কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:১৬ পিএম
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘গণভবন শুধু প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন না, এটা ফার্মহাউসও’

কালকিনিতে জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট
কালকিনিতে জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট

যার যতটুকু জমি উৎপাদন করুন। গণভবন এখন শুধু প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন না, এটা এখন একটা ফার্মহাউস হয়ে গেছে। সেখানে আমরা সবই উৎপাদন করি এখন। শুধু তাই না, আমার দাদার জমি যেগুলো পতিত অবস্থায় পড়েছিল সেগুলোকেও চাষের আওতায় এনেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠের নির্বাচনী জনসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো জমি ফেলে রাখব না। সবজায়গায় আমরা চাষ শুরু করব। নিজেদেরটা যদি আমরা নিজেরা উৎপাদন করতে পারি তাহলে কারোর কাছে আমাদের আর হাত পাতা লাগবে না। এটা যে শুধু আপনাদের বলছি সেটা না, আমি নিজেও এই কাজ করি। গণভবনের জমিতে আমি সবধরনের উৎপাদন করি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া একটা প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে। সেই নির্বাচনে সে ভোট চুরি করে। আর তার ফলে আন্দোলন হয়, সংগ্রাম হয়, জনগণ প্রতিবাদ করে। পরে নির্বাচনের দেড় মাসের মাথায় খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হয়। ভোট চুরির কলঙ্ক মাথায় নিয়ে খালেদা জিয়া বিদায় নিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত খুনির দল, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ মার্কিন ডলার। মাত্র তিন বছরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেন। ’৭৫-এর পরে জিয়া-এরশাদ যারাই ক্ষমতায় এসেছেন এদেশের মানুষের আয় তারা বাড়াতে পারেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়া-এরশাদ সমস্ত রাষ্ট্রীয় অর্থ সম্পদ দিয়ে কিছু লোককে ধনিক শ্রেণিতে তৈরি করে তাদের মাধ্যমে জনগণের ভোট চুরি করে। পরে সংবিধান লঙ্ঘন করে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির মতো দুইটা গুরুত্বপূর্ণ পদ বেআইনিভাবে দখল করে প্রহসের নির্বাচন করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়। পরে রাজনৈতিক কিছু উচ্ছ্বিষ্ট থেকে তৈরি হয় বিএনপি নামের সংগঠন। আর যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের জিয়াউর রহমান ফিরিয়ে আনে। তাদের নিয়েই রাজনীতি করে।

এর আগে মাদারীপুর জেলার কালকিনি জনসভাস্থলে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসে পৌঁছালে জনসভাস্থল স্লোগানে মুখর করে তোলেন নেতাকর্মীরা। স্লোগান আর আনন্দধ্বনিতে ভরে ওঠে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠ।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখতে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের মাঠে মানুষের ঢল নামে। সকাল ১০টা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিলে পুরো মাঠজুড়ে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। এজন্য ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজীপুরে প্রবাসী বিএনপি নেতা পারভেজের প্রার্থিতা ঘোষণা

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইমাম প্রশিক্ষণ দেবে তুরস্কের দিয়ানাত ফাউন্ডেশন

স্বপ্নদ্রষ্টার হাত ধরে ল্যাবএইড এআইয়ের উদ্বোধন

মতবিনিময় সভায় যুব নেতারা / জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে 

দুর্গাপূজা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে উদ্বেগ ঐক্য পরিষদের 

মিয়ানমারে বৌদ্ধদের উৎসবে জান্তার বিমান হামলায় নিহত ৪০

আ.লীগের কর্মী-সমর্থকদের জন্য কেঁদে কেঁদে দোয়া করলেন হাদি

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে ভুল উদ্ধৃতি সংশোধনের আহ্বান টিআইবির

‘আবরারের স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে অনেকের গাত্রদাহ দেখেছি’

সৌন্দর্যবর্ধনে সাভার উপজেলা প্রশাসনের নানা উদ্যোগ

১০

ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

১১

ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে কোরআন অবমাননা, সিএমপির জরুরি সতর্কবার্তা

১২

জাতীয়করণ নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

১৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১৪

খেলা শেষ হতেই রেফারির ওপর হামলা

১৫

জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের জন্য সুখবর

১৬

আদালতের ‘ন্যায়কুঞ্জে’ খাবার হোটেল, প্রধান বিচারপতির নির্দেশে উচ্ছেদ

১৭

অ্যানথ্রাক্স ছড়াচ্ছে উত্তরাঞ্চলে, রংপুর-গাইবান্ধায় সরেজমিনে তদন্ত শুরু

১৮

চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা / জানলে যে সব বলে দিতে হবে সেটা তো না

১৯

শেখ হাসিনা ও কামালের নির্বাচনী যোগ্যতা নিয়ে যা জানা গেল

২০
X