গরু চুরি করতে এসে মোটরসাইকেল রেখে গেল চোর
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় চোরের দল একটি মোটরসাইকেল রেখে পালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৩ মে) রাতে উপজেলার জোড্ডা পশ্চিম ইউপির ঘোড়াময়দান সিরাজ ড্রাইভারের বাড়িতে।  মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে পুলিশ মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে চোর ও গরু উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে ঘোড়াময়দান গ্রামের আলম নামের এক ব্যক্তির ঘরে ঢুকে দুটি গাভি গরুর একটি নিয়ে যায় চোরের দল। চোররা একটি মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত আলম বলেন, ভোর রাতে তার স্ত্রীর ঘুম ভাঙলে গরু ঘরে গিয়ে দেখেন দরজা খোলা। দুটি গরুর মধ্যে একটি নেই। চুরি হওয়া গরুটির দাম প্রায় ১ লাখ টাকা। চোররা টয়লেটের দেওয়াল টপকে গরু ঘরে প্রবেশ করে এ চুরির ঘটনা ঘটায়। পরে জানতে পারে সিরাজ ড্রাইভারের বাড়িতে চোররা একটি মোটরসাইকেল রেখে পালিয়েছে। সিরাজ ড্রাইভার বলেন, রাতে গরু ঘরে গিয়ে দেখতে পান তার ঘরের পাশে একটি মোটরসাইকেল পড়ে আছে। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানান তিনি। মনে হয় চোরের দল টের পেয়ে গাড়ি রেখে পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলটি নাথেরপেটুয়া থেকে চুরি করে এনেছে বলে জানা গেছে। হয়তো তেল শেষ হয়ে যাওয়ায় মোটরসাইকেলটি নিয়ে যেতে পারেনি তারা। গরু চুরির বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।
১৪ মে, ২০২৪

কাস্টম গুদামের সোনা চুরি : প্রতিবেদন ৩০ জুন
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি ৫০১ গ্রাম সোনা চুরির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।  সোমবার (১৩ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।  সোনা চুরির ঘটনায় কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমানবন্দর থানায় এ মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঢাকা কাস্টম হাউসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি ৫০১ গ্রাম সোনা খোয়া গেছে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫০ কোটি টাকার বেশি। সাধারণত বিমানবন্দরে যাত্রীদের কাছ থেকে জব্দ করা সোনার বার, অলংকারসহ মূল্যবান জিনিস এ গুদামে রাখা হয়। গুদামে রক্ষিত সোনার হিসাব মেলাতে গিয়েই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।  তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ধারণা, কোনো চক্র সুকৌশলে কাস্টম হাউস থেকে জব্দ সোনা সরিয়ে ফেলেছে। দীর্ঘদিন ধরে অল্প অল্প করে সরানো হয়েছে, নাকি একবারেই গায়েব করা হয়েছে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। গত ২ সেপ্টেম্বর চাঞ্চল্যকর এ চুরির ঘটনা ঢাকা শুল্ক বিভাগের নজরে আসে। এ ঘটনায় শুল্ক বিভাগ একজন যুগ্ম কমিশনারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৩ মে, ২০২৪

দরজার হ্যাজবল ভেঙে টাকাসহ ৩৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি
ঝালকাঠিতে একটি ভবনে দুর্ধর্ষ চুরি হয়েছে। বাসার দরজার হ্যাজবল ভেঙে ৩৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৬০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে চোরচক্র। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে ঝালকাঠি পৌরসভার ৩১০ শেখ মুজিব সড়কে পালবাড়ী এলাকার মৃত কাশেম হাওলাদারের বিল্ডিংয়ের দোতলার পশ্চিম পাশের ফ্ল্যাটের দরজার হ্যাজবল ভেঙে এ চুরি হয়। ওই ভবনে ফ্ল্যাটে ৩ বছর যাবত বসবাস করেন সদর উপজেলার পিপলিতা এলাকার মো. আলাউদ্দিন খানের ছেলে মো. বাহাদুর খান (৩৮)৷ তিনি ভিশন ড্রাগস লি. এর ঝালকাঠি শাখায় মার্কেটিংয়ে কাজ করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মো. বাহাদুর খান মার্কেটিংয়ের কাজে পিপলিতা বাজার যান। তার স্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলে কাউখালী উপজেলার পানা এলাকায় বেড়াতে যান। রাতে বাড়ির মালিকের স্ত্রী জনৈকা বুলু বেগম বাসার মেইন দরজা খোলা দেখে বাহাদুরকে ফোন করে জানায়।  বাসায় এসে বাহাদুর দেখেন দরজার হ্যাজবল ভাঙা। ঘরের বিভিন্ন মালামাল এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। রুমের মধ্যে  স্টিলের আলমিরা ভাঙা। ড্রয়ারের মধ্যে রাখা ২ ভরি স্বর্ণের দুই জোড়া বালা, ২.৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের নেকলেস, ১.৫ ভরি ওজনের ৪টি স্বর্ণের চেইন, ১.৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের কানের দুল, ১ ভরি ওজনের ৮টি স্বর্ণের আংটি, ৮ আনা ওজনের ১টি স্বর্ণের ব্রেসলেট এবং নগদ ৬০ হাজার টাকা নাই। বাহাদুর খান বলেন, আমি প্রতিদিনের মতো মার্কেটিংয়ের কাজে চলে গেছি। আমার স্ত্রী ছোট মেয়েকে নিয়ে তার বোনের বাসা কাউখালীতে চলে গেছে। বড় মেয়ে নানাবাড়িতে গেছে। রাত ৯টার দিকে বাড়ির মালিকের স্ত্রী কল দিয়ে জানান বাসার দরজা খোলা। এরপর তো বাসায় এসে দেখি আমার সবকিছু নিয়ে গেছে। মোট ৩৩ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার। আলমারির ড্রয়ারে থাকা নগদ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শুনেছি, বাহাদুর খানকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০ মে, ২০২৪

চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা, সড়কে চেকপোস্ট
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে চুরি ঠেকাতে দলবেঁধে পাহারা দিচ্ছেন গ্রামবাসী। গ্রামের প্রধান সড়কে বসিয়েছেন চেকপোস্ট। গত কয়েক মাসে গরু, অটোরিকশার ব্যাটারি ও জনসাধারণের মূল্যবানসামগ্রী চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এমন পদক্ষেপ নিয়েছে স্থানীয়রা। এদিকে উপজেলা প্রশাসন ও কামারখন্দের থানা পুলিশও বিষয়টি তদারকি করছে। সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে উপজেলার ভদ্রঘাট, ঝাঐল, জামতৈল, রায়দৌলতপুর গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি ইউনিয়নের চারজনের গ্রুপে ভাগ হয়ে বাঁশের লাঠি ও টর্চ নিয়ে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয়রা। কামারখন্দের থানা পুলিশ টহলের মাধ্যমে এ কাজে উৎসাহ প্রদান করছে। এ ব্যাপারে জামতৈল ইউনিয়নের কর্ণসূতি গ্রামের পাহারাদার মো. উজ্জ্বল মন্ডলের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের থানার ওসি ও মেম্বারের নির্দেশে আমরা চেকপোস্ট বসিয়েছি। সামনে কোরবানির ঈদ। ঈদের আগে যেন কোনোভাবেই আমাদের এলাকা থেকে গরুসহ মূল্যবান জিনিস চুরি না হয় সে জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য রাতে কোনো মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ট্রাক থামিয়ে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। পাহারাদার আলহাজ মন্ডল ও আল আমিন বলেন, গত কয়েকমাস ধরে আমাদের এলাকায় গরু , ব্যাটারিচালিত ভ্যানসহ মূল্যবান জিনিস চুরি হয়েছে। সামনে কোরবানির ঈদে যাতে গরু চুরি না হয় এ জন্য আমরা রাতে পাহারা দিচ্ছি। রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ আকন্দ বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের নির্দেশনায় আমরা বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে চুরি ঠেকানোর চেষ্টা করছি। কামারখন্দ ওসি মোহা. রেজাউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মিটিং করে ৩৬টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পুলিশ বিষয়টা তদারকি করছে, সেই সঙ্গে ৫টি টিম কাজ করে যাচ্ছে।
১০ মে, ২০২৪

চুরি যাওয়া জিনিস প্রধান শিক্ষককে কিনে দিতে বললেন শিক্ষা অফিসার
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৮ মে) রাতে উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের ৬৭ নম্বর পাঠান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৯ মে) কামারখন্দ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। সাধারণ ডায়েরির তথ্য মতে, প্রতিদিনের মতো বুধবারে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শেষ করে তালা ঝুলিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যান সকল শিক্ষকরা। পরেরদিন সকালে প্রধান শিক্ষক সহকর্মীদের নিয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে অফিস কক্ষের দরজা খোলা দেখতে পান। ভেতরে গিয়ে বিদ্যালয়ে ব্যবহৃত প্রজেক্টর, কাঁসার ঘন্টা এবং একটি রাউডার হারিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকলিমা পারভীন বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানালে তিনি বলেন, এটা আপনার অবহেলায় হয়েছে। যেগুলো চুরি হয়েছে আপনি সেগুলো কিনে দিবেন। আমার বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী নেই। তাহলে আমি কী রাতে বিদ্যালয়ে থেকে পাহারা দেব নাকি। কামারখন্দ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ আলম কালবেলাকে বলেন, প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অবহেলার কারণে এ চুরি হয়েছে। ঐখানে নৈশ প্রহরী নেই। সকল উপকরণ তিনি কীভাবে হেফাজত করবে সেটা ওনার দায়িত্ব। খোয়া যাওয়া জিনিসপত্র কীভাবে আনবে সেটা তিনি বুঝবেন।
১০ মে, ২০২৪

যশোরে মন্দিরের স্বর্ণালংকারসহ ২০ লাখ টাকার মালপত্র চুরি
যশোরের কেশবপুর পৌর শহরের কেন্দ্রীয় কালীমন্দিরে গ্রিল কেটে ১২ ভরি স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালপত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। কেশবপুর কেন্দ্রীয় কালীমন্দিরের সাধারণ সম্পাদক কনক সেন বলেন, রাতে একদল দুর্বৃত্ত মন্দিরের পেছন দিয়ে দোতলায় ওঠে। এরপর জানালা এবং ঠাকুরঘরের গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে মা-কালী বিগ্রহের মাথায় থাকা ৫ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের মুকুট, দেড় ভরি ওজনের একটি সীতাহার, স্বর্ণের তিনটি কণ্ঠজিপ, ২০ ভরি রুপার গহনা, ২০টি শাড়িসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। কেশবপুর থানার ওসি জহিরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
১০ মে, ২০২৪

কোরবানির আগেই গরু চুরির হিড়িক
কোরবানি ঈদের আগেই চাঁদপুরের পাড়া মহল্লায় পালিত গরু রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ চোর চক্র। ঘরের দরজায় দড়ি পেঁচিয়ে বাড়ির লোকজনদের ঘুমে রেখে এ কাণ্ড ঘটাচ্ছে চোর চক্রের সদস্যরা। একমাত্র আয়ের উৎস এসব গরু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অনেকে। অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশকে জানিয়েও যেন কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না এসব ভুক্তভোগী। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে এসব কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগী অসহায় মালিকরা। চাঁদপুর পৌর ১৪নং ওয়ার্ডের শিলন্দিয়া মঠখোলার বাসিন্দা মো. মান্নান সরদার বলেন, আমার বয়স এখন ৫৫ বছর। বাড়িতে আমি আর আমার সহধর্মিণী। আমাদের সংসারের খরছ চালাতাম গাভি গরুগুলোর দুধ বিক্রি করে। বুধবার (৮ মে) মধ্য রাত ৩টায় তাদের একমাত্র আয়ের উৎস দুটি গাভি গরু ও দুটি বাছুরকে গোয়াল ঘর থেকে নিয়ে যায় চোরচক্র। এরপরই গোয়াল ঘরে বসে তারা কাঁদতে কাঁদতে এখন পাগল প্রায়। মান্নানের স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও ছেলে জাহিদুল ইসলাম বলেন, চোর চক্র হয়তো পিকাআপভ্যান নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। আমরা যাতে বেরুতে না পারি সেজন্য ঘরের দরজা দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিল। পুলিশের এত এত চেকপোস্ট ওনারা একটু আন্তরিক হলে আমরা হয়তো আমাদের চলার সম্বল গরুগুলো ফিরে পাব। এ ঘটনায় আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু রাত আড়াইটা থেকে ৩টা বাজলেই এখনো আৎকে ওঠেন চাঁদপুর পৌর ১৩নং ওয়ার্ডের ওয়াপদা গেইটের আব্দুর রশীদ গাজী। প্রবাস ফেরত এ যুবকের লাখ লাখ টাকা মূল্যের ৩টি গরু নিয়ে গেছে চোরের দল। তিনি বলেন, ২০২১ সালের ১৬ আগস্টে থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও এখনো কোনো আলোর সংবাদ পাইনি। এ সময় তিনি পাশের এলাকার মান্নান সরদারের গরু চুরির খবর পেয়ে নিজের চুরি যাওয়া গাভী গরু ও বাছুরের কথা জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। থানা পুলিশ তৎপর ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে জানিয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. শেখ মুহসীন আলম বলেন, পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং আমাদের পুলিশি চেকপোস্টগুলো ব্যবহার করে গরু উদ্ধার ও চোর চক্রকে ধরতে চিরুনী অভিযান চালাচ্ছি। দ্রুতই ভুক্তভোগীদের গরু উদ্ধারসহ এই চোর চক্রের মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এদিকে আর কোনো আশ্বাস নয় বরং দ্রুত চোর শনাক্ত ও গরু উদ্ধারের পর তা কাছে পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান গরু হারানো এসব ভুক্তভোগীরা।
০৯ মে, ২০২৪

