বিএনপি-জামায়াত এখন বিদেশিদের সাথে আঁতাত করেছে : আইনমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তারা ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল এবং ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যেই লুট করছে সেই টাকা বিদেশে নিয়ে গিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে আঁতাত করেছে।
তিনি বলেন, তারা বাইডেনকে চিঠি লেখে, তারা অমুককে চিঠি লেখে, তমুককে চিঠি লেখে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। যেহেতু আপনারা বিএনপি-জামায়াতকে সমর্থন করেন না, তাদের সায় দেন না, সেজন্য তারা আপনাদের কাছে আসে না। ২০১৪ সালে আসেনি, ২০১৮ সালে আসেনি, ২০২৪ সালেও তারা আসতে চায় না।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সোনারগাঁও জিলানিয়া মাদ্রাসা মাঠে নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করার জন্য অসহযোগের ডাক দিয়েছে। তাদের ডাকে একটা পশুও নড়বে না। তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক এটাই জনগণ চায়। আপনারা জানেন, তারা ২০১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, ২০১৮ সালে মনোনয়ন সন্ত্রাস করেছে। আর আজকে আবার সন্ত্রাস শুরু করেছে। তারা রেলসন্ত্রাস করছে। তাদের কাছে রেল বগিতে নিষ্পাপ শিশুও রক্ষা পায় না। তারা তাদের হত্যা করছে। তাদের কি আপনারা নির্বাচন বানচাল করতে দেবেন। আপনারা ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে আপনাদের দায়িত্ব হলো তাদের বলা- আমরা এই রাজনীতি মানি না, এই ধ্বংসের রাজনীতি বিশ্বাস করি না, আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, আমরা আপনাদের সমর্থন নিয়ে বিশ্বকে প্রমাণ করে দিতে চাই ২০২৪ সালের নির্বাচন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলার উন্নয়নের জন্য জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, কসবা-আখাউড়া ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গন। আমরা যুদ্ধ দেখেছি, আমরা ধ্বংস দেখেছি, আমরা নির্যাতন দেখেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে এবং পাক হানাদার বাহিনী যখন নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে তখন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেন। মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে এবং বিজয় আনে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যখন বাংলাদেশের উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছিল, মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পরিবেশ তৈরি করে ফেলেছিল, যখন বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে দুর্যোগ কথাটা চলে যাচ্ছিল তখন এই বিএনপি-জামায়াত যদিও বিএনপি তখনো তৈরি হয়নি কিন্তু তাদের প্রেতাত্মারা জাতির পিতার পরিবারের ১৭ জন সদস্যসহ তাকে হত্যা করে। তারপর থেকে বাংলাদেশে হত্যা ও নির্যাতনের রাজনীতি শুরু হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটা ভিক্ষুকের রাষ্ট্রে পরিণত করা ছিল বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য। জামায়াত, আলবদর, যারা মানুষকে খুন করেছে, যারা রাজাকার ছিল, আইয়ুব খানের মন্ত্রী ছিল জিয়াউর রহমান তাদের মন্ত্রী বানিয়েছে। তিনি কি বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে পাননি। আর তাদের দিয়ে জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে প্রায় নিঃশেষ করে দিয়েছিল। আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে যখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন, তখন প্রত্যেকটা নির্বাচনের সময় তারা সন্ত্রাস করা শুরু করেন।
খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে নির্বাচনী পথসভায় উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও পৌর মেয়র এম জি হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, সাইদুর রহমান স্বপন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য এম এ আজিজ, খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মীর হেলাল উদ্দিনসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৩