আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন আইনজীবী যুথী
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী জামিন পেয়েছেন। যুথী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। গতকাল রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন মাহবুব আহমেদের শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আদেশ দেন। এর আগে গত ২০ মার্চ বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তার আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হতে যাওয়ায় তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। ৮ মার্চ রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনা কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী, বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।
১৩ মে, ২০২৪

জমি-খাল গিলে খাওয়া কামরুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চান ১০ আইনজীবী
টঙ্গীর ভূমিদস্যু কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল ওরফে মাচ্ছা কামরুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। গতকাল বুধবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসক বরাবর এই আবেদন করা হয়েছে। আইনজীবীরা হলেন সাকিল আহমাদ, তানজিলা রহমান, শামসুর রহমান, আমিনুর রহমান, ইব্রাহিম হোসাইন, রেশমা রোকেয়া, আনিছুর রহমান, হাজারি জাকিয়া হোমায়রা, ফজলুল কবির রিমন ও এসকে তানজিল ফাহাদ। আবেদনে দখল করা খাল-বিলসহ সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার ও আইন অনুযায়ী কামরুলসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কামরুলের অবৈধ সম্পদের উৎস অনুসন্ধান করতে দুদককে অনুরোধ করা হয়েছে আবেদনে। দৈনিক কালবেলায় গত ৩১ জানুয়ারি ‘জমি-খাল গিলে খান রহস্যময় কামরুল’ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি ‘চার হাজার কোটির সরকারি জমি সেই কামরুলের পেটে’ শিরোনামে প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এই আবেদন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন আইনজীবীরা। কালবেলার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আবেদনে বলা হয়, এক সময় স্থানীয় বাজারে মাছ বিক্রি করলেও জমি, খাল-বিল দখল করে এখন ভূমিদস্যু কামরুল হাজার কোটি টাকার মালিক। খাল-বিল, সরকারি জমিসহ ব্যক্তিমালিকানার অনেক জমি দখল করে বানিয়েছেন শিল্পকারখানা, একাধিক হাউজিং প্রকল্প। এরই মধ্যে ছায়াকুঞ্জ আবাসন প্রকল্পের নামে সাতাইশ মৌজার ২৬ বিঘা আয়তনের ধনাই বিল ভরাট করে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে দাঁড়াইল মৌজার বাগুনি বিলও দেদার ভরাট চলছে। আবেদনে আরও বলা হয়, পরিবেশ আইন ও জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুসারে যে কোনো জলাশয়, পুকুর, নদী, খাল, বিল, হাওর ও দীঘি ভরাট করা নিষিদ্ধ। অথচ ওই প্রতিবেদনের পরও এসব খাল-বিল, সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। তাই খাল-বিলসহ সরকারি যেসব সম্পত্তি বেদখল হয়েছে, তা দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধারের জন্য অনুরোধ করা হয় আবেদনে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে এই বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

আদালত অবমাননা  / ফের পেছাল বিএনপির ৭ আইনজীবীর শুনানি
বিএনপি সমর্থিত সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি ফের পেছাল। বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানির জন্য আগামী ১২ জুন নির্ধারণ করেন। এদিকে আদালতের অনুমতি ছাড়াই জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর এবং বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। পরে শুনানির দিন ৭ আইনজীবীকেই আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিএনপির বাকি ৫ আইনজীবী হলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহসম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল। গত বছরের ১৫ অগাস্ট শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে দুই বিচারকের বক্তব্য ধরে তাদের অপসারণ চেয়ে কর্মসূচি পালন করেন বিএনপির আইনজীবীরা। পরে তারা সুপ্রিম কোর্টে সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিল করেন এবং দুজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলনসহ তাদের বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচিও ঘোষণা করেন। পরে গত ২৯ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টে সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে আইনিব্যবস্থা চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

‌‘কুলাঙ্গাররা’ বিএনপিতে থাকুক, আমি চাই না : ব্যারিস্টার কায়সারকে খোকন
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, ১৮ বছর বয়স থেকে বিএনপি করছি, করব। পদ-পদবি কোনো বিষয় নয়। তবে কুলাঙ্গাররা শহিদ জিয়ার বিএনপিতে থাকুক, এটা আমি চাই না।  সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।  ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে অর্বাচীন বালক হিসেবে উল্লেখ করে খোকন বলেন, তিনি একজন আত্মস্বীকৃত অপরাধী। নৈতিক স্খলনের কারণে আইনজীবী ফোরাম থেকে তার সদস্যপদ থাকা উচিত নয়। সরকারের এই এজেন্টকে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত।  নির্বাচনে জয়ী হয়ে বার সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় ব্যারিস্টার খোকনকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই ফোরামের মহাসচিব পদে রয়েছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।  মাহবুব উদ্দিন খোকন তার বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামালকে উদ্দেশ করে বলেন, ফোরামের তো গঠনতন্ত্রই নেই। সে কীভাবে বহিষ্কার করে? তার তো ক্ষমতাই নেই? যতক্ষণ পর্যন্ত গঠনতন্ত্র না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কাউকে বহিষ্কার করা যাবে না। এটা আইনত কার্যকর নয়। আমি বিএনপি করছি, করব। তিনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা বার নির্বাচনে অংশ নিই। সেই নির্বাচনে আমরা ১৪টি পদের মধ্যে ১২টিতে জয়ী হতাম। কিন্তু কায়সার কামাল তিনবার সরকারের প্যানেলের পক্ষে কাজ করায় আমরা সভাপতিসহ চারটি পদে জয়ী হয়েছি। নির্বাচনের পর ভোট গণনা থেকে আমাদের এজেন্টদের কেন সরিয়ে নেওয়া হলো। এজেন্টদের সরিয়ে নেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগকে ওয়াকওভার দেওয়া। অর্থাৎ বার নির্বাচনে সরকারকে জেতানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছেন কায়সার কামাল। এ ষড়যন্ত্রের মূলে ছিল ভোট গণনার সময় এজেন্টদের সরিয়ে  নেওয়া। যদি এজেন্টদের সরিয়ে নেওয়া না হতো তাহলে আমরা ১২ পদে জয়ী হতাম।  প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে ১৪টি পদের বিপরীতে সভাপতিসহ চারটি পদে বিজয়ী হয়েছিল বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল। অপরদিকে সম্পাদকসহ ১০টি পদে বিজয়ী হয়েছে সরকার সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ। গত ৬ ও ৭ মার্চ নির্বাচন শেষে ৯ মার্চ রাতে ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র অ্যাডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের। এরপর বিএনপি সমর্থিত বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চারজনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে গত ২৭ মার্চ চিঠি দিয়েছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। তবে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের চিঠি পাওয়ার পরও অপর তিনজন দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকলেও গত ৪ এপ্রিল দায়িত্ব নেন মাহবুব উদ্দিন খোকন। এটাকে চরম দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি উল্লেখ করে শনিবার তাকে ফোরাম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

ব্যারিস্টার খোকনকে আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার ফোরামের দপ্তর সম্পাদক মো. জিয়াউর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ৬ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি/সম্পাদকদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আপনার (ব্যারিস্টার খোকন) এমন কার্যক্রমকে দলীয় চরম শৃঙ্খলা পরিপন্থি হিসেবে গণ্য করে সর্বসম্মত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতির পদ থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’ গত ৪ এপ্রিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সুপ্রিম কোর্ট বারের ২০২৪-২৫ মেয়াদের সভাপতি দায়িত্ব গ্রহণ করেন ব্যারিস্টার খোকন। তিনিসহ চারজন নির্বাচনে এ প্যানেল থেকে বিজয়ী হন। তবে বাকি তিনজন দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। এমনকি দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানেও যাননি। নির্বাচনের পরই বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করেছিলেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ মার্চ ব্যারিস্টার খোকনসহ ওই চারজনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে চিঠি দেয় আইনজীবী ফোরাম। ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি/সম্পাদকদের এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিগত ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের পর গত ১০ মার্চ ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সংগত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, আপনাকে/আপনাদের এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি/ আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদকালের দায়িত্বগ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। আপনি/আপনারা দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলীয় এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।’
২২ এপ্রিল, ২০২৪

ব্যারিস্টার খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দপ্তর সম্পাদক মো. জিয়াউর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৬ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি/সম্পাদকদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আপনার (ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন) এমন কার্যক্রমকে দলীয় চরম শৃঙ্খলা পরিপন্থি হিসেবে গণ্য করে সর্বসম্মত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতির পদ থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গত ৪ এপ্রিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিদ্ধান্ত অমান্য করে  সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের নির্বাচনে বিএনপির প্যানেল থেকে বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন দায়িত্ব গ্রহণ করেন।  সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে বিএনপির প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত তিনজন দায়িত্ব গ্রহণের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। এ ছাড়া জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কোনো পদধারী নেতা দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। শুধু ব্যারিস্টার খোকনের অনুসারী বিএনপিপন্থি আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ২৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের নির্বাচনে বিএনপির প্যানেল থেকে বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চারজনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে চিঠি দেয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি/সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিগত ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের পর গত ১০ মার্চ ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সংগত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, আপনাকে/আপনাদের এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি/ আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদকালের দায়িত্বগ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। আপনি/আপনারা দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলীয় এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।’
২১ এপ্রিল, ২০২৪

জামালপুরে ট্রাকচাপায় আইনজীবী নিহত 
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় ট্রাকচাপায় গোলাম মোস্তফা আজাদ (৬০) নামে এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে পৌর শহরের মালিবাগ মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত গোলাম মোস্তফা আজাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কামালপুর গ্রামের মৃত সোনা মিয়া চেয়ারম্যানের ছেলে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বকশীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পৌর শহরের ব্যক্তিগত কাজ শেষ করে শহরের উত্তর বাজার এলাকার নিজ বাসবভনে ফিরছিলেন আইনজীবী আজাদ। এ সময় তিনি মালিবাগ মোড় এলাকা পার হতে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাকসহ চালক গোলাপ মিয়াকে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে আটক করেছেন। বকশীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান,  ট্রাকের চাপায় আইনজীবী নিহতের ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

আদালতে ‘কালো পোশাক’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞপ্তি
এ অবস্থায় নিম্ন আদালতের আইনজীবী ও বিচারকরা কালো পোশাক ছাড়াই আদালতে আসতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। ৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবত থাকবে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে- চলমান তাপপ্রবাহের কারণে দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতির আলোচনা হয়েছে।  এতে সিদ্ধান্ত হয় যে, অধস্তন দেওয়ানী ও ফৌজদারি আদালত/ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও আইনজীবীদের মামলা শুনানিকালে পরিধেয় পোশাক সংক্রান্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের গত বছরের ১৮ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে। গত বছরের ১৩ মে’র বিজ্ঞপ্তি পুনর্বহাল করা হলো। এ অবস্থায় দেশের সব অধস্তন দেওয়ানী ও ফৌজদারি আদালত/ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং আইনজীবীরা ক্ষেত্রমত সাদা ফুলশার্ট বা সাদা শাড়ি/সালোয়ার কামিজ ও সাদা নেক ব্যান্ড/কালো টাই পরিধান করবেন। এক্ষেত্রে কালো কোট এবং গাউন পরিধানে আবশ্যকতা নেই। ৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবত থাকবে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ‘ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট‘ এর পক্ষে আইনজীবী ও বিচারকদের জন্য গ্রীষ্ম ও শীতকালীন আলাদা ‘ড্রেস কোড‘ নির্ধারণের জন্য প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন করেছেন একদল আইনজীবী। ই-মেইলে এ আবেদন পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, বায়েজীদ হোসাইন, নাঈম সর্দার ও সোলায়মান তুষার। গত বছর এক হিট স্ট্রোকে এক আইনজীবীর মৃত্যুর পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীদের কালো কোট ও গাউন পরার বাধ্যবাধকতা থেকে রেহাই দিয়েছিল। তবে শীত পড়ার পর ফের কালো গাউন ও কোট পরা শুরু হয়। এপ্রিলের শুরু থেকে আবার তীব্র গরম পড়েছে একসপ্তাহ ধরে। এই অবস্থায় পোশাক নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে আবার অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

এবার ড. ইউনূসের ইউনেস্কোর পুরস্কার নিয়ে মুখ খুললেন তার আইনজীবী
নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইউনেস্কোর ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কার নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক মহল। তার পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। বিষয়টি নয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে রাজনৈতিক ও  সুশীল সমাজের নেতারা। এবার এ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ‘দ্য ট্রি অব পিস’ নামে কোনো পুরস্কার পেয়েছেন কি না সে বিষয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। ড. ইউনূস দেশে ফিরলে, আসল কাহিনি জানা যাবে।  এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য অপমান ও দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, যিনি নিজেই সমুদ্র- তিনি কেন পুকুর চুরি করবেন। ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ড. ইউনূস যে বাকু সম্মেলনে গিয়েছিলেন সেখানে ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। ৯ দেশের সাবেক এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট মিলিতভাবে তাকে এ অনুষ্ঠানের দাওয়াত দিয়েছিলেন। এখন ইউনূস সেন্টার থেকে কোনো কর্মচারী এই পুরস্কার নিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। ড. ইউনূস তো সেখান থেকে এটা প্রকাশ করেননি। তিনি দেশে আসলেই এ বিষয়ে জানা যাবে।  তিনি বলেন, পুরস্কারের বিষয়ে কোনো ভুলভ্রান্তি হতে পারে। কিন্তু তাই বলে এটাকে প্রতারণার নাম দেওয়া হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। ড. ইউনূস তো নিজেই সমুদ্র, তিনি কেন পুকুর চুরি করবেন। তাকে সম্মাননা দেওয়ার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা, ব্যক্তি উদগ্রীব থাকে। তাকে যে ভাষায় শিক্ষামন্ত্রী অপমান করেছেন তার নিন্দা করার ভাষা নেই। এর আগে গত ২১ মার্চ ইউনূস সেন্টার থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একাদশ গ্লোবাল বাকু সম্মেলনের শেষ দিনে ড. ইউনূসের হাতে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টেও তার এ পুরস্কার পাওয়ার কথা জানানো হয়। তবে এ খবর সত্য নয় বলে জানিয়েছে ইউনেস্কোর ঢাকা অফিস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্যারিসের ইউনেস্কো সদর দপ্তর ড. ইউনূসের এ পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়। এটি প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। অন্যদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাওয়ার খবরটিকে ‘প্রতারণা’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।  তিনি বলেন, ইসরায়েলি একজন ভাস্করের দেওয়া পুরস্কার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচারণা চালিয়েছেন। বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এদিকে ইউনূস সেন্টার থেকে বরাবরের মতো মিথ্যাচার করা হয়েছে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ড. ইউনূস ইসরায়েলের এক ভাস্করের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন, যা গাজায় হত্যাযজ্ঞকে সমর্থনের সামিল।
২৮ মার্চ, ২০২৪

সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনে মারামারি / মুক্তি পেলেন ব্যারিস্টার কাজল
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর মুক্তি পেয়েছেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর ব্যারিস্টার কাজল জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আমার বিজয় নিশ্চিত ছিল। আমিসহ আমাদের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের বিজয় ঠেকাতে আমাকে গ্রেপ্তার করে ফলাফল ডাকাতি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিগত দুই বছর ভোট ছাড়াই সমিতি অবৈধভাবে দখলে ছিল, তারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের পর ফলাফল ঘোষণা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত দৃশ্যপট তৈরি হয়। ভোট গণনা কখন হবে তা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানে যুবলীগের আইনজীবী ও বহিরাগত নেতাকর্মী সমিতি মিলনায়তনে ঢুকে পড়ে। এ সময় নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত উপকমিটির সদস্য ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এস আর সিদ্দিকী সাইফ পুরো অবস্থার ভিডিও করতে থাকেন। যুবলীগের বেশ কয়েকজন এ সময় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান (এস আর) চৌধুরী সাইফের ওপর চড়াও হন। মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত সাতজন আইনজীবী আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভোট গণনা বন্ধ হয়ে যায়। মারামারি এ ঘটনার জন্য সমিতির সম্পাদক প্রার্থী ও যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিকে দায়ী করেন আহত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ। তিনি বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত ৮ মার্চ শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলায় নাহিদ সুলতানা যুথিকে এক নম্বর আসামি করেন। এ ছাড়াও বিএনপি সমর্থক সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করেন। অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়। মামলার দিন রাতেই বিএনপি সমর্থক আইনজীবী ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ছাড়া একই দিন রাতে যুথীর বাসায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরের দিন গত ৯ মার্চ দুপুরে সমিতির ভোট গণনা শুরু হয়। ওই দিনসন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের তোপখানা রোডে নিজ চেম্বার থেকে ব্যারিস্টার কাজলকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে গতকাল বুধবার ব্যারিস্টার কাজল হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
২১ মার্চ, ২০২৪
X