বর্তমান সংবিধানের ওপর ভিত্তি করে যদি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সেই নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় নোয়াখালী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জুলাই স্মৃতিচারণ পরিচালনা পর্ষদ নামে একটি সংগঠনের জুলাই স্মৃতিচারণা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘আমাদের মুলা ধরিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চুক্তি করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সেইফ এক্সিট নিতে চেয়েছেন। সবগুলো রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের তারিখ দিয়েছেন।’
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে দাবি করে তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত এই জুলাই সনদের কোনো আইনি ভিত্তি না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা জুলাই যোদ্ধা সবাই একেকজন দেশদ্রোহী। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিয়ে সরকার আমাদের ফাঁসিতে ঝোলাতে চায়। অনেকে আমাদের বলে আমরা নাকি জুলাইয়ের গাদ্দার! জুলাইয়ের সঙ্গে সবচেয়ে বড় গাদ্দারি করেছে বর্তমান ইন্টেরিম সরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়েছে, সে সংবিধানকে বৈধতা দেয়া হয়েছে ১০৬ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে। কিন্তু ১০৬ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে তাকে কিন্তু নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। সরকার তখন গর্তে ঢুকে গেছে, সেইফ এক্সিট কীভাবে নেবে। তারপর রাজনৈতিক দলগুলোকে বুঝিয়ে আবার ১০৬ অনুচ্ছেদে নতুন একটা বিধি যুক্ত করে হাইকোর্টের রায় এনে একটা নির্বাচন দিবে।’
মাসউদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অভ্যুত্থানের পর হয়েছে। তারা নতুন একটি সংবিধান দেবে। তারা পুরানো সংবিধানের অধীনে এখন নির্বাচন দিতে চায়। অতীতে যেভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে, সেভাবে কমিশন গঠন করে কি এবারও নির্বাচন হবে?’
নির্বাচনে যাবেন না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গণপরিষদ নির্বাচন চেয়েছি। সেটি নিয়েও এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। এসব সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত, জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না।’
সবায় আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুল জাহের, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান।
মন্তব্য করুন