মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪, ০৫:০৬ পিএম
আপডেট : ০৪ মে ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বনের গাছ কাটছেন কর্মকর্তারা, বাধা দিলেই মামলার হুমকি

সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বয়ং বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ছবি : কালবেলা
সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বয়ং বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ছবি : কালবেলা

মৌলভীবাজারের সাতগাঁও বন বিটের কোটি টাকা মূল্যের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। কয়েক বছর ধরে এ রকম গাছ চুরির ঘটনা ঘটছে সংরক্ষিত এই বনাঞ্চলে। কেউ বাধা দিলে তাদেরকে মামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার তীর ঘেষে অবস্থিত সাতগাঁও সংরক্ষিত বনাঞ্চল। প্রায় চল্লিশ হেক্টর উঁচু-নিচু টিলা আর পাহাড়ে ঘেরা এই বনাঞ্চলে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ ও ঔষধী গাছ। সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় এসব গাছ রোপণ করা হয়েছে। সব গাছেই বিভিন্ন সংখ্যা দিয়ে নম্বর দেওয়া রয়েছে।

কিন্তু বিগত কয়েকবছর ধরে এই বনের গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। যার কারণে পড়ে আছে শত শত কাটা গাছে গুঁড়ি ও ডালপালা। এসব গাছের মূল্য প্রায় কোটি টাকা।

জানা যায়, ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে সামাজিক বনায়নের জন্য স্থানীয় উপকারভোগীদের নিয়ে এই বাগান গড়ে তোলা হয়। সাতগাঁও বন বিটের আওতায় এই বাগানে দ্রুত বর্ধনশীল আকাশমনি, বেলজিয়াম ও ক্রস গাছ রোপণ করা হয়। কিন্তু এসব গাছ বড় হতে না হতেই নজর পড়ে বন কর্তাদের। দিনে দুপুরে এসব গাছ কেটে নিয়ে যান বন বিভাগের বিট কর্মকর্তারাই, এমন অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

সাতগাওঁ বনবিটের এলাকায় বসবাস করা বাগানের উপকারভোগী শাহজাহান মিয়া বলেন, ২০০৭ সালে শ্রীমঙ্গল রেঞ্জ অফিসের মাধ্যমে আমরা এই বাগানের উপকারভোগী হই। এই গাছগুলো রোপণ করার পর এখন বড় হয়েছে। বিগত কিছুদিন আগে নিলাম হয়। নিলামের পর সাতগাঁও বিট অফিসার ও শ্রীমঙ্গলের রেঞ্জার অবাধে গাছগুলো কেটে বিক্রি করছে। গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় আমরা বাধা দিলে তারা গাছ চুরির মামলা দেয়।

বনের পার্শ্ববর্তী গুচ্ছগ্রামের রুবেল মিয়া বলেন, আমি এখানে গরু রাখতে আসি। প্রায় সময়ই দেখি বনের কর্মকর্তারা গাছ কাটে। বড় বড় গাড়ি দিয়ে গাছ নিয়ে যায়। বাধা দিলে মামলা দিয়ে দেয়।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাতগাঁও বন বিটের এই সামজিক বনায়নটি ১২ ফেব্রুয়ারি নিলামের টেন্ডার হয়। এখনো টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। এই বাগানে মোট গাছের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৪৪টি। এসব গাছের মধ্যে রয়েছে আকাশমনি, বেলজিয়াম ও ক্রস গাছ। ৪০ হেক্টর এলাকাজুড়ে ২০০৫-৬ সালে এই বনায়ন করা হয়। স্থানীয় উপকারভোগী ৪০ জনকে নিয়ে এই বনায়ন গড়ে তোলা হয়।

এ বিষয়ে বন বিভাগের মৌলভীবাজার রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মজনু প্রাং. বলেন, বনের গাছ কাটা হলে এই দায় শুধু বিট অফিসারের নয়। এই দায় উপকারভোগীরাও এড়াতে পারেন না। চুক্তি অনুযায়ী তাদেরও কিছু দায়বদ্ধতা আছে। আর মামলা দেওয়ার অভিযোগটি মিথ্যা। বরং তাদের হাতেনাতে ধরেই মামলা দেওয়া হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্যস্ত সূচিতে নিজেকে ফিট রাখাই চ্যালেঞ্জ মেসির

ইউপিডিএফের ২ কর্মীকে গুলি করে হত্যা

তীব্র দাবদাহেও থেমে নেই জীবন যুদ্ধ

ইউজিসির অনাপত্তিপত্র ছাড়াই শেকৃবিতে নিয়োগ

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন নিয়ন্ত্রণে

অস্তিত্ব জানান দিতেই লিফলেট বিতরণ বিএনপির : কাদের

রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, সকালে মিলল স্বামীর মরদেহ

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

বন্ধু হারাচ্ছে ইসরায়েল, চাপে নেতানিয়াহু

রাজধানীতে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন

১০

সৌদি পৌঁছেছেন ২৭ হাজারের বেশি হজযাত্রী

১১

ধান কাটা নিয়ে দ্বন্দ্ব, নিহত ১

১২

হাদিসের প্রভাষক পদে উত্তীর্ণ সুধা রানী, যে ব্যাখ্যা দিল এনটিআরসিএ

১৩

৬ তলার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

১৪

ঝালকাঠিতে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ৭

১৫

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে রাজধানীতে স্বস্তি

১৬

একাদশে ভর্তি / নটর ডেমে আবেদন ২৫ মে শুরু হয়ে চলবে ৩০ মে পর্যন্ত

১৭

বাংলাদেশি সমর্থকদের বিশ্বকাপ উপভোগে বাধা ‘টাইম জোন’!

১৮

ছুটির দিনে ঢাকার বাতাস কেমন?

১৯

সাতক্ষীরায় ধান বোঝায় ট্রাক উলটে নিহত ২

২০
X