Thu, 09 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
বাংলা কনভার্টার
‘মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া ব্যবসায় মানোন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার’
৯ ঘণ্টা আগে
বিয়ের দাবিতে জুয়েলের বাড়িতে ২ সন্তানের জননীর অনশন
১০ ঘণ্টা আগে
২ হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার আসামি হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান
১১ ঘণ্টা আগে
নানা আয়োজনে ‘বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড সেন্ট দিবস’ পালিত
১১ ঘণ্টা আগে
৩৪০ টাকার জন্য লাথি মেরে গর্ভের সন্তান হত্যা
১১ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৯ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
আমাজনের গহীন অরণ্যে আড়াই হাজার বছরের পুরোনো শহরের সন্ধান
রহস্যে ঘেরা আমাজন বন। লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা এই বন নিয়ে মানুষের আগ্রহ ও কৌতূহলের শেষ নেই। সেই কৌতূহল মেটাতে বছরের পর বছর ধরে পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত এই বন নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। এবার আমাজনের গহীন অরণ্যে গবেষকরা আড়াই হাজার বছরের পুরোনো এক বিশাল শহরের সন্ধান পেয়েছেন। তাদের দাবি, এই শহর আমাজন নিয়ে মানুষের এতদিনের ধারণাই বদলে দেবে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমাজনের ইকুয়েডরের উপানো এলাকায় এই শহর আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা। শহরটি এত প্রাচীন হলেও এর বাড়িঘর বিভিন্ন সড়ক ও খালের মাধ্যমে একে অন্যের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। এতদিন মানুষের ধারণা ছিল, পেরুর মাচু পিচুর মতো লাতিন আমেরিকার উঁচু অঞ্চলে মানুষজন যাযাবর বা ছোট ছোট বসতি করে বসবাস করতেন। ফ্রান্সের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক রিসার্চের গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক স্টিফেন রোস্টেন। তিনি প্রাচীন এই শহর আবিষ্কার দলের প্রধান। তিনি বলেন, আমাজনে আবিষ্কৃত অন্য যে কোনো এলাকার চেয়ে এটি পুরোনো। সভ্যতা নিয়ে আমাদের মাঝে ইউরোপকেন্দ্রিক একটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তবে পুরোনো এই শহর আবিষ্কারের ফলে সংস্কৃতি ও সভ্যতা নিয়ে আমাদের ধারণা পাল্টাতে হবে।
১২ জানুয়ারি, ২০২৪
জানতেন কি? /
বিপদে আমাজন
n বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে স্মরণকালের সেরা খরার মুখে পড়েছে আমাজন জঙ্গল। এরই মধ্যে প্রাচীন আমাজনের ১৭ শতাংশ জঙ্গলই হাওয়া হয়ে গেছে। বাকি গাছাপালাও আছে হুমকির মুখে। খরার কারণে শুকিয়ে আসছে আমাজন নদীও। নদীর কিছু জায়গা এতটাই শুকিয়েছে যে, নৌকাও চলছে না। n আমাজনের বাস্তুসংস্থান যে দ্রুত বদলে যাচ্ছে, জীবন দিয়ে তার প্রমাণ দিচ্ছে সেখানকার নানান প্রাণী। আমাজনের দুটি লেকের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ পর সেখান থেকে ২৭৬টি মৃত ডলফিন উদ্ধার হয়। n ১৫ হাজার কোটি টন কার্বন ধারণ করে আছে আমাজন জঙ্গল। n অক্টোবরেই আমাজনে বৃষ্টির মৌসুম শুরু হওয়ার কথা ছিল। নভেম্বরের শেষ নাগাদও সেখানে বৃষ্টি হয়নি। n আমাজনের নিজস্ব একটি আবহাওয়া সিস্টেম রয়েছে। এর গাছপালা থেকে নির্গত জলীয় বাষ্প ওপরে উঠে মেঘ তৈরি করে। সেটাই আবার জঙ্গলে পানির জোগান দেয়। এবারের এল নিনোর প্রভাবে গরম বাতাস ছুটে আসায় সেই বাষ্প চক্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে আবার কৃষিকাজের জন্য ক্রমাগত বনাঞ্চল কেটে জমি তৈরি করার কারণে ওই চক্র পুরোপুরি নষ্ট হওয়ার পথে। আর একবার এটি নষ্ট হলে পুরো জঙ্গলটাই ধীরে ধীরে বিরান হয়ে যাবে।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
আমাজন বাঁচানোর বিকল্প নেই
দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদীবিধৌত অঞ্চলের বিশাল এলাকা নিয়ে গঠিত আমাজন অরণ্যকে চিরহরিৎ বনও বলা হয়। ৭০ লাখ বর্গকিলোমিটার অববাহিকা পরিবেষ্টিত এ গভীর অরণ্যকে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়। কারণ পৃথিবীতে প্রাণিকুলের বেঁচে থাকার জন্য যে অক্সিজেন প্রয়োজন, তার ২০ শতাংশ আসে এ বন থেকে। কিন্তু দিন দিন আমাজন উজাড় হয়ে যাওয়ার কারণে গভীর সংকটের মুখে মানবজাতি। তাই পৃথিবীর এ ফুসফুসকে টিকিয়ে রাখতে সম্প্রতি এক জরুরি বৈঠকে বসে আটটি দেশ। গঠন করে একটি জোট। সেই জোট মানবজাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমাজনকে টিকিয়ে রাখতে সারা বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। আমাজন বনের ইতিহাস : আমাজন বনের সৃষ্টি হয়েছিল ইওসিন (Eocene) যুগে। বিশ্বব্যাপী যখন গ্রীষ্মমণ্ডলীয় তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং আটলান্টিক মহাসাগরের বিস্তৃতির ফলে আমাজন বেসিনে উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুর আবির্ভাব ঘটে, তখন আমাজন বনের উদয় ঘটে। কমপক্ষে ৫৫ মিলিয়ন বছর ধরে আমাজন বনের অস্তিত্ব বিরাজমান। ধরে নেওয়া হয়, মধ্য-ইওসিন যুগে আমাজনের নিষ্কাশন অববাহিকা এবং মহাদেশের মধ্যভাগ বিভক্ত হয় ‘পুরুস আর্ক’ দ্বারা। পূর্বদিকের পানি প্রবাহিত হতো আটলান্টিকে এবং পশ্চিমের পানি প্রবাহিত হতো আমাজনাস অববাহিকা হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে। আন্দিজ পর্বতমালার উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে আরও একটি অববাহিকার সৃষ্টি হয় যার নাম ‘সলিমোয়েস বেসিন’। আর এ অববাহিকা সৃষ্টির কারণে পুরুস আর্ক ভেঙে যায় এবং পূর্বদিকের প্রবাহের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের দিকে প্রবাহিত হয়। আমাজন নদী অববাহিকার এ পরিবর্তন প্রমাণ করে যে, গত ২১ হাজার বছরে বিভিন্ন কারণে আমাজন রেইন ফরেস্টের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। ‘আইস এজ’-এর সময় ‘সাভানা’ বা নিষ্পাদপ প্রান্তরের কারণে রেইন ফরেস্টগুলো কোথাও কোথাও ‘দ্বীপের’ মতো করে বিভক্ত হয়ে যায়, যার ফলে সেখানে থাকা জীব-বৈচিত্র্যের মধ্যেও বিভাজন ঘটে। ‘আইস এজ’ শেষ হয়ে গেলে বিভাজিত অংশগুলো পুনরায় এক হয়ে যায় এবং বিভাজিত প্রজাতিগুলোও আলাদাভাবে সেই পরিবেশের সঙ্গে যুক্ত হয়। প্রাণিজগৎ : এ জঙ্গলে এত বিরল প্রজাতির প্রাণী রয়েছে, যা অন্য কোথাও দেখা যায় না। আমাজনে ৮৫ লাখ প্রজাতির পোকামাকড়, ৪২৮ প্রজাতির উভচর, ৩৭৮ প্রজাতির সরীসৃপ এবং ৪২৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। অনিন্দ্য সৌন্দর্যের পাশাপাশি বিপজ্জনক অনেক প্রাণীই আমাজনে বসবাস করে। আমাজনে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং ভয়ংকর সাপ অ্যানাকোন্ডা। যা অন্য কোথাও দেখা যায় না। এ ছাড়া রয়েছে লাল চোখা ব্যাঙ, বিভিন্ন প্রজাতির পোকামাকড়, চিতাবাঘ, বানর, বৈদ্যুতিক ইল, মাংসখেকো পিরানহা, বিষাক্ত ডার্ট ফ্রগসহ অসংখ্য বিষাক্ত জাতের সাপ ও বিভিন্ন ধরনের সরীসৃপ প্রাণী। বৃক্ষ : আমাজনে প্রায় ৩৯০ বিলিয়ন বৃক্ষ রয়েছে, যা প্রায় ১৬ হাজার প্রজাতিতে বিভক্ত। হরেকরকমের গাছপালা দিয়ে আবৃত এ বনে বেশিরভাগই চিরহরিৎ বৃক্ষ। তাই একে চিরহরিৎ বনও বলা হয়। পৃথিবীজুড়ে যেসব রেইনফরেস্ট রয়েছে, তার অর্ধেকটাই এ অরণ্য। তাই একে রেইনফরেস্টও বলা হয়। পৃথিবীর ফুসফুস : প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য গাছপালার গুরুত্ব অপরিসীম। গাছপালা না থাকলে প্রাণীর অস্তিত্ব থাকত না। পৃথিবীতে প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য যে অক্সিজেন প্রয়োজন, তার ২০ শতাংশ আসে এ বন থেকে। এ জন্য আমাজনকে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়। এ কারণে এ বনকে টিকিয়ে রাখার কোনো বিকল্প নেই। অন্যান্য নদীর উৎস : আমাজনের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত নদী বেশিরভাগ নদীর উৎস। বিশ্বে যে পরিমাণ পানি দরকার, তার বেশিরভাগই আসে আমাজন নদী থেকে। বিশ্বে পানির চাহিদা মেটাতে আমাজনের গুরুত্ব অনেক বেশি। বনের মানুষ : আমাজন বনের সঙ্গে মানবকুলের সম্পর্ক বেশ পুরোনো। গাছপালা ও জীব-জন্তু ছাড়াও আমাজন বনে প্রায় ৪০০-৫০০টি আমেরি-ইন্ডিয়ান আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস। ধারণা করা হয়, এদের মধ্যে প্রায় ৫০টি আদিবাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে বাইরের পৃথিবীর কোনো সম্পর্ক নেই। অতীতে আমাজন বনে যেসব মানুষের বসবাস ছিল তারা প্রচলিত বিশ্বাস এবং কর্মক্ষমতার ভিত্তিতে বিভিন্ন সমাজে বিভক্ত ছিল। তারা কৃষিকাজের জন্য বনের স্থান পরিষ্কার করত, তৈজসপত্র তৈরি করত এবং শিকার করত। ১৬০০ শতাব্দীতে আমাজনে ইউরোপিয়ানদের আগমনের ফলে অ্যামাজনিয়ানদের জনসংখ্যা হ্রাসের কারণ হয়ে ওঠে। গবেষণায় দেখা যায় যে, আমাজনের ১১.৮ শতাংশ জায়গা সেখানকার আদিবাসীদের দ্বারা জীববৈচিত্র্যের দিকে লক্ষ্য রেখে অত্যন্ত যত্নসহকারে তৈরি করা একটি ব্যবস্থাপনা। আমাজনে বসবাসরত বেশিরভাগ জনগোষ্ঠী তাদের আবাস গড়ে তুলেছিল নদীঘেঁষা অঞ্চলগুলোতে; যাতায়াত, মাছ ধরা এবং জমির উর্বরতার ভিত্তিতে। কিন্তু ইউরোপিয়ানদের আগমনে তা ব্যাহত হয়। পরবর্তীকালে তারা বনের ভেতরের অংশে বসবাস শুরু করে। বর্তমানে জনসংখ্যা কমে গেলেও বেশ কিছু আদিবাসী এখন আমাজনে বসবাস করে, যদিও পাশ্চাত্যের ছোঁয়ায় অনেকেই এখন আধুনিক। বিপর্যয়ের শঙ্কা : সারা বিশ্বে যেখানে বৃক্ষনিধনের খেলা চলছে, আমাজন বনের চিত্রও এর বিপরীতে নয়। আমাজনে বৃক্ষনিধনের প্রধান কারণ হলো বসতি স্থাপন। ১৯৬০ সালের আগে আমাজনের ভেতরে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ ছিল। সে সময়ে যেসব জমিতে চাষ করা হতো সেখানে অতীতের পদ্ধতি প্রয়োগ করা হতো। কিন্তু আমাজনের জমিগুলো শুধু অল্প সময়ের জন্য উর্বর থাকে আর সে কারণে চাষিরা সর্বদা নতুন জমির খোঁজে বন উজাড় করতে শুরু করে। পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে বন উজাড় করা শুরু হয়। ১৯৯১ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে আমাজন বনের উজাড় হওয়া অংশের পরিমাণ ৪ লাখ ১৫ হাজার থেকে বেড়ে ৫ লাখ ৮৭ হাজার বর্গকিলোমিটারে উন্নীত হয় আর সেই অংশগুলো পরিণত হয়েছিল গৃহপালিত প্রাণীদের চারণভূমিতে। এরপর চিত্র আরও ভয়াবহ। ব্রাজিলের সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর আমলে সবচেয়ে বেশি বন উজাড় হয় বলে সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে। লুলা দ্য সিলভা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বন উজাড়করণ অনেকটা কমে এসেছে। কিন্তু তারপরও আমাজনের এ অবস্থার কারণে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন পরিবেশবিদরা। তাদের মতে, আমাজনে যে হারে বনাঞ্চল নিধন চলছে, তাতে করে আরও দ্রুত বিশ্ব উষ্ণায়ন ঘটার সম্ভাবনা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক জেমস এলকক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, আমাজনে যে হারে বন উজাড় হচ্ছে, তাতে এই অরণ্য আগামী ৫০ বছরের মধ্যে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এরকম অবস্থায় নড়েচড়ে বসেছে আমাজন বনকেন্দ্রিক আটটি দেশ। শুধু আঞ্চলিক স্বার্থে নয়, মানবজাতির বৃহত্তর স্বার্থে তারা উন্নত দেশগুলোকে এ বন রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
