হিমাগারে মজুত ছি‌ল ৫ লাখ ডিম
বগুড়ার কাহালুতে অবৈধভাবে প্রায় ৫ লাখ ডিম মজুত করার দায়ে আফরিন কোল্ড স্টোরেজ (হিমাগার) নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে মজুত করা ওই ডিম আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাজারজাত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  বুধবার (১৫ মে) বিকেলে উপজেলার মুরইল বাজার এলাকায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেরিনা আফরোজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাহালু উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুব হাসান চৌধুরীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বর্তমানে ডিমের সংকটময় মুহূর্তে এ বিপুল পরিমাণ ডিম মজুদ রাখার দায়ে আদালত কোল্ড স্টোর কর্তৃপক্ষকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেরিনা আফরোজ বলেন, কোল্ড স্টোরেজগুলোতে ডিম সংরক্ষণ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে এমন অভিযোগে আমরা কিছু প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালাই। এর মধ্যে আফরিন কোল্ড স্টোরেজে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৩৮৮টি ডিম মজুত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ৭ দিনের মধ্যে ডিম বাজারজাত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিমগুলো দ্রুত স্টোর থেকে বের করে বাজারজাত করা না হলে পরবর্তীতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নির্দেশ দেন আদালত। কোল্ড স্টোরের ম্যানেজার মন্তেজার রহমান রাসেল জানান, তাদের স্টোরে ফলমূলসহ ডিম সংরক্ষণ করার অনুমতি আছে। আর মজুদ রাখার ডিমগুলো ব্যবসায়ীদের বলে জানান তিনি। এ ছাড়া স্টোরের ২য় তলার পশ্চিম পাশে  ক্যারেটে রাখা ডিমের খামালে অনেক নষ্ট ডিম দেখা গেছে। শুধু তাই নয় স্টোরে অনেক মেয়াদউত্তীর্ণ ডিমও রয়েছে। 
২১ ঘণ্টা আগে

নির্বাচনী সভার বিরিয়ানি মাদ্রাসায় দিলেন ম্যাজিস্ট্রেট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সভা থেকে বিরিয়ানি জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে এসব খাবার মাদ্রাসায় দেওয়া হয়। সোমবার (১৩ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌরসভার সড়ক বাজার এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেনের সভায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাতে আখাউড়ার সড়ক বাজারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূইয়ার আনারস প্রতীকের সমর্থনে সভা আয়োজন করে জাতীয় রিকশা ভ্যান শ্রমিক লীগ এবং হকার্স লীগ। সেখানে রিকশা ভ্যান লীগের সভাপতি মুসলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সামদানী, দানিস খলিফা প্রমুখ। সভা শেষে ভূরিভোজের জন্য কয়েক পাতিল বিরিয়ানি রান্না করে রাখা হয়। এ খবরে সভায় উপস্থিত হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রাহাতুল ইসলাম। তিনি এখান থেকে দুই পাতিল বিরিয়ানি জব্দ করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রাহাতুল ইসলাম জানান, আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সেখান থেকে বিরিয়ানি জব্দ করা হয়। বিরিয়ানিগুলো স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
১৪ মে, ২০২৪

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু / ওসি ফরমান আলীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা 
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ওসি এবিএম ফরমান আলীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার (৮ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে ভিকটিম মো. রানার স্ত্রী সোনিয়া বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল কালবেলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ফারহানা ইয়াসমিন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার, ডেপুটি জেলার মো. মাহবুব, উপপরিদর্শক চঞ্চল কুমার বিশ্বাস, উপপরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর, কনস্টেবল জোনাব আলী, কনস্টেবল মোবারক, পুলিশের সোর্স সবুজ ও শাহ আলম। