‘প্রচণ্ড গরমে’ ক্লাসেই অজ্ঞান হলো শিক্ষার্থী
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় প্রচণ্ড গরমে বিদ্যালয়ে পাঠদানকালে শ্রেণিকক্ষে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার হাসাইল বানারী ইউনিয়নের বানারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সময় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরপরই ওই শিক্ষার্থীকে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আহত শিক্ষার্থীর নাম সুমি আক্তার (১৪)। সে হাসাইল বানারী ইউনিয়নের আটিগাঁও গ্রামের সুমন মুন্সীর মেয়ে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বানারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কায়েসুর রহমান জানান, তীব্র গরমে আমাদের বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী আহত হয়। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ওই ছাত্রীকে টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী অনেকটাই সুস্থ আছে। এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. প্রণয় মান্না দাস বলেন, তীব্র গরমের কারণে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে আমাদের হাসপাতালে আসে। সে এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

চড় মারতেই অজ্ঞান স্ত্রী, মৃত ভেবে স্বামীর আত্মহত্যা
স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিরোধ অস্বাভাবিক ঘটনা নয়।  ঠিক তেমনিভাবে এক বিরোধের জেরে স্ত্রীকে থাপ্পড় দিয়েছেন  স্বামী। আর তাতেই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। এরপরই ঘটে বিপত্তি। স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি বুঝতে না পেরে তাকে মৃত ভেবে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রীকে চড় মেরেছেন স্বামী। এতে তিনি জ্ঞান হারালে স্বামী তাকে মৃত ভাবেন। এরপর কিছু না ভেবেই ওই স্বামী আত্মহত্যা করেন। বিচিত্র এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালার তিরুঅনন্তপুরমে।  পুলিশ জানিয়েছে, আত্মহত্যা করা স্বামীর নাম প্রীজিত। মঙ্গলবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন তিনি। এ নিয়ে স্ত্রী সিনসিনার সঙ্গে ঝগড়া হয়। আর তা একপর্যায়ে তীব্র আকার ধারণ করে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝগড়ার একপর্যায়ে প্রীজিত নিজের স্ত্রীকে আচমকা চড় মেরে দেন। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে পড়ে যান। এরপর স্ত্রীকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেন তিনি। তরে স্ত্রীর সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি ভয় পেয়ে যান।  সিনিসিনা পুলিশকে জানান, জ্ঞান ফেরার পর তিনি নিজের স্বামীকে গলায় রশি নিয়ে ঝুলে পড়তে দেখেন।  এ সময় তিনি চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে প্রীজিতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  স্থানীয়রা জানান, প্রীজিত প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ফিরতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে রীতিমতো ঝামেলাও হতো। মঙ্গলবারও মদ্যপ অবস্থায় রাড়িতে ফেরেন তিনি। এরপর স্ত্রী কটূক্তি করায় তিনি রেগে যান। রাগের মাথায় প্রীজিত স্ত্রীকে চড় মারেন। এরপর স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে গেলে মৃত ভেবে তিনিও আত্মহত্যা করেন।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রীজিত দিনমজুরের কাজ করতেন। তাদের তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা করা হয়েছে।   
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ছাত্রলীগের ‘গেস্টরুম’ চলাকালে অজ্ঞান শিক্ষার্থী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগের ‘গেস্টরুম’ চলাকালে অতিরিক্ত গরমে একজন শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে হলটির গেস্টরুমে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নিয়ামুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী। এ সময় গেস্টরুম নিচ্ছিলেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বি আহম্মেদের কর্মীরা। রাব্বি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে ছাত্রলীগের নিয়মিত গেস্টরুম করতে করতে রাত ১০টার দিকে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ওই শিক্ষার্থী। এর আগে কয়েকবার গরমের কারণে তার খারাপ লাগার কথা জানালেও তাতে কর্ণপাত করেননি গেস্টরুম নেওয়া ছাত্রলীগ কর্মীরা। একপর্যায়ে তিনি পড়ে গেলে তার কক্ষে নিয়ে মাথায় পানি এবং ভেজা গামছা বেঁধে দেন তার বন্ধুরা। এরপর ঘটনাটি যাতে বাইরে না যায়, সেজন্য সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এসে হাসপাতালে নিতে নিরুৎসাহিত করেন। এদিকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে হলটির আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহ মিরানকে প্ৰধান করে কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আবাসিক শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও আবু হোসেন মুহাম্মদ আহসান। ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হল ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বি আহম্মেদ কালবেলাকে বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) কোনো গেস্টরুম নেওয়া হয়নি। আমাদের কিছু ছেলে-পেলে এক জায়গায় বসে আড্ডা দিচ্ছিল। তখন একটি ছেলে একটু মাথা ঘুরে পড়ে যায়। পরে তার বন্ধুরা ডাবের পানি খাইয়ে তার রুমে রেখে আসে। তাকে হাসপাতালেও নিতে হয়নি, কোথাও নেওয়া হয়নি। এদিন রাজনৈতিক কোনো প্রোগ্রামও ছিল না।’ বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির কালবেলাকে বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। বিস্তারিত খোঁজ নিতে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষার্থীর কাছে যাওয়া হয়েছিল। তখন সে ঘুমাচ্ছিল, এজন্য তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। আবার গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলে খোঁজখবর নেওয়া হবে। আমি সবাইকে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি, এই গরমের মধ্যে শিক্ষার্থীরা যেন যার যার মতো করে চলাফেরা করতে পারে। কাউকে যেন কোনোরকম প্রোগ্রামে না নেওয়া হয়।’
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বক্তৃতার মঞ্চেই জ্ঞান হারালেন মন্ত্রী
মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন মন্ত্রী। কিন্তু আচমকাই ঘটে যায় এক বিচিত্র ঘটনা। হঠাৎই মঞ্চে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান তিনি। পরে নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক তাকে ধরে ফেলেন। এরপর দেওয়া হয় চিকিৎসা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঞ্চে জ্ঞান হারানো ওই মন্ত্রীর নাম নিতিন গড়কড়ী। ভারতের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়কমন্ত্রী তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের যুবমলে একটি নির্বাচনী জনসভার মঞ্চে তিনি জ্ঞান হারান। ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, যুবমলের পুসাদের একটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা করছিলেন ওই মন্ত্রী। এ সময় হঠাৎ তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে দলের অন্যরা তাকে তাৎক্ষণিক ধরে ফেলেন। এরপর চিকিৎসা দিয়ে তাকে সুস্থ করা হয়।  নিতিনি নামের ওই মন্ত্রী ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছেন। দেশটির প্রথম ধাপের লোকসভা নির্বাচনে সেখানে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নিতিন বুধবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্দের নেতৃত্বাধীন শিভ সেনার নেতা রাজশ্রী পাতিলের জন্য নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। রাজশ্রী পাতিলকে স্থানীয় ক্ষমতাসীন মহুতি জোটের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।  এনডিটিভি জানিয়েছে, অজ্ঞান হওয়ার পর তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়ায় ওই মন্ত্রী সুস্থ হন। এরপর আবার মঞ্চে উঠে পুনরায় বক্তৃতা করেন তিনি।  Union Minister Nitin Gadkari faints on stage while addressing an election rally in Yavatmal, Maharashtra. Gadkari is currently under observation of a medical team. Wishing @nitin_gadkari ji quick recovery. pic.twitter.com/32BUS3bRqd — Aditya Raj Kaul (@AdityaRajKaul) April 24, 2024 সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে নিতিনের জ্ঞান হারানোর একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা গেছে, তিনি মঞ্চে অসাড়ের মতো হয়ে পড়ছেন। লোকজন তাকে ধরে সরিয়ে নিচ্ছে।  এ ঘটনার পর নিজের এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছেন নিতিন। সেখানে তিনি জানান, তীব্র গরমে তিনি অস্বস্তি বোধ করছিলেন। এরপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তবে বর্তমানে পুরোপুরি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। 
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

ঢাবির বিজয় একাত্তর হল / ছাত্রলীগের গেস্টরুম চলাকালে অজ্ঞান শিক্ষার্থী 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগের গেস্টরুম চলাকালে এক শিক্ষার্থীর অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে হলটির অতিথিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, এসময় গেস্টরুম নিচ্ছিলেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বি আহম্মেদের কর্মীরা। রাব্বি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী। অন্যদিকে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম নিয়ামুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী।  প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে ছাত্রলীগের নিয়মিত গেস্টরুম করতে করতে রাত ১০টার দিকে অজ্ঞান হয়ে পড়েন এই শিক্ষার্থী। এর আগে কয়েকবার গরমের কারণে তার খারাপ লাগার কথা জানালেও তাতে কর্ণপাত করেননি গেস্টরুম নেওয়া ছাত্রলীগ কর্মীরা। একপর্যায়ে, সে পড়ে গেলে তার কক্ষে নিয়ে মাথায় পানি এবং ভেজা গামছা বেঁধে দেয় তার বন্ধুরা। এরপর ঘটনাটা যাতে বাইরে না যায় সেজন্য সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এসে হাসপাতালে নিতে নিরুৎসাহিত করেন। এ বিষয়ে হল ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বি আহম্মেদ কালবেলাকে বলেন, কালকে কখনো কোনো গেস্টরুম নেওয়া হয়নি। আমাদের কিছু ছেলে-পেলে এক জায়গায় বসে আড্ডা দিচ্ছিল। তখন একটা ছেলের একটু মাথা ঘুরে পড়ে যায়। তখন তার বন্ধুরা তাকে ডাবের পানিটানি খাইয়ে তার রুমে রেখে আসে। তাকে হাসপাতালেও নিতে হয়নি, কোথাও নেওয়া হয়নি। গতকাল রাজনৈতিক কোনো প্রোগ্রামও ছিল না।  বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির কালবেলাকে বলেন, এ বিষয়ে আমি শুনেছি। বিস্তারিত খোঁজ নিতে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষার্থীর কাছে যাওয়া হয়েছিল। তখন সে ঘুমাচ্ছিল, এজন্য তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। আবার গিয়ে ওর সঙ্গে কথা বলে খোঁজখবর নেওয়া হবে। আমি সবাইকে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি, এই গরমের মধ্যে শিক্ষার্থীরা যেন যার যার মতো করে চলাফেরা করতে পারে। কাউকে যেন কোনো ভাবে কোনোরকম প্রোগ্রামে না নেওয়া হয়।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে হাসপাতালে ১৬ ব্যক্তি
অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬ ব্যক্তি ভর্তি হয়েছেন। শুক্রবার (১৯এপ্রিল) রাতে পাশ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলার বানিয়াখালি গ্রামে পৃথক দুটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃতরা হলেন, হাবিবুর রহমান হাওলাদার, মামুনুর রশিদ, ফেরদৌস, জ্বীন, হাসান হাওলাদার, তিতাস হাওলাদার, আশ্রফুল হাওলাদার, সাকিবুল হাওলাদার, মো নাইম, নারায়ন চৌকিদার, মো. শামিমা আক্তার, হিরা আক্তার, আখি আক্তার, মারিয়া আক্তার, শ্যামলী রানী। শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৃহকর্তা হাবিবুর রহমান হাওলাদার ও নারায়ণ চৌকিদার জানান, তারা রাত ১০টার দিকে ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পরেন। কিন্তু সকালে তাদের ঘুম ভাঙ্গলেও বিছানা থেকে উঠতে পারছিলেন না। এছাড়া ঘরের মালামাল এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে। খবর পেয়ে পাশ্ববর্তী বাড়ির লোকজন এসে তাদের শরনখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তাদের ধারনা চোরচক্র কোন এক সময় তাদের খাবারের সঙ্গে চেতনা নাশক কিছু মিশিয়ে রেখে গেছে। এরপর ওই দুই বাড়ির স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।  এ ব্যপারে শরনখোলা খানার ওসি এ ইএচ এম কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি যেহেতু পাশ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলার মধ্যে পড়েছে তাই এ ব্যপারে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

ছিনতাই হওয়া সোনাসহ অজ্ঞান পার্টির দুই সদস্য গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ছিনতাই হওয়া সোনাসহ অজ্ঞান পার্টির দুই সদস্য গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে নীলফামারীর জলঢাকার ছয়ঘড়ি ও শৈলমারী এলাকা থেকে তুষার মাহমুদ ও কালা মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের থেকে ৬৯ হাজার টাকা, একটি গলার হার, দুই জোড়া বালা ও একজোড়া ঝুমকা উদ্ধার করা হয়। ভুক্তভোগী বিউটি রানী ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত ২৩ মার্চ বিউটি রানী সোনাহারের শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি লক্ষ্মীরহাটের উদ্দেশে ইজিবাইকে রওনা হন। সোনাহার থেকে দেবীগঞ্জে আসার পর তিনি লক্ষ্মীরহাটে যাওয়ার উদ্দেশে চৌরাস্তা এলাকায় অপেক্ষা করতে থাকেন। এই সময় অজ্ঞাত এক ইজিবাইকচালক লক্ষ্মীরহাট যাবেন বলে বিউটি রানীকে ডাক দেন। তিনি ইজিবাইকে উঠলে সেখানে প্রথম থেকেই একজন পুরুষ যাত্রী ছিল এবং কিছু দূর যাওয়ার পর আরও দুজন যাত্রীবেশে ওঠেন। পথিমধ্যে করতোয়া সেতুর ওপর ইজিবাইকটি আসলে যাত্রীদের একজন হুট করে ইজিবাইক থামিয়ে নিচে পড়ে থাকা একটি পার্স কুড়িয়ে নেয়। পরে সেটি খুললে তাতে টিস্যুতে মোড়ানো সোনার বার সদৃশ বস্তু ও একটি চিঠি পাওয়া যায়। সেখানে সোনার বারটিতে ৫ ভরি সোনা আছে বলে উল্লেখ করা হয়। পরে ইজিবাইক চালকসহ উপস্থিত চারজনই সোনার বারটি নেওয়ার জন্য বিউটি রানীকে অনুরোধ করতে থাকেন এবং তাকে চিঠিটি পড়ার জন্য দেন। এ সময় বিউটিকে বুঝানো হয় যে তার সঙ্গে থাকা সোনার গহনার বদলে সোনার বারটি নিলে লাভবান হবে।  ভুক্তভোগী বিউটির গলায় তখন ১৪ আনা ওজনের গলার হার ও কানে ৭ আনা ওজনের ঝুমকা ছিল। চিঠিটি হাতে পাওয়ার কিছুক্ষণ পরে বিউটি চেতনা হারাতে থাকে এবং অবচেতন মনে গলার হার ও কানের ঝুমকা খুলে তাদের কাছে দিয়ে দেয়। পরে বিউটিকে সোনাপাতা-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নামিয়ে দিয়ে ইজিবাইকটি দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। ঘটনার পর বিউটি বিষয়টি তার পরিবারকে জানায় এবং দেবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তে নামে পুলিশ। বিউটি রানীর বাবা সুকাতু জানান, পুলিশ গলার হার উদ্ধার করতে পেরেছে। কানের ঝুমকা উদ্ধারে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে। অজ্ঞান পার্টির সদস্য আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখার মোকাদ্দেম বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ভিকটিম রানীর ঝুমকা উদ্ধারেও চেষ্টা চলছে।’
