‘ঘুম থেকে উঠে দেখতাম আমাদের দিকে অস্ত্র তাক করা’
‘রাতে আমরা জাহাজের ব্রিজে ঘুমাতাম। যখন কোনো নেভি শিপ যেত তখন জলদস্যুরা আরও সতর্ক হয়ে যেত। তখন তারা স্পেশালি আমাদের দিকে অস্ত্র তাক করে রাখত। যার কারণে নেভি শিপ গেলে আমাদের আরও সমস্যা হতো। ট্রিগার টেনে অস্ত্র আমাদের দিকে তাক করত। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে ঘুম থেকে উঠে চোখ খুললেই দেখতাম অস্ত্র আমার দিকে তাক করা।’   বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিক আনোয়ারুল হক রাজু এসব কথা জানান।  রাজু নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে।   জিম্মি থাকা ৩৩ দিনের স্মৃতিচারণ করে রাজু বলেন, শেষ যখন ওরা জেনেছে আমরা মুসলিম ছিলাম, তখন আমরা কিছুটা ছাড় পেয়েছি। মুসলিম হিসেবে ঈদের দিন ওরা আমাদেরকে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার সুযোগ দিয়েছে। ঈদের দিন জলদস্যুরা আমাদের ইঙ্গিত দেয় দুই এক দিনের মধ্যে আমাদের মুক্তিপণ আসবে। এরপর সহসায় আমাদের মুক্তি মিলবে।   ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত এমভি আবদুল্লাহর নাবিক রাজু প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর ১৪ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি ফেরেন। ওই সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সাড়ে পাঁচ মাসের বেশি সময় পর রাজুকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মা-বাবা। কেউ কেউ খুশিতে কাঁদতে থাকেন। ছেলের ফিরে আসার দিনক্ষণ আগেই জানা ছিল মা-বাবার। রাজুর বন্ধুরা চট্রগ্রাম থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময় ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেন মা-বাবাসহ স্বজনরা।  ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি পণ্যবাহী একটি জাহাজ এবং ২৩ নাবিক ও ক্রু সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ছিলেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক দেশের মাটিতে পা রাখেন। উল্লেখ্য, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি জিম্মি করেছিল। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি জিম্মি করেছিল সশস্ত্র জলদস্যুরা। ১৪ এপ্রিল ভোরে জাহাজটি দস্যুমুক্ত হয়।
১৫ মে, ২০২৪

ইরানের বড় অস্ত্র চোরাচালান আটকে দিল জর্ডান
ইরানের বড় অস্ত্র চোরাচালান আটকে দেওয়ার দাবি করছে জর্ডান। দেশটির দাবি, এসব অস্ত্র জর্ডানের ক্ষমতাসীন রাজতন্ত্রের বিরোধীদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সহায়তার জন্য আনার চেষ্টা করছিল ইরান। বুধবার (১৫ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  বিষয়টি অবগত এমন দুটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অস্ত্র পাচারে সন্দেহভাজন ইরানি নেতৃত্বাধীন চক্রান্তকে জর্ডান ব্যর্থ করে দিয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্রগুলো সিরিয়ার ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি সেলের কাছে পাঠিয়েছিল। এ সেলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের সামরিক শাখার সম্পর্ক রয়েছে। মার্চের শেষের দিকে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত জর্ডানিয়ান সেলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর অস্ত্রের চালানও জব্দ করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার মধ্যে প্রথমবারের মতো জর্ডানে অস্ত্রের চালান জব্দের খবর সামনে এসেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জর্ডানের দুটি সূত্র চলমান তদন্ত এবং গোপন অভিযানের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে অস্ত্র দিয়ে কি ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তা তারা জানাননি। এছাড়া কি ধরনের অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে তাও তারা জানাননি।  সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জর্ডানের নিরাপত্তা পরিষেবাগুলো ইরান এবং তার মিত্রদের কয়েকটি অস্ত্র চালান আটকে দিয়েছে। এসব চালানে ক্লেমোর মাইন, সি৪ এবং সেমটেক্স বিস্ফোরক, কালাশনিকভ রাইফেল এবং ১০৭ মিমি কাতিউশা রকেট ছিল। জর্ডানের সূত্র অনুসারে, এ সব অস্ত্রের বেশিরভাগ ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জন্য নির্ধারিত ছিল। এছাড়া মার্চে জব্দ করা অস্ত্র জর্ডানে ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছিল। জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুড জানিয়েছে, অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে তাদের কয়েকজন কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে এর সঙ্গে দলের কোনো নীতিগত সমর্থন নেই বলে জানিয়েছে তারা।  এর আগে সম্প্রতি ইরানের চালানো নজিরবিহীন হামলায় ইসরায়েলের পক্ষ নেয় জর্ডান। ওই সময়ে ইরানের ছোড়া বেশকিছু ড্রোন ভূপাতিত করে তারা। তাদের দাবি, জর্ডানের আকাশসীমায় প্রবেশ করায় জনগণের নিরাপত্তার জন্য এগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে। এতে বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে তাদের। ওই সময়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদামাধ্যম জানায়, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এমন সবকিছুর মোকাবিলা করবে যা মাতৃভূমি এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা বিপন্ন করবে। এ ছাড়া আকাশসীমা ও ভূখণ্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।
১৫ মে, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থাকা লেজার অস্ত্র কতটা শক্তিশালী?
লেজারের মতো দেখতে একটি রশ্মি গাজায় আঘাত হানছে, এমন একটি ছবি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য সানের দাবি, এটা আসলে লেজার মিসাইল। ওই ছবিতে যে রশ্মি দেখা গেছে, সেটা কীসের তার সত্যতা নিশ্চিত করা না গেলেও লেজার দিয়ে হামলার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে বিশ্বে যে কয়েকটি দেশের হাতে লেজার অস্ত্র রয়েছে, ইসরায়েল তাদের একটি। লেজার প্রযুক্তির তৈরি অস্ত্র, এখনো খুব একটা বিকাশ লাভ করেনি। তবে এই অস্ত্র দিয়ে শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করতে খরচ হয় খুবই কম। আবার বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলেই চালানো যায় হামলা। তাই সামরিক শক্তিতে বলীয়ান দেশগুলো ঝুঁকছে লেজার অস্ত্রের দিকে। এরই ধারাবাহিকতা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী লেজার অস্ত্র বানাতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য গেল বছর অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনের সঙ্গে একটি চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে ৫০০ কিলোওয়াটের লেজার অস্ত্র সরবরাহ করবে। একবার এমন অস্ত্র তৈরি হয়ে গেলে ওই লেজার বিম দিয়ে ক্রুজ মিসাইলও ধ্বংস করা যাবে। বর্তমানে মার্কিন সেনাবাহিনীর হাতে যে লেজার অস্ত্র রয়েছে, তার ক্ষমতা ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের সময়েই দেশটির সেনাবাহিনী রাসায়নিক লেজারের পরীক্ষা শুরু করে। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই গুঁড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য ছিল মার্কিন সেনাবাহিনীর। তবে সেই আশায় গুড়ে বালি। খুব দ্রুতই মার্কিন সেনাবাহিনী উপলব্ধি করে, এই প্রযুক্তি এখনো প্রস্তুত হয়ে ওঠেনি। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে লেজার অস্ত্র প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়েছে। বর্তমানে ইসরায়েলের হাতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী লেজার অস্ত্র। এই অস্ত্রকে আয়রন বিম নামে দেওয়া হয়েছে। প্রচলিত এসব লেজার অস্ত্র দিয়ে আকাশপথে আসা অধিকাংশ হামলা ঠেকানো সম্ভব না। এখন পর্যন্ত ড্রোন এবং মর্টারের ক্ষেত্রে সাফল্য দেখাতে পেরেছে লেজার অস্ত্র। কিন্তু ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে অ্যান্টি-মিসাইলের সাহায্য নিতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইনডিরেক্ট ফায়ার প্রোটেকশন ক্যাপাবিলিটি-হাই এনার্জি লেজার (আইএফপিসি-এইচইএল) প্রোটোটাইপ কর্মসূচির আওতায় তৈরি করা অস্ত্রের সক্ষমতা ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত। কয়েক বছর আগে লকহিডের ৩০০ কিলোওয়াটের লেজার রশ্মি একটি সিমুলেটেড ক্রুজ মিসাইল ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়। তবে ২০২৫ সালে লকহিড ৫০০ কিলোওয়াটের লেজার অস্ত্র সরবরাহ করলে দৃশ্যপট আরও ভিন্ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আকাশপথ থেকে আসা যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার মতোই লেজার ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়। কিন্তু ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ছেড়ে লেজার অস্ত্রের দিকে ঝুঁকে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এই প্রযুক্তির খরচ খুবই কম। একটি মিসাইল লঞ্চ করতে যেখানে ৫০ হাজার থেকে দেড় লাখ ডলার পর্যন্ত খরচ হয়, সেখানে লেজার ব্যবস্থায় তা মাত্র কয়েক ডলার। লেজার ব্যবস্থার আরও একটি বড় সুবিধা হচ্ছে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলে কখনো অ্যামিউনিশন শেষ হবে না। এই অস্ত্র ব্যবহারে একমাত্র খরচ হচ্ছে বিদ্যুৎ। কিন্তু এত কিছুর পরও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির মতো শক্তিশালী লেজার বানানো অনেক দূরের বিষয়। বর্তমানে প্রচলিত প্রযুক্তির সাহায্যে সর্বোচ্চ কোনো একটি টার্গেট ছিদ্র করতে সক্ষম লেজার রশ্মি। তবে জ্বালানি বা ওয়ারহেডে রশ্মি আঘাত করলে ভিন্ন কথা।  
১৫ মে, ২০২৪

অস্ত্র ও মাদকসহ যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
বগুড়ার ধুনটে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট (মাদক) ও বার্মিজ ৫ ইঞ্চি চাকুসহ এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১২ মে) রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের ধামাচাপা গ্রামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত যুবলীগ নেতার নাম মাহমুদুল হাসান ওরফে মিলন (৫২)। তিনি ধামাচাপা উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ইসাহাক আলীর ছেলে। এ ছাড়াও তিনি ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি। থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে- নিমগাছী ইউনিয়নের ধামাচাপা গ্রামের মাহমুদুল হাসান তার বাড়ির ভেতরের আঙিনায় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট নিজ হেফাজতে রেখে মাদকসেবীদের কাছে বিক্রির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে- এমন খবরে রাতে ইউনিয়নের সোনাহাটা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে থানা পুলিশ। পরে রাত ৯টার দিকে তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছে থাকা ২০ পিস গোলাপি রঙের নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট ও ১টি বার্মিজ টিপ চাকু জব্দ করে পুলিশ। ধুনট থানার ওসি সৈকত হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট নামক মাদক ও বার্মিজ ৫ ইঞ্চি টিপ চাকুসহ মাহমুদুল হাসান ওরফে মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনের ২টি ধারায় মামলা করে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১৩ মে, ২০২৪

অস্ত্র হাতে মহাসড়কে তরুণীর নাচ, ভিডিও ভাইরাল
এবার অস্ত্র হাতে মাঝ রাস্তায় নাচলেন এক তরুণী। সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে তার এ নাচের দৃশ্য। এ ঘটনার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ওই তরুণী। তাকে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনারও দাবি উঠছে।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়— কমলা রঙের একটি শর্ট কামিজ পরে মহাসড়কের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে নাচছেন ওই তরুণী। এসময় তার ডানহাতে একটি অস্ত্র দেখা যায়। নাচের একপর্যায়ে অস্ত্রটি তিনি সড়কে ছুড়ে ফেলেন। তখনও চলছিল তার নাচ।   এনডিটিভি জানিয়েছে, ভিডিওটি ঠিক কবে ধারণ করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে, সম্প্রতি এটি ভাইরাল হয়। এতে এক তরুণীকে রাস্তার মাঝখানে অস্ত্র হাতে নাচতে দেখা যায়। ওই তরুণী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুবই পরিচিত।  পুলিশ জানায়, ঘটনাটি ভারতের উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌতে। আর এই ঘটনার পরই সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজ্য পুলিশ। দেওয়া হয়েছে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ভিডিওতে দেখা যায়, পিস্তল উচিয়ে একটি গানের তালে তালে ওই তরুণী যখন নাচছিলেন, তখনো তার পাশ দিয়ে যানবাহন চলছিল। সে সময় তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছিল একের পর গাড়ি। দূরে কয়েকজন দাঁড়িয়ে দেখছিলেন তার এই কীর্তিকলাপ। হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে এ ধরনের ভিডিও বানানোয় ওই তরুণীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বহু মানুষ। এমন সস্তা উপায়ে জনপ্রিয়তা চাওয়ারও সমালোচনা করেছেন নেটিজেনরা।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, যে তরুণীকে পিস্তল হাতে ভিডিও বানাতে দেখা গেছে তার নাম সিমরন যাদব। তিনি উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়। জানা গেছে, ইনস্টাগ্রামে সিমরনের ২২ লাখেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে। আর ইউটিউবে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ১৮ লাখের বেশি। অ্যাডভোকেট কল্যাণজি চৌধুরী নামে একটি এক্স হ্যান্ডলে সিমরনের সেই ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। ভাইরাল ওই ভিডিওতে ভোজপুরি গানে নাচছিলেন সিমরন। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই অনেকে এই তরুণীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আর সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে লক্ষ্ণৌ পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তরুণীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। 
১১ মে, ২০২৪

মার্কিন অস্ত্র ‘ইরানের হাতে’, নেপথ্যে কে?
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ইরানকে কোনোভাবেই মাথা তুলে দাঁড়াতে দিতে চায় না পশ্চিমারা। এ জন্য তারা দেশটির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক, সামরিকসহ বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞার জাল বিসিয়ে রেখেছে। কিন্তু তেহরান এসব নিষেধাজ্ঞা মুহূর্তেই ব্যর্থ করে দিচ্ছে। ইরানকে নিশ্চিন্তে রেখেছে তাদের বিজ্ঞানীরা। দেশটির ইমলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির বিজ্ঞানীদের সাহায্যে অস্ত্র শিল্পের বিশাল এক বাজার তৈরি করেছে তেহরান।  ইরানি বিজ্ঞানীদের কদর আরেক জায়াগায়। বিদেশি অস্ত্রের কপি করে অর্থাৎ রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং করে মুহূর্তেই নতুন অস্ত্র তৈরি করতে পারেন তারা। এ ক্ষেত্রে ইরানি বিজ্ঞানীদের ধারে কাছেও নেই কোনো দেশ। রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য তেহরানকে চরম ভয় পায় যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেনসহ অন্যান্য পশ্চিামা দেশগুলো। গত বছর রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং করে সাদিদ থ্রি সিক্সটি ফাইভ তৈরি করেছে ইরান। সাদিদ ইরানের একটি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র। এই অস্ত্রটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের রেথিয়ন এবং লকহিড মার্টিনের অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল সিস্টেম থেকে বিপরীত প্রকৌশলের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। প্রশ্ন হলো মার্কিন অস্ত্র ইরান হাতে পেল কীভাবে? মূলত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বন্ধু ইরানের হাতে এসব অস্ত্র তুলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিনিমিয়ে ইরানও তাদের শক্তিশালী ড্রোন রাশিয়াকে দিয়েছে। যে ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনকে ঘায়েল করতে সক্ষম হয়েছেন পুতিন।  রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করা ইরানের সাদিদ-৩৬৫ নামক ক্ষেপণাস্ত্রটি আট কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে অবস্থানরত বিভিন্ন ধরনের ট্যাংক ধ্বংস করতে সক্ষম। এই গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র অত্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে এবং ট্যাংক সুরক্ষাব্যবস্থা বা একেএস ভেদ করতে পারে।  রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে ইরানের স্থানীয়ভাবে তৈরি করা সফল অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে তুফান অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র। এটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বিজিএম সেভেন্টি ওয়ান টিওডব্লিউ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র থেকে তৈরি করা হয়েছিল। সেন্টার ফর এ নিউজ আমেরিকান সিকিউরিটির বিশেষজ্ঞ জোনাথন লর্ড সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন- ইরান অত্যন্ত সফলভাবে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রের বিপরীত ইঞ্জিনিয়ারিং করেছে এবং তুফান তৈরি করেছে, যা প্রায় আসল অস্ত্রের মতো। ইরানের তুফান অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রটি এখন তেহরানের মিত্র গোষ্ঠীগুলোকে সরবরাহ করা হয়েছে। যা ইসরায়েল এবং পশ্চিমাদের আতঙ্কিত হওয়ার আরেকটি কারণ। এর আগে ২০১১ সালে ইরানের সামরিক বাহিনী মার্কিন ড্রোন আর কিউ সেন্টিনেল আটক করতে সক্ষম হয়েছিল। এরপর বিভার্স  ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে দেশটি সেন্টিনেলের একটি নতুন কপি তৈরি করে। ইরানের শাহেদ ড্রোনগুলোর সঙ্গে সেন্টিনেলের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া গেছে। এই অবস্থায় পশ্চিমারা ইরানের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি করতে এবং তেহরানের প্রক্সি এবং মিত্রদের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চরম ভয় পাচ্ছে। কারণ ইরানের হাতে পশ্চিমাদের তৈরি অত্যাধুনিক অস্ত্র চলে গেলেই তারা রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে এর চেয়ে ভয়ংকর অস্ত্র তৈরি করে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করবে।
০৮ মে, ২০২৪

