বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) একটি বাংকারের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (৭ মে) রুমা উপজেলার দুর্গম দার্জিলিং পাড়ায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে কেএনএফের এক সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, অভিযানে কেএনএ সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করা বাংকার, পর্যবেক্ষণ চৌকি ছাড়াও ৩টি একে-২২ রাইফেল, ১টি শর্টগান, ৭১ রাউন্ড তাজা অ্যামোনিশন, ১৫৭ রাউন্ড শর্টগান অ্যামোনিশন, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সরঞ্জামাদি, ১টি ড্রোন, ৩টি জুম্মল্যান্ডের পতাকা ও মোবাইল ফোনসহ ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে রুমা থানার ওসি শাহজাহান জানান, রুমা দার্জিলিং পাড়া থেকে একজন কেএনএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। তবে এখনও নিহত কেএনএফ সদস্যের নাম পরিচয় জানা যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় কেএনএফের সশস্ত্র হামলায় সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট, ভাঙচুর এবং ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে টাকা লুটের ঘটনা ঘটে।
রুমার ঘটনার ১৭ ঘণ্টা পর থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের দুটি শাখা থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা লুট করে অস্ত্রধারীরা। দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন ‘কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ’ জড়িত বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।তবে দু’দিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২ উপজেলায় ৯টি মামলা হয়। কেএনএফকে দমনে মাঠে নামে যৌথ বাহিনী।
যৌথ অভিযানে কেএনএফের সহযোগী লাল লিয়ান সিয়াম বম ও সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয় চেওসিম বমসহ পর্যায়ক্রমে ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন