মন্দির ও শ্মশানে অবৈধ দখল উচ্ছেদের দাবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুরে হিন্দু মহাদেব মন্দির ও শ্মশানের জায়গা থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও সুপ্রিম কোর্টের রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার সুহিলপুর বাজার চত্বরে হিন্দু মন্দিরের শ্মশান কমিটির উদ্যোগে এ সভা হয়। সভাটি হিন্দু মন্দির ও শ্মশান কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বলেন, সুহিলপুর মৌজার ১২৬৫ দাগে ৩১ শতক ভূমিতে সনাতন ধর্মের মৃত ব্যক্তিদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানাদি পালন করে দাহ করার কাজ সম্পন্ন করে আসা হচ্ছিল। কিন্তু অবৈধ দখলদারদের জোরপূর্বক দখলের কারণে বহুদিন ধরে সৎকার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া এ ভূমিতে এসএ জরিপমূলে জরিপ কর্মচারীদের গাফিলতির কারণে নালিশা ভূমি খাস খতিয়ান হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়। এতে এলাকার কিছু জবরদখলকারী ভূমিদস্যু মন্দিরসহ শ্মশান ভূমিটিতে অবৈধভাবে দোকান তৈরি করে। দীর্ঘ ৩০ বছর মামলা-মোকদ্দমা শেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট থেকে শ্মশ্মানের পক্ষে রায় আসে। কিন্তু রায় ঘোষণার ৬ মাস পার হয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এদিকে একটি কুচক্রী মহল জায়গাটি লিজ নেওয়ারও পাঁয়তারা করছে। বক্তারা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেইসঙ্গে শিগগিরই আদালতের রায় বাস্তবায়িত না হলে এবং শ্মশ্মানের ভূমি নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করা হলে আগামীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম শেখ ভূমিটিকে খাসজমি দাবি করে বলেন, উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দেওয়া আছে। যখন প্রয়োজন হবে, তখন খাসজমি থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। এ ছাড়া বি এস জটিলতায় মন্দির ও শ্মশ্মানের ভূমি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বি এসে কোনো রকম জটিলতা হয়ে থাকলে উপযুক্ত তথ্যাদি দিয়ে আদালতে আশ্রয় নিলে আদালত যে রায় দেন তা মেনে নেওয়া হবে। সিনিয়র শিক্ষক কৃষ্ণ কুমার দত্তের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন সুহিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ সম্পাদক সাচ্ছু মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী খায়রুল আলম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজল দেব, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুজন দত্ত, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র চৌধুরী, সাদ্দাম হোসেন, সুহিলপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নিশিকান্ত রিশি, রাশেদ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের বকুল হাজারী, পল্লি চিকিৎসক নয়নমণি দেব, বাকাইল গ্রামের হিন্দু সমাজের সভাপতি অমৃত লাল দাস, হিন্দু মহাদেব মন্দির ও শ্মশান কমিটির উপদেষ্টা সুকান্ত দাস প্রমুখ।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শরীয়তপুরে ১৫ কোটি টাকার সরকারি জমি উদ্ধার
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় দেড় একর সরকারি জমি দখলমুক্ত ও সরকারি খাল উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে নড়িয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের পাইকপাড়া এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শংকর চন্দ্র বৈদ্য'র নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এই জমি উদ্ধার করা হয়।  এ সময় সরকারি জমির ওপর গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ভরাটকৃত খাল খনন করা হয়। পুরো উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও ২ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।  এ বিষয়ে শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে দেড় একর সরকারি সম্পত্তি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ এবং সরকারি খাল ভরাট করে অবৈধভাবে দখল করছিল। আজ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এখানে প্রায় ১৫ কোটি টাকা বাজারমূল্যের দেড় একর সম্পত্তি দখল মুক্ত করা হচ্ছে এবং দখলদারদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরকারি জমির অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আমাদের এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।  এদিকে সরকারি জমি দখল মুক্ত এবং খাল উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  তারা বলেন, প্রবাহমান সরকারি খাল দখল হওয়ায় আবাদি জমিতে সেচ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছিল। খাল দখলমুক্ত হওয়ায় এ সমস্যার সমাধান হবে। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন নড়িয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. পারভেজ এবং নড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান, নড়িয়া পৌর ভূমি কর্মকর্তা উদ্ধব চন্দ্র পাল ও পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার মল্লিক। 
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মেঘনায় অবৈধ দখল উচ্ছেদে দুইদিন অভিযান চালাবে বিআইডব্লিউটিএ 
আগামী ২১ ও ২২ জানুয়ারি দুই দিন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে অবৈধ দখল উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। রোববার (১৪ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ স্বাক্ষরীত চিঠিতে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।   উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুলিশ মোতায়েন প্রসঙ্গে দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর চার পাশের নদী বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু, তুরাগ, মেঘনাসহ নদীর দূষণ ও বর্জ্য নিষ্কাশনরোধ, অবৈধ দখল, স্থাপনা উচ্ছেদ এবং অবৈধ ভরাট অপসারণের লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।  চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় মেঘনা নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার নতুন চরচাষি মৌজা থেকে চরজারিরা মৌজা পর্যন্ত মেঘনা নদীর তীরভূমীতে গড়ে ওঠা অবৈধ দখল/স্থাপনা উচ্ছেদ ও ভরাট অপসারণে আগামী আগামী ২১ ও ২২ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিআইডব্লিউটিএ উচ্ছেদ কার্যক্রম ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে।
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

সীতাকুণ্ড ডিসি পার্কে অবৈধ দখল উচ্ছেদ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ফৌজদারহাট এলাকায় অবস্থিত ডিসি পার্কের জায়গায় অবৈধ দখলে থাকা ১৩টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দিন এ অভিযান পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট্র মো. আলাউদ্দিন জানান, উপজেলার ফৌজদারহাটে গড়ে তোলা ডিসি পার্কের দক্ষিণ দিকের সীমানার মধ্যে বেশকিছু অবৈধ স্থাপনা আছে। ডিসি পার্কের চলমান উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখতে এই স্থাপনাগুলো সরিয়ে নেওয়া খুবই জরুরি। এ কারণে তাদের বারবার সরে যাওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা ওই জায়গা ছাড়ছিল না। এতে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। তাই চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিনি ১৩টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জায়গাটি দখল মুক্ত করেন। অভিযানকালে সহযোগিতা করেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার সদস্যরা।
১২ অক্টোবর, ২০২৩

অবৈধ দখল উচ্ছেদে মোংলা বন্দর শ্রমিকদের মানববন্ধন
মোংলা বন্দরের বঙ্গবন্ধু ক্যানেলের ভরাট হওয়া চরে অবৈধ দখল বন্ধ এবং দখলকারীদের উচ্ছেদের দাবিতে বাগেরহাটের মোংলায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেরিন ড্রাইভ সড়কে মোংলা বন্দর ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।  মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে নদীর চর দখল করে নিচ্ছে ভূমি দস্যুরা। সর্বশেষ গত কয়েক দিন আগে ঘাট শ্রমিকের বিশ্রামের ঘরটি দখল করে নেওয়া হয়। দ্রুত ঘাট শ্রমিকদের দখল হওয়া জমিসহ সব অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা না হলে মোংলা বন্দরে কর্মরত শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মবিরতি পালন করবে। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে কয়েকশ শ্রমিক অংশ নেন। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা।  এদিকে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত কয়েক দিন ধরে কর্মসূচি পালন করছে ঘাট শ্রমিক ইউনিয়ন। এরই মধ্যে শ্রমিকদের পক্ষে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্বারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X