৃদ্ধির কথা বলেন তিনি।  জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, গাজার জনগণের স্বার্থে, ইসরায়েলি জিম্মি ও তাদের পরিবারের স্বার্থে এবং এই অঞ্চল সর্বোপরি বিশ্বের স্বার্থে আমি ইসরায়েল সরকার এবং হামাস নেতৃত্বকে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আহ্বান জানাই।  উল্লেখ্য, গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় গাজার স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী। ওইদিন থেকেই গোষ্ঠীটিকে নির্মূলের নামে গাজায় গণহত্যা শুরু করে তেল আবিব।  প্রায় ৭ মাস ধরে অবরুদ্ধ গাজায় টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইতিমধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। এত প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ সত্ত্বেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ বন্ধের দাবি জোরালো হলেও তা বন্ধের কোনো দৃশ্যমান কোনো লক্ষণ নেই। 
০১ মে, ২০২৪

গাজার ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে ১৪ বছর লাগতে পারে : জাতিসংঘ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের এ অভিযানে গাজা এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের অভিযানের ফলে গাজায় থাকা অবিস্ফোরিত গোলাবারুদসহ বিপুল পরিমাণ ধ্বংসস্তূপ অপসারণে ১৪ বছর সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের (ইউএনএমএএস) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার এ ভবিষ্যৎবাণীতে বলেন, যুদ্ধের ফলে প্রায় তিন কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ ব্যাপক ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলটিতে পড়ে রয়েছে। জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।  গাজার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে ২৩ লাখ মানুষের সংকীর্ণ ও উপকূলীয় অঞ্চলটিকে ইসরায়েল মরুভূমিতে পরিণত করেছে। বর্তমানে উপত্যকার বেশিরভাগ বেসামরিক মানুষ গৃহহীন, ক্ষুধার্ত এবং রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।  পেহর লোধাম্মার বলেন, গাজায় পাওয়া অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের সংখ্যা গণনা করা অসম্ভব। তারপরও ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষসহ পুরো ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে ১৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে।  তিনি বলেন, আমরা জানি, সাধারণত স্থলবাহিনীর ছোড়া গোলাবারুদের অন্তত ১০ শতাংশ অবিস্ফোরিত ও বিকল থেকে পায়। গাজার পরিস্থিতি অপসারণে দৈনিক ১০০ ট্রাক ব্যবহার করলেও ১৪ বছর সময় লাগতে পারে।  গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। বর্তমানে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা চলছে। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। রমজানের আগে এই চুক্তি আলোচনায় অগ্রগতি হলেও এখন দুপক্ষের মতবিরোধের কারণে তা স্থবির হয়ে পড়ে আছে।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

মালয়েশিয়ায় শোষণের শিকার বাংলাদেশি শ্রমিকরা : জাতিসংঘ
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের দুরবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। এসব শ্রমিক সরকারি শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়া মেনে কর্মসংস্থানের আশায় মালয়েশিয়ায় গেলেও সেখানে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক বাংলাদেশি অভিবাসী মালয়েশিয়ায় গিয়ে দেখেন যে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ নেই। এ জন্য প্রায় সময় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তাদের অতিরিক্ত সময় সেখানে থাকতে হয়। ফলে এই অভিবাসীরা গ্রেপ্তার, আটক, দুর্ব্যবহার ও নির্বাসনের ঝুঁকিতে থাকেন। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশে সক্রিয় অপরাধমূলক নেটওয়ার্ক অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতারণামূলক নিয়োগের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রায় সময় ভুয়া কোম্পানি কর্তৃক নিয়োগের কারণে অভিবাসী শ্রমিকরা প্রতারিত হচ্ছেন। মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়োগ ফি দিতে বাধ্য হওয়ায় তারা ঋণের জালে আটকা পড়েন। এমনও খবর আসছে যে, দুই দেশের সরকারের কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এটি অগ্রহণযোগ্য ও এর অবসান হওয়া দরকার বলে মনে করেন এসব বিশেষজ্ঞ। তারা বলেন, এই শোষণমূলক নিয়োগের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ায় এসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রতারণামূলক নিয়োগ সংস্থার বিরুদ্ধে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা পুরোপুরি অপর্যাপ্ত। এদিকে অরক্ষিত এসব অভিবাসী শ্রমিকদের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করানো হচ্ছে। এমনকি শোষণের খবর ফাঁস করায় অনেকে কঠোর প্রতিশোধের সম্মুখীন হয়েছেন। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সামাল দিতে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশকে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

গাজা ইস্যুতে আলোচনার সময় কেঁপে উঠল জাতিসংঘ ভবন
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে জাতিসংঘ সদর দপ্তর। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও আশপাশের অঞ্চলে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এ সময় সেখানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ে আলোচনা চলছিল। শনিবার (০৬ এপ্রিল) এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার নিউইয়র্কে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পনের মাত্রা কতটা জোরালো ছিল তা নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে থাকা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জাতিসংঘ কম্পনের একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। সেখানে দেখা গেছে, ভূমিকম্পের সময়ে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী জান্তি সোয়েরিপ্তো কথা বলছেন। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকা নিয়ে আলোচনার সময়ে হঠাৎ করে জাতিসংঘের ভবনটি কেঁপে ওঠে।  #BREAKING: Youre making the ground shake! UN Security Council hears as mid-morning #earthquake interrupts briefing on the situation in the Middle East. pic.twitter.com/1F8TZBHKKu — UN News (@UN_News_Centre) April 5, 2024 ভূমিকম্পের সময় তিনি কথা বলা বন্ধ করে দিলে পাশ থেকে কেউ মজার ছলে বলেন, আপনি মাটি কাঁপাচ্ছেন।  শুক্রবার আঘাত হানা ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল নিউ জার্সিতে। তবে এ ভূমিকম্পের সময় কেউ আহত বা নিহত হননি। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য জানা যায়নি।  নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল এক্সে ভূমিকম্পের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পূর্ব ম্যানহাটনে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এটির প্রভাব পুরো নিউইয়র্কে পড়েছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা তা আমাদের টিম জানার চেষ্টা করছে। 
০৬ এপ্রিল, ২০২৪
X