কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আত্মহত্যা করতে চাওয়ার কারণ জানালেন বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি : সংগৃহীত

জীবনে সাফল্য অর্জন করতে হলে দীর্ঘ পরিশ্রমের পাশাপাশি অসীম সাহস এবং দৃঢ় মনোবল থাকতে হয়। কারণ সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে হলে বিভিন্ন বাধা জয় করেই সামনে এগিয়ে যেতে হয়। এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে গিয়ে অনেকেই হতাশা, ব্যর্থতা কিংবা গ্লানির তিক্ততায় আত্মহত্যা করার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এমন আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনি অনেকটা নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। যা অনেকের কাছে অনুপ্রেরণার।

১৯৪২ সালের ২০ নভেম্বর জন্ম নেওয়া বাইডেন আইনজীবী হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। ১৯৬৬ সালে প্রথমবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল নেইলিয়া হান্টার। এই দম্পতির তিন সন্তান ছিল জোসেফ, রবার্ট হান্টার এবং নাওমি ক্রিস্টিনা অ্যামি।

১৯৭২ সালে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় বাইডেনের স্ত্রী এবং কন্যা নিহত হন। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে বিউ এবং হান্টারও ছিলেন, তবে তাদের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় বেঁচে যান তারা। কাকতালীয়ভাবে ওই বছরই মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য নির্বাচিত হন বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বাইডেনই সবচেয়ে কম বয়সে সিনেটর নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড গড়েন। মাত্র ৩০ বছর বয়সে সিনেট সদস্য হন তিনি।

তবে পৃথিবীর অন্য অনেক সাধারণ মানুষের মতো জো বাইডেনও ওই সময় আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। সম্প্রতি বিখ্যাত মার্কিন সাংবাদিক হাওয়ার্ড স্টার্নকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই।

বাইডেন বলেন, তার প্রথম স্ত্রী নিহত হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সারাক্ষণ বিষণ্ন থাকতেন। এক রাতে মদ্যপ অবস্থায় তার মনে হয়েছিল এই জীবনের কোনো অর্থ নেই। এ কথা মনে হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ডেলাওয়্যার মেমোরিয়াল ব্রিজের উদ্দেশে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে পড়েন বাইডেন। এরপর ব্রিজের ওপর থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে চান।

‘কিন্তু ব্রিজে পৌঁছানোর পর হঠাৎ তার মনে হলো, তার আরও দুটি ছোট সন্তান আছে। যদি তিনি আত্মহত্যা করেন, তাহলে তাদের দেখাশোনা করার কেউ থাকবে না। সন্তানদের মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠামাত্র বাইডেন গাড়ি ঘুরিয়ে ফেলেন। ফিরে আসেন বাড়িতে। এরপর ১৯৭৮ সালে জিল ট্রেসি জ্যাকবকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর তার নাম হয় জিল বাইডেন।

বাইডেন বলেন, আসলে প্রত্যেক মানুষের জীবনেই এমন মুহূর্ত আসে, যখন তার আত্মহত্যা করার প্রবল ইচ্ছে জাগে। কিন্তু ওই সময়টায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় এবং বলতে হয়, আত্মহত্যা হলো সবচেয়ে বোকামি কাজ।

সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত দুই ছেলে বিউ এবং হান্টারকে একাই বড় করেছেন তিনি। পাশাপাশি সিনেটর হিসেবে রাজনৈতিক দায়িত্বও পালন করেছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে পশ্চিমবঙ্গে মোদি

২০২৬ বিশ্বকাপেই পেনাল্টি নিয়মে আসছে বড় পরিবর্তন!

ব্র্যাক ব্যাংকে চাকরির সুযোগ, আবেদন করুন আজই

হানিয়ার নতুন রেকর্ড

বিএনপি নেতা সাবেক এমপি মান্নান তালুকদার মারা গেছেন

ঋতুপর্ণা-সাবিনার ডাবল হ্যাটট্রিকে ভুটানে ২২ গোলের ‘ঝড়’

আকর্ষণীয় বেতনে নিয়োগ দিচ্ছে এসকেএফ ফার্মা

শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল এক যুগেও প্রকাশ করেনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ভিনির জন্য পেট্রো ডলার নিয়ে প্রস্তুত সৌদি ক্লাব

ইরান পারমাণবিক চুক্তিতে না এগোলে ফের নিষেধাজ্ঞা : ফ্রান্স

১০

১৮ জুলাই: আজকের রাশিফলে কী আছে জেনে নিন

১১

‘সামনের জুলাই তুই কনে থাকবি’, ছাত্রলীগ নেতার হুমকি

১২

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু

১৩

সপ্তাহে ২ দিন ছুটি, নিয়োগ দিচ্ছে পপুলার ফার্মা

১৪

ঢাকার সড়কে ম্যারাথনে দৌড়ালেন আসিফ মাহমুদ

১৫

জলবায়ু পরিবর্তনে দায়ী না হলেও সবচেয়ে বেশি ভুগছে আফ্রিকা

১৬

ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’

১৭

কেন ৩০০ কেজি সোনার গহনা পরেছিলেন ঐশ্বরিয়া?

১৮

ফিরে দেখা ১৮ জুলাই / ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ, নিহত ৩১

১৯

টঙ্গীতে পরকীয়ার জেরে হত্যা, মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

২০
X