সুন্দরবনের আগুন ২৮ ঘণ্টা চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস। এরপরও কোথাও আগুন জ্বলছে কি না ড্রোন উড়িয়ে দেখছে বনবিভাগ। আর বনে জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণসহ ভবিষ্যৎ করণীয় ঠিক করতে গঠন করা হয়েছে সাত সদস্যের একটি কমিটি।
সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টায় অগ্নিকাণ্ডেরস্থল আমুরবুনিয়ায় ফায়ার সার্ভিস ঢাকা সদরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেনেন্স) লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট দীর্ঘ ২৮ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সুন্দরবনের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
রোববার (৫ মে) সকাল ৬টা থেকে টানা ২৮ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, বনবিভাগ, বিমানবাহিনী ও স্থানীয় শতশত স্বেচ্ছাসেবক আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এখন কোথাও আগুনের ফুলকি বা ধোঁয়া নেই।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আরও দুদিন কাজ করবে কালো ছাই সাদা করার জন্য। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বন ত্যাগ করবে বলে এ কর্মকর্তা জানান।
অপরদিকে, প্রধান বনসংরক্ষক (সিসিএফ) মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী রোববার বিকেলে সুন্দরবনের অগ্নিকাণ্ডেরস্থল পরিদর্শনের পরে সাংবাদিকদের বলেন, আগুনে জীববৈচিত্র্যের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণ এবং ভবিষ্যতে করণীয় সম্পর্কে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো-কে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সদস্য রাখা হবে বলে তিনি জানান।
মিহির কুমার দো সোমবার দুপুরে বলেন, গত শনিবার দুপুরে আমুরবুনিয়া ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির অধীন লতিফেরছিলা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ৭ দশমিক ৯৮ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুনে কয়েকটি সুন্দরী গাছসহ বিভিন্ন লতাগুল্ম পুড়েছে। জিপিএস পরিমাপ করে এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা গেছে। আগুনের অস্তিত্ব খোঁজার জন্য বনবিভাগ ড্রোন উড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করছে। আগামী তিনদিন পর্যন্ত ড্রোন দিয়ে তল্লাশি চালানো হবে বলে সিএফ জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন