শ্যালকের বিয়েতে দাওয়াত না পেয়ে আত্মহত্যা
শ্যালকের বিয়েতে দাওয়াত না পেয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে আজিজুল প্রাং (২৮)। আজিজুল পাবনার চাটমোহর উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের মাঝগ্রামের তয়জাল প্রাং এর ছেলে।   বুধবার (৮ মে) ভোরে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেন তিনি। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার আজিজুলের শ্যালকের বিয়ে হয়। বিয়েতে আজিজুলকে দাওয়াত করেনি শ্যালকের পরিবারের লোকজন। দাওয়াত না পেয়ে ক্ষোভে তিনি পরিবারের সদস্যদের বৌভাতের অনুষ্ঠানে যেতে নিষেধ করেন। নিষেধ না শুনে আজিুলের বউ, বাবা-মাসহ পরিবারের অন্যান্যরা বৌভাত অনুষ্ঠানে দাওয়াত খেতে যান। পরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে বুধবার ভোরে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেন আজিজুল। চাটমোহর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
০৮ মে, ২০২৪

ঋণের বোঝা সইতে না পেরে রিকশাচালকের আত্মহত্যা
রাজধানীতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে ইয়াসিন (২২) নামের এক রিকশাচালক আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের দাবি, ঋণের বোঝা সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের ত্রিমোহনী এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ইয়াসিনের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার কলতাপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুস সাত্তার। জানা যায়, সকালে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ইয়াসিনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয় তার পরিবার। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর ঢামেকের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইয়াসিনের বাবা আব্দুস সাত্তার বলেন, আমার ছেলে পেশায় অটোরিকশাচালক। সে ঋণগ্রস্ত ছিল। ঋণের বোঝা সইতে না পেরে আমার ছেলে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে আমরা ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ এসে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে।
০৪ মে, ২০২৪

বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকার আত্মহত্যা
জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে প্রেমিক বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকা রত্না (২৩) নামে এক যুবতী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মহাদান ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী দক্ষিণপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত রত্না আক্তার উপজেলা মহাদান ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মৃত দুদু মিয়া মেয়ে। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাড়ির পরিত্যক্ত খড়ি রাখার ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিল না বলে জানান নিহতের নানী হাছনা বেওয়া। তিনি জানান, নিহত রত্নার মা ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। বাড়িতে শুধু আমার দুই নাতনি রত্না ও মধু থাকে। সকালে মধু জামালপুর যায় কলেজে পরীক্ষা দিতে। বাড়িতে রত্না একাই ছিল। আমি দুপুরে বাড়িতে এসে দেখি বাড়ির চারদিক দিয়ে আটকানো। পরে আমি বাড়ির পেছন দিয়ে গিয়ে দেখি পরিত্যক্ত খড়ির ঘরে রত্না ফাঁসিতে ঝুলে আছে। পরে আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এ সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে এর সত্যতা পায় এবং নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শনাক্ত করে থানায় নিয়ে আসে। নিহতের ছোট বোন মধুমিতা জানান, আমার বোনের চার বছর পূর্বে জামালপুর লাঙ্গলজোড়া এলাকায় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে হয়। পরে সেখানে দেড় বছর সংসার করার পর আমার বোনের ডিভোর্স হয়। এরপর হতে আমার বোন আমাদের সঙ্গেই থাকে।  এরপর তিনি আবারও পড়ালেখা শুরু করে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে। পাশাপাশি মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে ইউটিউবের শর্ট ফিল্মে কাজ করত। তাদের গ্রুপের সাকিব নামে এক ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ও বিয়ে করতে চায়। বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় আজ আমার বোন আত্মহত্যা করেছে। এর জন্য ওই সাকিবই দায়ী। আপনারা আমার বোনের মোবাইল চেক করলেই সব বুঝতে পারবেন। সাকিব একই ইউনিয়নের বনগ্রাম শ্যামের পাড়া এলাকায় বসবাস করে। এদিকে নিহতের মা অভিরন বেওয়া বলেন, আমার মেয়েকে জিনে ধরেছিল। সে মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিল। তাকে কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছিলাম। এ জন্য গ্রামের বাড়িতে ওর নানির কাছে রেখে গেছি। আজ দুপুরে বাড়ি থেকে ফোন দিয়ে আমাকে জানায় রত্না আত্মহত্যা করেছে। এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে এটি সত্য। তবে এ ঘটনার অন্তরালে অন্য কিছু আছে সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে। এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুশফিকুর রহমান বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ থানায় নিয়ে এসেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
০৩ মে, ২০২৪

প্রত্যাশা মতো চান্স না পেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তরুণীর আত্মহত্যা
ভর্তি পরীক্ষায় প্রত্যাশামতো কোথাও চান্স না পেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। নিহতের নাম পিউ কর্মকার (২০)। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গোদারবাজার পদ্মা নদী এলাকায় ঝাঁপ দেয়। পরে তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পিউ রাজবাড়ী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড বিনোদপুর গ্রামের কৃষ্ণপদ কর্মকারের মেয়ে। পিউ রাজবাড়ী সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এ বছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অংশ নিয়েছিল। নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে পিউ কর্মকার এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘গুচ্ছ আমার শেষ ভরসা ছিল। জানি না কবে রেজাল্ট দিবে। পরীক্ষাও মোটামুটি হয়েছিল একটা আশা ছিল কিন্তু আমার ভাগ্য সেই আশাটাও পূরণ করতে দিল না। ৫টা অপশন থাকে তার মধ্যে আমি বায়োলজি আর ইংরেজি এর বৃত্ত ভরাট করে ফেলেছিলাম ভুল করে আজকে সেটা দেখলাম। কিন্তু আমি উত্তর করেছিলাম বাংলার। আমার সব স্বপ্ন শেষ। একে একে ঢাবি, রাবি, জাবি থেকে একটু একটুর জন্য ধাক্কা খাই। জানি এটাও আমার ভাগ্যের জন্য চেষ্টা আমার কম ছিল না। সারাদিন রাত এক করে পড়তাম। বাবা মার অনেক স্বপ্ন ছিল আমাকে নিয়ে কিন্তু আমি কিচ্ছু দিতে পারি নাই। দাদার ইচ্ছা ছিল আমাকে ডাক্তার বানাবে। আমারও স্বপ্ন ছিল ছোট থেকেই যে ডাক্তার হবো। আমার ভাগ্য এতটাই খারাপ ছিল মেডিকেল অ্যাডমিশন এর প্রিপারেশন নেওয়াও শুরু করি কিন্তু মেডিকেলেও বসতে পারি না। এটা থেকেও বিশাল একটা ধাক্কা খাই। অনেক ভেঙে পড়েছিলাম তাও হাল ছাড়ি নাই। এই অ্যাডমিশন পিরিয়ডটা যে কতটা কষ্ট দিয়েছে আমাকে।’ তিনি আরও লিখেন, ‘এই সব আর আমি নিতে পারতেছি না। আমি শুধু একটা আশ্রয় খুঁজছিলাম শেষ আশ্রয় এটাও শেষ হইল। অনেক মানুষ অনেক আত্মীয় এর অনেক কথা শোনা লাগছে। বাবার একটু ফিনানসিয়াল সমস্যা ছিল এ জন্য ঢাকা গিয়ে পড়তে হবে কেন। কিন্তু আমি ধৈর্য ধরে ছিলাম যে পারব। কিন্তু আমি আর পারলাম না। সারাটা দিন ঘরের মধ্যে একা একা বসে থাকি। মানুষের কত ফ্রেন্ড কত কিছু কিন্তু আমি আমার পাশে কাউকে পাই নাই। সব থেকে প্রয়োজন ছিল যাকে, যাকে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ভাবতাম তাকেও আমি আমার পাশে পাই নাই। হইত আমাকে সাপোর্ট করার মতো কেউ থাকলে আজকে এই মৃত্যুটা আমার হইতো না। সেকেন্ড টাইমের প্রিপারেশন নেওয়ারও আমার কোনো মানসিক বা শারীরিক শক্তি নাই। আমার জীবনটা এখানেই থেমে গেল।’ সুইসাইড নোটে লিখেছেন, ‘মায়ের কাছে গিয়ে মাঝে মধ্যে কাঁদতাম মাও বুঝে নাই আমাকে। আমি একটা বোঝা সবার কাছে। আমার মৃত্যুর জন্য আমার এই বড় বড় স্বপ্নগুলোই দায়ী। আমি আমার বাবা, মার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি নাই। আমাকে শেষ বারের মতো দেখতে চাইলে নদীর জলেই খুঁজো। আমার মৃত্যুটা এভাবেও চাই নাই ভালো থাইকো সবাই। আমি আমার এই জীবনটা আর নিতে পারছি না। আমারে মাফ করে দিও সবাই। এভাবে দম বন্ধ করে বাঁচতে পারতেছি না আর।’ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ সাইফুল বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, জানতে পেরেছি— পিউ কর্মকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পেরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। সে ডিপ্রেশনে ভুগছিল। তাই সে তার নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার মরদেহ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
০১ মে, ২০২৪

চিরকুট লিখে মুয়াজ্জিনের আত্মহত্যা
সিলেটে চিরকুট লিখে মসজিদের মুয়াজ্জিন দেলওয়ার হোসাইন দিলাল আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ফজরের নামাজের সময় শাহপরাণ এলাকার লাল খাঁটঙ্গী মাদানী মসজিদ থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মো. দেলওয়ার হোসাইন দিলাল (১৯) সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রামনগর গ্রামের মো. মুসলিম আলীর ছেলে। তিনি শাহপরাণ লাল খাঁটঙ্গী মাদানী মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন। আত্মহত্যার আগে ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’ এমন চিরকুট লিখে রেখে গেছেন তিনি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ফজরের নামাজের সময় শাহপরাণ লাল খাঁটঙ্গী মাদানী মসজিদে আজান না হওয়ায় মুসল্লিরা গিয়ে মুয়াজ্জিনের থাকার কক্ষে ডাকাডাকি করে। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে দরজা ভেঙে মুয়াজ্জিন দিলালের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। শাহপরাণ থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, চিরকুট লিখে মসজিদের মুয়াজ্জিন আত্মহত্যা করেছেন। তিনি একটি কাগজে লিখে রেখে গেছেন-তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। কী কারণে মুয়াজ্জিন আত্মহত্যা করেছেন তা আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

আত্মহত্যা করতে চাওয়ার কারণ জানালেন বাইডেন
জীবনে সাফল্য অর্জন করতে হলে দীর্ঘ পরিশ্রমের পাশাপাশি অসীম সাহস এবং দৃঢ় মনোবল থাকতে হয়। কারণ সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে হলে বিভিন্ন বাধা জয় করেই সামনে এগিয়ে যেতে হয়। এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে গিয়ে অনেকেই হতাশা, ব্যর্থতা কিংবা গ্লানির তিক্ততায় আত্মহত্যা করার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এমন আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনি অনেকটা নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। যা অনেকের কাছে অনুপ্রেরণার।  ১৯৪২ সালের ২০ নভেম্বর জন্ম নেওয়া বাইডেন আইনজীবী হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। ১৯৬৬ সালে প্রথমবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল নেইলিয়া হান্টার। এই দম্পতির তিন সন্তান ছিল জোসেফ, রবার্ট হান্টার এবং নাওমি ক্রিস্টিনা অ্যামি। ১৯৭২ সালে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় বাইডেনের স্ত্রী এবং কন্যা নিহত হন। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে বিউ এবং হান্টারও ছিলেন, তবে তাদের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় বেঁচে যান তারা। কাকতালীয়ভাবে ওই বছরই মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য নির্বাচিত হন বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বাইডেনই সবচেয়ে কম বয়সে সিনেটর নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড গড়েন। মাত্র ৩০ বছর বয়সে সিনেট সদস্য হন তিনি। তবে পৃথিবীর অন্য অনেক সাধারণ মানুষের মতো জো বাইডেনও ওই সময় আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। সম্প্রতি বিখ্যাত মার্কিন সাংবাদিক হাওয়ার্ড স্টার্নকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই।  বাইডেন বলেন, তার প্রথম স্ত্রী নিহত হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সারাক্ষণ বিষণ্ন থাকতেন। এক রাতে মদ্যপ অবস্থায় তার মনে হয়েছিল এই জীবনের কোনো অর্থ নেই। এ কথা মনে হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ডেলাওয়্যার মেমোরিয়াল ব্রিজের উদ্দেশে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে পড়েন বাইডেন। এরপর ব্রিজের ওপর থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে চান। ‘কিন্তু ব্রিজে পৌঁছানোর পর হঠাৎ তার মনে হলো, তার আরও দুটি ছোট সন্তান আছে। যদি তিনি আত্মহত্যা করেন, তাহলে তাদের দেখাশোনা করার কেউ থাকবে না। সন্তানদের মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠামাত্র বাইডেন গাড়ি ঘুরিয়ে ফেলেন। ফিরে আসেন বাড়িতে। এরপর ১৯৭৮ সালে জিল ট্রেসি জ্যাকবকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর তার নাম হয় জিল বাইডেন। বাইডেন বলেন, আসলে প্রত্যেক মানুষের জীবনেই এমন মুহূর্ত আসে, যখন তার আত্মহত্যা করার প্রবল ইচ্ছে জাগে। কিন্তু ওই সময়টায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় এবং বলতে হয়, আত্মহত্যা হলো সবচেয়ে বোকামি কাজ। সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত দুই ছেলে বিউ এবং হান্টারকে একাই বড় করেছেন তিনি। পাশাপাশি সিনেটর হিসেবে রাজনৈতিক দায়িত্বও পালন করেছেন।  
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

প্রেমিকার শোক সইতে না পেরে প্রেমিকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার আত্মহত্যার শোক সইতে না পেরে ১৯ দিন পর প্রেমিক সিফাত (১৯) ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে নরসিংদীর শিবপুরের মাছিমপুর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সিফাত ওই গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে। সিফাত শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।   মৃত্যুর আগে ফেসবুকে সর্বশেষ স্ট্যাটাসে সিফাত লিখেন, তানহা আত্মহত্যা করে প্রমাণ করে গেল আমারে কতটা ভালোবাসে। আমিও প্রমাণ করে দিমু তানহারে আমি কতটা ভালোবাসি। কারো সঙ্গে ভুল করে থাকলে মাফ করে দিও। আর দেখা হবে না সবাই দোয়া কইরো শান্তিতে থাকি কিংবা অশান্তিতে দুজন যেন এক সঙ্গে থাকতে পারি। শেষ ইচ্ছা; তানহার কবরের পাশে আমাকে কবর দেওয়া হোক। আমি পরিস্থিতির শিকার। আর আমার কোনো কিছুর জন্য তানহার পরিবার বা আমার পরিবার দায়ী না এমনকি আমার কোনো ভাই ব্রাদার বা বন্ধু ও দায়ী না। যা হবে আমার নিজের ইচ্ছেতেই হবে। সত্যি বলতে আমার আর বাঁচার ইচ্ছে নাই। আমাকে যদি কেউ বাঁচিয়েও নেয় আমি পুনরায় আবার আত্মহত্যার চেষ্টা করমু। প্লিজ আমাকে কেউ বাঁচানোর চেষ্টা কইরো না বেঁচে থেকে আর কী হবে যার জন্য বাঁচার কথা ছিল সে তো আর নাই। নিহতের বাবা ইব্রাহিম জানান, প্রতিবেশী চাচাত বোন খলিলের মেয়ে তানহা (১৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সিফাতের।  গত ৩ এপ্রিল রাত ২টার দিকে তানহা ঘরের ভেতর থেকে আর সিফাত জানালার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় দেখে ফেলে একই এলাকার রাজুর ছেলে আঙ্গুর (২৫)। এ সময় আঙ্গুর তানহাকে কুপ্রস্তাব দেয়। সিফাত এতে নিষেধ করে। কুপ্রস্তাব রাজি না হওয়ায় আঙ্গুর সিফাতকে মারধর করে টাকা দাবি করে পরে সে উত্তেজিত হয়ে আঙ্গুরকে কুপিয়ে আহত করে। মারামারি বিষয়ে মামলা চলমান আছে। তিনি জানান, লোকলজ্জায় ৬ এপ্রিল রাতে তানহা নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ বিষয়ে গ্রামীণ সালিশ দরবার হওয়ার কথা ছিল। সালিশ দরবারে আমাকে ও আমার ছেলেকে এটা করবে ওটা করবে বলে বিভিন্নভাবে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করত। দরবারে গেলে জমির দলিল নিয়ে যেতে বলত এসব মানসিক চাপ সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সিফাত। আমি এর বিচার দাবি করছি। বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবপুর মডেল থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের পর আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

চড় মারতেই অজ্ঞান স্ত্রী, মৃত ভেবে স্বামীর আত্মহত্যা
স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিরোধ অস্বাভাবিক ঘটনা নয়।  ঠিক তেমনিভাবে এক বিরোধের জেরে স্ত্রীকে থাপ্পড় দিয়েছেন  স্বামী। আর তাতেই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। এরপরই ঘটে বিপত্তি। স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি বুঝতে না পেরে তাকে মৃত ভেবে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রীকে চড় মেরেছেন স্বামী। এতে তিনি জ্ঞান হারালে স্বামী তাকে মৃত ভাবেন। এরপর কিছু না ভেবেই ওই স্বামী আত্মহত্যা করেন। বিচিত্র এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালার তিরুঅনন্তপুরমে।  পুলিশ জানিয়েছে, আত্মহত্যা করা স্বামীর নাম প্রীজিত। মঙ্গলবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন তিনি। এ নিয়ে স্ত্রী সিনসিনার সঙ্গে ঝগড়া হয়। আর তা একপর্যায়ে তীব্র আকার ধারণ করে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝগড়ার একপর্যায়ে প্রীজিত নিজের স্ত্রীকে আচমকা চড় মেরে দেন। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে পড়ে যান। এরপর স্ত্রীকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেন তিনি। তরে স্ত্রীর সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি ভয় পেয়ে যান।  সিনিসিনা পুলিশকে জানান, জ্ঞান ফেরার পর তিনি নিজের স্বামীকে গলায় রশি নিয়ে ঝুলে পড়তে দেখেন।  