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৭ মার্চ ভিকটিম রানাকে আসামি শাহ আলম ও সবুজ ফতুল্লার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আসে। ডিবি পরিচয়ে একটি গাড়িতে তুলে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালায়। এমনকি তার দুই পা ভেঙে দেয়, বুকের মাঝে আঘাত ও মাথার বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। ভিকটিমকে নির্যাতন করার সময় আসামি সবুজ বাদীকে ফোন দিয়ে ভিকটিমকে মারধর ও কান্নার আওয়াজ শোনায় এবং ৫০ হাজার টাকা দিতে পারলে মার বন্ধ হবে। তখন বাদী বলে গরিব মানুষ যা পারি জোগাড় করে নিয়ে আসছি, আপনারা আমার স্বামীকে বাঁচান। এরপর বাদী ২০ হাজার টাকা এনে সবুজের হাতে দেয়। তখন বাদীকে এস.আই মিজানুর রহমানের কাছে নিয়ে গেলে তাকে গালাগাল করে। এ সময় বাদী কান্নাকাটি করলে তাকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। বাদীকে পুনরায় পিটাতে থাকে, এ দৃশ্য দেখে তার ছোট ছেলে রাতুল অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জ্ঞান ফেরায়। পরে পুলিশ বাদীকে ডাক দিয়ে কোর্টে যেতে বলেন।  অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৮ মার্চ কোর্টে গিয়ে ভিকটিমের সাথে দেখা করার জন্য কোর্ট গারদে যান। তবে কোনো খোঁজ না পেয়ে বাসায় চলে আসেন। ১৯ মার্চ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে গিয়ে ভিকটিমকে দেখার জন্য টিকিট করেন। জেল কর্তৃপক্ষ বাদীকে জানায় যে, ভিকটিম মো. রানা জেলে নেই। তখন বাদী চিন্তায় পড়ে যায়। ঐখান থেকে থানায় এসে কোনো তথ্য না পেয়ে বাসায় চলে আসে এবং নিকট আত্মীয়স্বজনদের সাথে বিষয়টি জানান। গত ২০ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে তাকে খবর দেয় এবং ঢাকা মেডিকেল মর্গে আসতে বলেন, তখন বাদী গিয়ে ভিকটিমকে মৃত অবস্থায় শনাক্ত করেন। 
০৮ মে, ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পোলিং এজেন্টসহ তিনজনের কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জালভোট দেওয়া ও ভোটাদের প্ররোচিত করার দায়ে দুই পোলিং এজেন্টসহ তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (৮ মে) দুপুরে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ অভিযান পরিচালিত হয়। কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শাকিব মিয়া, হৃদয় মিয়া ও রাকিব হোসেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কাটানিসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অবৈধভাবে গোপন কক্ষে গিয়ে অন্যের ব্যালট পেপারে সিল মারার সময় পোলিং এজেন্ট শাকিব মিয়াকে আটক করে ১৫ দিন এবং ভোটারদের প্ররোচিত করার দায়ে পোলিং এজেন্ট হৃদয় মিয়াকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।  তিনি বলেন, এ ছাড়া ভোটকেন্দ্রের ৪০০ গজ দূরে ভোটারদের অন্যায়ভাবে প্ররোচিত করার সময় রাকিব হোসেন নামে এক যুবককে ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
০৮ মে, ২০২৪

আদালত অবমাননায় আলালকে তলব
আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৪ মে তাকে সশরীরে হাজির হয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে বিচার বিভাগ নিয়ে আলালের প্রচারিত একটি বক্তব্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিসের মাধ্যমে হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। এরপর বিষয়টি আমলে নিয়ে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২৯ এপ্রিল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। আদেশের লিখিত অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৫ এপ্রিল ইউটিউবে প্রচারিত মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের একটি ভিডিও ক্লিপ প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল। প্রধান বিচারপতির আদেশ অনুযায়ী বিষয়টি বেঞ্চে উত্থাপন করা হয়।
০৫ মে, ২০২৪

আদালত অবমাননায় আলালকে হাইকোর্টে তলব, রুল জারি
আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৪ মে তাকে সশরীরে হাজির হয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না-তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে বিচার বিভাগ নিয়ে আলালের প্রকাশিত একটি বক্তব্য সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিসের মাধ্যমে হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। এরপর বিষয়টি আমলে নিয়ে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২৯ এপ্রিল স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন। ওই আদেশের লিখিত অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গত ২৫ এপ্রিল ইউটিউবে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের প্রকাশিত একটি ভিডিও ক্লিপ প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করেন। পরে প্রধান বিচারপতির আদেশ অনুযায়ী বিষয়টি এই বেঞ্চে উত্থাপন করা হয়। আদেশে আরও বলা হয়েছে, আমরা ভিডিওটি পর্যালোচনা করেছি। ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তাতে আদালত অবমাননার প্রাথমিক উপাদান রয়েছে। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল তার বক্তব্যের মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের এবং সমস্ত বিচার বিভাগকে অবমাননা করেছেন। আদালত মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে আদালদ অবমাননার রুল জারি করেন। রুলে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ কেন আনা হবে না এবং আদালত অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ মে তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত বক্তব্যের লিংকটি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে বিটিআরসিকে নির্দশ দেন হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, ইউটিউবে প্রকাশিত ওই ভিডিওতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচার এবং তাদের সাজা দেওয়ার বিষয়ে বক্তব্য রয়েছে। এ ছাড়া বিচার করার পর সংশ্লিষ্ট বিচারকদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে বলেও বক্তব্য রয়েছে। এছাড়া বিচার বিভাগ, রুল অব লসহ নানা বিষয়ে বক্তব্য রয়েছে ওই ভিডিওতে। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান বলেন, আদেশের বিষয়বস্তু আমরা পর্যালোচনা করছি এবং করণীয় নির্ধারণে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
০৪ মে, ২০২৪

সিলেট আদালত চত্বরে আইনজীবী-পুলিশের সংঘর্ষ
সিলেট জজ কোর্টে আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আদালতের ন্যায়কুঞ্জে আদালত ও অফিস ভবনের জিআরও অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ। এসময় আদালতপাড়ায় নারী পুলিশ ও মহিলা আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় ২ নারী পুলিশ আহত হয়। আহতরা হলেন, নারী পুলিশ সদস্য বিউটি পুরকায়স্থ ও এস আই শামীম আক্তার। জানা গেছে, আদালতের শাহপরান (র.) থানা জিআরও’র দায়িত্বরত এসআই শামীমা বেগম ও কনস্টেবল বিউটি পুরকায়স্থ এর কাছে একটি মামলার নথি দেখতে চান অ্যাড. কাজি সেবা। এই বিষয়ের জেরেই শুরু হয় উত্তেজনা। একপর্যায়ে শুরু হয় পুলিশ ও নারী আইনজীবিদের মধ্যে হাতাহাতি। পুলিশের দাবি আদালতে নারী আইনজীবী কাজী সেবা এসএমপি প্রসিকিউশন বিভাগের জিআরও অফিস কক্ষে অতর্কিতভাবে প্রবেশ করে জিআরও শাহপরাণ সেরেস্তায় কর্মরত নারী উপ-পরিদর্শক শামীমা খাতুন ও নারী কনস্টেবল বিউটি পুরকায়স্থকে মারধর করে। তবে আইনজীবীদের দাবি একটি মামলা সংক্রান্ত নথি চাওয়া নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে তাদের মধ্যে হাতাহাতির হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেছে অ্যাড. কাজি সেবা জিআরও কক্ষে অতর্কিতভাবে প্রবেশ করে পেছন থেকে নারী কনস্টেবল বিউটি পুরকায়স্থকে চুলের মুঠি ধরে চর থাপ্পর মেরে হাতে, মুখে, পিঠে জখম করে বেরিয়ে যায়। এ বিষয়ে আইনজীবী কাজী সেবাকে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ কালবেলাকে বলেন, জখমি উপ-পরিদর্শক ও কনস্টেবলকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আদালত ও আইনজীবী সমিতিকে অবহিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আলোচনা সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০২ মে, ২০২৪

বিচার পরিস্থিতি / মন্ত্রীর ঘোষণার পরও মামলা জট বেড়েছে ছয় লাখ
তিন বছর আগে দেশের সব আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা এক বছরের মধ্যে ৬ লাখ কমিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় সারা দেশে ৩৭ লাখ মামলা বিচারাধীন ছিল। এরপর তিন বছর পার হলেও মামলাজট তো কমেনি, উল্টো ৬ লাখ বেড়ে গেছে। প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের বিচারাধীন মামলার স্তূপ পৌঁছেছে ৪৩ লাখে। এর মধ্যে অধস্তন আদালতগুলোয় ৩৭ লাখ ৩০ হাজার মামলা বিচারাধীন ছিল। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন মামলা প্রায় ৬ লাখ। ২০১২ সালে বিচারাধীন মামলা ছিল ২১ লাখ ৩৫ হাজার। এক যুগের ব্যবধানে বিচার বিভাগে মামলার জট বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। আর ২০০৭ সালের নভেম্বরে বিচার বিভাগ পৃথককরণের সময় বিচারাধীন মামলা ছিল মাত্র ১৫ লাখ। অর্থাৎ পৃথককরণের পর ১৬ বছরে মামলার জট ২৮ লাখ বেড়েছে। মামলাজট কমানোর সেই ঘোষণার কথা মনে করিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্য চাওয়া হলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গতকাল সোমবার কালবেলাকে বলেন, ‘মামলাজট কমানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ এ নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি আইনমন্ত্রী। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে বিদ্যমান আইনি জটিলতা ও পারিপার্শ্বিক নানা কারণে মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা জটিল আকার ধারণ করেছে। কোনো কোনো মামলার বিচার নিষ্পত্তিতে বিচারপ্রার্থীকে এক যুগ, দুই যুগ—এমনকি তিন যুগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বিচার বিলম্বের কারণে একদিকে মামলা পরিচালনার ব্যয় বাড়ছে, অন্যদিকে বাড়ছে ভোগান্তি। কিছু কিছু মামলার বাদী বিচার শেষ হওয়ার আগেই মারা যাচ্ছেন। আবার বিচার হলেও দীর্ঘসূত্রতার কারণে মামলার অনেক তথ্য-প্রমাণ হারিয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো মামলার সাক্ষী মারা যাচ্ছেন। কিছু মামলার সাক্ষীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এসব কারণে বিচার শেষে সাজার হার কমে যাচ্ছে। বহু বছরের পুঞ্জীভূত সমস্যা বর্ধিত হয়ে বর্তমানে অসহনীয় অবস্থায় পৌঁছেছে। শুধু বিচার বিলম্বের কারণে সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার লাভের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে বলেও মনে করছেন অনেকেই। তারা বলছেন, বিচার বিভাগের এই সংকট এড়াতে হলে পরিকল্পিত উপায়ে দ্রুত নানামুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় বিচার বিভাগে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেখা দেবে। গত ১ মার্চ এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘যে পরিমাণ বিচারক সারা বাংলাদেশে থাকা দরকার সেই পরিমাণ বিচারক নেই। দেশে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার মানুষের জন্য একজন বিচারক। এত কম বিচারক দিয়ে মামলাজট কমানো সম্ভব নয়। এই সংখ্যাটা বাড়াতে হবে। লজিস্টিক সাপোর্টসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মামলাজট নতুন কিছু নয়, এটা পুরোনো ব্যাধি। মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সেজন্য মামলাজট বাড়ছে। মানুষ লেখাপড়া যত শিখছে, এতে মনে হয় মানুষ এক ধরনের অস্থিরতায় ভুগছে। এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে হবে, বোঝাতে হবে শুধু মামলা-মোকদ্দমাই সমাধান নয়, বিকল্প ব্যবস্থা আছে। আগে গ্রামের সালিশ ছিল। আইন করে সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেটাকে যদি জনপ্রিয় করা যায়, তাহলে মামলাজট কিছুটা কমবে।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালত পর্যন্ত সর্বত্র মামলাজট বেড়েই চলেছে। বিচারকের সংখ্যা বাড়িয়েও কোনো লাভ হয়নি। কারণ বিচারকের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মামলা দায়েরের সংখ্যা। ২০০৮ সালে আপিল বিভাগে বিচারপতি ছিলেন সাতজন। তখন বিচারাধীন মামলা ছিল ৬ হাজার ৮৯২টি। এরপর আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা আর কোনো দিন সাতের নিচে নামেনি। বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা আটজন। আর গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারাধীন মামলা ছিল ২৬ হাজার ৫১৭টি। একইভাবে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগেও মামলার সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। ২০০৮ সালে এ বিভাগে মামলা বিচারাধীন ছিল ২ লাখ ৯৩ হাজার ৯০১টি। তখন হাইকোর্টে বিচারপতির সংখ্যা ছিল ৬৭ জন। ২০১০ সালের পর এ বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা কখনো ৯০-এর নিচে নামেনি। কিন্তু মামলাজট ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগে ৮৪ জন বিচারপতি দায়িত্বরত রয়েছেন। আর এই বিভাগে বর্তমানে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮৪৭টি। একই চিত্র সারা দেশের অধস্তন আদালতেও। ২০০৭ সালের নভেম্বরে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের সময় অধস্তন আদালতগুলোতে বিচারক ছিলেন ৩০১ জন। বিপরীতে বিচারাধীন মামলা ছিল প্রায় ১৩ লাখ। বর্তমানে ২ হাজারের বেশি বিচারকের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ১৮শ। আর অধস্তন আদালতগুলোতে বিচারাধীন মামলা ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ২৩৫টি। এসব তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশে একজন বিচারকের বিপরীতে গড়ে প্রায় ২৩শ মামলা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে অনেক আদালতের পরিস্থিতি আরও খারাপ। কিছু কিছু আদালতে একজন বিচারকের আওতায় ৫ হাজারের বেশি মামলা রয়েছে। আবার একজন বিচারককে একাধিক আদালতেরও দায়িত্ব পালন করতে হয়। ফলে বিচারকদেরও হিমশিম খেতে হচ্ছে মামলার চাপ সামাল দিতে। আর এ কারণে অনেক মামলার শুনানির তারিখ ধার্য হচ্ছে ৬ থেকে ৮ মাস পরপর। আবার অনেক সময় ধার্য তারিখে শুনানি না করেই তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এভাবেই বেড়ে যাচ্ছে দীর্ঘসূত্রতা। বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, জনসংখ্যা অনুপাতে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিচারকের সংখ্যা কম। গড়ে প্রায় ৯৫ হাজার লোকের বিপরীতে একজন বিচারক দায়িত্ব পালন করেন। যেখানে ভারতে আনুমানিক ৪৭ হাজার ৬১৯ জনের বিপরীতে একজন, পাকিস্তানে ৫০ হাজার, অস্ট্রেলিয়ায় ২৪ হাজার ৩শ, যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার এবং যুক্তরাজ্যে প্রতি ৩ হাজার ১৮৬ জন নাগরিকের বিপরীতে একজন বিচারক দায়িত্ব পালন করেন। সংশ্লিষ্টরা যা বলছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হক মামলাজট প্রসঙ্গে বলেন, ‘মামলাজট কমাতে হলে বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। বিচারকের সংখ্যা বাড়লে নিষ্পত্তি বেড়ে যাবে। সরকার এজন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।’ এ বিষয়ে আইন কমিশন থেকে বিস্তরিত প্রতিবেদন দেওয়ায় তিনি বেশি কিছু বলতে চাননি। আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক কালবেলাকে বলেন, ‘মামলাজটের পেছনে প্রধান কারণ হলো, সরকারের কাছে বিচার বিভাগ একেবারেই অবহেলিত। একটা ফ্লাইওভার করতে সরকার যতটা গুরুত্ব দেয়, বিচার বিভাগের প্রতি তার চেয়েও কম গুরুত্ব দেয়। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় রাষ্ট্রের বিভিন্ন দিকের উন্নতি কীভাবে হবে, তা বলা আছে। কিন্তু সেখানে বিচার বিভাগ সম্পর্কে কিছুই বলা নেই। মামলাজট বাড়ছে এটা যদি গুরুত্বপূর্ণ হতো, তাহলে সরকারের পরিকল্পনায় এটা স্থান পেত।’ ড. শাহদীন মালিক আরও বলেন, ‘১৮শ বিচারক দিয়ে ১৭ কোটি মানুষের বিচার করা অসম্ভব। আর এ অবস্থা থেকে বের হতে হলে বিচার বিভাগের জন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এ খাতে বরাদ্দ পর্যায়ক্রমে পাঁচ হাজার কোটিতে উন্নীত করতে হবে। প্রতি বছর গড়ে একশজনের মতো বিচারক নিয়োগ হচ্ছে, সেটা তিনশতে উন্নীত করতে হবে। সেইসঙ্গে বিচারকদের পর্যাপ্ত সহকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। বিচার বিভাগে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। আর এসব কাজে শুধু রাজনৈতিক সদিচ্ছাই যথেষ্ট।’ মামলা জট কমানো প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য ও বর্তমান বাস্তবতা সম্পর্কে সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. শাহজাহান সাজু কালবেলাকে বলেন, ‘কোনো কিছু বাস্তবায়ন সম্ভব কি না সেটা বিবেচনায় না নিয়েই মন্ত্রী-এমপিরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। আইনমন্ত্রীও একই উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মামলার জটও বেড়ে যাচ্ছে। এটা কমাতে হলে বিচারক এখন যা আছে, তার তিনগুণ বাড়াতে হবে। কম করে হলেও পাঁচ হাজার বিচারক নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।’ আইন কমিশনের সুপারিশ: মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি ও জট কমিয়ে আনার বিষয়ে সুপারিশ করে গত বছর আগস্টে আইন কমিশন একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে জটের মূল পাঁচটি কারণ উল্লেখ করা হয়। সেগুলো হচ্ছে, পর্যাপ্ত বিচারক না থাকা, বিশেষায়িত আদালতে পর্যাপ্ত বিচারক নিয়োগ না হওয়া, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা, জনবলের অভাব এবং দুর্বল অবকাঠামো। অন্য কারণগুলো হলো মামলা সুষম বণ্টন না হওয়া, প্রশাসনিক শৈথিল্য, পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না হওয়া, কর্মকর্তা-কর্মচারীর জবাবদিহির অভাব, আইনজীবীর আন্তরিকতার অভাব, দুর্বল মামলা ব্যবস্থাপনা, জমিজমা-সংক্রান্ত নথি সংরক্ষণের অভাব, প্রচলিত বিচারব্যবস্থায় মামলা নিষ্পত্তিতে ব্যবহারিক জটিলতা, সাক্ষীর অনুপস্থিতি, ক্রমাগত শুনানির অভাব, যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাব, নকল সরবরাহে অনিয়ম, উচ্চ আদালত কর্তৃক নথি তলব, সংশ্লিষ্ট মামলার আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিভিশন, মোকাদ্দমা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা, উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ ইত্যাদি। মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা কমাতে কয়েকটি সুপারিশও করে আইন কমিশন। এর মধ্যে আছে মামলা দায়ের করার সময় মিথ্যা, ফলহীন ও হয়রানিমূলক মামলা করার বিষয়টিকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। নালিশি মামলা গ্রহণের ক্ষেত্রে মামলার আবেদনকারী ব্যক্তির (ফরিয়াদি) অভিযোগ যাচাইয়ের মাধ্যমে মামলার রক্ষণীয়তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে মিথ্যা মামলা হলে বাদীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনের ২১১ ধারার আওতায় মামলা করার বাধ্যবাধকতা আনতে হবে এবং দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এতে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রবণতা কমবে এবং মামলার সংখ্যা অনেকাংশে কমানো সম্ভব হবে। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন পর্যায়ে পদ সৃষ্টি করে কমপক্ষে পাঁচ হাজার বিচারক নিয়োগ করা হলে জট কমিয়ে মামলার সংখ্যা সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব হবে। তবে রাষ্ট্রের সীমিত সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে স্বল্প সময়ে এত বিচারক নিয়োগ করা সম্ভব নয়। আবার একসঙ্গে এত বিচারক নিয়োগ করলে তাদের গুণগত মানেরও অবনতি ঘটতে পারে। তবে ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছর কমপক্ষে পাঁচশ বিচারক নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন বলে প্রতিবেদনে মতামত দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশে আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে মামলা জট নিরসনে কার্যকর ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে বিচার ব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে। আইন কমিশন মনে করে, মামলা জট নিরসনের ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্নভাবে এক বা একাধিক সমস্যা ও তার প্রতিকারের প্রতি নজর না দিয়ে সামগ্রিকভাবে গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যাবশ্যক।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিচারককে অপহরণ
