সবুজ সরদার এলাকায় বেশ জনপ্রিয় একজন ইউপি সদস্য এবং একইসঙ্গে টেলিফিল্ম নির্মাতা। টেলিফিল্ম নির্মাতা হিসেবে ঢাকা যাতায়াতের একপর্যায়ে জড়িয়ে পড়েন অজ্ঞান পার্টির সঙ্গে। নাম লেখান অপরাধ জগতে।
যাত্রীদের অজ্ঞান করে টাকা চুরির নেশায় ডুবে যান ইউপি সদস্য মো. সবুজ সরদার (৪১)। নিজ উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন বাসে যাত্রীবেশে উঠে পাশে বসা যাত্রীকে বিস্কুটের মধ্যে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে অজ্ঞান সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়।
এবার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা চুরির সময় ধরা পড়েছেন সবুজ। পাইকগাছা থানা সূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে অজ্ঞান করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৪টিসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) ঈদ উপলক্ষে নতুন মোটরসাইকেল নিতে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার শ্রীপুর গ্রামের মো. ইসরাফিল হোসেন (৩৪), চাচাতো ভাই ও ভাতিজাকে নিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনাগরে যাচ্ছিলেন।
পথিমধ্যে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে বাসের সিটে পাশাপাশি বসে ছিলেন ছদ্মবেশী একই জেলার পাটকেলঘাটা থানার গণেশপুর গ্রামের মো. সবুজ সরদার (৪১)। সুযোগ বুঝে বিস্কুটের মধ্যে চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে অচেতন করে তার প্যান্টের পকেটে থাকা এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা চুরি করে নেয়। এ সময় সঙ্গে থাকা চাচাতো ভাই ঘটনাটি বুঝতে পেরে পকেটমার বলে চিৎকার দিলে যাত্রীরা বাসের মধ্যে তাকে আটক করে।
পরে কপিলমুনি ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞান অবস্থায় মো. ইসরাফিল হোসেনকে কপিলমুনি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পাইকগাছা থানার (ওসি তদন্ত) তুষার কান্তি দাস বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে কপিলমুনি ফাঁড়ির পুলিশ সবুজ সরদারকে আটক করে।
পাইকগাছা থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, অধিকতর তদন্তের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য সদস্যদের আটক করতে এবং পরিপূর্ণ তদন্ত স্বার্থে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন