আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে কখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বিএনপি গত এক বছর নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করেছে। গণতান্ত্রিক উপায়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চায় বিএনপি। জনসম্পৃক্ত একদফার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত গণমিছিলপরবর্তী সমাবেশে টুকু এসব কথা বলেন।
যুবদল সভাপতি বলেন, এই অবৈধ সরকার জনগণকে ভয় পায়, বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। সরকার মনে করেছিল তাকে কারারুদ্ধ করলে দেশের মানুষ চুপ হয়ে যাবে। সবকিছু বন্ধ করে দিয়েও দেশের মানুষকে চুপ করিয়ে দেওয়া যাবে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বলছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। চরম বন্ধুরাষ্ট্রও আজকে বাংলাদেশকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আগামীতে সব গুম-খুনের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে বলে দাবি করেন তিনি। যুবদল সভাপতি টুকু বলেন, আসুন আমরা সব গণতান্ত্রিক শক্তি একত্র হয়ে আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতন নিশ্চিত করি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের এই একদফার আন্দোলন । বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে চূড়ান্ত আন্দোলনে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করি।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, ডা. জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সিনিয়র সহসভাপতি মামুন হাসান, সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, জাকির সিদ্দিকী, জাকির হোসেন নান্নু, মাহবুবুল হাসান পিংকু, গোলাম মোস্তফা সাগর, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন