সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সোমবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নির্বাপণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
আজ ভোর থেকে পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি এলাকায় ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগ পানি দেওয়া শুরু করে। স্থানীয় সেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি তাদের সহযোগিতা করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত শনিবার আগুন চোখে পড়ার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণ কাজ শুরু করে বন বিভাগ, কমিউনিটি প্যাট্রলিং গ্রুপ (সিপিজি), ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের (ভিটিআরটি), টাইগার টিমসহ স্থানীয় সেচ্ছাসেবী ও বনজীবীরা। তবে ঘটনাস্থল থেকে পানির উৎস দূরে হওয়াতে এবং দুর্গম পথের কারণে প্রথম দিনে সেখানে পানি দেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভোর থেকে অগ্নিনির্বাপণের কাজ শুরু হয়। ৬টি ফায়ার পাম্পের মাধ্যেমে ভোলা নদী থেকে পানি নিয়ে পূর্ণ ফায়ার ব্রেক অর্জনের জন্য আর্টিফিসিয়াল ওয়াটার ক্যানেল তৈরি করা হয়।
এ ছাড়াও ১১৯টি হোস পাইপে ১২টি ডিভাইডিংয়ের মাধ্যমে ম্যানুয়ালি একটিভ ফায়ারফাইট করা হয়। স্টারভেশন পদ্ধতি অনুসরণ করে বিচ্ছিন্ন ফায়ারসমূহকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। চতুর্দিকে আগুন যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য ফগ ও জেট সিস্টেম করে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা কুলিং করা হয়।
জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের ৫৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৩০-৪০ জন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৩০ জন, জেলা পুলিশের ৩০ জন এবং ভলান্টিয়ারসহ স্থানীয় এলাকাবাসী অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন।
বনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চারপাশে সব সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে আর কোনো আগুনের ফ্লেম পাওয়া যায়নি। কিছু জায়গায় এখনো ধোঁয়া বিদ্যমান আছে তবে সেটা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মন্তব্য করুন