‘সুন্দরবনে আগুন লাগায় মাছ ব্যবসায়ীরা’
সুন্দরবনে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ফলে সামগ্রিকভাবে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। বড় গাছসহ লতাগুল্ম মারা যাচ্ছে। প্রাণীদের আবাস ও প্রজননস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বন্যপ্রাণীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। কিছু অসৎ বন কর্মকর্তার যোগসাজশে মুনাফালোভী মাছ ব্যবসায়ীরা বারবার সুন্দরবনে আগুন লাগাচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, আইনের আওতায় এনে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার মোংলা প্রেস ক্লাবে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। লিখিত বক্তব্য দেন সুন্দরবন রক্ষায় আমরার সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ। আরও বক্তব্য দেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরার অধ্যক্ষ মো. সেলিম, কমলা সরকার, হাছিব সরদার, সুন্দরবনের জেলে সমিতির সভাপতি বিদ্যুৎ মণ্ডল, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার নাজমুল হক, শেখ রাসেল প্রমুখ।
০৮ মে, ২০২৪

অবশেষে বৃষ্টির আশির্বাদেই নিভলো সুন্দরবনের আগুন
অবশেষে বৃষ্টির আশির্বাদেই নিভলো সুন্দরবনের আগুন। ৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলা আগুন নিয়ন্ত্রণের আসে সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় মুশল ধারে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর। মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন সাড়ে ৭ একরের মত বনভূমির গাছ পুড়ে গেলেও কোন বন্যপ্রাণীর মৃত্যু বা আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে গত দুই যুগে একই জায়গায় ২৫ বার আগুন লাগায় ১শ একরের বেশি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে। প্রত্যেকবারই তদন্ত কমিটি করা হয়। আর প্রত্যেকবারই কাছাকাছি একই প্রদিবেদন দাখিল করে বন বিভাগের তদন্ত কমিটি। কমিটির সুপারিশগুলো আমলে নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ার ফলে পরের বছর একই এলাকায় আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জের সুন্দরবনের অনেক জায়গায় বনভূমি উজার হয়ে পরিবেশ বিপন্ন হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন অপরিকল্পিত প্রকল্পে সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের ওই অঞ্চলে ঝুকিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এদিকে প্রায় ৫০ ঘণ্টা পর সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ। সোমবার থেকে আগুনের এলাকা ড্রোন দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে অনেক জায়গায় তখনও আগুনের ফুলকি দেখা গেছে। কিন্তু সোমবার বিকেলে মৌসুমের প্রথম মুশল ধারে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে নিশিচতভাবে বলা হয়েছে। আর আগুন থাকার কোন সম্ভাবনা নেই। এ ঘটনায় বনবিভাগের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের কথা বলা হয়েছে।
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০

বৃষ্টিতে পুরোপুরি নিভেছে সুন্দরবনের আগুন
৩ দিন ধরে জ্বলতে থাকা সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের আমরবুনিয়া এলাকার আগুন বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ নিভে গেছে। কোথাও আগুন ও ধোঁয়ার উপস্থিতি নেই। তবে অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য আজ সকাল থেকে বনের মধ্যে আগুন ও ধোয়া অনুসন্ধান কাজ শুরু করেছে বনকর্মী ও স্থানীয়রা। অনুসন্ধান চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিমসহ বন বিভাগের কর্মকর্তা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।  মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জানায়, সুন্দরবনের আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে বলে জানিয়েছেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে। তিনি জানান, আগুন সেসব স্থানে ছিল সেখানে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। আজ সকাল থেকে বন বিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন লাগার স্থান ড্রোনের মাধ্যমে আবার মনিটরিং করা শুরু করেন।  জানা গেছে, সকাল থেকে প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং করা হলেও বনভূমির কোথাও কোনো আগুনের আলামত পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি বনের ভেতরে হেঁটে একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেও কোথাও কোনো আগুনের আলামত পায়নি।  এদিকে, সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সভাপতি জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে বনসম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়নের কাজ অচিরেই শুরু করা হবে।  এর আগে, গত শনিবার (৪ মে) বিকেলে খবর পেয়ে সুন্দরবনের আমরবুনিয়া এলাকার আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিমান বাহিনী ও স্থানীয় ৫ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেয়। সর্বশেষ সোমবার সন্ধ্যা থেকে দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতে বনের আগুন সম্পূর্ণরুপে নিভেছে বলে দাবি করেছে বন বিভাগ। 
০৭ মে, ২০২৪

ফেনীর বহুতল ভবনে আগুন
ফেনী শহরের ডাক্তারপাড়ায় জহিরিয়া মসজিদের বিপরীত এলাকায় নাথ ভবন নামে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে বহুতল ভবনটিতে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।   স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভবনের চার তলায় একটি চিলেকোঠা থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে আধাঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। এতে বেশকিছু মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. মিজান বলেন, ভবনের সিঁড়ি অত্যন্ত সরু ছিল। সঙ্গে পানিরও কোনো উৎস নেই আশপাশে। ফলে আগুন নেভানোর কাজে বেগ পেতে হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে পুলিশের একটি টিম সহযোগিতা করেছে। ফেনী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আবদুল মজিদ বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধাঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক মিটারের শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখানে বেশকিছু মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়-ক্ষতির চূড়ান্ত পরিমাণ তদন্তসাপেক্ষে জানা যাবে বলে জানান তিনি।
০৭ মে, ২০২৪

ঘুরে ফিরে সুন্দরবনের একই জায়গায় ২৫ বার আগুন
ঘুরে ফিরে সুন্দরবনের একই জায়গায় গত দুই যুগে ২৫ বার আগুন লেগেছে। এতে প্রায় ১শ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রত্যেকবারই তদন্ত কমিটি করা হয়। আর প্রত্যেকবারই কাছাকাছি একই প্রতিবেদন দাখিল করে বন বিভাগের তদন্ত কমিটি। কমিটির সুপারিশগুলো আমলে নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় পরের বছর একই এলাকায় আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জের সুন্দরবনের অনেক জায়গায় বনভূমি উজাড় হয়ে পরিবেশ বিপন্ন হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অপরিকল্পিত প্রকল্পে সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের ওই অঞ্চলে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ঘুরে ফিরে একই জায়গায় আগুন প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী পশ্চিম বন বিভাগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিগত দুই যুগে সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের এই জায়গাটিতে অন্তত ২৫ বার আগুন লেগেছে। গত ৫৪ বছরে এ সংখ্যা ৪০। বন বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে ২০০২ সালে সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের কটকায় একবার, একই রেঞ্জের নাংলী ও মান্দারবাবাড়িয়ায় দুবার। ২০০৫ সালে পচাকোড়ালিয়া সুতার খাল এলাকায় দুবার, ২০০৬ সালে তেরাবেকা, আমুরবুনিয়া, ধানসাগর এলাকায় পাঁচবার। ২০০৭ সালে পচাকোড়ালিয়া, নাংলি ও ডুমুরিয়ায় তিনবার। ২০১০ সালে গুলিশাখালীতে একবার, ২০১১ সালে নাংলীতে দুবার, ২০১৪ সালে গুলিশাখালীতে একবার, ২০১৬ সালে নাংলী, পচাকোরালিয়ায় তিনবার, ২০১৭ সালে মাদ্রাসারছিলায় একবার, ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ধানসাগর এলাকায়। এ ছাড়া ২০২১ সালের ৩ মে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকায় এবং সর্বশেষ তিন দিন আগে চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির লতিফের ছিলা এলাকায় আগুনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হয়েছে। এবারও তারা আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে একটি সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান বন সংরক্ষক বলেন, আমরা এখন সবাই ব্যস্ত আগুন নেভানোর জন্য। আমি নিজেও আগুন নেভানো ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সুতরাং যেসব কারণে আগুন লাগতে পারে কোনো কারণকেই আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। মৌয়ালের কারণেও আগুন লাগতে পারে। যারা মাছ ধরে তারা ইচ্ছা করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে- এটিও আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। আবার দুর্ঘটনাবশত কারও হাত থেকে আগুন পড়ে গিয়েও লাগতে পারে, সেটিও আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। সবগুলো সম্ভাবনা হাতে রেখেই আমরা কাজ করছি। আগের করা ২৪টি তদন্ত প্রতিবেদনের অন্তত ১৫টি প্রতিবেদনে বনজীবীদের ফেলে আসা আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত উল্লেখ করা হয়েছে। জেলে ও মৌয়ালদের বিড়ি-সিগারেট বা মৌমাছি তাড়াতে জ্বালানো মশাল থেকে আগুনের সূত্রপাতের কথা বাকি প্রতিবেদনগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে। অপরিকল্পিত নদী খনন কাল হয়েছে বন বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনে গত দুই দশকে যেসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, এর সব কটি ঘটনাই ঘটেছে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে সুন্দরবনের ভোলা ও মরা ভোলা নদীসংলগ্ন এলাকায়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক মো. ওয়াসিউল ইসলামের মতে, পূর্ব সুন্দরবনের দুটি নদী অপরিকল্পিতভাবে খনন করে মাটি তুলে এমনভাবে রাখা হয়েছে, বাঁধের মতো হয়ে গেছে। ফলে জোয়ারভাটার পানি প্রবেশ না করায় সেখানকার ভূমিটা একবারে শুষ্ক থাকে। বর্ষা মৌসুমের আগে আগে এটা আরও শুষ্ক হয়ে যায়। সেজন্য এখানে আগুন সহজভাবে ধরতে পারে। তিনি বলেন, বনের মধ্যে পানিপ্রবাহ না থাকা বড় একটা ইস্যু হয়ে গেছে। এজন্য বড় ধরনের একটা প্রকল্প দরকার। বাংলাদেশ বন বিভাগের সঙ্গে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের বিভিন্ন শাখা, নদীশাসনের কাজ যারা করেন, তাদের সবার একটা সমন্বয় দরকার। একটা পরিকল্পিত পদ্ধতিতে প্রকল্পটা নেওয়া দরকার। কারণ, আগের মতো প্রকল্প নিয়ে যদি মাটি বনের মধ্যে ফেলা হয় এবং বনকে যদি উঁচু করে দেওয়া হয়; তবে ম্যানগ্রোভের জন্য যে পরিবেশ লাগে, সেটা নষ্ট হবে। তখন নতুন প্রকল্পেও কোনো লাভ হবে না। এদিকে প্রায় ২৫ ঘণ্টা পর সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। সোমবার থেকে আগুনের এলাকা ড্রোন দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলের বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর একাধিম টিম রয়েছে। কোথাও ধোঁয়া দেখা গেলে সেখানে সঙ্গে সঙ্গে পানি ছেটানো হচ্ছে। বন বিভাগের ২৫টি টিম, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
০৭ মে, ২০২৪

আগুন নিভলেও দুদিন পর্যবেক্ষণে থাকবে সুন্দরবন
৪৩ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে সুন্দরবনে লাগা আগুন। গতকাল সোমবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আগুন যাতে আর না লাগে বা ছড়িয়ে না পড়ে, এজন্য দুদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে সুন্দরবন। এক ব্রিফিংয়ে তিনি দাবি করেন, শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় লাগা আগুন গতকাল সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এজন্য ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, বন বিভাগ, বিমানবাহিনী ও স্থানীয় শত শত স্বেচ্ছাসেবক অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আগুন এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে জানিয়ে তিনি বলেন, কোথাও আগুনের ফুলকি বা ধোঁয়া নেই। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আরও দুদিন কাজ করবেন কালো ছাই সাদা করার জন্য। এরপর তারা বন ত্যাগ করবেন। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আরও বলেন, ভবিষ্যতে বনের ওই এলাকায় আগুন লাগার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এখনই আগামীর জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্রিফিংয়ে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কমান্ডার মো. বাশারুল ইসলাম, চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব, মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান, থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন। সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেব জানান, আগামী দুদিন এ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখে পানি ছিটানো হবে। তবে আপাতত আর ভয়ের কারণ নেই। আগুন যাতে আবার জ্বলে উঠতে না পারে বা ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য রোববার ফায়ার লাইন কেটে সেখানে পানি দিয়ে রাখা হচ্ছে। এদিকে প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন, আগুনে ৫ একর বন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আগুন যেন পুনরায় জ্বলে উঠতে না পারে, এজন্য আরও তিন দিন ওই এলাকা সতর্ক অবস্থায় থাকবে। আগুন লাগার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হবে। তিনি বলেন, আগুন লাগার ঘটনায় জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি নিরূপণ ও পরবর্তী সময়ে করণীয় নির্ধারণে সাত সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হয়েছে। খুলনার বন সংরক্ষক মিহির কুমার দের নেতৃত্বে গঠিত টিম ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। অপরিকল্পিত নদী খনন কাল হয়েছে: বন বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনে গত দুই দশকে যেসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, এর সবকটি ঘটেছে পূর্ব বন বিভাগে সুন্দরবনের ভোলা ও মরা ভোলা নদী সংলগ্ন এলাকায়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক মো. ওয়াসিউল ইসলামের মতে, পূর্ব সুন্দরবনের এই নদী দুটি অপরিকল্পিতভাবে খনন করে মাটি তুলে এমনভাবে রাখা হয়েছে, যা বাঁধের মতো মনে হয়। ফলে জোয়ারভাটার পানি প্রবেশ না করায় সেখানকার ভূমি একবারে শুষ্ক থাকে। বর্ষা মৌসুমের আগে আগে এটা আরও শুষ্ক হয়ে যায়। সেজন্য এখানে আগুন সহজভাবে ধরতে পারে। তিনি বলেন, বনের মধ্যে পানির প্রবাহ না থাকা বড় একটা ইস্যু হয়ে গেছে। এজন্য বড় ধরনের একটা প্রকল্প দরকার। বাংলাদেশ বন বিভাগের সঙ্গে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের বিভিন্ন শাখা, নদী শাসনের কাজ যারা করেন, তাদের সবার একটা সমন্বয় দরকার। একটা পরিকল্পিত পদ্ধতিতে প্রকল্পটা নেওয়া দরকার। কারণ, আগের মতো প্রকল্প নিয়ে মাটি বনের মধ্যে ফেলা হলে, কিংবা বন উঁচু করে দেওয়া হলে ম্যানগ্রোভের জন্য যে পরিবেশ লাগে, সেটা নষ্ট হবে। তখন নতুন প্রকল্পেও কোনো লাভ হবে না। জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি জানতে কমিটি সুন্দরবনের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো ড্রোনের মাধ্যমে মনিটর করছে বন বিভাগ। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বর্গকিলোমিটার এলাকার অগ্নিকাণ্ডের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপ্তি ছিল ৭ দশমিক ৯ একর। যার মধ্যে ৫ একর এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডে জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন করেছে বন অধিদপ্তর। প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর স্বাক্ষরে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো-কে সভাপতি এবং খুলনার ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়। অন্য সদস্যরা হলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি; সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ, বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. এসএম ফিরোজ, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের ম্যানগ্রোভ ইকোলজিস্ট এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের প্রফেসর ড. স্বপন কুমার সরকার এবং ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির প্রতিনিধি। কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে আগুনে বনজ সম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চিহ্নিত করে করণীয় সম্পর্কে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর কোস্টগার্ড, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী সুন্দরবনের আগুন নির্বাপণ কার্যক্রম সার্বক্ষণিকভাবে তদারকি ও সমন্বয় করছেন।
০৭ মে, ২০২৪

সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, তবে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে শতভাগ নিভে গেছে, এ রকম নয়। কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সোমবার (৬ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে সচিবালয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বনের আগুন স্বাভাবিক আগুন নয়। আপাতদৃষ্টে মনে হয়, নিভে গেছে। কিন্তু কোনো কিছুর মধ্য দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত চলে যেতে পারে। পরে হয়তো আবার জ্বলে উঠতে পারে। তাই বনের আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে নিভে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া যায় না। এজন্য এখন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কয়েক দিন পর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। শনিবার (৪ মে) সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির লতিফের ছিলা এলাকায় আগুন নজরে আসে সবার। এরপর আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন বন বিভাগের কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল রোববার ভোর থেকে সমন্বিতভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হয়। সোমবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নির্বাপণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আজ ভোর থেকে পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি এলাকায় ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগ পানি দেওয়া শুরু করে।
০৬ মে, ২০২৪

সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে / কোথাও আগুন জলছে কি না ড্রোন উড়িয়ে দেখছে বনবিভাগ
সুন্দরবনের আগুন ২৮ ঘণ্টা চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস। এরপরও কোথাও আগুন জ্বলছে কি না ড্রোন উড়িয়ে দেখছে বনবিভাগ। আর বনে জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণসহ ভবিষ্যৎ করণীয় ঠিক করতে গঠন করা হয়েছে সাত সদস্যের একটি কমিটি।  সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টায় অগ্নিকাণ্ডেরস্থল আমুরবুনিয়ায় ফায়ার সার্ভিস ঢাকা সদরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেনেন্স) লে. কর্নেল  মো. তাজুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট দীর্ঘ ২৮ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সুন্দরবনের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। রোববার (৫ মে) সকাল ৬টা থেকে টানা ২৮ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, বনবিভাগ, বিমানবাহিনী ও স্থানীয় শতশত স্বেচ্ছাসেবক আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এখন কোথাও আগুনের ফুলকি বা ধোঁয়া নেই।  ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আরও দুদিন কাজ করবে কালো ছাই সাদা করার জন্য। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বন ত্যাগ করবে বলে এ কর্মকর্তা জানান। অপরদিকে, প্রধান বনসংরক্ষক (সিসিএফ) মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী রোববার বিকেলে সুন্দরবনের অগ্নিকাণ্ডেরস্থল পরিদর্শনের পরে সাংবাদিকদের বলেন, আগুনে জীববৈচিত্র্যের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণ এবং ভবিষ্যতে করণীয় সম্পর্কে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো-কে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সদস্য রাখা হবে বলে তিনি জানান। মিহির কুমার দো সোমবার দুপুরে বলেন, গত শনিবার দুপুরে আমুরবুনিয়া ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির অধীন লতিফেরছিলা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ৭ দশমিক ৯৮ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুনে কয়েকটি সুন্দরী গাছসহ বিভিন্ন লতাগুল্ম পুড়েছে। জিপিএস পরিমাপ করে এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা গেছে। আগুনের অস্তিত্ব খোঁজার জন্য বনবিভাগ ড্রোন উড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করছে। আগামী তিনদিন পর্যন্ত ড্রোন দিয়ে তল্লাশি চালানো হবে বলে সিএফ জানিয়েছেন।
০৬ মে, ২০২৪

সুন্দরবনের আগুন কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে থাকবে : মন্ত্রিপরিষদ সচিব
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেছেন, সুন্দরবনের আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে বলে দাবি করা যাবে না। সুন্দরবনের আগুন কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে থাকবে।  সোমবার (৬ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমন তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সুন্দরবনের আগুন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সুন্দরবনে যে আগুন লেগেছিল, সেই আগুনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ বিষয়ে অবহিত করেছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব হোসেন বলেন, সর্বশেষ পরিস্থিতি যেটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেটা হচ্ছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। আগুন শতভাগ নিভে গেছে, এমন কিছু না। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। কন্ট্রোল করা গেছে, কর্ডোন করা গেছে। আগামী কয়েক দিন এটা পর্যবেক্ষণে থাকবে। তিনি বলেন, বনের আগুন কিন্তু স্বাভাবিকভাবে নেভে না। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে, নিভে গেছে। কিন্তু কোনো একটি লতা বা অন্য কিছু দিয়ে আগুনটা অনেক দূর চলে যাবে। নতুন করে আগুন জেগে ওঠে। বনের আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করা যায় না। এখন কয়েক দিন সুন্দরবনের আগুন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।  মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অবহিত হয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আপনারা জানেন, ফায়ার সার্ভিসের পুরো টিম ওখানে গেছেন, কাজ করছেন। জেলাপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণ কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ৫৫ সদস্য এবং দেড়শোর বেশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ছিল পানির উৎস। সেখান থেকে পাওয়ার পাম্পের মাধ্যমে পানি নিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে। তারা অনেক পরিশ্রম করেছেন। গভীর জঙ্গল হওয়ায় রাতে কাজ করা যায় না। দিনে কাজ করতে হয়েছে। ওখানে অনেক ঝুঁকি ছিল। সবমিলিয়ে তারা খুব চ্যালেঞ্জিং কাজ করেছেন। যে কারণে তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। 
০৬ মে, ২০২৪

সুন্দরবনের আগুন নিয়ে সর্বশেষ যা জানাল ফায়ার সার্ভিস
সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সোমবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নির্বাপণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।  আজ ভোর থেকে পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি এলাকায় ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগ পানি দেওয়া শুরু করে। স্থানীয় সেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি তাদের সহযোগিতা করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড। ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  গত শনিবার আগুন চোখে পড়ার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণ কাজ শুরু করে বন বিভাগ, কমিউনিটি প্যাট্রলিং গ্রুপ (সিপিজি), ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের (ভিটিআরটি), টাইগার টিমসহ স্থানীয় সেচ্ছাসেবী ও বনজীবীরা। তবে ঘটনাস্থল থেকে পানির উৎস দূরে হওয়াতে এবং দুর্গম পথের কারণে প্রথম দিনে সেখানে পানি দেওয়া সম্ভব হয়নি। ভোর থেকে অগ্নিনির্বাপণের কাজ শুরু হয়। ৬টি ফায়ার পাম্পের মাধ্যেমে ভোলা নদী থেকে পানি নিয়ে পূর্ণ ফায়ার ব্রেক অর্জনের জন্য আর্টিফিসিয়াল ওয়াটার ক্যানেল তৈরি করা হয়। এ ছাড়াও ১১৯টি হোস পাইপে ১২টি ডিভাইডিংয়ের মাধ্যমে ম্যানুয়ালি একটিভ ফায়ারফাইট করা হয়। স্টারভেশন পদ্ধতি অনুসরণ করে বিচ্ছিন্ন ফায়ারসমূহকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। চতুর্দিকে আগুন যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য ফগ ও জেট সিস্টেম করে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা কুলিং করা হয়। জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের ৫৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৩০-৪০ জন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৩০ জন, জেলা পুলিশের ৩০ জন এবং ভলান্টিয়ারসহ স্থানীয় এলাকাবাসী অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন। বনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চারপাশে সব সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে আর কোনো আগুনের ফ্লেম পাওয়া যায়নি। কিছু জায়গায় এখনো ধোঁয়া বিদ্যমান আছে তবে সেটা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
০৬ মে, ২০২৪
X