

নবম পে স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে সরকারি কর্মচারী দাবি ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মহাসমাবেশে প্রাণের উচ্ছ্বাস ও ন্যায্য দাবি তুলে ধরতে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের হাজারো কর্মচারী ঢাকা জিপিও থেকে বর্ণাঢ্য মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন— বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মো. আমিনুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব মো. সাদরুল আমিন, ঢাকা মেট্রোপলিটন সার্কেলের সভাপতি রোকন উদ্দিন, ডিজি অফিসের সিরাজুল ইসলাম ও মোহাম্মদ জাকির হোসেন, ডাক জীবন বীমার আব্দুল কুদ্দুস, ঢাকা জিপিওর রবিউল ইসলাম জোয়ারদার, ডাক অধিদপ্তরের জামাল হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের নেতারা।
ডাক বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করে বক্তব্য দেন— বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সম্মানিত আহ্বায়ক মো. আমিনুর রহমান, বারাকসবের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সদস্য সচিব সাদরুল আমিন, ঢাকা মেট্রোপলিটন সার্কেলের সভাপতি রোকন উদ্দিন, ডাক অধিদপ্তরের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন।
বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক এবং সরকারি কর্মচারী বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক আমিনুর রহমান তার জোরালো বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মহাসমাবেশে উপস্থিত লাখো কর্মচারীর হৃদয়ের স্পন্দন যদি সরকার অনুভব করতে ব্যর্থ হয়, তার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ছিল বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক সোনার বাংলাদেশ গঠন। সেই চেতনাকে ধারণ করেই কর্মচারীদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার জাতীয় পে কমিশন ২০২৫ গঠন করে এবং বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার ও কর্মচারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে। ডাক বিভাগের প্রতিনিধিরাও কমিশনের সভায় লিখিত প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টার আকস্মিক নেতিবাচক মন্তব্যে— ১৮ লাখ সরকারি কর্মচারীর মনে গভীর হতাশা, ক্ষোভ ও আস্থাহানি সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে ১৮ লাখ কর্মচারী পরিবারকে ক্ষুধার্ত রেখে কোনো সংস্কার সফল হতে পারে না।
মূল দাবি
নবম পে স্কেল বাস্তবায়নই শহীদদের রক্তের প্রতি ইতিহাসের ঋণ পরিশোধ।
১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পে স্কেলের গেজেট প্রকাশ।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে— কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে নবম পে স্কেল আদায়।
মন্তব্য করুন