বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বিএনপির সময় দুরবস্থা ছিল আমাদের সামগ্রিক জীবনে। মানুষের ভাত এবং কাপড়ের সমস্যাতেই সাধারণ মানুষ জর্জরিত থাকত। গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং সারের জন্য মানুষের ওপর গুলি চালানো হয়েছিল বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে। চুরি, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি লেগেই ছিল। মানুষের জীবনে কোনো নিরাপত্তা ছিল না, ছিল না মানুষের অধিকার। অগ্নিসন্ত্রাস করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পল্লবী ইসলামিয়া স্কুল মাঠে যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারেক এবং খালেদা জিয়ার নির্দেশেই যে অগ্নিসন্ত্রাস চালানো হয় তা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের মাধ্যমে এবং তাদের ধৃত নেতা-কর্মীদের স্বীকারোক্তি থেকে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সেই ন্যক্কারজনক ঘটনাকালে অগ্নিদগ্ধ ও আপনজন হারা স্বজনদের ব্যথা এখনো মানুষের মনে দাউ দাউ করে জ্বলে। বিএনপি জানে, তাদের জন্য মানুষের শুধু ঘৃণাই রয়েছে। মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না। তাই তারা নির্বাচনে যেতে ভয় পেয়েছে, কারণ তারা জানে যে, এই অপরাধী বিএনপিকে মানুষ কোনদিনও ভোট দেবে না।
তিনি আরও বলেন, যখনই এ দেশের মানুষের জীবনে উন্নতি হয়েছে অথবা আরও অধিকতর উন্নতির সুযোগ রয়েছে, তখনই এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে, সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে বিএনপি-জামায়াত। আজকেরও তাদের এই কালো পতাকা মিছিল তাদের কু-মতলবের আভাস বহন করে এবং একটা অশনি সংকেতের ইঙ্গিত বহন করে।
তিনি বলেন, ঠিক যখন আওয়ামী লীগ সরকার দারিদ্র্য দূর করে এ দেশের মানুষের মুখে দু’বেলা ভাতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করছে, ভূমিহীনদের বিনামূল্যে জমি, ঘর ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ঠিক তখন বিএনপি-জামায়াত এই সকল অশুভ পাঁয়তারা শুরু করেছে। যখন আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে, ঠিক তখন ওরা আবার জনবিরোধী কার্যকলাপ করার চেষ্টা করছে।
কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান, সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জহুরুল ইসলা মিল্টন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, উপ-মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া শামীমসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন