স্বামী পাশে নেই, ফাইভ স্টারে অভিনেত্রীর জন্মদিন উদযাপন
বিভিন্ন সিরিয়ালে অভিনয় করে বাঙালি দর্শকের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ভারতীয় অভিনেত্রী ত্রমিলা ভট্টাচার্য। সীমারেখা সিরিয়ালের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার। এরপর একে একে কাজ করেছেন আজব সাজা, মোহিনী, মহাকাল, পৌষ ফাগুনের পালা, জীবন রেখা, একক দশক শতক, পূর্ব পশ্চিম, মোহর, পঞ্চমীসহ বেশ কিছু সিরিয়ালে। কাজের পাশাপাশি বেশ মন দিয়ে সংসার করছেন ত্রমিলা। তার স্বামী মার্চেন্ট নেভির ক্যাপ্টেন। তাই বছরের অনেকটা সময় জাহাজে সাত সমুদ্র তোর নদীর পাড়ে কাটাতে হয় তাকে। এ সময়টায় ঘরকন্না সামলান ত্রমিলা। অভিনেত্রীর একটি মেয়েও আছে। ছোটবেলায় প্রেম করে খুব কম বয়সেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন অভিনেত্রী ত্রমিলা। বিদেশে পড়াশোনা করেছেন তিনি। সিরিয়াল ও সিরিজে কাজ করলেও সিনেমা থেকে কিছুটা দূরে রয়েছেন এই অভিনেত্রী। শনিবার ছিল তার জন্মদিন। খুব নিরালায় নিজের জন্মদিন কাটালেন ত্রমিলা। কলকাতার এক ফাইভ স্টার হোটেলে কেটেছে তার জন্মদিন। এ সময় তার স্বামী ছিলেন না সেখানে। মেয়েকে নিয়েই জন্মদিন উদযাপন করেছেন অভিনেত্রী। তার মেয়ে রশ্মিকা এখন অনেকটাই বড়। তাই মেয়ের সঙ্গে গড়ে উঠেছে তার বন্ধুত্ব। মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই কেটেছে অভিনেত্রীর এবারের জন্মদিন।
১৪ মে, ২০২৪

শুভ জন্মদিন রওশন জামিল
দেশের সংস্কৃতির আঙিনায় উজ্জ্বল নক্ষত্র রওশন জামিল। সাবলীল অভিনয় ও নাচ দিয়ে তিনি নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য এক উচ্চতায়। আজ এই কিংবদন্তির জন্মদিন। ১৯৩১ সালের ৮ মে ঢাকার রোকনপুরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় লক্ষ্মীবাজার সেন্ট ফ্রান্সিস মিশনারি স্কুলে। পরবর্তী সময়ে তিনি ইডেন কলেজে পড়াশোনা করেছেন। ১৯৬৫ সালে টেলিভিশনে ‘রক্ত দিয়ে লেখা’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে রওশন জামিলের অভিনয় জীবন শুরু হয়। বিটিভির ‘ঢাকায় থাকি’ এবং ‘সকাল সন্ধ্যা’ ধারাবাহিক নাটকের অভিনয় তাকে অবিস্মরণীয় করে রেখেছে। ১৯৬৭ সালে আরব্য রূপকথা ‘আলিবাবা চল্লিশ চোর’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা করেন রওশন জামিল। বাকিটুকু ইতিহাস। ২০০২ সালের ১৪ মে মৃত্যুবরণ করেন এই কিংবদন্তি। সংস্কৃতিতে অসামান্য অবদানের জন্য রওশন জামিল দীর্ঘ কর্মজীবনে অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, টেনাশিনাস পদক, সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড, বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার, তারকালোক পুরস্কার। আর নৃত্যে তিনি ১৯৯৫ সালে একুশে পদক লাভ করেন।  
০৮ মে, ২০২৪

শেখ জামালের জন্মদিন পালিত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুত্র লেফটেন্যান্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। গতকাল রোববার রাজধানীসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন, সামাজিক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো শেখ জামালের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা অনুষ্ঠান, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করে। রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল শেখ জামালের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা জানান ওবায়দুল কাদের। পরে তিনি দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান। পরে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর একে একে বিভিন্ন সামাজিক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ শেখ জামালের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

নানা কর্মসূচিতে শেখ জামালের জন্মদিন পালিত
পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, কবর জিয়ারত, রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও ফাতিহা পাঠের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রথমে শেখ জামালের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে শেখ জামালের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ, দলের সহযোগী সংগঠন ও বিভিন্ন সামাজিক এবং ক্রীড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর একে একে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ শেখ জামালের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জন্মদিন উপলক্ষে শেখ জামালের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। রোববার সকালে শহীদ শেখ জামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মেয়র শহীদ শেখ জামালের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার কবরসহ ১৫ আগস্টে সকল শহীদের কবরে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও জন্মদিন উপলক্ষে শেখ জামালের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সংগঠনের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে এই পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিনে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুলে দুস্থ, অসহায় ও এতিম শিশু-কিশোরদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মশিউর রহমান মোল্লা সজল। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষে শ্রমিক ও রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা, খাবার স্যালাইন ও পানির বোতল বিতরণ করেছে ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু ও সাধারণ সম্পাদক হাজী আবুল হোসেন।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন আজ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গর্বিত অফিসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ রোববার। শেখ জামাল ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমা বর্তমানে জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী এবং একজন ক্রীড়াবিদ। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পথচলা শেষে ভারতের আগরতলা পৌঁছান এবং সেখানে মুজিব বাহিনীতে যোগদান করে প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন। শেখ জামাল ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক চৌকস-মেধাবী সেনা অফিসার। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি কোর্স’র প্রথম ব্যাচের কমিশন্ডপ্রাপ্ত অফিসার। ১৯৭৪ সালে শেখ জামাল যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্ট একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে ঢাকা সেনানিবাসস্থ দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন। দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে চাকরিকালে স্বল্প সময়েই অফিসার ও সৈনিকদের মাঝে তিনি অসাধারণ পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতার ছাপ রেখেছিলেন। কয়েক সপ্তাহেই শেখ জামাল অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তাদেরই একজন হয়ে যান। ট্রেনিং গ্রাউন্ডে, রণকৌশলের ক্লাসে, অবস্টাকল ক্রসিংয়ে অংশ নিয়ে সৈনিকদের মুগ্ধ করেন। ব্যাটালিয়ন বক্সিং টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন। ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে নিজ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওই দিন রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে নৃশংসভাবে খুন হন শেখ জামাল। শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আগামীকাল রোববার সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে তার কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং তার পবিত্র আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

শেখ জামালের জন্মদিন আজ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ। ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী এবং একজন ক্রীড়াবিদ। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পথচলা শেষে ভারতের আগরতলা পৌঁছান এবং সেখানে মুজিব বাহিনীতে যোগদান করে প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন। শেখ জামাল ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক চৌকশ ও মেধাবী সেনা অফিসার। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের প্রথম ব্যাচের কমিশন্ডপ্রাপ্ত অফিসার। ১৯৭৪ সালে শেখ জামাল যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। এরপর যুক্তরাজ্যের স্যান্ডহার্স্ট একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে ঢাকা সেনানিবাসের দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন। দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে চাকরিকালে স্বল্প সময়েই অফিসার ও সৈনিকদের মাঝে তিনি অসাধারণ পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতার ছাপ রেখেছিলেন। ট্রেনিং গ্রাউন্ডে, রণকৌশলের ক্লাসে, অবস্টাকল ক্রসিংয়ে অংশ নিয়ে সৈনিকদের মুগ্ধ করেন। ব্যাটালিয়ন বক্সিং টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে নিজ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওই দিন রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। সেই রাতেই (১৫ আগস্ট) ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নৃশংসভাবে খুন হন শেখ জামাল। শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালনে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আজ সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে তার কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং তার পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন রোববার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গর্বিত অফিসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আগামীকাল রোববার। শেখ জামাল ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমা বর্তমানে জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী এবং একজন ক্রীড়াবিদ। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পথচলা শেষে ভারতের আগরতলা পৌঁছান এবং সেখানে মুজিব বাহিনীতে যোগদান করে প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন। শেখ জামাল ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক চৌকশ-মেধাবী সেনা অফিসার। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি কোর্স’র প্রথম ব্যাচের কমিশন্ডপ্রাপ্ত অফিসার। ১৯৭৪ সালে শেখ জামাল যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্ট একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে ঢাকা সেনানিবাসস্থ দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন। দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে চাকরিকালে স্বল্প সময়েই অফিসার ও সৈনিকদের মাঝে তিনি অসাধারণ পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতার ছাপ রেখেছিলেন। কয়েক সপ্তাহেই শেখ জামাল অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তাদেরই একজন হয়ে যান। ট্রেনিং গ্রাউন্ডে, রণকৌশলের ক্লাসে, অবস্টাকল ক্রসিংয়ে অংশ নিয়ে সৈনিকদের মুগ্ধ করেন। ব্যাটালিয়ন বক্সিং টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন। ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে নিজ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওই দিন রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে নৃশংসভাবে খুন হন শেখ জামাল। শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আগামীকাল রোববার সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে তার কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং তার পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

