ইউএনওর অশ্লীল ভিডিও ছড়ানোর হুমকি-চাঁদাবাজি
নড়াইলের লোহাগড়ার ইউএনওর অশ্লীল ভিডিও ছড়ানোর হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। এ অভিযোগে তার স্ত্রীর করা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে দেহরক্ষী আনসার সদস্য আকাশ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর গত বুধবার কারাগারে পাঠানো হলেও গতকাল বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। গ্রেপ্তার আকাশের বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়ার রংপুর গ্রামে। তিনি দুই বছর ধরে লোহাগড়ার ইউএনওদের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। জানা যায়, ইউএনওর অশ্লীল ভিডিও ছড়ানোর হুমকি দেওয়া চাঁদাবাজ চক্র ব্যাংকের মাধ্যমে কয়েক দফায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এরপর আরও টাকা চাওয়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ওই ইউএনওর স্ত্রী। এ মামলার সূত্র ধরে সন্দেহভাজন হিসেবে ইউএনওর ওই নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে ইউএনও ও তার স্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। গ্রেপ্তার আকাশের ভাই সমার বিশ্বাস বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করা হোক। তাতে যদি আকাশ অপরাধ করে থাকেন, তবে তার শাস্তি হোক। লোহাগড়া থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, চাঁদাবাজি মামলায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে জানতে পেরেছি, তিনি ইউএনওর দেহরক্ষী। তাই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হবে। এ ছাড়া চাঁদাবাজ চক্রকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। এজাহারে বলা হয়েছে, ১৭ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি ইউএনওর হোয়াটসঅ্যাপে কল করে অশ্লীল ভিডিও ছড়ানোর হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এরপর একাধিকবার তার ও তার স্ত্রীর নম্বরে কল করে হত্যাসহ নানা হুমকি দেয় চক্রটি। স্বামীর সম্মান ও নিরাপত্তা চিন্তা করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকা পাঠান তার স্ত্রী। এরপর আরও টাকা চাওয়ায় মামলা করেন তিনি।
১৬ মার্চ, ২০২৪

অশ্লীল ভিডিও আছে বলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল, অতঃপর...
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে নির্যাতিতের বাবা বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই উপজেলার পশ্চিম বাকাল গ্রামের হাবিবুল্লাহ ওরফে হবি মোল্লা (৫৫) গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে পার্শ্ববর্তী বাড়ির সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া এক ছাত্রীকে কৌশলে পুকুরপাড়ে ডেকে নেয়। এ সময় তার কাছে ওই ছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও আছে বলে তাকে ভয় দেখায়। একপর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সে।  ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে তার চরম ক্ষতি হবে বলে ছাত্রীকে হুমকি দেয় হবি মোল্লা। ওই ছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও ফাঁস না করার জন্য তার কাছে ৫ হাজার টাকা চাঁদাও দাবি করে সে। নির্যাতিতা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানার এসআই তারিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়েরের পরদিন সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নির্যাতিত স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে এবং জবানবন্দি প্রদানের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ছাত্রীর মায়ের অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে টাকা চাইলেন গৃহশিক্ষক
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ছাত্রীর মায়ের অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি করায় নাজিম উদ্দিন নামের এক গৃহশিক্ষককে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামের কাছারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বেগমগঞ্জ থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আটককৃত গৃহশিক্ষক নাজিম টাকার জন্য ওই গৃহবধূকে ফোন দেন। পরে গৃহবধূ কৌশল অবলম্বন করে বাড়িতে এসে টাকা নেওয়ার জন্য বলে। একপর্যায়ে গৃহশিক্ষক বাড়িতে এসে চাঁদার টাকার জন্য বাড়াবাড়ি করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। আটককৃত গৃহশিক্ষক নিজাম উদ্দিন একই ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মানের ছেলে। ভুক্তভোগী গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, নিজাম ২০২২ সাল থেকে তার অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়েকে তাদের বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়াতেন। স্বামী প্রবাসে থাকায় কৌশলে আমার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেন গৃহশিক্ষক। পরবর্তীতে একই বছরের মে মাসের দিকে ভিকটিমকে একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ভিকটিমকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি করে গোপনে তা ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়। স্বামী দেশে এসে প্রবাসের টাকার হিসাব চাইলে ভিকটিম হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে স্বামীকে বিষয়টি জানিয়ে দেয় স্ত্রী। মঙ্গলবার মুঠোফোনে পুনরায় টাকা দাবি করে গৃহশিক্ষক। পরে ভিকটিমের বাড়িতে দাবিকৃত ৩ লাখ টাকা নিতে আসলে তাকে আটক করে পিটুনি দেয় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। তারপর ৯৯৯ কল করে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।   বেগমগঞ্জ থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘গৃহবধূর অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে ব্লেকমেইলের অভিযোগে এক যুবককে পুলিশে সোপর্দ করেছে ভুক্তভোগী। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’  
২৫ অক্টোবর, ২০২৩

অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ৪ সদস্য আটক
ঝিনাইদহে প্রলোভনে ডেকে এনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের নারী ইউপি সদস্য নুর নেহাসহ জাহানারা বেগম, রুহানী আক্তার ও আজিম মন্ডলকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জ উপজেলাতে এ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় আটককৃতদের কাছ থেকে ৫৯ হাজার টাকা উদ্ধার করে। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জের নারী-পুরুষের একটি চক্র বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে বাসাতে নিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে অশ্লীল ছবি ধারণ করে রাখে। পরে তাদেরকে ব্লাকমেইলিং করে অর্থ আদায় করে আসছিল। এ চক্রের হাতে গত কয়েকদিন আগে সদর উপজেলার কুলফাডাঙ্গা গ্রামের হারুণর রশিদকে অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মহারাজপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুর নেহা ও তার সদস্যরা এক লাখ ১৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। তার কাছে পরবর্তিতে আরও টাকা দাবি করলে তিনি পরে জেলা পুলিশ সুপার আজিম-উল আহসানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের পরিপেক্ষিতে জেলা গোয়েন্দা দলের ওসি শাহিন উদ্দিনের নেতৃত্বে শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহের বিষয়খালী ও কালীগঞ্জ উপজেলা শহরে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অপরাধ চক্রের সদস্য সদর উপজেলার কুলফাডাঙ্গা গ্রামের বাবলু মন্ডলের স্ত্রী ইউপি সদস্য নুর নেহা, মসলেম মন্ডলের ছেলে আজিম মন্ডল, করাতিপাড়ার হাসান মন্ডলের স্ত্রী জাহানারা বেগম ও কালীগঞ্জ উপজেলার রাকড়া গ্রামের জলিল মন্ডলের মেয়ে রুহানী আক্তার শিলা। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের কাছ থেকে নগদ ৫৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগী হারুনর রশিদ জানান, এ নারী-পুরুষ চক্র আমাকে ফাঁদে ফেলে প্রলোভন দেখিয়ে বাসাতে নিয়ে জোরপূর্বক বিভিন্ন অশ্লীল ছবি ও ভিডিও করে ব্লাকমেইল করে। সামাজিক ও সাংসারিক মান সম্মানের কথা চিন্তা করে আমি তাদের দাবিকৃত ৪ লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ ১৯ হাজার টাকা দিয়েছি। তারপরও আরও টাকার জন্য নানা হুমকি দিতে থাকে। তখন বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে লিখিত অভিযোগ করি।
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X