ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা
আরও একটি গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। জনমত জরিপের পর এমন পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির খ্যাতনামা জরিপ সংস্থা রাসমুসেন। সংস্থাটি জানিয়েছে— বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যদি আবারও ক্ষমতায় আসেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাবে বলে মনে করেন ৪১ শতাংশ মার্কিন ভোটার। আর ১৬ শতাংশ ভোটার মনে করেন হয়তো এমনটা হতেও পারে। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা তাস।  তবে, জরিপে অংশ নেওয়া ৪৯ শতাংশ উত্তরদাতারা মনে করেন না যে, আগামী পাঁচ বছরে আরেকটি গৃহযুদ্ধের মুখে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র। আর ১০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত নন। পক্ষান্তরে ২৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন-সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হলেই বরং গৃহযুদ্ধেরে কবলে পড়তে পাড়ে ওয়াশিংটন।  তাস জানায়, আলোচিত জরিপটি ২১ থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে করা হয়েছিল। যেখানে ১১শর বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। অংশগ্রহণকারী সবাই-ই আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের ভোটার। ফলে, এই ফল যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে।  চলতি বছরের ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এরইমধ্যে রিপাবলিকান দলের মনোনয়নে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। আর দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়ছেন ডেমোক্র্যাট পার্টির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এবারের নির্বাচনে গাজা ইস্যু বাইডেনকে বেশ ভোগাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৭ অক্টোবর থেকে উপত্যকায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। যেখানে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আসছেন বাইডেন। এ নিয়ে দেশের অভ্যন্তরেই প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন ৮১ বয়সী এই প্রেসিডেন্ট।  বাইডেন প্রশাসনের গাজানীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আন্দোলনে উত্তপ্ত ক্যাম্পাসগুলো। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা, ব্যাপক ধরপাকড়েও দমে যায়নি এসব শিক্ষার্থী। বরং দিনকে দিন স্ফূলিঙ্গের মতোই ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। ফলে, জনমত অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে ইহুদি-বিদ্বেষ বলে আখ্যা দেয় ইসরায়েলপন্থি মার্কিন নীতিনির্ধারকরা। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ইসরায়েলপন্থিরা। এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন ভাষণে শিক্ষার্থীদের আইন মানার অনুরোধ করেন বাইডেন। তবে, তাদের ওপর হামলা ও পুলিশি নির্যাতন নিয়ে কোনো মন্তব্যই করেননি তিনি। এতে মুসলিম ভোটারদের থেকে আরও দূরে গেছেন বাইডেন, এমনটাই মনে করেন বিশ্লেষকরা। ফলে আসন্ন নির্বাচনে বাইডেনের জন্য বয়ে আনতে পারে নেতিবাচক ফল।   
০৩ মে, ২০২৪

বাস্কেটবল প্রশিক্ষণে আমেরিকা যাচ্ছে চাঁদপুরের ৩ শিক্ষার্থী
বাস্কেটবল স্পোর্টস্ ভিজিটর প্রোগ্রাম-২০২৪ এর আওতায় দেশি বলার্স-এর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ হতে ৫ জন মেয়ে শিক্ষার্থী বাস্কেটবল খেলার উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্যে আমেরিকা যাওয়ার জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু। তিনি বলেন, দেশের এই ৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ জনই চাঁদপুর জেলার শিক্ষার্থী। তারা চাঁদপুর সদরের বীরপ্রতীক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী একাডেমির শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন একাদশ শ্রেণির সুমাইয়া আক্তার, এসএসসি ব্যাচ-২০২৪ এর ইতি আক্তার এবং নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারহানা আক্তার। সম্প্রতি তাদের ইউএস অ্যাম্বাসির ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, বীরপ্রতীক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী একাডেমির শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে উপজেলা, জেলা, কুমিল্লা উপ-অঞ্চল, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে আসছে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

আমেরিকা ছাড়িয়ে ইউরোপে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন
বেশ কয়েক দিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন চলছে। এবার সেই আন্দোলনের স্রোত আমেরিকা পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার লন্ডন ও কভেন্ট্রিতে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন ব্রিটিশ শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে ইহুদি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। সিএনএনের বরাতে ইরনা জানিয়েছে, এদিন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জড়ো হয়ে ইসরায়েলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্কের প্রতিবাদ করেছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, সেন্ট্রাল লন্ডনের গাওয়ার স্ট্রিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাসের বাইরে শিক্ষার্থীরা ভিড় করেছেন। এ সময় তাদের হাতে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ‘অ্যাকশন ফর প্যালেস্টাইন’ গ্রুপ এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। এ ছাড়া শুক্রবার ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ ইংল্যান্ডের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ করেছেন। এদিকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে এখনো উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা তাঁবু গেড়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। রাতদিন বিভিন্ন সময় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে মিছিল নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখছেন। আন্দোলেনের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অনুষ্ঠানও বয়কট করছেন। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলন দমাতে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রেছেছে দেশটির পুলিশ। ইতিমধ্যে কয়েকশ শিক্ষার্থী পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে গ্রেপ্তার, ধস্তাধস্তি, হুমকি, বিভিন্নভাবে চাপপ্রয়োগ করেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে পারছে না মার্কিন প্রশাসন। গেল ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় উপত্যকাটিতে ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে সেখানে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

রাশিয়ার সম্পদ ইউক্রেনকে দিচ্ছে আমেরিকা : মস্কোর হুঁশিয়ারি
রাশিয়ার আটক সম্পদ ইউক্রেনের কাছে হস্তান্তরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। শনিবার এ ব্যপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। মস্কোর বিরুদ্ধে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অজুহাতে রাশিয়ার এসব সম্পদ আটক করা হয়।  মার্কিন কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে হুঁশিয়ারি প্রকাশ করে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়ার আটক সম্পদ ইউক্রেনের কাছে হস্তান্তরের ব্যাপারে আমেরিকা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে বিনা জবাবে ছেড়ে দেওয়া হবে না। রাশিয়ার এ কর্মকর্তা বলেন, সত্যিই আমেরিকা যদি এমনটি করে তাহলে তাকে মূল্য দিতে হবে। তবে মস্কোর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কী ধরনের জবাব হবে এবং কখন সেই জবাব দেওয়া হবে তা সুস্পষ্ট করে বলা হয়নি। তিনি বলেছেন, সর্বোত্তম উপায়ে আমরা আমাদের স্বার্থ রক্ষা করব এবং সেভাবে জবাব দেব।  পেসকভ জোর দিয়ে বলেন, আমেরিকা যদি এই ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যায় তাহলে তারা নিজেদেরই ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এর মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রীয় অর্থসম্পদ সুরক্ষার যে আন্তর্জাতিক রীতি রয়েছে তাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রাশিয়ার সম্পদ আটক করে তা ইউক্রেনের কাছে হস্তান্তর করার পদক্ষেপ নিলে তাতে বহু বিনিয়োগকারী আমেরিকা থেকে তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ প্রত্যাহার করে নেবেন। ২০২২ সালে ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের পর থেকে রাশিয়ার বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব, বিনিয়োগ ও অন্যান্য সম্পদ জব্দ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ এর মিত্র পশ্চিমা দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ রাশিয়ার প্রায় ৩০ হাজার কোটি ডলারের সম্পদ জব্দ করে।  জব্দ করা এসব সম্পদ ইউক্রেনের পুনর্বাসনে কাজে লাগানো হবে বলে ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হলে এর পাল্টায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় এবং অন্যান্য দেশের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে মস্কো। 
২১ এপ্রিল, ২০২৪

ইসরায়েলকে আরও অস্ত্র দিচ্ছে আমেরিকা
ইরান-ইসরায়েল হামলা-পাল্টা হামলার মধ্যেই ইসরায়েলেকে যেন ভরসা দিল আমেরিকা। ইসরায়েলকে আরও ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জো বাইডেনের সরকার। এসব অস্ত্রেই গাজায় হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। মার্কিন অস্ত্রের জোরেই ইরান বা মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো স্থাপনায় হামলা চালানোর সাহস দেখায় তেল আবিব।  ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও সিএনএনের প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গে ১০০ কোটি ডলারের নতুন অস্ত্র চুক্তির বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিকভাবে সম্মত হয়েছে। এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসে। ওই অস্ত্রচুক্তি অনুযায়ী পেন্টাগনের কাছ থেকে কামান এবং ট্যাঙ্কের জন্য গোলা ও মর্টারের শেল পাবে ইসরায়েলি সৈন্যরা।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

ইসরায়েলকে ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রসহায়তা দিচ্ছে আমেরিকা
ইরান ইসরায়েল হামলা পাল্টা হামলার মধ্যেই ইসরায়েলেকে যেন ভরসা দিল আমেরিকা। ইসরায়েলকে আরও ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জো বাইডেনের সরকার। এসব অস্ত্রেই গাজায় হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। মার্কিন অস্ত্রের জোরেই ইরান বা মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো স্থাপনায় হামলা চালানোর সাহস দেখায় তেল আবিব।  ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও সিএনএন এর প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গে ১০০ কোটি ডলারের নতুন অস্ত্র চুক্তির বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিকভাবে সম্মত হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসে।   ওই অস্ত্রচুক্তি অনুযায়ী পেন্টাগনের কাছ থেকে কামান এবং ট্যাঙ্কের জন্য গোলা ও মর্টারের শেল পাবে ইসরায়েলি সৈন্যরা। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালাতে শুরু করে ইসরায়েল। আর এই হত্যাযজ্ঞে নেতানিয়াহু সরকারের পাশে দাঁড়ায় ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ট মিত্র আমেরিকা। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ ভর্তি বিমান পৌঁছে গিয়েছিল ইসরায়েলের দক্ষিণ প্রান্তের নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলকে নিয়মিত অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে চলেছে বাইডেন সরকার। এমনকি, গাজায় শরণার্থী শিবিরে ধারাবাহিক হামলা এবং ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহেও তা অব্যাহত রয়েছে।  গত ০১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানি দূতাবাসে হামলা চালায় ইসরায়েল। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে শনিবার, (১৩ এপ্রিল) মধ্যরাতে ইসরায়েলে ৩০০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। যদিও আমেরিকা এবং জর্ডনের মতো দেশের সহায়তায় শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার সাহায্যে বেশিরভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করে ইসরায়েল।  ইসরায়েলে ইরানের সরাসরি এই হামলা ছিল নজিরবিহীন। এই হামলার পর ইসরায়েলও পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানের সামরিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্ফাহান শহরে। ফলে হামলা পাল্টা হামলার জেরে তৈরি হয়েছে যুদ্ধের আবহ। তবে ইসরায়েলের প্রতি আমেরিকার এই সমর্থন নতুন কোনো ঘটনা নয়। ইসরায়েল রাষ্ট্রের গোড়া থেকেই ইসরায়েলি অধিবাসীদের জন্য ‘ত্রাতার’ ভূমিকা পালন করে আসছে আমেরিকা।  সম্প্রতি গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন বাইডেন। নেতানিয়াহুর প্যালেস্টাইন নীতির সমালোচনা করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পূর্বসূরিদের পথই অনুসরণ করলেন হোয়াইট হাউসের বর্তমান বাসিন্দা।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

শিক্ষিকার প্রেমে ফাঁসলেন আমেরিকা প্রবাসী, খোয়ালেন লাখ লাখ টাকা
বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের সম্পর্ক করে আমেরিকান প্রবাসীর ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। উন্নত জীবনের আশায় এই শিক্ষিকা ওই প্রবাসী যুবকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে এই প্রবাসীর কাছ থেকে নেওয়া টাকা দিয়ে নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন ১৫-২০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি  বিসাবহুল বাড়ি। অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম তাহেরা আক্তার (২৬)। তিনি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বসিন্দা এবং রাছি নগর মাহমুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত। আর ভুক্তভোগীর আমেরিকান প্রবাসীর নাম নজরুল ইসলাম। একপর্যায়ে তাহেরা আমেরিকায় থিতু হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। এ কারণে তিনি তার নামে দুটি পাসপোর্ট করেছেন বলে জানা গেছে। সেখানে যাওয়ার জন্য প্রবাসীর টাকায় আইইএলটিএস সম্পন্ন করেন।  আমেরিকান প্রবাসী নজরুল ইসলাম জানান, তাহেরা আমাকে বিয়ে করার কথা বলে মিথ্যা ভালোবাসার অভিনয় করে। বিভিন্ন সময়ে আমার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নেয়। আমি তাকে ভালোবেসে সরল মনে দামি আইফোন, দামি জিনিসপত্রসহ অনেক কিছু দিয়েছি। কিন্তু সে আমার সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালে একাধিক ছেলের সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে সে গোপনে বিয়ে করে নেয়। সে আমার কাছ থেকে তার বোনের সরকারি চাকরি বাবদ মোটা অংকের টাকা নেয়। এ ছাড়াও আমার টাকায় তার বাড়িতে ১৫-২০ লাখ টাকা ব্যয়ে বিল্ডিং নির্মাণ করে। যার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আমার কাছে আছে।  তাহেরার এলাকার বাসিন্দা ও তার নিকট স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইতোপূর্বে তাহেরার সঙ্গে আমেরিকায় বসবাসরত বাঙালি এক প্রবাসীর পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই প্রবাসীর সঙ্গে তিনি ব্যক্তিগত সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন। একপর্যায়ে তাহেরা আমেরিকায় থিতু হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। সেখানে যাওয়ার জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে আইইএলটিএস সম্পন্ন করেন। যদিও ঘটনাক্রমে আমেরিকা প্রবাসী ওই যুবকের সঙ্গে তার সম্পর্ক অবনতি হয়। তাদের এ সম্পর্কের বিষয়টি স্থানীয় জনমনে ছড়িয়ে পড়তেই তাহেরার পরিবার তাকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়। এরপর থেকেই তাহেরা বিভিন্নভাবে ইউরোপ ও আমেরিকায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রয়াস অব্যাহত রাখে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, তাহেরার স্বপ্ন পশ্চিমা বিশ্বে বসবাস করা। এজন্য তিনি টাকাওয়ালা প্রবাসীদের সঙ্গে সারাক্ষণ অনলাইনে কথা বলতেন। এমনকি তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি, ভিডিও শেয়ার করতে শোনা গেছে। তিনি সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে পরিচয় দিয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে মেশিন রিডেবল (এমআরপি) পাসপোর্ট করেন। যদি কারো মাধ্যম হয়ে সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থী কোটায় যাওয়ার জন্য তিনি নিজেকে শিক্ষার্থী পরিচয়ে ডিজিটাল (ই) পাসপোর্টও করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা তাহেরা আক্তার জানান, এতো টাকা আত্মসাতের বিষয়টি সঠিক নয়। নজরুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্বীকার করে বলেন, সম্পর্ক থাকাকালে আমাকে সে আমি না চাইতেই হাতখরচ বাবদ কাটা পাঠাত। আমি তার কথামতো আইইএলটিএস করতে চেষ্টা করেছি। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান শেখ বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে বিচ্ছিন্নভাবে তাহেরা সম্পর্কে কিছু অভিযোগ শুনেছি। তবে তথ্য গোপন করে পাসপোর্ট করার বিষয়টি বেআইনি। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তথ্য গোপন করে একাধিক পাসপোর্ট করার বিষয়ে জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, সুনামগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামানের সরকারি ফোন নম্বরে কল করলেও ফোন রিসিভ হয়নি।
২৫ মার্চ, ২০২৪

চীনের বাধায় অনিশ্চয়তায় মেসিদের কোপার প্রস্তুতি
চলতি বছর জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবে কোপা আমেরিকা ফুটবল। শিরোপা ধরে রাখার মিশন বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার। এ জন্য ভালো প্রস্তুতির লক্ষ্যে চীনে নাইজেরিয়া ও আইভরিকোস্টের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে চেয়েছিল আলবেসিলেস্তেরা। কিন্তু হংকংয়ে লিওনেল মেসি না খেলায় তৈরি হয়েছে জটিলতা। চীনে আর্জেন্টিনার দুটি ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে।  ১৮ মার্চ চীনের হাংজুতে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল মেসিদের। সেটি বাতিল হলে শঙ্কা জাগে আইভেরি কোস্টের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়েও। ২৬ মার্চ বেইজিংয়ে হওয়ার কথা ছিল এই ম্যাচ। হাংজুর পর এবার বেইজিংয়ের নির্ধারিত ম্যাচটিও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। হংকংয়ে মেসির না খেলাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। আর এ কারণে বাতিল হয়েছে আর্জেন্টিনার চীন সফর। চীনের গণমাধ্যম জানিয়েছে মেসিকে না খেলানোর প্রভাব সব সীমাকে ছাড়িয়ে গেছে।। কোপা আমেরিকা মাঠে গড়ানোর আগ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি বাতিল হওয়া আর্জেন্টিনার জন্য বড় ধাক্কাই। গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) মাঠে গড়ায় হংকং একাদশ ও ইন্টার মায়ামির মধ্যকার প্রীতি ম্যাচ। মেসিকে দেখতে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন ৩৮ হাজারের বেশি দর্শক। কিন্তু ইনজুরির কারণে ম্যাচে মাঠে নামেননি মেসি। ম্যাচ শেষে যার জন্য বিক্ষোভ করে দর্শকরা। পরিস্থিত আরও ঘোলাটে হয়ে যায় যখন জাপান সফরে ভিসেল কোবের বিপক্ষে মেসি মাঠে নামে তখন। এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে হংকংয়ের ফুটবলপ্রেমীরা। এই বিষয় নিয়ে ইন্টার মায়ামির কাছে ব্যাখ্যাও চায় হংকং সরকার। এ জন্য মেসি এবং ইন্টার মায়ামি দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতিও দেয়। কিন্তু এর পরেও বাতিল হয়ে গেল চীন সফর। এক বিবৃতিতে বেইজিং ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, ‘লিওনেল মেসি যে ম্যাচটিতে অংশ নেবেন, বেইজিং এই মুহূর্তে সেই ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে না।’ এতে কিছুটা বিপাকে পড়েছে আর্জেন্টিনা। এমনকি কোপা আমেরিকার আগে প্রস্তুতি ম্যাচ নাও খেলা হতে পারে প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। তবে ম্যাচ দুটি অন্য কোথাও আয়োজনের চেষ্টা করছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন-এএফএ। এতে ক্ষেত্রে সংস্থাটির প্রথম পছন্দ কোপা আমেরিকা ও ২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নাইজেরিয়া এবং আইভরিকোস্ট— এই দুই প্রতিপক্ষকে ধরে রাখার চেষ্টা করবে তারা। শেষ পর্যন্ত এই দুই প্রতিপক্ষকে না পেলে অন্য কোনো দলকে আনা যায় কি না, সেটাও ভাবছে এএফএ। যদিও ঠাসা সূচির কারণে অন্যকোনো দলকে পাওয়া যাবে কি না, সেই প্রশ্নও রয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইমরানের জয়ে যা বলছে আমেরিকা
জেলে বসেই বাজিমাত করে দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রীতিমত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন এখনো তার জনপ্রিয়তা কতটা। নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করা হলেও ভোটের ভেলকিতে আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।  নাটকীয়তায় মোড়ানো পাকিস্তানের এই নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ ছিল মানুষের। বিশেষ করে ইমরান খানকে কেন্দ্র করে। বিশ্ব মিডিয়ার চোখ ছিল কি ঘটতে যাচ্ছে দেশটিতে। এমনকি গোটা বিশ্বে ছড়ি ঘোরানো আমেরিকা সেখানে কি ভূমিকা রাখে তা নিয়েও আগ্রহ ছিলে অনেকের। অবশেষে নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণার আগেই পাকিস্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।  এ বিবৃতিতে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, তারা এই নির্বাচন গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। এই নির্বচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধের মতো ঘটনার নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যারা হস্তক্ষেপ বা জালিয়াতির করেছে তাদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে তদন্ত করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছে বাইডেন প্রশাসন। তবে পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ ফলাফলের পর যে দলেই সরকার গঠন করবে তাদের সাথে কাজ করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলছে, ইসলামাবাদকে বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক এবং বিনিয়োগে সহযোগিতা করবে তারা। এ ছাড়াও, পাকিস্তানের গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন্ন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতেও কাজ করার কথা জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।  গেল ৭৫ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্কের উত্থান-পতন দেখছে বিশ্ব। তবে সব মিলিয়ে পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র খুব ভালো বন্ধু বলে আগেই জানিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবিচল অংশীদার।   তবে এবারের রাজনৈতিক অস্থিরতার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে ইমরান খান বেশি দায়ী করে আসছেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অগ্রাধিকার হওয়ার সম্ভাবনা কম।  পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকেই ছিল চীনের অন্যতম প্রধান কৌশলগত মিত্র। কিন্তু স্নায়ুযুদ্ধকালে আমেরিকান বলয়ে ছিল ইসলামাবাদ। নব্বইয়ের দশকে এক মেরুর বিশ্বব্যবস্থার সূচনা হলে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গঠনে আগ্রহী হয়ে ওঠে। 
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে মনে করে না আমেরিকা
গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হলেও এখনো রেশ রয়েছে নির্বাচনের। জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংসহ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংগুলোতে আলোচনা উঠছে- বাংলাদেশের নির্বাচন এবং মানবাধিকার নিয়ে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি, স্থানীয় সময়) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশের নির্বাচনসহ একাধিক ইস্যুতে।  স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে করা একাধিক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এক প্রশ্নে সাংবাদিক জানতে চান, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন অনতিবিলম্বে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাসহ বিরোধীদলের ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে আটক করেছে। নির্বাচনের আগে আপনারা ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই বিষয়ে আপনার মতামত কী।  জবাবে মিলার বলেন, ‌‘আপনি এর আগে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আমাদের মূল্যায়ন শুনেছেন। এই নির্বাচনকে আমরা অবাধ এবং সুষ্ঠু মনে করি না। নির্বাচনের সময়ে বিরোধীদলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের বিষয়েও আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমি দুটি বিষয় নিয়ে কথা বলবে। প্রথমত, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের জন্য সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। দ্বিতীয়ত, বিরোধীদলের সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া এবং নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা অব্যাহত থাকবে। অপর এক প্রশ্নে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টের বরাত দিয়ে কানাডার তদন্তের একটি বিষয় তুলে ধরে এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে সাংবাদিক জানতে চান- সমালোচকরা মনে করেন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশের নীতি থেকে পিছু হটেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী? জবাবে মিলার বলেন, কানাডার তদন্তের বিষয়ে আমার আসলে কিছু বলার নেই। এ বিষয়ে কানাডা তথ্য দিতে পারবে। আমি যে বিষয়ে কথা বলব সেটা হলো, বাংলাদেশের গণতন্ত্র। এর আগেও এই ইস্যুতে অনেকবার কথা বলেছি। বাংলাদেশে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা যেন প্রতিষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র তার পররাষ্ট্রনীতিতে এগুলোকে প্রাধান্য দেয়। বাংলাদেশের জনগণের সমৃদ্ধির জন্য গণতান্ত্রিক নীতিসমূহের যেন বিকাশ হয় সে উদ্দেশ্যে সরকারের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা অব্যাহত থাকবে
৩১ জানুয়ারি, ২০২৪
X