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

জনপ্রিয় ইউপি সদস্য ও টেলিফিল্ম নির্মাতা অজ্ঞান পার্টির মূল হোতা আটক
সবুজ সরদার এলাকায় বেশ জনপ্রিয় একজন ইউপি সদস্য এবং একইসঙ্গে টেলিফিল্ম নির্মাতা। টেলিফিল্ম নির্মাতা হিসেবে ঢাকা যাতায়াতের একপর্যায়ে জড়িয়ে পড়েন অজ্ঞান পার্টির সঙ্গে। নাম লেখান অপরাধ জগতে।  যাত্রীদের অজ্ঞান করে টাকা চুরির নেশায় ডুবে যান ইউপি সদস্য মো. সবুজ সরদার (৪১)। নিজ উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন বাসে যাত্রীবেশে উঠে পাশে বসা যাত্রীকে বিস্কুটের মধ্যে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে অজ্ঞান সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়। এবার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা চুরির সময় ধরা পড়েছেন সবুজ। পাইকগাছা থানা সূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে অজ্ঞান করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৪টিসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে।  শনিবার (৬ এপ্রিল) ঈদ উপলক্ষে নতুন মোটরসাইকেল নিতে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার শ্রীপুর গ্রামের মো. ইসরাফিল হোসেন (৩৪), চাচাতো ভাই ও ভাতিজাকে নিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনাগরে যাচ্ছিলেন।   পথিমধ্যে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে বাসের সিটে পাশাপাশি বসে ছিলেন ছদ্মবেশী একই জেলার পাটকেলঘাটা থানার গণেশপুর গ্রামের মো. সবুজ সরদার (৪১)। সুযোগ বুঝে বিস্কুটের মধ্যে চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে অচেতন করে তার প্যান্টের পকেটে থাকা এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা চুরি করে নেয়। এ সময় সঙ্গে থাকা চাচাতো ভাই ঘটনাটি বুঝতে পেরে পকেটমার বলে চিৎকার দিলে যাত্রীরা বাসের মধ্যে তাকে আটক করে।  পরে কপিলমুনি ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞান অবস্থায় মো. ইসরাফিল হোসেনকে কপিলমুনি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।  পাইকগাছা থানার (ওসি তদন্ত) তুষার কান্তি দাস বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে কপিলমুনি ফাঁড়ির পুলিশ সবুজ সরদারকে আটক করে।  পাইকগাছা থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, অধিকতর তদন্তের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য সদস্যদের আটক করতে এবং পরিপূর্ণ তদন্ত স্বার্থে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।
০৭ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদযাত্রায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পর থেকে বাঁচবেন যেভাবে
সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতর। অনেকেই চায় নিজ পরিবারের সঙ্গে মুসলিমদের ধর্মীয় এই উৎসব পালন করবে। এ জন্য ছুটির শুরু থেকেই বাড়িতে ছুটতে থাকে ঘরমুখো মানুষেরা।  এবারও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাড়ি যেতে শুরু করেছে নগরবাসী। সরকারি ছুটির আরও বেশ কয়েকদিন বাকি থাকলেও শুরু হয়েছে ঈদযাত্রা। এর মধ্যেই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে। এ ছাড়াও ছোট-বড় প্রায় সব প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে।  এ জন্য নাড়ির টানে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত অনেকেই। এমন উৎসবমুখর সময়ে সবার মন পড়ে থাকে বাড়িতে। এ জন্যই হয়তো পড়তে হয় অযাচিত বিপদে। যে বিপদের নাম অজ্ঞান পার্টি। সাধারণত ঈদ, পূজা বা জাতীয় কোনো উৎসবকে কেন্দ্র করে তৎপর হয়ে ওঠে। প্রধান টার্গেট সাধারণ যাত্রী। এ পার্টির সদস্যরা টার্গেটকৃত ব্যক্তির সঙ্গে ভাব জমিয়ে যে কোনো খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দেয় নেশা জাতীয় ট্যাবলেট। যাত্রী অচেতন হয়ে গেলে সর্বস্ব লুটে নিয়ে সুবিধামতো স্থানে সটকে পড়ে।  তবে ভাবনার কিছু নেই। নিজেকে এসব বিপদ থেকে রক্ষা আপনি নিজেই করতে পারবেন। এ জন্য প্রয়োজন সচেতনতা, আর সেজন্য সবাইকে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।  ১. সফরকালে অপরিচিত কেউ অহেতুক ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করলে তাকে পাত্তা না দেওয়াই উত্তম।  ২. আপনার পাশের সিটের যাত্রী আপনার সাথে সখ্য গড়ে তুলতে চাইবে এবং এক সময় নিচের থেকে খাবার কিনে সেও খাবে আপনাকেও খেতে বলবে। কিন্তু সেই খাবার না খাওয়াই শ্রেয়।  ৩. বাস কিংবা ট্রেন বিরতি নিলে সেইখানকার ফুটপাতে বা রাস্তার মোড়ে টং দোকান থেকে খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। ৪. ফেরিওয়ালা বা ভ্রাম্যমাণ কারও কাছ থেকে আচার, আমড়া, শসা, পেয়ারা প্রভৃতি বাদ দেওয়াই ভালো। ৫. বাসে, ট্রেনে বা লঞ্চে ভ্রমণের সময় লজেন্স বা চকলেট, আইসক্রিম, সিগারেট জাতীয় কোনো খাবার গ্রহণ করব না। ৬. আজকাল ডাবের ভেতরে আগে থেকেই সিরিঞ্জের মাধ্যমে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো থাকতে পারে। তাই কখন কোথা হতে তৃষ্ণা নিবারণ করছি সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার। ৭. প্রয়োজনে যাত্রাপথে হালকা নাস্তার জন্য বাড়ি থেকে সংগৃহীত খাবার বা পানীয় সঙ্গে রাখি অথবা স্থায়ী দোকান থেকে খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করব। ৮. সিএনজিতে চলার সময় যাত্রীরা ড্রাইভারের কাছ থেকে এবং ড্রাইভাররা যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ৯. যাত্রাপথে নগদ অর্থ বা যে কোনো মূল্যবান দ্রব্য নিরাপদ হেফাজতে রাখব সবাই। ১০. ভ্রমণের সময় পরিচিত কাউকে সঙ্গে রাখার চেষ্টা করব। ১১. সবশেষে যাত্রাপথে কোনো ব্যক্তির আচার-ব্যবহার সন্দেহজনক হলে নিকটস্থ পুলিশকে অবহিত করতে হবে। 
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

অজ্ঞান করে আ.লীগ নেতাকে হত্যার অভিযোগ
রাজবাড়ী সদর উপজেলায় রতন দাস নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে অজ্ঞান করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সঙ্গে তার স্ত্রী অজ্ঞান অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আনুমানিক দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রতন দাস (৬৫) শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি এবং উপজেলার শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নের আহলাদীপুর গ্রামের মৃত বিপিন বিহারী দাসের ছেলে। তার স্ত্রী কণিকা দাস স্থানীয় মধুপুর ছকিরন নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র কালবেলাকে জানায়, শুক্রবার রাতে রতন দাস ও তার স্ত্রী কনিকা দাস ঘুমাতে যান। পরের দিন শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত তাদের ঘুম থেকে উঠতে না দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। পরে তাদের দুজনকেই অচেতন অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রতন দাস ও তার স্ত্রী কনিকা দাসকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রতন দাস মারা যান। রতন দাসের স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তোলপাড়। এমন ঘটনা এ প্রথম তাই এলাকায় সবার মনে ভয় এসেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত কামনা করেছেন এলাকাবাসী। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠিন শাস্তি প্রত্যাশা করেন স্থানীয়রা। অতি দ্রুতই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন আ.লীগ নেতাকর্মীদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায়, আ.লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং শোক প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেশি সমরেশ দত্ত জীবণ কালবেলাকে বলেন, এ রকম ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এমন দুঃসংবাদ পাবো কখনো ভাবতে পারি নাই। খুবই খারাপ লাগছে। সন্ধ্যার পরই মৃতদেহ এসেছে। রতন দা আ.লীগ নেতা ছিল ও তার স্ত্রী শিক্ষক। তারা খুব ভালো মানুষ। রতন দা সনাতন ধর্মের হলেও সে সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকে। এ বয়সে এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেওয়ার মতো না। তবে তার আপন ভাইদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে সমস্যা ছিল। রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী এমপি সাহেব বসে সেই ঝামেলা মিটিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, এ ছাড়াও তার সঙ্গে তার দুই প্রতিবেশির ঝামেলা চলছে জমিজমা নিয়ে। এ বিষয়টি নিয়ে রতন দার নামেও মামলা করেছেন তার দুই প্রতিবেশি। তবে কে এ কাজের সঙ্গে জড়িত তা সঠিকভাবে বলতে পারছি না। তবে এ ঘটনার তদন্ত হোক। যে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আমরা তাকে দেখতে চাই। জড়িতদের শাস্তি হোক এটাই চাই।  রতন দাস এর ছোট ভাই নান্টু কুমার দাস কালবেলাকে বলেন, এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তারা দাদা বৌদিকে অজ্ঞান করে সোনা দানা টাকা পয়সার নেওয়ার জন্য এসেছিল। বৌদির সোনার কানের দুল, হাতের শাকা চুরি করে নিয়েছে। আমার দাদা মারা গেছে বৌদি বেঁচে আছে। বৌদি সুস্থ হলেই বিষয়টি আরো ক্লিয়ার বোঝা যাবে। কাল সকাল ১১টার দিকে খানখানাপুর শ্বশান ঘাটে আমার দাদার দাহ করা হবে। এখনো আমরা কাউকে সন্দেহ করতে পারছি না, কারণ আমরা কাউকে দেখি নাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য, মো. বাবু শেখ কালবেলাকে জানান, এটা খুবই নিন্দনীয় কাজ এবং খারাপ কাজ হয়েছে। যারা অন্যায়কারী, তাদের শাস্তি হোক। সে ভালো লোক ছিল। খুব কষ্টজনক ব্যাপার এটা। এলাকার সবাই কষ্ট পাচ্ছে। তার স্ত্রীও খুব ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিনি একজন শিক্ষিকা এবং ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য ছিলেন। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এখনো বোঝা যাচ্ছে না। আমরা জানতে চাই কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা নাই। আমরা নিরাপত্তা চাই। এটা একটা নজিরবিহীন ঘটনা। শহীদওহাবপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি, শেখ ফরিদ কালবেলাকে জানান, রতন দাস আ.লীগের ভালো কর্মী ও নেতা। কেন এ ঘটনা সেটি দ্রুতই তদন্ত হোক সেটাই আমরা চাই। আমরা তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুতই শাস্তির আওতায় আনা হোক সেটাই চাই। শহীদওহাব পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ভুইয়া কালবেলাকে জানান, এ ঘটনা শোনার পর আমি রতন দাসের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখালাম রান্না ঘরের টিন কেটে তার ঘরে ঠুকেছে। আমাদের ইউনিয়নে এমন ঘটনা এই প্রথম। এমন ঘটনা আগে কখনো দেখি নাই। আমার জীবনেও প্রথম। তবে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা পরিকল্পনা করে এবং ষড়যন্ত্র করে করেছে। আরো ধারণা করা যাচ্ছে, অজ্ঞান পাটি এ কাজের সাথে জড়িত থাকতে পারে। তবে কে বা কারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষ হলে তা বোঝা যাবে। এ বিষয়ে খানখানাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের (ইনচার্জ) উপপরিদর্শক মো. সেলিম হোসেন কালবেলাকে জানান, তাদের বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ থাকেন না। আমরা ধারণা করছি তাদের অজ্ঞান করে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুলিশ রহস্য উৎঘাটনে কাজ করছে। পুলিশের তদন্ত চলছে। রাজবাড়ী সদর থানার ওসি ইফতেখারুল আলম প্রধান কালবেলাকে জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে। পুলিশ মাঠে রয়েছে।
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X