এ সময় তিনি চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে প্রীজিতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  স্থানীয়রা জানান, প্রীজিত প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ফিরতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে রীতিমতো ঝামেলাও হতো। মঙ্গলবারও মদ্যপ অবস্থায় রাড়িতে ফেরেন তিনি। এরপর স্ত্রী কটূক্তি করায় তিনি রেগে যান। রাগের মাথায় প্রীজিত স্ত্রীকে চড় মারেন। এরপর স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে গেলে মৃত ভেবে তিনিও আত্মহত্যা করেন।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রীজিত দিনমজুরের কাজ করতেন। তাদের তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা করা হয়েছে।   
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

হোস্টেলের ৬ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে ছাত্রীর আত্মহত্যা
রাজধানীর মিরপুরে ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ৬তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে মিরপুর বাংলা কলেজের এক ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আত্মহত্যা করা ওই ছাত্রীর নাম রাদিয়া তেহরিন (১৯)। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে মিরপুর ১০ মহুয়া মঞ্জিল ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ৬তলা থেকে ছাত্রী রাদিয়া লাফিয়ে নিচে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাদিয়ার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায়। বাবার নাম সাইফুল ইসলাম মিরপুর মডেল থানার এসআই মাইনুল ইসলাম জানান, রাদিয়া তেহেরিন ব্যতিক্রম হোস্টেলে থেকে মিরপুর বাংলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে (বাংলা বিভাগ) পড়াশোনা করতেন।  তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আজকে ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ছয়তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে যান রাদিয়া। পরে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। মৃত্যুর কারণসহ বিস্তারিত ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করলে প্রেমিকা দায়ী নন : দিল্লি হাইকোর্ট
প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার ফলে যদি কোনো প্রেমিক বিষাদগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়, সেজন্য প্রেমিকা দায়ী থাকবেন না। এক্ষেত্রে প্রেমিকার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করা যাবে না। বুধবার এমনই এক রায় দিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্ট।  আদালত বলেছে, দুর্বল ও ভঙ্গুর মানসিকতার জন্য যদি একজন পুরুষ এমন ভুল সিদ্ধান্ত নেন তাহলে প্রেমিকাকে দায়ী করা যাবে না।  আত্মহত্যার প্ররোচণায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারপূর্ব জামিন আবেদন নিয়ে শুনানিকালে এমন পর্যবেক্ষণ দেয় আদালত। বিচারক অমিত মহাজন আরও বলেন, একজন শিক্ষার্থী যদি পরিক্ষায় খারাপ করার কারণে আত্মহত্যা করে তার জন্য তো কাউকে দোষারোপ করা যায় না। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।  এর আগে এমনই রায় দিয়েছিল ছত্রিশগড়ের একটি আদালত।  একজন নারী ও তার এক বন্ধুর জন্য আগাম জামিনের শুনানিকালে দিল্লি হাইকোর্ট আজ এই মন্তব্য করেন। ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের উসকানিতে ২০২৩ সালে একজন পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। নিহত ব্যক্তির পিতা থানায় অভিযোগে বলেছেন, আগে থেকেই তার ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই যুবতীর। একই সঙ্গে তিনি অন্য এক যুবকের সঙ্গে প্রেম করতে থাকেন।  নিহত ব্যক্তির পিতা আরও অভিযোগ করেন, ওই যুবতীর দ্বিতীয় প্রেমিক প্রথম প্রেমিকের কাছে জানায়, যুবতীর সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক আছে এবং তারা খুব তাড়াতাড়িই বিয়ে করতে যাচ্ছেন। এ কথা শুনে প্রথম প্রেমিক আত্মহত্যা করেন। তার মা তার রুম থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। সেখানে একটি আত্মহত্যার চিরকুট পাওয়া যায়।  চিরকুটে তিনি লিখেন, ওই যুবতী ও তার দ্বিতীয় প্রেমিকের কারণে আত্মহত্যা করেছেন। আদালত এটা আমলে নিয়ে বলেছে, চিরকুটে নাম উল্লেখ করে গেছেন মৃত ব্যক্তি। কিন্তু তার অর্থ এই নয়, আত্মহত্যায় প্ররোচণা দিয়েছেন তিনি। 
১৮ এপ্রিল, ২০২৪
X