সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতর। অনেকেই চায় নিজ পরিবারের সঙ্গে মুসলিমদের ধর্মীয় এই উৎসব পালন করবে। এ জন্য ছুটির শুরু থেকেই বাড়িতে ছুটতে থাকে ঘরমুখো মানুষেরা।
এবারও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাড়ি যেতে শুরু করেছে নগরবাসী। সরকারি ছুটির আরও বেশ কয়েকদিন বাকি থাকলেও শুরু হয়েছে ঈদযাত্রা। এর মধ্যেই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে। এ ছাড়াও ছোট-বড় প্রায় সব প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে।
এ জন্য নাড়ির টানে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত অনেকেই। এমন উৎসবমুখর সময়ে সবার মন পড়ে থাকে বাড়িতে। এ জন্যই হয়তো পড়তে হয় অযাচিত বিপদে। যে বিপদের নাম অজ্ঞান পার্টি।
সাধারণত ঈদ, পূজা বা জাতীয় কোনো উৎসবকে কেন্দ্র করে তৎপর হয়ে ওঠে। প্রধান টার্গেট সাধারণ যাত্রী। এ পার্টির সদস্যরা টার্গেটকৃত ব্যক্তির সঙ্গে ভাব জমিয়ে যে কোনো খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দেয় নেশা জাতীয় ট্যাবলেট। যাত্রী অচেতন হয়ে গেলে সর্বস্ব লুটে নিয়ে সুবিধামতো স্থানে সটকে পড়ে।
তবে ভাবনার কিছু নেই। নিজেকে এসব বিপদ থেকে রক্ষা আপনি নিজেই করতে পারবেন। এ জন্য প্রয়োজন সচেতনতা, আর সেজন্য সবাইকে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
১. সফরকালে অপরিচিত কেউ অহেতুক ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করলে তাকে পাত্তা না দেওয়াই উত্তম।
২. আপনার পাশের সিটের যাত্রী আপনার সাথে সখ্য গড়ে তুলতে চাইবে এবং এক সময় নিচের থেকে খাবার কিনে সেও খাবে আপনাকেও খেতে বলবে। কিন্তু সেই খাবার না খাওয়াই শ্রেয়।
৩. বাস কিংবা ট্রেন বিরতি নিলে সেইখানকার ফুটপাতে বা রাস্তার মোড়ে টং দোকান থেকে খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
৪. ফেরিওয়ালা বা ভ্রাম্যমাণ কারও কাছ থেকে আচার, আমড়া, শসা, পেয়ারা প্রভৃতি বাদ দেওয়াই ভালো।
৫. বাসে, ট্রেনে বা লঞ্চে ভ্রমণের সময় লজেন্স বা চকলেট, আইসক্রিম, সিগারেট জাতীয় কোনো খাবার গ্রহণ করব না।
৬. আজকাল ডাবের ভেতরে আগে থেকেই সিরিঞ্জের মাধ্যমে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো থাকতে পারে। তাই কখন কোথা হতে তৃষ্ণা নিবারণ করছি সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার।
৭. প্রয়োজনে যাত্রাপথে হালকা নাস্তার জন্য বাড়ি থেকে সংগৃহীত খাবার বা পানীয় সঙ্গে রাখি অথবা স্থায়ী দোকান থেকে খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করব।
৮. সিএনজিতে চলার সময় যাত্রীরা ড্রাইভারের কাছ থেকে এবং ড্রাইভাররা যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৯. যাত্রাপথে নগদ অর্থ বা যে কোনো মূল্যবান দ্রব্য নিরাপদ হেফাজতে রাখব সবাই।
১০. ভ্রমণের সময় পরিচিত কাউকে সঙ্গে রাখার চেষ্টা করব।
১১. সবশেষে যাত্রাপথে কোনো ব্যক্তির আচার-ব্যবহার সন্দেহজনক হলে নিকটস্থ পুলিশকে অবহিত করতে হবে।
মন্তব্য করুন