আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৪ মে তাকে সশরীরে হাজির হয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না-তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে বিচার বিভাগ নিয়ে আলালের প্রকাশিত একটি বক্তব্য সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিসের মাধ্যমে হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। এরপর বিষয়টি আমলে নিয়ে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২৯ এপ্রিল স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন। ওই আদেশের লিখিত অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গত ২৫ এপ্রিল ইউটিউবে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের প্রকাশিত একটি ভিডিও ক্লিপ প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করেন। পরে প্রধান বিচারপতির আদেশ অনুযায়ী বিষয়টি এই বেঞ্চে উত্থাপন করা হয়। আদেশে আরও বলা হয়েছে, আমরা ভিডিওটি পর্যালোচনা করেছি। ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তাতে আদালত অবমাননার প্রাথমিক উপাদান রয়েছে। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল তার বক্তব্যের মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের এবং সমস্ত বিচার বিভাগকে অবমাননা করেছেন। আদালত মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে আদালদ অবমাননার রুল জারি করেন। রুলে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ কেন আনা হবে না এবং আদালত অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী ১৪ মে তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত বক্তব্যের লিংকটি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে বিটিআরসিকে নির্দশ দেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, ইউটিউবে প্রকাশিত ওই ভিডিওতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচার এবং তাদের সাজা দেওয়ার বিষয়ে বক্তব্য রয়েছে। এ ছাড়া বিচার করার পর সংশ্লিষ্ট বিচারকদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে বলেও বক্তব্য রয়েছে। এছাড়া বিচার বিভাগ, রুল অব লসহ নানা বিষয়ে বক্তব্য রয়েছে ওই ভিডিওতে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান বলেন, আদেশের বিষয়বস্তু আমরা পর্যালোচনা করছি এবং করণীয় নির্ধারণে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
মন্তব্য করুন