টুকরো খবর / কর্মীর মৃত্যুতে এনএসসি সচিবের অপসারণ দাবি
অর্থ বিভাগের কর্মী সালেহা সুলতানা নাজমার মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। দায়িত্বরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়া নাজমা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে এনএসসির কর্মচারী ইউনিয়ন এক মানববন্ধন করে সচিব আমিনুল ইসলামের অপসারণ দাবি করেন। বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে কর্মচারী ইউনিয়ন যে ব্যানার প্রদর্শন করেছে, সেখানে লেখা ছিল, ‘সালেহা আক্তার নামজা জাতীয় ক্রীড়াপরিষদ সচিব কর্তৃক মানসিক অত্যাচারে মৃত্যুবরণ করেন।’ এনএসসি টাওয়ারের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে কর্মচারী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুর রহমান ও প্রচার সম্পাদক সেলিম মিয়া নেতৃত্ব দিয়েছেন। নাজমার মৃত্যু সম্পর্কে সেলিম মিয়া বলেছেন, ‘সচিবের উগ্র আচরণের কারণে আজ আমরা বোনকে হারিয়েছি। অফিসে সবাই তার ভয়ে তটস্থ থাকেন। কারণ দর্শানো নোটিশের ভয়ে অসুস্থ শরীর নিয়েও অফিস করতে এসেছিলেন নাজমা। প্রয়োজন মাফিক নাজমা ছুটি পাননি। আমরা সচিবের ভয়ে তার পাশে দাঁড়াতে পারিনি।’
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালকের অপসারণ দাবি
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ব্রিগে. জেনারেল ডা. ইফফাত আরা, উপপরিচালক ডা. মাকসুদুল আলম, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. শফিকুল ইসলাম এবং ডা. নাজমুল আরেফিন তানভীরসহ আরও কয়েক জনের সম্পৃক্ততায় এক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে দুর্নীতি। এমন অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসক ও কর্মচারী-কর্মকর্তারা। রোববার (২৪ মার্চ) সকালে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ ডা. শফিকুর রহমান, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতাল স্বাচিপের সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাচিপ নেতা ডা. মাসফিক মাহবুব, হাসপাতালটির কর্মচারী ওয়ার্ড বয় বাচ্চু মিয়া, উজ্জ্বল প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, হাসপাতলে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো, আইসিইউ, এইচডিইউ স্থাপন, মেডিকেল যন্ত্রপাতি ক্রয়, ইকো মেশিন, এক্সরে মেশিন ক্রয়, চিকিৎসক, কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ-কোথায় হচ্ছে না দুর্নীতি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কোটি কোটি টাকার সিটি স্ক্যান/এমআরআই মেডিকেল ডায়াগনস্টিক যন্ত্রপাতি নিয়মানুযায়ী জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ব্যতীত বিনা টেন্ডারে ব্যক্তিগত অবৈধ আর্থিক লেনদেন এবং তাদের পছন্দমত কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে কোম্পানিরই প্রোণোদোনায় (ঘুষ) জাপানে প্রমোদ ভ্রমন করেছেন এই চক্রটি। এর মাধ্যমে বাজার মূল্যের চেয়ে সিটি স্ক্যান মেশিন দ্বিগুনেরও বেশি দামে ক্রয় করেছেন।  অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ইফফাত আরা পরিচালকের সফর সঙ্গী ছিলেন রেডিওলজি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. এনামুল্লাহ যাকে সচল এক্সরে মেশিনকে নষ্ট দেখিয়ে কোটি টাকার ডিজিটাল এক্সরে মেশিন ক্রয়কালীন লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মাসাতের কারণে প্রতিষ্ঠান হতে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন। আরও এক সফর সঙ্গী প্রতিষ্ঠানের মেডিসিন বিভাগের আরপি ডা. মো. মাকসুদুল আলম যিনি সকল রোগের চিকিৎসক, রোগিদের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মিত প্রতারণাকারী, সকল ধরনের কেনা-কাটায় কমিশন বাণিজ্য এবং ওষুধ কোম্পানিসমূহকে জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জনের কারণে সকলের কাছে ঘৃণিত, নিন্দিত। উক্ত আরপির নামে দাখিলকৃত প্রতারণার অভিযোগ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বরং তাকে উপপরিচালকের দায়িত্ব দিয়ে দুই বৎসরের চাকরি বর্ধিত করেছেন। সকল জালিয়াতমূলক কর্মকাণ্ডের কাগজপত্রের মাধ্যমে বৈধতা দানকারী সহকারী পরিচালক শফিক তাদের আরও একজন সফর সঙ্গী। সরকার হতে প্রাপ্ত বিশ থেকে বাইশ কোটি টাকার অনুদান গরিব রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার না করে নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারার মহাউৎসব চলছে।  তারা বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল চিকিৎসক কর্মকর্তা কর্মচারীদের চিকিৎসা সংক্রন্ত সুযোগ সুবিধাসমূহ বন্ধ করে দিয়ে পরিচালক নিজের জন্য এবং আত্মীয় স্বজনদের (চাকরি দেওয়া, হাসপাতালের বিভিন্ন কাজের অবৈধ কন্ট্রাক দেওয়া, পরমর্শ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া) জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন। এই সমস্ত অনিয়ম এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে চাকরিচ্যুতি এবং হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আমরা এহেন দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা, জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং হাসপাতালের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে অনতিবিলম্বে একটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তথাকথিত ভালো মানুষদের মুখোশ উম্মোচন করে সবার অতিসত্ত্বর অপসারণ চাচ্ছি। 
২৪ মার্চ, ২০২৪

শাবিপ্রবি উপাচার্যের ‘তালেবানি’ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা, অপসারণ দাবি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দেওয়া সাম্প্রতিক এক বক্তব্যকে ‘তালেবানি’ বক্তব্য বলে আখ্যা দিয়েছেন দেশের ৩৪ বিশিষ্ট নাগরিক। তারা এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমেদের অপসারণ চেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ দাবি করেন। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়, এখানে (বিশ্ববিদ্যালয়) ওপেন কালচার ছিল, ছেলেমেয়েরা যা খুশি, তা-ই করতে পারত। কেউ কিছু বলতে পারত না। কারণ, তাদের বয়স ১৮ বছর। কিন্তু আমি বলেছি, রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে হলে ঢুকতে হবে। তারা (শিক্ষার্থী) এটার নাম দিয়েছে তালেবানি কালচার। তালেবানি কালচার নিয়ে আমি খুবই গৌরবান্বিত, এটা নিয়ে থাকতে চাই। আমি ওপেন কালচার চাই না।’ বিবৃতিদাতারা বলেন, ‘তালেবানি কালচার নিয়ে তিনি গৌরবান্বিত এবং এটা নিয়েই তিনি থাকতে চান- এমন বক্তব্য একটি স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদে থাকা উপাচার্য কীভাবে সদর্পে উচ্চারণ করেছেন, সেটাই আমাদের জিজ্ঞাসা। বিগত তিন দশকে আফগানিস্তানের তালেবানরা যা করেছে, তা থেকে সংবাদমাধ্যমের যেকোনো পাঠক, শ্রোতা, দর্শকের জানা যে তালেবানি সংস্কৃতির সঙ্গে ধর্ম পালন বা ধর্মবিশ্বাসের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চরম সাম্প্রদায়িক, ধর্মান্ধ ও নারীবিদ্বেষী রাজনৈতিক মতবাদ। এই মতবাদ নারীর সমমর্যাদা, সম্মান, শিক্ষা, কাজের অধিকারসহ সব স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে। তালেবানরা ২০২১ সালে নতুনভাবে ক্ষমতা দখলের পর নারীদের শুধু গৃহবন্দী করেছে তা নয়, প্রাথমিক শিক্ষার পর তাদের উচ্চশিক্ষা লাভের অধিকার, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিক্ষা, চিকিৎসাসুবিধা এবং বাইরে কাজ করার অধিকার কেড়ে নিয়ে এক ভয়াবহ বৈষম্য-নির্যাতনের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।’ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উপাচার্যের পদে থাকা একজন দায়িত্বশীল শিক্ষাবিদ হিসেবে এসব তথ্য তার অজানা, তা বিশ্বাস করা যায় না। তাই তিনি যা বলেছেন, তা জেনেশুনে দায়িত্ব নিয়ে বলেছেন বলে মনে করা খুবই যুক্তিসংগত বলে আমরা মনে করি। আর তাকেও আমরা একজন নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য, নারীদের অসম্মান ও অমর্যাদা করা কিংবা নারীবিদ্বেষী মতাদর্শের সমর্থক বা উৎসাহদাতা বলেই বিবেচনা করতে পারি। এই উপাচার্য ২০২২ সালেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের চরিত্র নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন। তখন জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্র-শিক্ষকদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে তিনি ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।’ উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের বক্তব্যকে ‘সাম্প্রদায়িক, অশালীন ও নারীবিদ্বেষী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে তার অপসারণ দাবি করেন বিবৃতিদাতারা। ভবিষ্যতে সংবিধানে স্বীকৃত নারীর সম-অধিকার ও মর্যাদাকে অসম্মানসূচক আচরণে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তি উপাচার্যের মতো সম্মানীয় ও দায়িত্বশীল পদে নিয়োগ না পান, তার জন্য অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করার দাবি করা হয়। অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমেদের মতো সাম্প্রদায়িক ও নারীবিদ্বেষী ব্যক্তিরা আর কোন কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়েছেন, তার একটি তালিকা প্রকাশের দাবিও জানানো হয় বিবৃতিতে। এতে স্বাক্ষর করেন হামিদা হোসেন, সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী, খুশী কবির, শিরীন হক, জেড আই খান পান্না, আনু মুহাম্মদ, ইফতেখারুজ্জামান, ফেরদৌস আজিম, সালমা আলী, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, রানা দাশগুপ্ত, শামসুল হুদা, স্বপন আদনান, সুমাইয়া খায়ের, রোবায়েত ফেরদৌস, তাসনীম সিরাজ মাহবুব, নাসরিন খন্দকার, সুব্রত চৌধুরী, কাজল দেবনাথ, তবারক হোসেইন, রাহনুমা আহমেদ, শহিদুল আলম, সারা হোসেন, জাকির হোসেন, মো. আশরাফ আলী, মিনহাজুল হক চৌধুরী, শাহাদাত আলম, শুভ্র চক্রবর্তী, সাইদুর রহমান, নুর খান, জোবাইদা নাসরীন, দীপায়ন খীসা, হানা শামস আহমেদ প্রমুখ।
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০

মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তি / বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি
হবিগঞ্জের বাহুবলে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তি ও অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা। উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানকে অপসারণের দাবিতে একটি স্মারকলিপি ইউএনওর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা. আবুল হোসেন, সেক্টর কমান্ডার ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ একাত্তর হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মুদ্দত আলী, ডেপুটি কমান্ডার আব্দুন নূর, বাহুবল সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী, ভাদেশ্বর ইউনিয়নের শেখ কামরুজ্জামান বশির, সাতকাপন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, মিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীম মিয়া প্রমুখ। বক্তারা অবিলম্বে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তিকারী খলিলুর রহমানকে প্রকাশ্যে ক্ষমা ও তার অপসারণের দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন।
১৮ জুলাই, ২০২৩

সীতাকুণ্ডে পিডিবি প্রকৌশলীর অপসারণ দাবি
অনিয়মসহ নানা অভিযোগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাফিজ ইমতিয়াজের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌরসভার মেয়র বদিউল আলম। গতকাল সোমবার সীতাকুণ্ড পৌরসভার হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সব কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে পৌর মেয়র বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার আগে বিল পরিশোধ থাকা সত্ত্বেও গত ২৬ জুন বিকেলে প্রকৌশলী নাফিজ ইমতিয়াজ উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। যাতে করে কোরবানির ঈদে পুরো পৌরসভা বিদ্যুৎবিহীন থাকে। যাতে জনগণ ভোগান্তির মধ্যে পড়ে। সরকারবিরোধীদের উসকে দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে। পরে স্থানীয় কাউন্সিলর ও এলাকাবাসীর চাপে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে বাধ্য হয় বিদ্যুৎ কর্মিরা। তিনি আরও বলেন, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকার অভিযোগে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাফিজ ইমতিয়াজ বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেয়। অথচ ওই সময় বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা ছিল। এ সময় কাউন্সিলররা এর প্রতিবাদ জানালে মেয়র ও মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ করে গালমন্দ করে সরকারবিরোধী নানা আপত্তিকর কথা বলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাফিজ ইমতিয়াজ কালবেলাকে বলেন, সীতাকুণ্ড পৌরসভার ১৩টি মিটারের বিদ্যুৎ বিল নিতে গেলে কাউন্সিলর মো. ফজলে এলাহীর নেতৃত্বে হামলার শিকার হই। এ ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করি। তবে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে কোনো আপত্তিকর কথা বলা হয়নি। স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতায় ছাড়া পেয়েছেন বলে জানান তিনি। এদিকে প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাফিজ ইমতিয়াজের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু আলম স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ পত্রে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানান।
০৪ জুলাই, ২০২৩

এনসিটিবি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি
বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজে নিম্নমানের কাগজ ব্যবহার ও বাঁধাইয়ের কারণে বিগত বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি প্রেস কালো তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি আর্থিক জরিমানা করেছিল জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। কিন্তু সর্বোচ্চ সংখ্যক বই ছাপানোর দায়িত্ব পেয়েও বছর বছর নিম্নমানের বই সরবরাহ করেছে এমন দুটি প্রেসকে শাস্তির আওতায় আনেনি সংস্থাটি। এমনকি অভিযোগের পাহাড় জমলেও তাদের কাজ দিতে ‘উপরের নির্দেশ’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান। এমনকি এবারও প্রাথমিকে সর্বোচ্চ সংখ্যক বই ছাপানোর দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে ওই দুটি প্রেস। তাই তাদের বেশি বই ছাপানোর কাজ না দেওয়ার পাশাপাশি পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম ও উৎপাদন নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক সাইদুর রহমানের অপসারণ দাবি করেছে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে মুদ্রণ শিল্প সমিতি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তোলেন সমিতির নেতারা। লিখিত বক্তব্যে মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান শহীদ সেরনিয়াবাত বলেন, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সহযোগিতায় সক্ষমতার বাইরে কার্যাদেশ পাওয়া অগ্রণী প্রিন্টিং প্রেস এবং কচুয়া প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই ছাপায়। এমনকি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বই দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তারা জমা দিয়েছে চার-পাঁচ মাস পরে। ২০২২ সালেও তারা একই কাজ করে। কিন্তু এনসিটিবি এ বিলম্ব নথিভুক্ত না করে যথাসময়ে সরবরাহ করেছে বলে নথিভুক্ত করে। সফটওয়্যার জালিয়াতির মাধ্যমে বোর্ড চেয়ারম্যানের নির্দেশে এই অনিয়মটি হয়েছে। এরপরও নিম্নমানের পাঠ্যবই সরবরাহ এবং বিলম্বের জন্য তাদের বিরুদ্ধে এনসিটিবি কোনো ব্যবস্থাও নেয়নি। মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান মালিকরা এ বিষয়ে সোচ্চার হলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান জানান, ‘এটা উপরের নির্দেশ’। আমরা এই দুর্নীতির হোতা এনসিটিবি চেয়ারম্যানের অবিলম্বে অপসারণ চাই। তিনি বলেন, বিনামূল্যের বই ছাপার সঙ্গে যুক্ত বেশিরভাগ প্রিন্টার্স প্রতিষ্ঠান রাজধানী ও এর আশপাশে। কিন্তু অগ্রণী প্রিন্টার্সের অফিস নোয়াখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এর আগে এ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছে এনসিটিবি ও পরিদর্শন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। গত বছর এ প্রতিষ্ঠান কোন কাগজ দিয়ে বই ছাপিয়েছে, কী করেছে তারও কোনো মনিটরিং হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি দাবি জানানো হয়। এসময় ছিলেন মুদ্রণ শিল্প সমিতির উপদেষ্টা ওসমান গণি বাবুল, সাবেক সভাপতি তোফায়েল খান, বর্তমান কমিটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম বাহার, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান মো. রব্বানী জব্বার প্রমুখ।
২৩ জুন, ২০২৩
X