বগুড়ার শেরপুরে বিএনপি ছেড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই ভোল পাল্টিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ শাহ আলম পান্না। মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডস্থ শেরপুর প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে তিনি নিজেই সংবাদ সম্মেলন ডেকে ইসলামী আন্দোলনে যোগদানের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ সময় শেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি স্বাধীন কুমার কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ জুয়েলসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে শাহ আলম পান্না বলেন, স্থানীয় ও জাতীয় একাধিক গণমাধ্যম থেকে জানতে পারলাম, আমি নাকি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিয়েছি। বহুদিন আগে থেকেই তাদের কার্যক্রম আমাকে আকৃষ্ট করে। ওনাদের দাওয়াত পেয়ে আমি ওয়াজ মাহফিলে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে তাদের দলে যোগ দিয়েছি, এই কথা সঠিক নয়। আমি অন্য কোনো দলে যোগদান করিনি। আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই অনেকে ওই মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন।
তবে দলে যোগদানের বিষয়টি অস্বীকার করার এই ঘটনাটিকে অনাকাঙ্ক্ষিত আখ্যায়িত করে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন শেরপুর উপজেলার সহসভাপতি ইমরান খান। তিনি বলেন, আমাদের দলে যোগদানের বিষয়ে শাহ আলমের সঙ্গে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। অবশেষে রোববার (৫ মে) আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিমের উপস্থিতিতে সদস্য ফরম পূরণ করেন। পরে ওয়াজ মাহফিলে হাজার হাজার মানুষের সামনে আজীবন ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেন। হয়তো তিনি পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক চাপে এখন ওই ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, শাহ আলম পান্না হাজার হাজার মানুষের সামনে ইসলামী আন্দোলনে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে তিনি শপথবাক্য পাঠ করে সেই দলের প্রাথমিক সদস্য ফরম পূরণ করেছেন। আমাদের দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি বিএনপিতে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আলহাজ শাহ আলম পান্না টানা একযুগ ধরে শেরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে তিনি পাঁচবার উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এখনো তিনি চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত আছেন।
মন্তব্য করুন