শুভ জন্মদিন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ শচীন
পৃথিবীতে ক্রিকেট খেলার বয়স তো আর কম হলো না। প্রায় ১৫০ বছর ধরে যে খেলা মানুষ উপভোগ করছে এই খেলার সেরা খেলোয়াড় কে এমন প্রশ্নে বেশির ভাগ লোকের মুখে যে নাম সবার আগে থাকবে সেটি হলো শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। সর্বকালের সেরা ব্যাটার কিংবা ক্রিকেটার সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে থাকবে ভারতীয় এই ক্রিকেটারের নাম। শচীন নামটিই এখন ক্রিকেটের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারের নামের পাশে যত রেকর্ড আছে সেটি বলতে গেলে এক রাত পার হয়ে যাবে। ক্রিকেটের এই বরপুত্রকে তো আর বিনা কারণে ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ বলে ডাকা হয় না। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার শচীন রমেশ টেন্ডুলকারের ৫১ তম জন্মদিন। ১৯৭৩ সালের এই দিনেই মুম্বাইয়ে রমেশ টেন্ডুলকারের ঘর আলো করে জন্ম নেয় শচীন। তার বাবা ছিলেন শচীন দেব বর্মনের বড় ভক্ত তাই ছেলের নাম দেন শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় নামকে ৫১তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা। ক্রিকেটকে প্রায় দুই যুগ ধরে শাসন করা এই ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন ১৯৮৯ সালের ১৫ নভেম্বর। আর পরের বছরের ১১ আগস্ট ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পেয়ে যান নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। আর সর্বশেষটি আসে ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সব মিলিয়ে ৬৬৪ ম্যাচ খেলে তিনি ৩৪ হাজার ৩৫৭ রান করেছেন, ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরির সংখ্যাও ১০০। টেস্টে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৯২১ রান, ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৪২৬ রান, সর্বোচ্চ ২০০ টেস্ট ও ৪৬৩ ওয়ানডে ম্যাচের রেকর্ড। বর্তমানে শচীনের এ রেকর্ডগুলো ভাঙা প্রায় অসম্ভব। ওয়ানডেতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিও তার। ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ালিয়রে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪৭ বলে অপরাজিত ২০০ রান করেন। এরমধ্যে ক্রিকেটের বরপুত্র পেয়ে যান জীবনের সেরা অর্জনও। ২০১১ সালে ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে উঁচিয়ে ধরেন ক্রিকেটের পরম আরাধ্য সোনালি ট্রফি। তার ক্যারিয়ারে তখন পর্যন্ত যে একটি অপুর্ণতা ছিল সেটি পূরণ করেন বিশ্বকাপ জিতে। যে নভেম্বরে শুরু হয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার, ২৪ বছর পর সেই মাসেই শেষ টেনে ফেলেন। ২০১৩ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলেন শেষ ম্যাচ। ওয়াংখেড়েতে টেস্ট ম্যাচে খেলেন ৭৪ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। ক্রিকেট জগতে টেন্ডুলকার একজনই। অদম্য, অতুলনীয়, অসাধারণ কিংবদন্তি এক ক্রিকেটার! শুভ জন্মদিন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

শুভ জন্মদিন রোজী আফসারী
দেশের কিংবদন্তি অভিনেত্রী রোজী আফসারী। রুপালি পর্দায় নিজের মিষ্টি হাসি দিয়ে জয় করেছিলেন ভক্তদের হৃদয়। তার ঝুলিতে আছে কালজয়ী বেশকিছু সিনেমা। প্রখ্যাত এ অভিনেত্রীর ৭৮তম জন্মদিন আজ। ১৯৬২ সালে আবদুল জব্বার খান পরিচালিত জোয়ার এলো দিয়ে শুরু তার সিনেমায় কাজ করা। তবে প্রথম খ্যাতি অর্জন করেন নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত আলোর মিছিল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে। প্রায় চার দশক ধরে তিনি প্রায় ৩৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এর মধ্যে পাকিস্তানের ‘জাগে হুয়া সাবেরা’, ‘পুনম কি রাত’সহ প্রায় ২৫টি উর্দু সিনেমা রয়েছে। ১৯৭৫ সালে ‘লাঠিয়াল’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন রোজী আফসারী। তার কালজয়ী সিনেমার তালিকায় রয়েছে ‘ওরা ১১ জন’, ‘লাঠিয়াল’, ‘এতটুকু আশা’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘অশিক্ষিত’, ‘প্রতিকার’ ইত্যাদি। তার সর্বশেষ অভিনীত সিনেমা ‘পরম প্রিয়’ ২০০৫ সালে মুক্তি পায়। রোজী আফসারীর প্রকৃত নাম শামীমা আক্তার রোজী। ১৯৪৬ সালের ২৩ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ২০০৭ সালের ৯ মার্চ কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন এ কিংবদন্তি।  
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

আজ নায়ক আলমগীরের জন্মদিন
দেশীয় চলচ্চিত্রের সফল নায়ক আলমগীরের জন্মদিন আজ। তিনি একাধারে প্রযোজক ও পরিচালক। চলতি বছর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এ খ্যাতিমান নায়ক। তার অভিনয়ের শুরুটা কলেজজীবনে নাটক দিয়ে। ১৯৭২ সালের ২৪ জুন প্রয়াত বরেণ্য পরিচালক আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘আমার জন্মভূমি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি এই সিনেমা মুক্তির আগেই আলমগীর সিরাজুল ইসলামের ‘দস্যুরানী’ (১৯৭৪), আজিজুর রহমানের ‘অতিথি’, আলমগীর কুমকুমের ‘মমতা’, মোহর চাঁদের ‘হীরা’ সিনেমার কাজ শুরু করেন। সবশেষ এই অভিনেতাকে তার নিজের পরিচালনায় ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমায় দেখা গেছে। ১৯৭৫ সালে তিনি শাবানার বিপরীতে ‘চাষীর মেয়ে’ ও কবরীর বিপরীতে ‘লাভ ইন শিমলা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৭৮ সালে ‘জিঞ্জির’ চলচ্চিত্রে সেই সময়ের প্রতিষ্ঠিত নায়ক রাজ রাজ্জাক ও সোহেল রানার সঙ্গে অভিনয় করে তিনি এ দেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে আরও অধিক পরিচিত হয়ে ওঠেন। ১৯৮৫ সালে আলমগীর প্রথম জাতীয় পর্যায়ের স্বীকৃতি লাভ করেন। কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘মা ও ছেলে’ ছবিতে দীপক চৌধুরী চরিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভের বছরেই ১৯৮৫ সালে ‘নিষ্পাপ’ ছবি দিয়ে আলমগীরের চলচ্চিত্র পরিচালনায়ও অভিষেক হয়। আলমগীর শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বহুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনিই বাংলাদেশের নায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চবার এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪
X