কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৮ এএম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইমরানের জয়ে যা বলছে আমেরিকা

ইমরান খান ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা।
ইমরান খান ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা।

জেলে বসেই বাজিমাত করে দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রীতিমত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন এখনো তার জনপ্রিয়তা কতটা। নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করা হলেও ভোটের ভেলকিতে আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

নাটকীয়তায় মোড়ানো পাকিস্তানের এই নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ ছিল মানুষের। বিশেষ করে ইমরান খানকে কেন্দ্র করে। বিশ্ব মিডিয়ার চোখ ছিল কি ঘটতে যাচ্ছে দেশটিতে। এমনকি গোটা বিশ্বে ছড়ি ঘোরানো আমেরিকা সেখানে কি ভূমিকা রাখে তা নিয়েও আগ্রহ ছিলে অনেকের। অবশেষে নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণার আগেই পাকিস্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

এ বিবৃতিতে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, তারা এই নির্বাচন গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। এই নির্বচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধের মতো ঘটনার নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যারা হস্তক্ষেপ বা জালিয়াতির করেছে তাদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে তদন্ত করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছে বাইডেন প্রশাসন।

তবে পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ ফলাফলের পর যে দলেই সরকার গঠন করবে তাদের সাথে কাজ করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলছে, ইসলামাবাদকে বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক এবং বিনিয়োগে সহযোগিতা করবে তারা। এ ছাড়াও, পাকিস্তানের গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন্ন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতেও কাজ করার কথা জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

গেল ৭৫ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্কের উত্থান-পতন দেখছে বিশ্ব। তবে সব মিলিয়ে পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র খুব ভালো বন্ধু বলে আগেই জানিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবিচল অংশীদার।

তবে এবারের রাজনৈতিক অস্থিরতার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে ইমরান খান বেশি দায়ী করে আসছেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অগ্রাধিকার হওয়ার সম্ভাবনা কম।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকেই ছিল চীনের অন্যতম প্রধান কৌশলগত মিত্র। কিন্তু স্নায়ুযুদ্ধকালে আমেরিকান বলয়ে ছিল ইসলামাবাদ। নব্বইয়ের দশকে এক মেরুর বিশ্বব্যবস্থার সূচনা হলে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গঠনে আগ্রহী হয়ে ওঠে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত

ইউপি সদস্যের ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনে আগুন, দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে

এমপি আনার হত্যা / তদন্তে এবার নেপাল যাচ্ছেন ডিবিপ্রধান হারুন

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের বিশেষ ট্রেন আবারও চলবে

এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো নিয়ে যা জানা গেল 

শেষ হলো ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব

ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে স্বেচ্ছাসেবক লীগ

দাফনের ১৫ বছর পরও অক্ষত মরদেহ

বিদ্যুৎস্পর্শে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

১০

ভোট নিয়ে অভিযোগ, প্রতিকার চাইলেন আ.লীগ নেতা

১১

মিয়ানমারের ৮৬ শতাংশ শহর বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে

১২

এক ইলিশ বিক্রি হলো ৭ হাজারে

১৩

এবার টানা ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস

১৪

দাম বৃদ্ধির খবরে তেল সরবরাহ বন্ধ

১৫

অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে : পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

১৬

নতুন শিক্ষাক্রমে সব ধ্বংস হয়ে গেছে

১৭

আ.লীগ গণতন্ত্রের নামে দেশে লুটতন্ত্র কায়েম করেছে : এবি পার্টি

১৮

জামায়াতের বিজয় ঠেকানোর সাধ্য কারও নেই : রফিকুল ইসলাম

১৯

তাড়াহুড়া করে মালয়েশিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশিরা প্রতারণার ফাঁদে?

২০
X