আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করা হবে : মঈন খান
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান।  তিনি আওয়ামী দুঃশাসন ও নিপীড়ন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন জোরদার করা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সহযোগিতা করার জন্য সকলকে আহ্বান জানান।  শুক্রবার (১০ মে) নরসিংদীর পলাশ উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পরে উপজেলা বিএনপির সকল নেতাদের উপস্থিতিতে পলাশ উপজেলা বিএনপির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।  এর আগে পলাশ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট কানিজ ফাতেমা কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন। কাউন্সিলে পলাশ উপজেলা বিএনপির অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেকটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শে বিশ্বাসী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  সভার শুরুতে পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে পলাশ উপজেলা বিএনপির কার্যক্রমকে গতিশীল করতে এবং সংগঠনকে পুনর্গঠনকল্পে জরুরি ভিত্তিতে পলাশ উপজেলা বিএনপির আগামী কমিটি নির্বাচন করার প্রস্তাব করেন। এই প্রস্তাবকে সকল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক/সাংগঠনিক সম্পাদকগণ সমর্থন করেন।  উপস্থিত কাউন্সিল সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পলাশ উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে

ইসলামী আন্দোলনের সেমিনার / ‘দেশ ও ইসলাম নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ইসলাম নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ইসলাম মানুষকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে উৎসাহ দেয়। কিন্তু মানুষ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম (শায়খে চরমোনাই) প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, শিক্ষায় আলো। শিক্ষা থেকে যদি বঞ্চিত রাখা যায় তবে জাতিকে ধ্বংস করা যায়। ছেলে-মেয়েদের অবাধ চলাফেরা দেখানো হয়েছে পাঠ্যপুস্তকগুলোতে। মা বাবার দ্বীনি পরিবেশ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক থেকে কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য শিক্ষা বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন শিল্প সংস্কৃতির মধ্যে ঢোল-তবলা দেওয়া হয়েছে। এটা শিল্পকলার কাজ, জাতীয় কারিকুলামে এটা হতে পারে না। মুসলিম সন্তানদের একত্রে নাচতে গাইতে, ছেলে-মেয়েদের বন্ধুদের হাত ধরে চলতে শেখানো হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষক ফেরামের সভাপতি অধ্যাপক মো. নাছির উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আ খ ম ইউনুস, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ। মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, মগজ বিকৃত কিছু বুদ্ধিজীবী শিক্ষা থেকে ইসলামকে দূরে রাখতে অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সংকীর্ণতা দূর করে লোভকে পরিহার করে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তবে ভবিষ্যতে প্রজন্ম ঈমান ইসলাম নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। আশরাফ আলী আকন বলেন, বাংলাদেশে আগ্রাসন বহুমুখী। এ আগ্রাসন থেকে মুক্ত হতে না পারলে আমাদের কপালে দুর্ভোগ আছে। অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, ইসলাম কাউকে গোলাম তৈরি করতে শেখায় না, বরং মানুষকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে উৎসাহ দেয়। আমাদের একটি নতুন শিক্ষা কমিশন গঠনের ঘোষণা সময়ের দাবি। অধ্যাপক আ খ ম ইউনুস বলেন, বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে হাবুডুবু খেয়ে যারা বেড়ে উঠেছে তারাই এই কারিকুলাম তৈরি করেছে। বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলিয়া মাদ্রাসা। আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা সংরক্ষণে দলমত নির্বিশেষে উদ্যোগ নেওয়া দরকার। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মো. নাছির উদ্দীন খান বলেন, আমরা মনে করি সকলের মেধা ও প্রতিভা কখনোই এক হবে না। কিন্তু সরকার, অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের লক্ষ্য ও প্রতিভার ভিন্নতা বিবেচনা না করে বাধ্যতামূলকভাবে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের একমুখী মডেলে তৈরি করতে চান। শিক্ষা কারিকুলাম-২০২১ এ সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো প্রায় প্রতিটি বিষয়ই সবচেয়ে কম মেধাবী ছাত্রের কথা বিবেচনা করে পাঠ্যপুস্তক প্রণীত হয়েছে যা বিজ্ঞান বইগুলোতে চোখ রাখলেই এর বাস্তবতা লক্ষ্য করা যাবে। এতে করে আমাদের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মেধার বিকাশ করতে পারবে না। ফলে বহির্বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না। জাতি হিসেবে আমরা আরও পিছিয়ে পড়ব। এ সময় অনুষ্ঠানে দেশের স্বার্থে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মেধা বিকাশের লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবি উপস্থাপন করা হয়। সেগুলো হচ্ছে- - বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম-২০২১ বাতিল করা এবং যুগোপযোগী শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়নে অভিজ্ঞ, দেশপ্রেমিক এবং দ্বীনদার শিক্ষাবিদদের সম্পৃক্ত করা।  - পাঠ্যপুস্তকে সকল বিষয় হতে বিতর্কিত ও ইসলামী আক্বীদাবিরোধী প্রবন্ধসমূহ বাদ দেওয়া।  - স্কুল ও মাদ্রাসার সকল পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় সংস্কৃতি, অনৈসলামিক শব্দ এবং অশ্লীল চিত্রমুক্ত রাখা।  - আলিয়া মাদ্রাসার স্বকীয়তা বজায় রেখে স্বতন্ত্র কারিকুলাম প্রণয়ন করা। - শিক্ষকদের স্বতন্ত্র উচ্চতর বেতন কাঠামো এবং শিক্ষক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে হবে।
২২ ঘণ্টা আগে

দল ছাড়ার ২৪ ঘণ্টা পর ভোল পাল্টালেন বিএনপি নেতা
বগুড়ার শেরপুরে বিএনপি ছেড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই ভোল পাল্টিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ শাহ আলম পান্না। মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডস্থ শেরপুর প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে তিনি নিজেই সংবাদ সম্মেলন ডেকে ইসলামী আন্দোলনে যোগদানের বিষয়টি অস্বীকার করেন।  এ সময় শেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি স্বাধীন কুমার কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ জুয়েলসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে শাহ আলম পান্না বলেন, স্থানীয় ও জাতীয় একাধিক গণমাধ্যম থেকে জানতে পারলাম, আমি নাকি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিয়েছি। বহুদিন আগে থেকেই তাদের কার্যক্রম আমাকে আকৃষ্ট করে। ওনাদের দাওয়াত পেয়ে আমি ওয়াজ মাহফিলে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে তাদের দলে যোগ দিয়েছি, এই কথা সঠিক নয়। আমি অন্য কোনো দলে যোগদান করিনি। আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই অনেকে ওই মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন। তবে দলে যোগদানের বিষয়টি অস্বীকার করার এই ঘটনাটিকে অনাকাঙ্ক্ষিত আখ্যায়িত করে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন শেরপুর উপজেলার সহসভাপতি ইমরান খান। তিনি বলেন, আমাদের দলে যোগদানের বিষয়ে শাহ আলমের সঙ্গে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। অবশেষে রোববার (৫ মে) আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিমের উপস্থিতিতে সদস্য ফরম পূরণ করেন। পরে ওয়াজ মাহফিলে হাজার হাজার মানুষের সামনে আজীবন ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেন। হয়তো তিনি পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক চাপে এখন ওই ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন। এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, শাহ আলম পান্না হাজার হাজার মানুষের সামনে ইসলামী আন্দোলনে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে তিনি শপথবাক্য পাঠ করে সেই দলের প্রাথমিক সদস্য ফরম পূরণ করেছেন। আমাদের দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি বিএনপিতে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। প্রসঙ্গত, আলহাজ শাহ আলম পান্না টানা একযুগ ধরে শেরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে তিনি পাঁচবার উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এখনো তিনি চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত আছেন।
০৮ মে, ২০২৪

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি এবং অনেক ক্ষেত্রেই তা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই এ রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই। থ্যালাসেমিয়া বিস্তার রোধে বাহকদের এবং আত্মীয়ের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ককে নিরুৎসাহিত করতে হবে। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে সন্তান ধারণের পর প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বুধবার (৮ মে) বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি কর্তৃক ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘সবাই মিলে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত বাংলাদেশ গড়ব- এটাই হোক এবারের বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসের অঙ্গীকার।’ রাষ্ট্রপতি বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি জিনবাহিত রোগ যা বাহকের মাধ্যমে ছড়ায়। স্বামী-স্ত্রী উভয়ই থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক হলে সন্তানদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে থ্যালাসেমিয়া জিনবাহক নারী-পুরুষের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। এজন্য বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগেই পরীক্ষার মাধ্যমে পুরুষ বা নারী কেউ এ রোগের বাহক কি না তা নির্ণয় করা জরুরি। এ ছাড়া রক্তস্বল্পতাজনিত ভয়াবহ এ রোগটি প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তোলাও প্রয়োজন।   রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
০৮ মে, ২০২৪

প্রতিশোধের রাজনীতি দেশকে বিপর্যয়ের খাদে নিপতিত করবে : ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব প্রদানকারী ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল হিসাবে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও নিজেদের জনপ্রিয়তার প্রতি ন্যূনতম আস্থা নেই। ফলে ডামি নির্বাচন দিয়ে তাদেরকে ক্ষমতায় আসতে হয়। ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে হয়। এটা সরকারের জন্য লজ্জার।  তিনি বলেন, দেশকে সম্ভাব্য বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে এখন সরকারকে একটা অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের রাজনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে তাদের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দেওয়া দরকার। অন্যথায় সরকারের প্রতিহিংসা-প্রতিশোধের রাজনীতি দেশকে অনিবার্য বিপর্যয়ের খাদে নিপতিত করবে। মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক শায়খুল হাদীস মকবুল হোসাইন, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, জিএম রুহুল আমিন, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, হাফেজ মাওলানা নূরুল করীম আকরাম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল মজুমদার। ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, মানুষের নাগরিক ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন রাজনৈতিক দল ও জনগণকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে।  তিনি সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আওয়ামী লীগের পরিবর্তে কারা দেশ চালাবে তা দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে।  তিনি বলেন, আমরা দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী। এই সম্পর্ক নষ্ট করতে একটি পক্ষ সবসময় সচেষ্ট থেকেছে।  
০৭ মে, ২০২৪

ভয় দেখিয়ে আন্দোলন দমানো যাবে না : সালাম
ধমক দিয়ে, জেল-জুলুমের ভয় দেখিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমানো যাবে না বলে দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম। সোমবার (৬ মে) বিকেলে পুরান ঢাকার কোর্ট স্ট্রিট রোডে কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কারাবন্দি মোস্তাক আহমেদের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে তার বাসায় গিয়ে এসব কথা বলেন আব্দুস সালাম। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের কথা বললে এবং ভোটের অধিকারের জন্য আন্দোলন করলে জেল-জুলুমের ভয় সামনে আসে। এখন তো এক মামলায় ধরে আরেক মামলায় জড়ানো হয়। ধরার সময় মামলা না থাকলে বলা হয়- অপেক্ষা করুন জানতে পারবেন। এ ধরনের নাটকের একটা শেষ আছে। ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত, জুলুম-নির্যাতনের জন্য ক্ষমতাসীনদের এক সময় আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। কারাগারে থাকা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের মুক্ত করে আনতে হবে। সরকারের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ, গণতান্ত্রিক রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি আজ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে। এর বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।   সালাম বলেন, রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের মাধ্যমেই বিনা ভোটের এই সরকারের সকল ষড়যন্ত্র ও জুলুমকে রুখে দিতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার, রমনা থানা বিএনপি নেতা সাইফুল বিশ্বাস, চকবাজার থানা বিএনপি নেতা আনোয়ারুল হক রনি, মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক মুন্না, ৩৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রোলেক্স পারভেজ হ্যাপি, ৩৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, ৩৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন বাপ্পী, ৩২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী জাহিদ হাসান, ৩৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডালিম হোসেনসহ কোতোয়ালি থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
০৬ মে, ২০২৪

ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিলেন বিএনপির প্রবীণ দুই নেতা
বগুড়ার শেরপুরে শাহ আলম ওরফে পান্না ও আবদুল আজিজ নামে দুই নেতা বিএনপি ছেড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন। রোববার (৫ মে) রাতে এক ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে দলে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন। শাহ আলম ওরফে পান্না শেরপুর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আব্দুল আজিজ শেরপুর পৌর বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের মহিপুর খেলার মাঠে ওয়াজ মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলনের বগুড়া কমিটির জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির আল্লামা আবদুল হক আজাদ। মাহফিলে শেরপুর উপজেলার কয়েক হাজার সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। সেখানে দুজন বিএনপি ছেড়ে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন। এ সময় ওয়াজ মাহফিলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম উপস্থিত ছিলেন।  জানা গেছে, শাহ আলম ওরফে পান্না উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। প্রায় ৪১ বছর ধরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে ছিলেন। ১৯৮৩ সালে ছাত্রাবস্থায় তিনি ছাত্রদলে যোগ দেন। ছাত্রজীবন শেষে বিএনপির শহর ও উপজেলা কমিটিতে ছিলেন। তিনি বেশ কয়েকবছর শেরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ উপজেলা বিএনপি কমিটির সদস্যপদে ছিলেন। শাহ আলমের বড় ভাই জানে আলম (খোকা) শেরপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র। অষ্টম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে জানে আলম ছিলেন বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী। অপরদিকে আবদুল আজিজ বগুড়া-৫ আসনের বিএনপিদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মো. সিরাজের ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) ছিলেন। অন্তত ৩০ বছর তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শেরপুর উপজেলা কমিটির সহসভাপতি ইমরান খান কালবেলাকে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ওই দুজন আমাদের দলে যোগদানের পর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তাদের হাতে দলীয় প্রতীক হাতপাখা তুলে দেন। এর আগে ওই দুজন দলীয় ঘোষণাপত্রে সই করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহ আলম বলেন, আমরা মুসলমান, ইসলামের পথে থাকতে হবে। এ জন্য আমি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলে যোগদান করেছি। বিএনপির চেয়ে ইসলামী আন্দোলনের আদর্শ ভালো। শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, শাহ আলম ওরফে পান্না সবসময় বিএনপিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করেছেন। এ দলবদল দলীয় রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না বরং স্থানীয়ভাবে বিএনপি আরও শক্তিশালী হবে।
০৬ মে, ২০২৪

ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে, দাবি শিক্ষার্থীদের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী গত ১০ ফেব্রুয়ারি যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে আবেদন করেন। এর কিছুদিন পরেই তার বিরুদ্ধে রাজধানীর অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীও ‘যৌন হয়রানির’ অভিযোগ তোলেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তথ্যানুসন্ধান কমিটিকে দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়ার পর দুই মাস অতিক্রান্ত হলেও দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গৃহীত না হওয়ায় ন্যায়বিচার ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।  তারা বলছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করার অথবা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা কমে গেলে লঘুদণ্ড দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।   সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের নিচে বিভাগটির সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এসব মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিভাগটির ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিজ খান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক প্রত্যেক ব্যাচে টার্গেট করে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি করতেন। এমনকি বিভাগের সাবেক অনেক শিক্ষার্থীও বিভিন্ন সময়ে তার দ্বারা শিকার হওয়া বিভিন্ন হয়রানির ব্যাপারে মুখ খুলেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করেছেন। যার প্রেক্ষিতে আমরা বিভাগের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থী ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে এই অভিযোগের নিরপেক্ষ এবং নির্মোহ তদন্তসাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেই। এ পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে আমাদের বিভাগীয় চেয়ারপারসনসহ তিনজন শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেন। উপাচার্য মহোদয় আমাদের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদেরও ডেকে নেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, গত ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মাস্টার্স ব্যাচের ফল ধসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে অপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তকারী কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু, দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হলেও আজ দুই মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত তদন্তের কোনো অগ্রগতি আমরা দেখতে পাচ্ছি না। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অন্য দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা করতে পারেনি। এর ফলে আমরা 'গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা' বিভাগের নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা তদন্তপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা করছি। আমরা আরও আশঙ্কা করছি, বিশেষ কোনো মহল বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে অথবা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা কমে গেলে লঘুদণ্ড দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে এই ঘটনায় অগ্রগতি আমাদেরকে জানাতে হবে। দৃশ্যমান কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হলে নিপীড়িত শিক্ষার্থীর ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে আমরা বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবারও কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীকে কেবল পদাবনতি কিংবা পদোন্নতি বন্ধ করে লঘুদণ্ড দিলেই হবে না, তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ফৌজদারি ব্যবস্থা নিতে হবে। ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়ার সকল ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয়কেই বহন করতে হবে। এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশে ফলে ধস নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। অভিযোগের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করে মৌখিক পুনঃগ্রহণ ও সম্পূর্ণ ফল পুনর্মূল্যায়ন এবং অধ্যাপক নাদির জুনাইদের কৃতকর্মের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানান। ১০ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে বিভাগের এক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি ড. নাদিরের বিরুদ্ধে মৌখিক যৌন হয়রানি ধামাচাপা দেওয়ার অন্য আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন বিভাগটির আরেক নারী শিক্ষার্থী। এরপর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আরেকটি যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন রাজধানীর আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেন বিভাগের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তার বিভাগীয় অফিস কক্ষে তালা দেওয়ার পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের তালায় সিলগালা করে দেন শিক্ষার্থীরা এবং দরজায় ‘যৌন নিপীড়ক অধ্যাপক নাদির জুনাইদ ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত’ সংবলিত পোস্টার ঝুলিয়ে দেন। এ ছাড়া, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দেন। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  এরপর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের জন্য তাদের একাডেমিক কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়বে না এমন লিখিত নিরাপত্তার আশ্বাস চাইলে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিভাগের একাডেমিক কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে এমন একটি বিবৃতি প্রদান করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহম্মদ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে রুটিন অনুযায়ী ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেন এবং ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু না হলে আবারও ক্লাস বর্জন করে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। অবশেষে, গত ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় ফলাফল ধসে দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি ও যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়।
০৬ মে, ২০২৪

জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে প্রতি জেলায় আন্দোলন হয়েছে
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে জনমত গড়তে প্রতি জেলায় আন্দোলন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, জাহানারা ইমামের লেখা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। বিশেষ করে যখন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলন হয়। তখন তার নেতৃত্বে নির্মূল কমিটির মাধ্যমে প্রতি জেলায় আন্দোলন হয়েছে। সে সময় মফস্বলেও নির্মূল কমিটির মাধ্যমে আমরা গণআন্দোলনের মতো জনমত গড়ে তুলেছিলাম। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে যে জনমত তৈরি হয়েছিল, আমরা সবাই এতে সম্পৃক্ত ছিলাম। শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মিলনায়তনে গতকাল শনিবার জাহানারা ইমাম স্মৃতি স্মারক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর জাহানারা ইমাম-সংক্রান্ত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামি জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। এরপর মন্ত্রী ভার্চুয়ালি জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরে মহাপরিচালক কামরুজ্জামান। আরও বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ।
০৫ মে, ২০২৪

গাজার পক্ষে অবস্থান নিলেন প্রভাবশালী মার্কিন সিনেটর
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য বার্নি স্যান্ডার্স দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে চলমান ফিলিস্তিনপন্থি ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে নিজের সমর্থন জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে বার্নি স্যান্ডার্স এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এক্সে শেয়ার করা টুইটে বার্নি স্যান্ডার্স লিখেন, ‘১৯৬২ সালে শিকাগো ইউনিভার্সিটিতে বর্ণবাদী নীতিমালার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছিলাম। ’৬৩ সালে আমরা পৃথক গাত্রবর্ণের লোকের জন্য পৃথক স্কুলের বিরোধিতা করে আন্দোলনের সময় আমি গ্রেপ্তার হয়েছিলাম। কিন্তু আমরা সঠিক ছিলাম।’  গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরোধিতা করে চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে নিজের সমর্থন ব্যক্ত করে মার্কিন এই সিনেটর লেখেন, ‘আমি গর্বিত, আজ শিক্ষার্থীরা গাজায় চলমান যুদ্ধের বিরোধিতা করছে।’ এ সময় তিনি আন্দোলনকারীদের প্রতি শান্তিপূর্ণ উপায়ে লক্ষ্য হাসিলের আহ্বান জানিয়ে লেখেন, ‘লক্ষ্যে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাও। তোমরা ইতিহাসের পাতার সঠিক পৃষ্ঠাতেই আছ। এর আগেও বার্নি স্যান্ডার্স বলেছিলেন, ভিয়েতনাম যুদ্ধের অবসানের দাবিতে ৬০ বছর আগে তিনি নিজে ও ছাত্রসমাজ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। আজ গাজাও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য ভিয়েতনামের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
০৪ মে, ২০২৪
X