৩১ আগস্ট, ২০২৩
আমাজন জঙ্গলে বেঁচে থাকা সেই চার শিশু হাসপাতাল ছাড়ল
আমাজন জঙ্গলের গভীরে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ৪০ দিন পর জীবিত উদ্ধার হওয়া সেই ৪ শিশু হাসপাতাল ছেড়েছে। ৩৪ দিন চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে কলম্ববিয়ার রাজধানী বোগোতার সামরিক হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে তারা। তবে এখনই তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে না। খবর আলজাজিরার। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ৪ শিশুর মধ্যে সবচেয়ে বড়টির বয়স ১৩ বছর, তার নাম লেসলি। সবচেয়ে ছোট ক্রিস্তিনের বয়স মাত্র ১ বছর। সোলেইনি ও তিয়েন নোরিয়েল নামের অপর দুই শিশুর বয়স যথাক্রমে ৯ ও ৫ বছর। কলম্বিয়ার শিশু কল্যাণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আস্ত্রিদ ক্যাসেরেস গত শুক্রবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ওই চার শিশুর ওজন ও উচ্চতা ঠিক আছে। সত্যিই তারা এখন খুব অনুভব করছে। শিশু লেসলির বরাত দিয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, টানা ৪০ দিন গভীর জঙ্গলে থাকার পরও চার শিশু বেঁচে ছিল ওদের নানির কল্যাণে। লেসলিকে তার নানি খুব ছোটবেলা থেকে গভীর জঙ্গলে মাছ ধরা ও শিকারের কলাকৌশল শিখিয়েছিলেন। প্রকৃতি থেকে খাবার সংগ্রহের উপায়ও শিখিয়েছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার পর এসব কৌশল চার শিশুকে আমাজনের গভীরে বেঁচে থাকার জন্য খাবার সংগ্রহে সহায়তা করেছে। কলম্বিয়ার জাতীয় আদিবাসী সংগঠনের লুই আকোস্তা জানিয়েছেন, ওই চার শিশু বনের গভীরে থাকার সময় বিভিন্ন বীজ, ফল, শিকড়বাকড় খেয়েছে। তারা যেসব খাবার খাওয়া যাবে বলে মনে করেছে, সেগুলোই খেয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১ মে ছোট আকারের একটি উড়োজাহাজ আমাজন জঙ্গলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এই চার শিশু। ৪০ দিনের ব্যাপক তল্লাশি শেষে তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়। ওই তল্লাশি অভিযানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরসহ ১৫০ সেনাসদস্যকে মোতায়েন করা হয়। যোগ দেন নিখোঁজ শিশুদের বাবাসহ স্থানীয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকজন।
১৬ জুলাই, ২০২৩
আমাজন থেকে উদ্ধার শিশুদের মুখে লোমহর্ষক বর্ণনা
আমাজনের গহীন জঙ্গল থেকে ৪০ দিন পর উদ্ধারকৃত চার শিশু কথা বলতে শুরু করেছে। কীভাবে তারা এতদিন সাপ, জাগোয়ারের মতো হিংস্র প্রাণীদের সাথে লড়াই করে টিকে ছিল সেখানে, উঠে আসছে লোমহর্ষক সব বর্ণনা। উদ্ধারকৃত ৪ শিশুর মধ্যে সবচেয়ে বড় মেয়ে ১৩ বছর বয়সী লেসলি জানিয়েছে, জঙ্গলে বিমান দুর্ঘটনার ৪ দিন পর্যন্ত বেঁচে ছিল তার মা। মৃত্যুর আগে গুরুতর আহত অবস্থায়ও তাদের শিখিয়ে দিয়ে গেছেন কীভাবে এমন প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে হয়।
১৩ জুন, ২০২৩
বিমান বিধ্বস্তের ৪০ দিন পর আমাজন জঙ্গল থেকে ৪ শিশুকে জীবিত উদ্ধার
বিমান দুর্ঘটনার ৪০ দিন পর কলম্বিয়ার আমাজন জঙ্গল থেকে চার শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ জুন) দেশটির প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
১০ জুন, ২০২৩
আরও
X