ক্ষমা চাইলেন ভোটকেন্দ্রে অস্ত্র নিয়ে যেতে বলা সেই ইউপি সদস্য
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ব্যাগে করে অস্ত্র নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার কথা বলে ভাইরাল হওয়া ইউপি সদস্য মো. কবির হোসেন নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন।  মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের মজলিশপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এলাকাবাসী ও ভোটারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।  ইউপি সদস্য কবির হোসেন বলেন, প্রচারণা সভায় ভোটারদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে অস্ত্র বলতে ভোটারদের ভোটার আইডি কার্ডকে ব্যাগে করে কেন্দ্রে নিয়ে যেতে বলেছি। দেশীয় অস্ত্র বা আগ্নেয়াস্ত্র বুঝাইনি। তারপরও আমি ভাষাগত কারণে শব্দটি নির্বাচন আচরণবিধি বহির্ভূত বলে স্বীকার করেছি। তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থী ও ভোটারদের কাছে বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি। ভবিষ্যতে নির্বাচন আচরণবিধি মেনে চলব এবং উগ্র বা উসকানিমূলক বাক্য উচ্চারণে আরও সতর্ক থাকব। এর আগে শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় বিনাউটি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রামে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাইদুর রহমান স্বপনের কাপ-পিরিচ মার্কার প্রচারণা সভায় ইউপি সদস্য কবির হোসেন তার বক্তৃতায় নির্বাচনের দিন প্রত্যেকে ব্যাগে করে যার যার অস্ত্র নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার ঘোষণা দেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বক্তব্যটি ভাইরাল হলে প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা প্রশাসনের নজরে আনেন।  পরে উপজেলা প্রশাসন ডেকে এনে তার এ সহিংস ঘোষণার কারণ জানতে চাইলে তিনি ভুলে বলে ফেলেছেন বলে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং এমন আচরণ আর কখনও করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
০৮ মে, ২০২৪

কেএনএফের আস্তানা থেকে উদ্ধার যেসব অস্ত্র
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) একটি বাংকারের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।  মঙ্গলবার (৭ মে) রুমা উপজেলার দুর্গম দার্জিলিং পাড়ায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে কেএনএফের এক সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, অভিযানে কেএনএ সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করা বাংকার, পর্যবেক্ষণ চৌকি ছাড়াও ৩টি একে-২২ রাইফেল, ১টি শর্টগান, ৭১ রাউন্ড তাজা অ্যামোনিশন, ১৫৭ রাউন্ড শর্টগান অ্যামোনিশন, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সরঞ্জামাদি, ১টি ড্রোন, ৩টি জুম্মল্যান্ডের পতাকা ও মোবাইল ফোনসহ ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে রুমা থানার ওসি শাহজাহান জানান, রুমা দার্জিলিং পাড়া থেকে একজন কেএনএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। তবে এখনও নিহত কেএনএফ সদস্যের নাম পরিচয় জানা যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় কেএনএফের সশস্ত্র হামলায় সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট, ভাঙচুর এবং ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। রুমার ঘটনার ১৭ ঘণ্টা পর থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের দুটি শাখা থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা লুট করে অস্ত্রধারীরা। দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন ‘কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ’ জড়িত বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।তবে দু’দিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২ উপজেলায় ৯টি মামলা হয়। কেএনএফকে দমনে মাঠে নামে যৌথ বাহিনী। যৌথ অভিযানে কেএনএফের সহযোগী লাল লিয়ান সিয়াম বম ও সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয় চেওসিম বমসহ পর্যায়ক্রমে ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
০৭ মে, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন / ভোটের দিন অস্ত্র নিয়ে যেতে বললেন ইউপি মেম্বার!
ভোটের দিন অস্ত্র নিয়ে কেন্দ্রে যেতে বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার (সদস্য) মো. কবির হোসেন। শুক্রবার (৩ মে) উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকার পশ্চিম পাড়ায় এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।   এক মিনিট ১৯ সেকেন্ডের এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।  ভিডিওতে কবির হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা কিন্তু ভোটের দিন প্রত্যেকে যার যার ব্যাগে যার যার অস্ত্র লয়া মাঠে আসতে হবে।’ এ সময় তিনি ওই এলাকার কেন্দ্র থেকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী ছাইদুর রহমান স্বপনকে ৫০০ ভোটে জয়ী করার আহবান জানান। পাশাপাশি ছাইদুর রহমানের পক্ষে কাজ করার জন্য উপস্থিত সবার প্রতিশ্রুতি আদায় করেন। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক দুবরাজ।  এ বিষয়ে কবির হোসেন বলেন, ‘আমি ব্যাগে বলতে গতি বুঝিয়েছি। আর অস্ত্র বলতে ভোটকে বুঝিয়েছি। আসলে গ্রামের ভাষায় আবেগ নিয়ে বলতে গিয়ে বিষয়টা অন্যরকম শোনা গেছে। ইউএনও গত রোববার আমাকে বিষয়টি নিয়ে ডাকিয়েছেন। আমি এভাবে বলে এসেছি। এ সময় প্রার্থী ছাইদুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।’
০৬ মে, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ / ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের সেনাদের বিরুদ্ধে শ্বাসরোধকারী এজেন্ট ক্লোরোপিক্রিন ব্যবহার করে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ওপর বিশ্বব্যাপী যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে ওয়াশিংটন। খবর রয়টার্সের। এ ধরনের রাসায়নিকের অস্ত্র ব্যবহার কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সম্ভবত ইউক্রেনীয় বাহিনীকে সুরক্ষিত অবস্থান থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এবং যুদ্ধক্ষেত্রে কৌশলগত ফল অর্জনের জন্য রুশ বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে এসব অস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়া। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের কারণে মস্কোর ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। ক্লোরোপিক্রিন একটি বর্ণহীন তৈলাক্ত তরল যা চোখ, ত্বক এবং ফুসফুসে মারাত্মক জ্বালা সৃষ্টি করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রচুর পরিমাণে এ ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অকুপেশনাল হেলথ অ্যান্ড সেফটি জানিয়েছে। যদিও কৃষিকাজে কীটনাশক হিসেবে এটি এখনো ব্যবহার করা হয়। তবে ১৯৯৩ সালে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের (সিডব্লিউসি) অধীনে এটি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাশিয়া বলছে যে, তাদের কাছে আর সামরিক রাসায়নিক অস্ত্রাগার নেই। তবে বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের যে অভিযোগ উঠেছে, সে ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা প্রকাশের জন্য ক্রমাগত চাপের মুখে রয়েছে মস্কো। ক্লোরোপিক্রিন ছাড়াও রুশ বাহিনী সিএস এবং সিএন গ্যাস সমৃদ্ধ গ্রেনেড ব্যবহার করে আসছে। চলতি মাসের শুরুতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানায়। এতে আরও বলা হয় যে, অন্তত ৫০০ ইউক্রেনীয় সৈন্যকে বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আসার জন্য চিকিৎসা করা হয়েছে এবং একজন টিয়ার গ্যাসে দম বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ২০২১ সাল পর্যন্ত ইউক্রেনের ডেপুটি প্রসিকিউটর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জিউন্দোজ মামেদভ। গত ২৪ এপ্রিল সামাজিক মাধ্যমে তিনি এক পোস্টে বলেন, রুশ সেনাবাহিনী গত ছয় মাসে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৯০০ বার টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে।
০৩ মে, ২০২৪
X