আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২৮ তারিখে বিএনপি যে সমস্ত ঘটনা ঘটাল, বিশেষ করে মাটিতে ফেলে পুলিশকে যেভাবে কোপাল, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, এই ঘটনার পরে জনগণের ধিক্কার ছাড়া বিএনপির আর কিছু জুটবে না।
মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগদান উপলক্ষে সম্প্রতি বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে তিন দিনের সরকারি সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘মাঝখানে তারা (বিএনপি) কিছুটা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করছিল। আমাদের সরকার তাদের কোনো বাধাও দেয়নি। তাদের ওপর একটি শর্ত ছিল তারা যেন অগ্নিসন্ত্রাস-ভাঙচুর, এগুলো না করে। তারা যখন সুস্থ রাজনৈতিক কর্মসূচি করছিল, মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসও ধীরে ধীরে অর্জন করতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২৮ তারিখে তাদের যেই ঘটনা, বিএনপির যেসব ঘটনা ঘটাল, বিশেষ করে মাটিতে ফেলে পুলিশকে যেভাবে কোপাল, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, এই ঘটনার পরে জনগণের ধিক্কার ছাড়া বিএনপির আর কিছু জুটবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়েছে, সেখানেও পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে। আজকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনির ওপর যেভাবে হামলা করছে, এখানে হাসপাতালে বোমা হামলা করল, নারী-শিশুদের অত্যাচার করেছে, তাদের সবকিছু বন্ধ করে রেখে দিয়েছে, আমি তফাত কিছু দেখতে পারছি না। আমরা এর নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে নিজেরাই পালাল, পালিয়ে গিয়ে এখন আবার অবরোধের ডাক। কীসের অবরোধ? কার জন্য অবরোধ? যখন সারা বিশ্ব বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে প্রশংসা করছে তখন তাদের কাজ হলো বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। বাংলাদেশের এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, দেখাবে বাংলাদেশে কিছু হয়নি। তাদের হামলার শিকার একদিকে পুলিশ, আর হচ্ছে সাংবাদিক। এদের ওপর তারা হামলা চালিয়েছে। সেগুলো কারা করেছে, তাদের নাম ডাক....। তারা তো প্রকাশ্যে করেছে। শুধু তাই নয়, গতকালকে তারা লালমনিরহাটে আমাদের যুবলীগের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এভাবে হত্যা করা আর মানুষের সম্পদ নষ্ট করা, আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করাই তাদের চরিত্র। হঠাৎ কেন সাংবাদিকদের ওপর তারা চড়াও হলো? সাংবাদিকরা তাদের পক্ষে ভালো ভালো নিউজ দিচ্ছিল। টকশোতে ভালো ভালো কথা। বরং সরকারের দোষটাই সাংবাদিকরা বেশি দেখে। তাহলে তাদের রাগটা কেন সাংবাদিকদের ওপর হলো? সেটাই বুঝতে পারলাম না।
গত ২৪ অক্টোবর ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইনের আমন্ত্রণে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে বেলজিয়াম সফরে যান প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে গত শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দেশে ফেরেন তিনি। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ফোরামের সাইডলাইনে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন।
মন্তব্য করুন