পাকিস্তানের জেলা ও দায়রা জজ শাকিরুল্লাহ মারওয়াতকে আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করেছেন অস্ত্রধারীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) তাকে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ার ট্যাঙ্ক ও ডেরা ইসমাইল খানের সীমান্ত এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। তবে অপহরণের একদিনের মাথায় তাকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর জিও নিউজের। প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলি সাইফ জিও নিউজের কাছে বিচারক শাকিরুল্লাহকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিক করেছেন। তাকে নিরাপদে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ব্যারিস্টার সাইফ বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে। পুলিশ বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী গতকাল রাতে ডিআই খানের কুলাচি এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। যার ফলে ওই বিচারককে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের আদালেতে নিয়োজিত এই বিচারককে ট্যাঙ্ক ও ডিআই খানের মধ্যবর্তী সীমান্ত এলাকা বাগওয়াল গ্রাম থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। ডিআই খানের উপপুলিশ সুপার (ডিএসপি) মোহাম্মদ আদনান জানান, শাকিরুল্লাহ আদালত থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। এরপরই কাউন্টার-টেরোরিজম ডিপার্টমেন্টেঅজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করেন বিচারকের গাড়ি চালক শের আলি। এফআইআর দায়ের করার আগে ওই বিচারককে দ্রুত উদ্ধার করতে একটি উচ্চ-স্তরের বিশেষ দল গঠন করে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। তার আগে ৬৩ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তায় বিচারক শাকিরুল্লাহ জানান, অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের সরকারের কাছে কিছু দাবি রয়েছে। তাদের দাবি পূরণ করা হলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

আদালত অবমাননা  / ফের পেছাল বিএনপির ৭ আইনজীবীর শুনানি
বিএনপি সমর্থিত সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি ফের পেছাল। বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানির জন্য আগামী ১২ জুন নির্ধারণ করেন। এদিকে আদালতের অনুমতি ছাড়াই জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর এবং বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। পরে শুনানির দিন ৭ আইনজীবীকেই আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিএনপির বাকি ৫ আইনজীবী হলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহসম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল। গত বছরের ১৫ অগাস্ট শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে দুই বিচারকের বক্তব্য ধরে তাদের অপসারণ চেয়ে কর্মসূচি পালন করেন বিএনপির আইনজীবীরা। পরে তারা সুপ্রিম কোর্টে সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিল করেন এবং দুজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলনসহ তাদের বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচিও ঘোষণা করেন। পরে গত ২৯ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টে সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে আইনিব্যবস্থা চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪
X