বনের গাছ কাটছেন কর্মকর্তারা, বাধা দিলেই মামলার হুমকি
মৌলভীবাজারের সাতগাঁও বন বিটের কোটি টাকা মূল্যের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। কয়েক বছর ধরে এ রকম গাছ চুরির ঘটনা ঘটছে সংরক্ষিত এই বনাঞ্চলে। কেউ বাধা দিলে তাদেরকে মামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।   সরেজমিনে দেখা যায়, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার তীর ঘেষে অবস্থিত সাতগাঁও সংরক্ষিত বনাঞ্চল। প্রায় চল্লিশ হেক্টর উঁচু-নিচু টিলা আর পাহাড়ে ঘেরা এই বনাঞ্চলে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ ও ঔষধী গাছ। সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় এসব গাছ রোপণ করা হয়েছে। সব গাছেই বিভিন্ন সংখ্যা দিয়ে নম্বর দেওয়া রয়েছে।  কিন্তু বিগত কয়েকবছর ধরে এই বনের গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। যার কারণে পড়ে আছে শত শত কাটা গাছে গুঁড়ি ও ডালপালা। এসব গাছের মূল্য প্রায় কোটি টাকা। জানা যায়, ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে সামাজিক বনায়নের জন্য স্থানীয় উপকারভোগীদের নিয়ে এই বাগান গড়ে তোলা হয়। সাতগাঁও বন বিটের আওতায় এই বাগানে দ্রুত বর্ধনশীল আকাশমনি, বেলজিয়াম ও ক্রস গাছ রোপণ করা হয়। কিন্তু এসব গাছ বড় হতে না হতেই নজর পড়ে বন কর্তাদের। দিনে দুপুরে এসব গাছ কেটে নিয়ে যান বন বিভাগের বিট কর্মকর্তারাই, এমন অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।  সাতগাওঁ বনবিটের এলাকায় বসবাস করা বাগানের উপকারভোগী শাহজাহান মিয়া বলেন, ২০০৭ সালে শ্রীমঙ্গল রেঞ্জ অফিসের মাধ্যমে আমরা এই বাগানের উপকারভোগী হই। এই গাছগুলো রোপণ করার পর এখন বড় হয়েছে। বিগত কিছুদিন আগে নিলাম হয়। নিলামের পর সাতগাঁও বিট অফিসার ও শ্রীমঙ্গলের রেঞ্জার অবাধে গাছগুলো কেটে বিক্রি করছে। গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় আমরা বাধা দিলে তারা গাছ চুরির মামলা দেয়।  বনের পার্শ্ববর্তী গুচ্ছগ্রামের রুবেল মিয়া বলেন, আমি এখানে গরু রাখতে আসি। প্রায় সময়ই দেখি বনের কর্মকর্তারা গাছ কাটে। বড় বড় গাড়ি দিয়ে গাছ নিয়ে যায়। বাধা দিলে মামলা দিয়ে দেয়।  বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাতগাঁও বন বিটের এই সামজিক বনায়নটি ১২ ফেব্রুয়ারি নিলামের টেন্ডার হয়। এখনো টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। এই বাগানে মোট গাছের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৪৪টি। এসব গাছের মধ্যে রয়েছে আকাশমনি, বেলজিয়াম ও ক্রস গাছ। ৪০ হেক্টর এলাকাজুড়ে ২০০৫-৬ সালে এই বনায়ন করা হয়। স্থানীয় উপকারভোগী ৪০ জনকে নিয়ে এই বনায়ন গড়ে তোলা হয়।  এ বিষয়ে বন বিভাগের মৌলভীবাজার রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মজনু প্রাং. বলেন, বনের গাছ কাটা হলে এই দায় শুধু বিট অফিসারের নয়। এই দায় উপকারভোগীরাও এড়াতে পারেন না। চুক্তি অনুযায়ী তাদেরও কিছু দায়বদ্ধতা আছে। আর মামলা দেওয়ার অভিযোগটি মিথ্যা। বরং তাদের হাতেনাতে ধরেই মামলা দেওয়া হয়।
০৪ মে, ২০২৪

পার্বতীপুরে মন্দির থেকে মূর্তি ও স্বর্ণালংকার চুরি গ্রেপ্তার ১
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মন্দির থেকে রাধাকৃষ্ণের চার জোড়া ধাতব মূর্তি, স্বর্ণালংকার ও কাঁসা-পিতলের মূল্যবান তৈজসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গত বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় পার্বতীপুর শহরের ইব্রাহিমনগর মহল্লার হরিজনপল্লির রাজকুমার বাসফোর প্রতিষ্ঠিত শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে চুরির এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ শহরের ইব্রাহিমনগর মহল্লার শরিফুল ইসলামের ছেলে মো. সুজনকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে প্রতিদিনের মতো মন্দির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে গিয়ে রাজকুমার বাসফোর পরিবারের গৃহবধূ পূজা বাসফোর (৩২) মন্দিরের মূল দরজার তালা ভাঙা দেখতে পান। পরে চুরির বিষয়টি জানতে পারেন। বিষয়টি পার্বতীপুর রেলওয়ে থানাকে অবহিত করা হলে শুক্রবার সকালে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাকিউল আযমের নেতৃত্বে পুলিশের উপপরিদর্শক সাজিদ হাসানসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। রাজকুমার বাসফোরের ছেলে রুবেল বাসফোর বলেন, মন্দিরের তালা ভেঙে চোররা এক ফুট উচ্চতার রাধাকৃষ্ণের চার জোড়া ধাতব মূর্তি, গলার স্বর্ণের চেইন, লকেট, দুই জোড়া কানের দুল, স্বর্ণের বাঁশিসহ প্রায় দেড় ভরি স্বর্ণালংকার ও মন্দিরের পূজায় ব্যবহৃত কাঁসা-পিতলের মূল্যবান তৈজসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিকভাবে এ মন্দিরে পূজা-অর্চনা করে আসছি। মন্দিরে নিত্য পূজা অনুষ্ঠিত হয়। চুরির ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। এ ব্যাপারে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাকিউল আযম বলেন, মন্দিরে চুরির ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৪ মে, ২০২৪

বরিশালে মসজিদ থেকে তাবলিগ জামাতের মাংস চুরি
বরিশালে তাবলিগ জামায়াতের মুসল্লিদের জন্য রান্নার উদ্দেশ্যে রাখা ১৩ কেজি গরুর মাংস চুরির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১ মে) দুপুরে নগরীর ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকার দারুল মোকাররম জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনার পর স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৬ মাসে এ মসজিদে অর্ধডজন চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি মুসল্লিদের। এর আগে বুধবার সকালে ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে ১৯ জন মুসল্লি ৪০ দিনের চিল্লায় এ মসজিদে আসেন। এ খবরে বরিশালের স্থানীয় তাবলিগ জামায়াতের সাথীরা ছুটে এসে অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য মাংস কিনে রাখেন। দুপুরে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় মাংস রেখে তাবলিগের সাথীরা জোহরের নামাজ পড়তে গেলে সেই মাংস চুরি হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তারা। তাবলিগ জামায়াতের সাথী ও স্থানীয়রা জানান, মসজিদ থেকে বিভিন্ন সময় অনেক কিছু চুরি হলেও ১৩ কেজি গরুর মাংস চুরির ঘটনা এটাই প্রথম। মাংস চুরির পর পরই ৬ হাজার টাকাসহ একটি মানিব্যাগ ও একটি সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। একইদিন মসজিদ কম্পাউন্ডে ৩টি চুরির ঘটনায় হতবাক সবাই। মসজিদ কমিটির সভাপতি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, চুরির রহস্য উদঘাটন ও অপরাধী ধরতে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার নাফিসুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নগরীতে হঠাৎ করে চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চুরির ঘটনা রোধ করতে কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে। আশা করি অচিরেই চুরি বন্ধ হবে।
০২ মে, ২০২৪
X