আমির খসরুর ৮ মামলার শুনানি ১৭ জানুয়ারি 
রমনা ও পল্টন মডেল থানার পৃথক আট মামলায় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর গ্রেপ্তার ও জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৭ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। রোববার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত এ দিন ধার্য করেন।  ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জেল হোসেনের আদালতে এ শুনানি হবে। এর আগে আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ গ্রেপ্তার ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানিয়েছেন।  জানা গেছে, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আমির খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এজন্য অপর আট মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ আট মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে রমনা মডেল থানায় চার এবং পল্টন মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে।  এর আগে পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত ৩ নভেম্বর আমির খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

পুলিশ হত্যা : রিমান্ড শেষে খসরু-স্বপন কারাগারে
পুলিশ কনস্টেবল হত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনকে  কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মো. তরীকুল ইসলাম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ৩ নভেম্বর তাদের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জহির উদ্দিন স্বপন।
০৯ নভেম্বর, ২০২৩

পুলিশ হত্যা : ৬ দিনের রিমান্ডে খসরু ও স্বপন
পুলিশ কনস্টেবল হত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ দিন ২ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মো. তরীকুল ইসলাম।  অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন। রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী মহসিন মিয়া, আব্দুস সালাম হিমেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জহির উদ্দিন স্বপন।
০৩ নভেম্বর, ২০২৩

অচিরেই দেশে গণতন্ত্র ফিরবে : খসরু
অচিরেই বিএনপির আন্দোলন সফল হবে এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে বিএনপি। খসরু বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যখন রুখে দাঁড়িয়েছে, কোনো শক্তি তা আটকাতে পারেনি। অচিরেই এই আন্দোলন সফল হবে এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে সব স্তরের মানুষ আজ রাস্তায় নেমে এসেছে। চলমান এই আন্দোলন বিএনপির আন্দোলন নয়, এটি জনগণের আন্দোলন। বিএনপির এ নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, আজ গণতন্ত্রের জন্য আবারও মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। খসরু আরও বলেন, আন্দোলনের প্রতিপক্ষ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। আন্দোলন হচ্ছে দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র কুক্ষিগতকারীদের বিরুদ্ধে, ভোট চোরের বিরুদ্ধে। এই লুটেরাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। এর আগে বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে অংশ নিতে দুপুর ১টা থেকে ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিলসহকারে নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে কর্মসূচির প্রাঙ্গণ মুখরিত করে তোলেন। এদিকে সমাবেশ ঘিরে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

