খালে ময়লা ফেললে আইনি ব্যবস্থা : মেয়র আতিক
রাতের আঁধারে চোর যেভাবে চুরি করে, ডাকাত যেভাবে ডাকাতি করে তাদের থেকেও খালে নোংরা যারা ফেলে তারা বড় অপরাধী বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।  তিনি বলেন, যারা যারা খালে বর্জ্য ফেলবে আমি যদি দেখতে পারি তাহলে চোর চুরি করলে যেমন আইনের ধারায় শাস্তি হয় ঠিক তেমনি এদের জরিমানা করা হবে। এদের যদি আমরা ধরতে পারি তাহলে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে যাব। বুধবার (১৫ মে) গুলশানে নগর ভবনের সামনে সপ্তাহব্যাপী বর্জ্য প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, শহরকে পরিষ্কার করার জন্য আমাদের নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। এ শহর আমাদের। এখানে আমরা থাকি। নিজেদের শহরকে ভালোবাসতে হবে। যিনি ঢাকা শহরে বাস করেন তিনি কীভাবে একটা নষ্ট ফ্রিজ খালের মধ্যে ফেলতে পারে। সর্বপ্রথম আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। একটা সোফা বা একটি জাজিম কিন্তু কোনোভাবেই খালের মধ্যে ফেলা যায় না। এগুলো কিন্তু অহরহ আমরা আমাদের ড্রেন এবং খাল থেকে উদ্ধার করছি। তিনি বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন ধরনের ট্রল হচ্ছে, যে রাস্তায় পানি জমে যাচ্ছে। কিন্তু পানিটা কি জন্য জমে যাচ্ছে এটা আমরা কেউ চিন্তা করি না। আমাদের বিভিন্ন এলাকাতেও সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন আছে। সেখানে কিন্তু সহজে আমরা বর্জ্য ফেলতে পারি। এখানে দুই ধরনের চ্যালেঞ্জ। একটা হলো মানুষের পয়ঃবর্জ্য। আরেকটি হলো কঠিন বর্জ্য। আমি বলেছি যারা যারা বর্জ্য ফেলবে আমি যদি দেখতে পারি তাহলে চোর চুরি করলে যেমন আইনের ধারায় শাস্তি হয় ঠিক তেমনি এদের জরিমানা করা হবে। এদের যদি আমরা ধরতে পারি তাহলে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে যাব। প্রদর্শনী পরিদর্শনে এসে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, অল্প বৃষ্টি হলেই অনেক সময় বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে যায়। এ ধরনের অভিযোগ আমরা পাই। অনেকে ভিডিও করেও আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেন। আমরা গিয়ে দেখি, ড্রেনেজ লাইনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বোতল, চিপসের প্যাকেট পড়ে থাকে। পানির মধ্যে বড় বড় জিনিসপত্র, জাজিম, সোফা, ফ্রিজ ফেলে রাখা হয়। তিনি বলেন, সরকার কাজ করবে। কিন্তু নাগরিকদের দায়িত্বের জায়গা থেকে, নাগরিকদের অধিকার যেমন সংরক্ষণের বিষয় আছে, তেমন দায়িত্ব পালনেরও বিষয়টি থাকে। নাগরিক তার দায়িত্বের জায়গা থেকে নিজ দায়িত্বটুকু পালন করলে তখনই সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে একটি পার্টনারশিপ তৈরি হয়। তখনই সমস্যাগুলো অনেক সহজে দূর হয়। একদিকে সিটি করপোরেশন সারাক্ষণই যদি পরিষ্কার করতে থাকে, অন্যদিকে আপনারা নোংরা করতে থাকেন, নিয়মের মধ্যে না থাকেন, তাহলে তো এ সমস্যা কোনোদিনও সমাধান হবে না। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, উত্তর সিটি এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
১৫ মে, ২০২৪

ঢাকা বাঁচাতে একসঙ্গে কাজ করবে দুই সিটি করপোরেশন
ঢাকাকে বাঁচাতে জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ‘সবাই মিলে, সবার ঢাকা’ ‘সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা’ স্লোগানে ঢাকা শহরকে জলবায়ু সহনশীল শহরে রূপান্তরের মাধ্যমে স্বাস্থ্য, অর্থনীতি এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্যারিস চুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখে টেকসই, জলবায়ু স্থিতিস্থাপক উন্নয়ন, নেট জিরো নির্গমনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা, সুশাসন ব্যবস্থা, উন্নত পরিষেবা সরবরাহ এবং সামাজিক ন্যায্যতা নিশ্চিতেও কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে জলবায়ু কর্মপরিকল্পনার উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। শহরে তাপপ্রবাহ কমাতে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তাপপ্রবাহ কমাতে আমরা ঢাকায় একটি স্যাটেলাইট ইমেজ তৈরি করছি, কোন জায়গায় গাছ লাগানো যায়, সেটা শনাক্ত করছি। ঢাকাকে বাসযোগ্য রাখতে আমাদের ন্যূনতম সবুজ এলাকা রাখতে হবে। মন্ত্রী বলেন, পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও প্রাণবন্ত ঢাকা গড়তে জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ঢাকায় দুটি সিটি করপোরেশন থাকলেও এক ঢাকা হিসেবে এ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে স্ট্যান্ডার্ড আছে, সেগুলো ঠিক করা। দুই মেয়রের সঙ্গে জনগণ সম্পৃক্ত হলে বড় পরিবর্তন সম্ভব। অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে কম কার্বন নিঃসরণ করে, অথচ সেই দেশই জলবায়ু পরিবর্তনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি হচ্ছে উন্নত বিশ্বের দেশের জন্য। ক্লাইমেট ফান্ডের জন্য তাদের এগিয়ে আসতে হবে। দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দুই সিটি করপোরেশন এক হয়ে কাজ করবে। দক্ষিণ সিটি শহরে পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক যানবাহন চালু করতে চায়। বিশ্বের বৃহৎ ৪০ নগরের সংগঠন ‘সি৪০ সিটিস’-এর সভাপতি ও লন্ডন সিটি মেয়র সাদিক খান অনুষ্ঠানে ভিডিওবার্তায় বক্তব্য দেন। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, সি৪০ সিটিসর নির্বাহী পরিচালক মার্ক ওয়াটস ও গাজীপুর সিটি মেয়র জায়েদা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
১৩ মে, ২০২৪

যানজটে বাড়ছে দুর্ভোগ, চসিকের সঙ্গে হকারের লুকোচুরি
রোজায় চট্টগ্রাম নগরীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নগরীজুড়ে উচ্ছেদ অভিযানের ঘোষণা দেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। সেই ঘোষণা অনুযায়ী চিহিৃত কয়েকটি স্পটে উচ্ছেদও হয়। উচ্ছেদের শেষ হতেই ফিরে আসে দখলদাররা। এরপর আবার উচ্ছেদে নামে চসিক। বারবার উচ্ছেদের পরও সড়কে স্বস্তি ফেরানোর যে ঘোষণা চসিকের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল, তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। এ বাস্তবতায় সড়কে যানজটের কারণে বাড়ছে দুর্ভোগ। সড়ক ও ফুটপাত থেকে বেদখল উচ্ছেদে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে গত ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, পাঁচলাইশ, আমতল, রিয়াউদ্দিন বাজার, নিউমার্কেট, স্টেশন রোড, ফলমন্ডিসহ আশপাশের এলাকায় বড় ধরনের উচ্ছেদ কার্যক্রম চালায় চসিক। এর মধ্যে ফলমন্ডি থেকে আমতল পর্যন্ত অভিযানটি সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বড় উচ্ছেদ অভিযান বলে চসিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তবে উচ্ছেদ হলেও এসব সেখানে দখল ধরে রাখতে পারেনি সংস্থাটি। উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে হকারের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। সবশেষে হকার উচ্ছেদ প্রতিবাদ ও পুনর্বাসনের দাবিতে রাজপথে ধারাবাহিক কর্মসূচি দিয়ে আসছেন চট্টগ্রামের হকাররা। অন্যদিকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠন ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। সম্প্রতি বেশ কয়েক দফায় ফলমন্ডি এলাকা থেকে আমতলী পর্যন্ত দেখা গেছে, জহুর হকার মার্কেটের সড়ক ও ফুটপাতের দুই পাশেই আবারও বসে পড়েছেন হকাররা। পাল্লা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে শার্ট, প্যান্ট, জুতা, স্যান্ডেল, রকমারি খাবার, মোবাইল পার্টসসহ ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি। চট্টগ্রাম রেলস্টেশন সংলগ্ন ব্যস্ততম সড়কে এতে করে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। নগরের নিউমার্কেট এলাকায় মূলত রিয়াজউদ্দিন বাজার-জহুর হকার্স মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি মার্কেট রয়েছে। রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে এ এলাকার ব্যস্ততা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পাশাপাশি রেলস্টেশনকে কেন্দ্র করে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। তা ছাড়া ফলমন্ডির পাশেই রয়েছে কদমতলী বাসস্ট্যান্ড। তাই রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফুটপাত ও সড়ক অবৈধ দখলে থাকায় বাড়ে যানজটের ভোগান্তি। নগরের সদরঘাট এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মোজ্জামেল হক। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘আমার বাসা চকবাজার। সদরঘাট থেকে চকবাজার এলাকা পর্যন্ত মোড়ে মোড়ে যানজট থাকে। আন্দরকিল্লা, নিউমার্কেট আর চকবাজার এলাকায় ফুটপাত ও সড়ক দখলের কারণে এ যানজট সৃষ্টি হয়।’ নাম প্রকাশ না করা শর্তে চসিকের এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, ‘নিউমার্কেট এলাকায় উচ্ছেদের আধা ঘণ্টা পরেই দখলদাররা ফিরে আসে। তাদের ব্যবহৃত চৌকি, মালপত্র এগুলো নালা এবং ড্রেনের ভেতর লুকিয়ে রাখা হয়। উচ্ছেদের পর আমরা বেশ কয়েকটি ড্রেন উদ্ধার করেছিলাম। কিন্তু এগুলো তারা আবারও দখল করে নেয়।’ মূলত গত ৮ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালিয়ে বিআরটিসি ফলমন্ডি থেকে স্টেশন রোড, নিউমার্কেট মোড় হয়ে জিপিও এবং আমতলা পর্যন্ত অংশের প্রায় এক হাজার হকারকে উচ্ছেদ করে ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত করে চসিক। এরপর চসিকের পক্ষ নগরের ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি স্টেশন রোড এলাকার ফুটপাত পুনরায় দখল ঠেকাতে অভিযানে গেলে চসিকের ম্যাজিস্ট্রেট, কর্মী ও পুলিশের ওপর হামলা হয়। এ সময় হকার ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর চসিকের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। এরপর থেকেই উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। সবশেষ গত ২০ মার্চ পুরাতন রেলস্টেশন থেকে নিউমার্কেট মোড় পর্যন্ত পুনরায় দখল ঠেকাতে অভিযান চালায় চসিক। সেদিন থেকে শুরু করে গত ১০ দিনে বায়েজিদ থানার চৌধুরী নগর আবাসিক, চান্দার থানার শাহ আমানত সেতু সড়কে ফুটপাত থেকে ভ্রাম্যমাণ হকার তাড়াতে অভিযান চালায় চসিক। ১ এপ্রিল নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানায় অভিযান চালিয়ে সড়ক ও ফুটপাত থেকে উচ্ছেদ করা হয় একটি গাড়ির গ্যারেজ। এ সময় ৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে চসিকের ভ্রম্যমাণ আদালত।  তা ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ, কুলগাঁও বাস-ট্রাক টার্মিনাল, সরাইপাড়া, পাঁচলাইশ মক্কী মসজিদসহ বেশকিছু এলাকায় উচ্ছেদ চালিয়ে অবৈধ দোকানপাট, ভ্রাম্যমাণ দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে চসিক। মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ২০২০ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিন বছরে মাথায় এবারই উচ্ছেদ ঘিরে একেবারেই হার্ডলাইনে দেখা গেছে সংস্থটিকে। চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীও জানিয়েছেন ফুটপাত ও সড়ক সহসাই বেদখল মুক্ত করা হবে। তিনি কালবেলাকে বলেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে আমরা ফুটপাত করে দেব। সেটা আরেকজনে দখল করবে, সেটা হতে পারে না। বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়ে বানানো ফুটপাতে আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারবে না, নারীরা নিরাপদে হাঁটতে পারবে না তা মেনে নেওয়া যায় না। তাই ফুটপাতে হকার বসতে দিব না। মানবিক বিবেচনায় হকারদের জন্য একটি হলিডে মার্কেট তৈরি করব। চট্টগ্রাম সম্মিলিত হকার ফেডারেশনের সভাপতি মিলন হোসেন মিলন কালবেলাকে বলেন, মেয়র রেজাউলকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি। কিন্তু আজকে ৩ বছরে তিনি কোনোদিন আমাদের সঙ্গে মিটিং করেনি। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়া হাজার হাজার গরিব হকারদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই যদি পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা হয়, তাহলে আমাদের জীবন চলে গেলেও আমরা ফুটপাত ছাড়ব না।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

দুই সিটিতে চলছে ভোট
জাতীয় নির্বাচনের ডামাডোল শেষে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের উৎসব শুরু হয়েছে। ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের আরও ২৩১টি প্রতিষ্ঠানে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে আজ শনিবার।  নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোট গ্রহণ হবে। এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে আজ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।  নির্বাচন ঘিরে নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে প্রার্থীদের প্রচারও শেষ হয়েছে। ময়মনসিংহে মেয়র পদে পাঁচজন এবং কুমিল্লা সিটির উপনির্বাচনে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনী তপশিল ঘোষণা করা হলেও দুটিতে নির্বাচন হচ্ছে না। দ্বিতীয়বারের মতো ময়মনসিংহ সিটির এ নির্বাচনে পাঁচ মেয়রসহ মোট ২২৩ প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে আছেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত গণসংযোগ ও প্রচারে নগরী মুখর করে রাখেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। সবাই নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের মন জয় করার চেষ্টা করেছেন। এতে ভোটারদের মাঝেও নির্বাচন নিয়ে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে চান তারা। মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে তিনজনের প্রচার চোখে পড়েছে ভোটারদের। তাদের একজন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য সাবেক মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু। ঘড়ি প্রতীক নিয়ে লড়াই করা এই প্রার্থী প্রচারে সবচেয়ে বেশি আলোচনা তৈরি করেছেন। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম (ঘোড়া) ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু (হাতি) প্রতীকে প্রচার চালিয়েছেন বেশ জোরেশোরেই। নগরীর শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পার্কের চা দোকানি চন্দন পাল বলেন, আমরা সবাই ভোট দিতে খুব আগ্রহী। বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল বলেন, আমি গত ৭০ বছরে এত বেশি প্রচার কখনো দেখিনি। এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাজ সাজ রব উঠেছে। এতে ভোটার উপস্থিতি অনেক বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে। নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের ১২৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে অন্তত ৫০টি কেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়েছে। তবে সব কেন্দ্রেই সমান গুরুত্ব দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ ও আনসার মিলে ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ১৯ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া থাকবে মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, এপিবিএন, আনসার ব্যাটালিয়ন, বিজিবি ও র্যাব। এবারের নির্বাচনে পাঁচ মেয়র প্রার্থী ছাড়াও নগরের ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ এবং ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী আছেন ৬৯ জন। একটি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় ৩২টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের নির্বাচন হচ্ছে। এই সিটিতে মোট ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। এদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচন কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ইসিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নগরীতে জোরদার কার হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হচ্ছে ইভিএমে। এ উপনির্বাচন নিয়ে শুরু থেকে উত্তেজনা থাকলে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবেই। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। মেয়র পদে এ উপনির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন সাবেক বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন (ঘোড়া প্রতীক), তাহসীন বাহার সূচনা (বাস প্রতীক), সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি প্রতীক) ও নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম (হাতি প্রতীক)। তবে স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তাহসীন বাহারের সঙ্গে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর।  জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই সিটি করপোরেশনে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ২৮২ ও নারী ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ২৭৮ জন। ৬৪০টি ভোটকক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন ১০৫ প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৬৪০ সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ১ হাজার ২৮০ পোলিং এজেন্ট। ৯ ম্যাজিস্ট্রেট ও আচরণবিধি প্রতিপালনে ২৭ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ১০৫ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ১২ প্লাটুনে ৪৫০ বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। র্যাব ২৭ টিমে ৯৩৯ জন, পুলিশের ২৭ মোবাইল টিমে ১ হাজার ৩৩৯ এবং ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে থাকবে। এ ছাড়া দুটি থানার দুটি টিম রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে থাকবে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আমরা যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার নিয়েছি। প্রচার শেষ হওয়ার পর থেকে শুধু কেন্দ্র নয়, পুরো কুমিল্লাকে নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। ফল ঘোষণার পর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে এখন প্রত্যাশা করছি ভোটাররা যথাসময়ে নিজ নিজ কেন্দ্রে আসবেন এবং তাদের নাগরিক অধিকার হিসেবে নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।’ পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘কুমিল্লাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। দৃশ্যমান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি থাকবেন সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্যরাও। কোনো বিশৃঙ্খলা হলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আরও যেসব স্থানে ভোট ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর, বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৮ ও ২২ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উপনির্বাচন; পটুয়াখালী, বকশীগঞ্জ ও আমতলী এ তিন পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন। এ ছাড়া ত্রিশাল, মুন্সীগঞ্জ, শিবগঞ্জ, কাটাখালী ও তাহেরপুর পৌরসভায় মেয়র পদে এবং ১০টি পৌরসভার সাধারণ কাউন্সিলর পদে উপনির্বাচন। ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সদরের শংকরচন্দ্র ও মাখালডাঙ্গা, ভোলার মনপুরার মনপুরা, কলাতলী ও লালমোহনের পশ্চিম চর উমেদ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ, নরসিংদীর রায়পুরার চরআড়ালিয়া, ফরিদপুর সদরের চাঁদপুর ও মধুখালীর নওপাড়া, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের কাঁচিকাটা, কুমিল্লার বরুড়ার গালিমপুর এবং চট্টগ্রাম ফটিকছড়ির নানুপুর ও খিয়াম। ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন হবে রংপুরের মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দ, পাবনার সুজানগরের আহম্মদপুর, নওগাঁর মন্দার নুরুল্যাবাদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের নয়ালাডাঙ্গা, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট, যশোরের ঝিকরগাছার গদখালী, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের রিফায়েতপুর, ভোলার চরফ্যাশনের চরমানিকা, পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর, নেত্রকোনা সদরের রৌহা ও সিংহের বাংলা, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর লোহাজুরী, গাজীপুরের কাপাসিয়ার সনমানিয়া, মানিকগঞ্জ সদরের ভাড়ারিয়া, গোপালগঞ্জের মকসুদপুরের জলিরপাড়, সিলেট সদরের জালালাবাদ, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের উত্তর রাজারগাঁও ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাহারছড়া। এর সঙ্গে ১৪৪টি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সদস্যপদে এবং ২৩টি ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষিত সদস্যপদে উপনির্বাচন হচ্ছে। জেলা পরিষদগুলোর মধ্যে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চেয়ারম্যান পদে এবং যশোরে ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে উপনির্বাচন হচ্ছে।
০৯ মার্চ, ২০২৪

মসিক নির্বাচন / ইভিএমে ভোটগ্রহণ আগামীকাল, কঠোর থাকবে প্রশাসন
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ আগামীকাল শনিবার (৯ মার্চ)। এ নির্বাচনে ১২৮টি কেন্দ্রের ৯৯০টি কক্ষে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। সে জন্য কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ইভিএমসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম। এলাকায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। ভোটের সময় কেন্দ্রগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা থাকবে বলে জানা গেছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে সাতটি বুথ থেকে ইভিএম বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস। ১৩৪ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বসহ এই ইভিএম বুঝিয়ে দেওয়া হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী বলেন, সব কেন্দ্রে দেড় গুণ করে থাকবে ইভিএম৷ এ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এ জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি ৭ প্লাটুন বিজিবি, ১১ প্লাটুন পুলিশ, আর্মড পুলিশ এবং আনসার সদস্য, ১৭ টিম র‌্যাব ছাড়াও ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ৫ জন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। শনিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ময়মনসিংহ সিটির দ্বিতীয় এই নির্বাচনে মেয়র পদে ইকরামুল হক টিটু (টেবিল ঘড়ি), এহতেশামুল আলম (ঘোড়া) ও অ্যাডভোকেট সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু (হাতি), কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃৃষিবিদ ড. রেজাউল হক (হরিণ) এবং জেলা জাতীয় পার্টি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল (লাঙ্গল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ এবং ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী আছেন ৬৯ জন। একটি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় ৩২টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হবে।
০৮ মার্চ, ২০২৪

নিউমার্কেটে অভিযান, ১৩ দোকানকে জরিমানা
রাজধানীর নিউ সুপার দক্ষিণ মার্কেটে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।  বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে পরিচালনা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম।  এ সময় বিধিমালা ভঙ্গ করে সিঁড়িতে ভাসমান দোকান করার কারণে ১৩টি দোকানকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।  জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মার্কেটের সিঁড়ি হচ্ছে জরুরি বহির্গমন অর্থাৎ আগুন লাগলে মানুষজন নেমে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমরা এখানে এসে দেখেছি সবগুলো সিঁড়ি দখল করে দোকান বসানো হয়েছে। যে কোনো দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস সেই স্থানে পৌঁছাতে কিংবা মানুষজন নেমে যেতে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করবে। যার কারণে ১৩ দোকানকে জরিমানা করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
০৬ মার্চ, ২০২৪

ময়মনসিংহে টিটুর পক্ষে মাঠে দলীয় নেতাসহ সাধারণ মানুষ
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে চলছে জোর প্রচারণা। একেবারেই শেষ সময়ে বিরামহীন গণসংযোগসহ নানাভাবে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা। মাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী মাঠে থাকলেও সবচেয়ে বেশি সরগরম করে রেখেছেন ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী সদ্য সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু ও তার কর্মীরা।   দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধি থেকে সব শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে তার সখ্য। যে কাউকে কাছে টেনে নেওয়ার মানসিকতা এবং প্রয়োজনে পাশে থাকাসহ নানা গুণ রয়েছে টিটুর। তাই শুধু রাজনৈতিক সহকর্মীরাই নয়, টিটুর প্রচারে নেমেছে সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, নারী উদ্যোক্তা, সংগঠকসহ সবশ্রেণির মানুষ। যার ফলে একদিকে তার প্রচারেও যেমন তুঙ্গে তেমনি সাধারণ ভোটারদের মাঝেও সৃষ্টি হয়েছে ঘড়ি প্রতীকে গণজোয়ার।   সরেজমিনে দেখা গেছে, ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আ.লীগসহ সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর সিংহভাগ নেতাকর্মী সাবেক মেয়র টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ও মহানগর আ.লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটুর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা আ.লীগের কার্যকরী কমিটির ২১ জন নেতা, উপদেষ্টা পরিষদের চারজন নেতা, মহানগর আ.লীগের চারজন সহসভাপতিসহ ২৬ জন নেতা, উপদেষ্টা পরিষদের ১১ জন নেতা কাজ করছেন। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগ, মহানগর ছাত্রলীগ, যুবলীগের একাংশ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগও মাঠে কাজ করছেন। এ ছাড়া সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, কবি-সাহিত্যিক, শিল্পীসহ সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও উদ্যোক্তারাও নেমেছেন টিটুর প্রচারে।    জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উত্তম চক্রবর্তী রকেট বলেন, বিগত সময়ের পরিকল্পিত কাজের জন্য অন্য প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে টিটু। অন্য প্রার্থীরা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকার কারণেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিটুর কাছাকাছিও যেতে পারবে না। প্রতিটি ওয়ার্ডে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ কাজ করছে।  ভোটের মাঠে ফুরফুরে টিটু  মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় এমপি মোহিত উর রহমানের শান্তর পক্ষে বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাজ করা জেলা আ.লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম এবং জেলা আ.লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এমপির শান্তর কর্মীরা টজুর পক্ষে মাঠে কাজ করছেন বলে টিটু ভোটের মাঠে ফুরফুরে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন নগরীর বাসিন্দারা।  অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ  ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও জেলা আ.লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের নির্বাচনী প্রচারে হামলার অভিযোগ করেছেন। তার সমর্থক রেদুয়ান আহমেদ বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে পুলিশ বলছে, হামলার সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে মেয়র প্রার্থী টিটু বলেন, টেবিল ঘড়ি প্রতীকে সাধারণ মানুষের জোয়ার উঠেছে। অন্যদিকে তাদের জনসমর্থন না থাকায় নিজেরা বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে মানুষের সমবেদনা নেওয়া ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা শুরু থেকেই বিভিন্ন প্রকার অপপ্রচার, গুজব ও পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন।
০৫ মার্চ, ২০২৪

সিলেটে মন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হট্টগোল, দুই শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর
অতিথির নাম না বলায় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীর নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হট্টগোল ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।  শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে সিলেট নগরীর কিনব্রিজের চাঁদনীঘাট এলাকায় অনুষ্ঠিত ওই নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান। জানা গেছে, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত বেশ কয়েকজন অতিথির নামোল্লেখ না করায় তাদের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমানের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই উত্তেজিত কর্মীরা চেয়ার ভাঙচুর করে। এ সময় প্রায় ২০০ চেয়ার ভাঙা হয়। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা হয়নি। কোতোয়ালি থানার ওসি মঈন উদ্দিন শিপন কালবেলাকে বলেন, প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অনুষ্ঠান থেকে যাওয়ার পরে উত্তেজিত লোকজন ২০-২৫টি চেয়ার ভাঙচুর করেছে। আমরা খবর পেয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখতেছি। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি  ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদসহ সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
০২ মার্চ, ২০২৪

২২১ বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে : তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পের আওতায় ধানমন্ডি-১ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬তলা ভিত বিশিষ্ট ৬তলা নতুন ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ তথ্য জানান।  ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা দিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে তিনি স্মার্ট পর্যায়ে নিয়ে যাবেন। আমাদের স্মার্ট বিদ্যালয়ে হবে, স্মার্ট শিক্ষার্থী হবে এবং স্মার্ট নাগরিক হবে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা কলাবাগান, মতিঝিলের দিলকুশা, নবাব কাটরা ও শ্যামপুরে চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছি।  আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার প্রত্যেকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুন ভবন পাবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪ থেকে ৫তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ করে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন। এ রকম নজির পৃথিবীর আর কোথাও নেই। আজ এই বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের ফলে স্মার্ট শিক্ষার্থী গড়ে তোলার মাধ্যমে আমরা ঢাকা-১০ কে করে তুলব ১০ এ ১০। আমরা শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প সবকিছুকে একত্র করে সামনের দিকে এগিয়ে যাব। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, একটা আদর্শ স্কুলের যে সকল সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার আমরা তা অন্তর্ভুক্ত করে স্কুলগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যেও আমরা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মিলে প্রায় ৩০টির মতো স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। আজকে ৪টি স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর  স্থাপিত হবে। আমাদের টার্গেট রয়েছে, এই জুন মাসের মধ্যে ১০টি স্কুলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যে শ্রেণি কক্ষের সংকট রয়েছে তা দূর হবে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে গত বছর আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। আগামী জুন মাসের মধ্যে আমরা আরও ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিব। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে নতুন এসব ভবন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের সহয়তার নির্মাণ করা হবে বলে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান।     পরে মেয়র বংশালের নবাব কাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মতিঝিলের দিলকুশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং শ্যামপুরে খোকন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।  এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মাহবুবুর রহমান, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং সংরক্ষিত আসনের নারগিস মাহতাব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে চাকরি, এসএসসি পাসেই আবেদন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহীরা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। নারী-পুরুষ উভয় প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানের নাম: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পদের নাম: প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা কর্মী  পদসংখ্যা: ২৫টি  বেতন: ৮,৮০০ থেকে ২১,৩১০ টাকা (গ্রেড-১৮) শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরির ধরন: ফুলটাইম প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়) কর্মস্থল: ঢাকা বয়সসীমা: ১৮ থেকে ৩০ বছর। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর  আবেদন ফি: পরীক্ষার ফি বাবদ ৭০০ টাকা জমা দিতে হবে আবেদনের নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনের বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন আবেদনের শেষ সময়: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X