কষ্টিপাথর কিনে প্রতারিত, প্রতারকের ভায়রাকে অপহরণ
ঝালকাঠির বাসিন্দা মোস্তফা হাওলাদার। পেশা অবৈধভাবে কষ্টিপাথরের মূর্তি ও বিভিন্ন ধাতব মুদ্রা সংগ্রহ করে বিক্রি করা। অন্যদিকে ঢাকার বাসিন্দা খোকন হাজি। তিনিও ঠিকাদার পরিচয়ের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে কষ্টিপাথরের মূর্তি ও বিভিন্ন ধাতব মুদ্রা কিনে ভারতে পাচার করে আসছিলেন। অবৈধ কষ্টিপাথরের মূর্তি ও বিভিন্ন ধাতব মুদ্রার ব্যবসার সুবাধে খোকন হাজির সঙ্গে মোস্তফা হাওলাদারের সম্পর্ক হয়। দুষ্প্রাপ্য মূর্তি ও ধাতব মুদ্রা দেওয়ার কথা বলে খোকনের কাছ থেকে ৯৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় মোস্তফা। এরপর থেকে লাপাত্তা মোস্তফাকে ধরতে তার ভায়রা আনোয়ারকে অপহরণ করেন খোকন ও তার সঙ্গীরা। মুক্তিপণ দাবি করেন ৯৫ লাখ টাকা। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে ফতুল্লার তুষারধারা এলাকা থেকে আনোয়ার হোসেন খানের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে অপহরণ করা হয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে হাজি ওয়াজী উল্লাহ খোকন, তার অন্যতম সহযোগী আরিফ হোসেন, সাইফ উদ্দিন আহমেদ মিলন, সিরাতুল মোস্তাকিম, রুহুল আমিন, জাকির হোসেন ও মো. স্বাধীনকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। একই সঙ্গে আনোয়ারকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার বিস্তারিত জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফিরোজ কবীর। তিনি জানান, আনোয়ারকে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় খোকন হাজির মালিকানাধীন চুনকুটিয়া রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের অফিসের ভেতরে আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন করা হয়। মোবাইলে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ বাবদ ৯৫ লাখ টাকা দাবি করে আসামিরা। আনোয়ারের জীবন বাঁচাতে তার ভাই সাড়ে ১৭ লাখ টাকা জোগাড় করে অপহরণকারীদের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বরে পাঠান। এর পরও আনোয়ারের ওপর তারা নির্যাতন অব্যাহত রাখে। র্যাব সদস্যরা অপহরণকারী চক্র ও ভিকটিমের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী চক্রের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। অপহরণে ব্যবহৃত রিভলবার, ৮ রাউন্ড গুলি ও শটগান জব্দ এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে ফিরোজ কবীর জানান, খোকন হাজি ২০১৫ সাল থেকে মূল্যবান কষ্টিপাথরের মূর্তি ও দুষ্প্রাপ্য পিতলের ধাতব মুদ্রা ভারতে পাচার করে আসছিলেন। তার এই কাজের সহযোগী ছিল ভারতীয় মিলন চক্রবর্তী। খোকন হাজির কষ্টিপাথরের মূর্তি ও ধাতব মুদ্রা সংগ্রহের কাজে নাঈম, মোস্তফা হাওলাদার ও রবি নামে কয়েকজন বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে কাজ করত। বিনিময়ে তাদের মাসে ৩০ হাজার টাকা করে বেতন দিতেন খোকন।
০৪ মে, ২০২৪

আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিচারককে অপহরণ
পাকিস্তানের জেলা ও দায়রা জজ শাকিরুল্লাহ মারওয়াতকে আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করেছেন অস্ত্রধারীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) তাকে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ার ট্যাঙ্ক ও ডেরা ইসমাইল খানের সীমান্ত এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। তবে অপহরণের একদিনের মাথায় তাকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর জিও নিউজের। প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলি সাইফ জিও নিউজের কাছে বিচারক শাকিরুল্লাহকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিক করেছেন। তাকে নিরাপদে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ব্যারিস্টার সাইফ বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে। পুলিশ বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী গতকাল রাতে ডিআই খানের কুলাচি এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। যার ফলে ওই বিচারককে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের আদালেতে নিয়োজিত এই বিচারককে ট্যাঙ্ক ও ডিআই খানের মধ্যবর্তী সীমান্ত এলাকা বাগওয়াল গ্রাম থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। ডিআই খানের উপপুলিশ সুপার (ডিএসপি) মোহাম্মদ আদনান জানান, শাকিরুল্লাহ আদালত থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। এরপরই কাউন্টার-টেরোরিজম ডিপার্টমেন্টেঅজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করেন বিচারকের গাড়ি চালক শের আলি। এফআইআর দায়ের করার আগে ওই বিচারককে দ্রুত উদ্ধার করতে একটি উচ্চ-স্তরের বিশেষ দল গঠন করে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। তার আগে ৬৩ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তায় বিচারক শাকিরুল্লাহ জানান, অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের সরকারের কাছে কিছু দাবি রয়েছে। তাদের দাবি পূরণ করা হলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বাসা থেকে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারের পর নিজ জিম্মায় নিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি রাজিয়া সুলতানা মনি ও তার স্বামী ছানি বন্দুকছির বিরুদ্ধে।  অভিযুক্ত রাজিয়া আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে নড়িয়া উপজেলার মোক্তারেরচরে রাজিয়ার বাড়ির একটি তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে নড়িয়া থানা পুলিশ।  এর আগে গত ১৯ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ফতেজঙ্গপুর ইউনিয়নের খড়করা এলাকায় ভুক্তভোগী কিশোরীর নানা বাড়ির সামনে থেকে তাকে অপহরণ করে একই এলাকার আলমগীর চৌকিদারের ছেলে দিপু চৌকিদার (২০)। ওইদিন রাতেই কিশোরীর মা বাদী হয়ে দিপুকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।  পরে খড়করা এলাকা থেকে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে রাত ৩টার দিকে কিশোরীর নিকটাত্মীয় রাজিয়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরদিন কিশোরীটিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে গড়িমসি শুরু করেন অভিযুক্ত নেত্রী। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরীর মা ও বাবা নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্যর শরণাপন্ন হলে তিনি নড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে দুপুর ২টার দিকে রাজিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।  ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, আমার মেয়ে অপহরণ হওয়ার পর পুলিশ উদ্ধার করে। রাত হয়ে যাওয়ায় আমার আত্মীয় রাজিয়া সুলতানা মনির বাসায় মেয়েকে নিয়ে যাই। কিন্তু সে আমার মেয়েকে নিয়ে আটকে রাখে। রাজিয়া নির্বাচন করবে। যারা আমার মেয়েকে অপহরণ করেছে তারা রাজিয়া সুলতানার কর্মী। তাই আমার মেয়েকে আটকে রেখে আবার তাদের কাছে দিতে চেয়েছিল। রাজিয়া সুলতানার স্বামী ছানি বন্দুকছি মুঠোফোনে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্য নয়। ঐ মেয়েটি তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল। মেয়েটির মা সম্পর্কে আমার স্ত্রীর খালাত বোন হওয়ায় আমি এবং আমার স্ত্রী পুলিশ নিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিরাপত্তাজনিত কারণে আমার বাড়িতে রাখি। নড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কিশোরীটিকে প্রথমবার উদ্ধার করে কিশোরীর মা ও যু্ব মহিলা লীগ নেত্রী রাজিয়া সুলতানা মনির জিম্মায় দেওয়া হয়। কিন্তু আজ মেয়েটির মা এসে রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে আমরা তার বাড়ি থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় কিশোরীটিকে উদ্ধার করি। পরে থানায় জিডি নিয়ে কিশোরীটিকে পুনরায় তার পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

নাটোরে প্রার্থীকে অপহরণ মামলায় যুবলীগ নেতার জবানবন্দি
নাটোরের সিংড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা সুমন আহমেদ (৩০) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার জবানবন্দি নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে যুবলীগ নেতা সুমনসহ অন্য আসামিরা দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধর করে। নাটোর সদর থানা সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা সুমন ও নাজমুল হককে গতকাল বিকেলে সদর আমলি আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জামাল হোসেন আসামি সুমনের জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। সন্ধ্যার পর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, সুমন জবানবন্দিতে প্রার্থী দেলোয়ারকে অপহরণ ও মারধরের কথা স্বীকার করেছেন। তার সঙ্গে আর কারা ছিলেন, তাও বলেছেন। গত সোমবার নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দুর্বৃত্তরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে সিংড়ার কলম ইউনিয়নের পারসাঐলে বাড়ির সামনে যাওয়া হয়। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করেছে পুলিশ; তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

বান্দরবানে ব্যাংকে লুট ম্যানেজারকে অপহরণ
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ অস্ত্রধারীরা ব্যাংকে হামলা চালিয়ে কোটি টাকারও বেশি নিয়ে গেছে। ব্যাংকের নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যবহার করা ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজার মো. নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করেছে ডাকাত দল। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সোনালী ব্যাংকে এ দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন রুমা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান। স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ৯টায় একদল সশস্ত্র ডাকাত হামলা চালিয়ে ব্যাংকটির গ্রিল ভেঙে লকারে থাকা টাকা, নিরাপত্তায় ব্যবহৃত ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট করে। এ সময় তারা ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বর্তমানে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ব্যাংকটি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কুকি চিন গোষ্ঠীর (বম পার্টি) সদস্যরা এর সঙ্গে জড়িত বলে শোনা যাচ্ছে। তাদের সঠিক পরিচয় এখন পর্যন্ত জানতে পারিনি। তারা আমাদের শাখা ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। তার খোঁজ এখনো পাইনি। রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. দিদারুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ব্যাংকটিতে ডাকাতির ঘটনায় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট করা হয়েছে। ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করা হয়েছে। তবে ঠিক কী পরিমাণ টাকা লুট হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

সোনালী ব্যাংক লুট, ম্যানেজারকে অপহরণ
বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটের অভিযোগ উঠেছে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে। এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে। রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত ইউএনও) মো. দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে রুমা উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত ৭০-৮০ জনের সদস্য আলাদা গ্রুপে উপজেলা মসজিদ ঘেরাও করে মসুল্লিদের মোবাইল ফোন ছিনতাই, আনসার ও পুলিশের অস্ত্র ও গুলি লুট এবং সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করে। ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে দশটি অস্ত্র ও ৩৮০ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয়। ব্যাংকের অদূরে থাকা আনসার ব্যারাক থেকে চারটি অস্ত্র ও ৩৫টি গুলি ছিনিয়ে নেয় সশস্ত্র এ সন্ত্রাসীরা। ওই সময় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মারধরও করে তারা। মো. দিদারুল আলম বলেন, রুমায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। সোনালী ব্যাংক লুট, ব্যাংক ও ইউএনও অফিসের স্টাফদের মারধর করেছে। ঘটনার পরপরই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তাকর্মীরা টহল কার্যক্রম জোরদার করে ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। তবে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা অনুমান করা হলেও, ঠিক কী পরিমাণ টাকা লুট হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অন্যদিকে একটি সূত্র জানায়, ব্যাংকে টাকা সংরক্ষণ করা লোহার বাক্সের তালা খুলতে পারেনি। মূলত এ কারণে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. নেজাম উদ্দিনকে নিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

রিকশাচালকের নেতৃত্বে গ্যারেজ মালিকের ছেলে অপহরণ
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় রিকশাচালকের নেতৃত্বে গ্যারেজ মালিকের ছেলেকে অপহরণের ঘটনায় চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থেকে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তাররা হলো আসিফ আলী (২২), শাহিন (২৩) ও মো. সুমন আলী (১৮)। গতকাল শনিবার রাজধানীর তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক। তিনি জানান, শেরেবাংলা নগরের বিএনপি বস্তি থেকে গত ২৮ মার্চ গ্যারেজ মালিক মো. নুরুজ্জামান ওরফে জামালের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে মো. মোজাহিদকে অপহরণ করা হয়। এরপর পরিবারকে ফোন দিয়ে ৬০ হাজার টাকা দাবি করে চক্রটি। একপর্যায়ে শিশুটির পরিবার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কিছু টাকাও পাঠায়। কিন্তু তারা আরও টাকা দাবি করে। পরে শিশুটির বাবা বিষয়টি থানায় জানায়। এরপর ১২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শিশুটিকে উদ্ধারের পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো টাকাও উদ্ধার করা হয়। ডিসি আজিমুল হক জানান, অপহরণের নেপথ্যে ছিল শিশুটির বাবার গ্যারেজের রিকশাচালকই। তারা গ্যারেজেই থাকত। শিশুটির বাবা মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘বাচ্চা হারিয়ে গেলে সারা রাত খোঁজ করেও পাইনি। পরদিন আমাকে ফোন দিয়ে বলে ৬০ হাজার টাকা দিতে হবে। বলে টাকা দাও তাহলে বাচ্চা পাবা, তা না হলে পাবা না। পরে আমি তাদের ২০ হাজার টাকা পাঠাই। এরপর থানায় বিষয়টা জানাই।’ তিনি বলেন, যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারা আমার গ্যারেজের রিকশা চালাত। তারা যে আমার বাচ্চাকে জিম্মি করেছে, সেটা জানতাম না।
৩১ মার্চ, ২০২৪

ঢাকায় শিশু অপহরণ বেড়েছে
রাজধানীতে শিশু অপহরণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। ডিবিপ্রধান বলেন, রাজধানীতে বেড়েছে শিশু অপহরণ। বোরকা পরে পরিচয় গোপন রেখে শিশু চুরি করা হচ্ছে। তাই অভিভাবকদের আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।  তিনি বলেন, রাজধানীতে অপহরণের ৭ দিন পর গতকাল বুধবার আড়াই বছরের এক শিশুকে কুমিল্লা থেকে উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। একই সঙ্গে শিশুচোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। হারুন অর রশীদ বলেন, গত ২১ মার্চ বিকেলে রাজধানীর হাজারিবাগের ভাড়া বাসার সামনে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল শিশু তাওসিন। হঠাৎ অপরিচিত এক নারী চকলেট-চিপসের লোভ দেখিয়ে তাকে দোকানে নিয়ে যান। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ওই নারী। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাওসিনকে না পাওয়ায় তার বাবা আইনরক্ষাকারী বাহিনীর শরাণাপন্ন হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিবি কুমিল্লা থেকে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা জানায়, ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন বোরকা পরা ওই নারী। পরে ওই শিশুকে উদ্ধারসহ বিক্রয়ের ২৩ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, শিশু পাচারকারীর সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কি না এ ব্যাপারে আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।   
২৮ মার্চ, ২০২৪

ছাত্রলীগের এক নেতাকে ছুরিকাঘাত, অপর নেতাকে অপহরণ
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়নের এক ছাত্রলীগ নেতার ওপর সশস্ত্র হামলা হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা অপর এক নেতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ উঠেছে।  বুধবার (২৭ মার্চ) রাত ২টার দিকে চরতি ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত মানিকের পিঠে ও কোমরে ছুরিকাঘাত করা হয় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।  আহত ওই নেতার নাম মো. মানিক ও অপহরণের শিকার ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতির নাম মাঈনুদ্দিন হাসান। তারা উভয়ই সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাবেক সংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভীর অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।  ঘটনার বিষয়ে সাবেক এমপি আবু রেজা নদভী বলেন, উপজেলার চরতি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসান ও ছাত্রলীগ নেতা মানিক বিগত সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে এলাকায় কাজ করেছিল। তখন থেকেই প্রতিপক্ষের লোকজন এ দুই নেতাকে দফায় দফায় হুমকি দিচ্ছিল এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারা এলাকাতেই অবস্থান করছিল। সে ক্ষোভ থেকে চরতি ইউনিয়নের সন্ত্রাসী সাইফুল মেম্বার ও তার লোকজন বুধবার রাত ২টার দিকে ঘর থেকে বের করে মানিকের পিঠে ও কোমরে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি এগিয়ে এলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সাতকানিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, গুরুতর আহত হওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা মানিককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।    বিষয়টি জানতে সাতকানিয়া থানার ওসি প্রীটন সরকারকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন রিসিভ হয়নি।
২৮ মার্চ, ২০২৪
X