গুম-খুন করে আয়ু বাড়ালেও সরকারকে বিদায় নিতেই হবে : আমির খসরু
গুম ও খুন করে বর্তমান সরকার কিছু সময়ের জন্য আয়ু বাড়াতে পারে, তবে তাদের বিদায় নিতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।  শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত '১/১১ ষড়যন্ত্র, আজকের প্রেক্ষাপট: দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।  আমির খসরু বলেন, জীবনের বিনিময়ে আমরা আমাদের অধিকার ফিরিয়ে আনব। বিশ্ব বিবেক, বিশ্ব গণতন্ত্র আমাদের পক্ষে আছে, জনগণের পক্ষে আছে। আমাদের জয় সুনিশ্চিত। তবে এ জন্য আগামী দিনগুলোতে আমাদের শপথ নিতে হবে। প্রত্যেকটি ঘণ্টা, প্রত্যেকটি দিন আন্দোলনের সঙ্গে সবাইকে থাকতে হবে। এই দুটা মাস দেশের মানুষের জন্য স্যাক্রিফাইস করতে হবে। তিনি বলেন, ১/১১ এর মাধ্যমে যেটা হয়েছে সেটা হলো দেশের গণতান্ত্রিক যে কাঠামো; সেখানে তারা আঘাত করেছে। রাজনীতিতে এই লোকগুলোর আসার কোনো অধিকার নেই। রাজনীতিতে আসতে হবে নির্বাচিত হয়ে। একটা নিরপেক্ষ সরকারের জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা দরকার। যা একটি সুন্দর সরকার দেবে সেটাই সংবিধান। অথচ তারা ভোট চুরির অংশ হিসেবে বলছে সংবিধানের কথা। তারা মানুষের অধিকারের কথা বলছে না, তারা একটা ভোট চুরির প্রকল্পের কথা বলছে। এই প্রকল্পের মধ্যে বিচারক আছে, সরকারি কর্মকর্তারা আছে, ব্যবসায়ীরা আছে, লুটেরা আছে, রাজনীতিবিদ আছে, সুবিধাভোগীরা আছে। তারা ভুলে যাচ্ছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে শুধু জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনই দেখা গেছে। যতবার নিরপেক্ষ সরকারের আওতায় নির্বাচন হয়েছে ততবার জনগণের প্রতিফলন সুন্দর করে উঠে এসেছে। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলো সব সময় প্রশ্নবিদ্ধ। এ জন্য জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার। তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে যে নির্বাচনটা হয়েছে, সংবিধানে আছে সংসদ বাতিলের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। তো সেই নির্বাচন হয়েছে দুই বছর পর। তাহলে এটা কি সংবিধানসম্মত হয়েছে? এটা সংবিধানের বাইরে না? আমরা সেই নির্বাচনে গিয়েছিলাম তাই জনগণের প্রত্যাশায় প্রতিফলন ঘটেছিল। কিন্তু এখন সে প্রতিফলনকে আবার একটি ভোট চুরির প্রকল্প বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। জাতীয় গণতান্ত্রিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে নির্বাচন হবে সেটা আওয়ামী লীগ এককভাবে বাতিল করেছে। সংবিধানের ৭ ধারাতে বলা হচ্ছে সংবিধান হলো জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। সেইটার সাথে তারা বেইমানি করছে। ভাওতাবাজি করছে সংবিধানের নাম ধরে। সংবিধানে যে কেয়ারটেকার সরকারের কথা ছিল, সেটা জাতীয় ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে। যে সংবিধানে জাতীয় ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি, জাতীয় ঐকমত্যের প্রতিফলন ঘটেনি, সেই সংবিধানের দোহাই দিয়ে এগুলো তারা করতে পারে না। কেয়ারটেকার সরকারের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, জিয়া পরিষদের উপদেষ্টা রোটারিয়ান এম. নাজমুল হাসান, বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

করের টাকায় শেখ হাসিনা দক্ষিণ আফ্রিকায় ভোট চাইতে গেছেন : খসরু
বাংলাদেশের করের টাকা খরচ করে শেখ হাসিনা দক্ষিণ আফ্রিকায় নৌকায় ভোট চাইতে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি নুর আহম্মেদ সড়কে ‘কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবীতে’ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত কালো পতাকা গণমিছিলের পর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। আমীর খসরু বলেন, শেখ হাসিনা দক্ষিণ আফ্রিকায় গেছেন বাংলাদেশের মানুষের করের টাকা দিয়ে। দলবল, পরিবারসহ দক্ষিণ আফ্রিকায় উপস্থিত হয়েছেন। ব্রিকসের নাকি সদস্য হবে। ওখানে যে ওদের অফিশিয়াল ফটোগ্রাফার আছে। যারাই ওখানে অতিথি হিসেবে গেছে বা উপস্থিত ছিল তাদের ছবিতেও শেখ হাসিনা নেই। তাহলে শেখ হাসিনা কোথায় ছিল? ওই বাংলাদেশি কিছু আওয়ামী লীগের লোকজন ওখানে আছে। দক্ষিণ আফ্রিকাতে যত বাঙালি থাকে তার ৯০ শতাংশ হচ্ছে বিএনপি। আমি জেনে বলছি। ১০ শতাংশ হচ্ছে তারা, যাদের পরিবার এখানকার লুটপাটের ভাগ পাচ্ছে এই দুর্নীতিবাজ সরকার থেকে। এদের নিয়ে উনি একটি সভা করেছেন ওখানে। গেছেন কোন কাজে, করছেন কী। গেছে ওখানে সদস্যপদের জন্য। ওখান থেকে বঞ্চিত হয়ে এদের সাথে গিয়ে সভা করছে। ওখানে কি বলছে? নৌকায় ভোট দিতে বলছে। ওরা কেউ কিন্তু ভোটার না? ওরা তো দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকে। বাংলাদেশের করের টাকা খরচ করে আপনি দক্ষিণ আফ্রিকায় গেছেন কি নৌকায় ভোট চাইতে? চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।  বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আজকে চট্টগ্রাম শহর কালো পতাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে। লাখ লাখ জনতা এই মিছিলে যোগ দিয়েছে। এই গণমিছিল থেকেই সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে। সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে গৃহবন্দি করে রেখেছে। তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে। তারা বেগম খালেদা জিয়াকে নয়, গণতন্ত্রকে বন্দি করে রেখেছে। তিনি বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে দেশের লাখ লাখ মানুষ আজকে রাস্তায় নেমে গেছে। আমরা আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাব। শেখ হাসিনার পতন হলে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে, গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। তারেক রহমান বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবে। দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
২৭ আগস্ট, ২০২৩

সমাবেশের আগ মুহূর্তে পিটার হাস-বিএনপির বৈঠকে কী হলো?
আগামী জাতীয় সংসদ যত এগিয়ে আসছে বিদেশিদের তত্‌পরতা ততো বাড়ছে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে শুরু করে জাতিসংঘ পর্যন্ত বাংলাদেশ নিয়ে সরব ভুমিকা রাখছে। মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় অবস্থানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি) এবং তাদের সঙ্গীরা। এমন পরিস্থিতির মধ্যে আগামীকাল (২৭ জুলাই) ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে বিএনপি। সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডন থেকে সামাজিকমাধ্যমে লাইভে এসে সমাবেশ সফল করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্যদিকে এ দিনে মাঠ ছাড়বে না আওয়ামী লীগ। বায়তুল মোকাররম এলাকায় শান্তি সমাবেশ ডেকেছে দলটি। তবে রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়ে বিএনপির এই মহাসমাবেশ। এ দিন সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা করা হবে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এক দফা আদায় করতে মাত্র ২৪ ঘণ্টার সময়ও বেধে দেয়া হবে বলে খবরে এসেছে। বিএনপির এই কর্মসূচীর দিন আরো ১০টি রাজনৈতিক দল ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচির অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে। ফলে রাজনীতির আকাশে সংঘাতের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে সমাবেশের মাত্র একদিন আগে হঠাত্‌ করেই ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বিএনপির কয়েকজন নেতা বৈঠক করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। রাজধানী গুলশানের আমেরিকান ক্লাবে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে আটটা থেকে শুরু হয়ে বৈঠক চলে পৌনে ১০টা পর্যন্ত। তবে বৈঠকে আলোচনার বিষয় কি ছিল সেটি জানা যায়নি। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।  বিএনপির সমাবেশের আগের দিন পিটার হাসের এই বৈঠক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কী কথা হলো পিটার হাসের সঙ্গে? তিনি কি কোনো পরামর্শ দিয়েছেন? নাকি বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো কিছু জানাতে এই বৈঠক? বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি বিএনপির কেউ। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা জানান, ‘চলো চলো, ঢাকা চলো’ স্লোগান তুলে বিএনপির ৮২ সাংগঠনিক জেলার নেতাকর্মীরা আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দেবেন। এরই মধ্যে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অথবা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই সমাবেশে কয়েক লাখ মানুষকে সমবেত করে একদফা দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে দলটি। জানা গেছে, মহাসমাবেশ থেকে সরকারকে দুদিনের আলটিমেটাম দেওয়া হবে। ওই সময়ের মধ্যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেওয়া না হলে সপ্তাহব্যাপী লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হবে। এরপর আগস্ট মাসজুড়েও কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এভাবেই আন্দোলনকে চূড়ান্ত সফলতার দিকে নিয়ে যেতে চায় বিএনপি। তবে সরকার কঠোর অবস্থান বা রাজনৈতিকভাবে বাধা সৃষ্টি করা হলে আন্দোলনের ধরন বদলানোর চিন্তাও রয়েছে। আরও পড়ুন : মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক এদিকে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময় সাংবাদিকদের মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে এমন যে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক সমাজে অবাধে নিজেদের ভূমিকা পালনে সবার অধিকারকে সমর্থন করে। ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে এমন যে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।’ মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে এমন পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন, জনগণকে সংগঠন ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখার জন্য সহিংসতার ব্যবহার এবং রাজনৈতিক দল, ভোটার, নাগরিক সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার থেকে বিরত রাখার জন্য পরিকল্পিত ব্যবস্থার ব্যবহার।
২৬ জুলাই, ২০২৩
X