Fri, 17 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
শেকৃবি উপাচার্যের অনিয়ম তদন্তে ইউজিসি
১ ঘণ্টা আগে
পশ্চিমবঙ্গে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
২ ঘণ্টা আগে
আজ যেসব অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে আসছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক
৮ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থীদের বাস নিয়ে প্রোগ্রামে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ
১১ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১৭ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
ইরানে হামলা করতে গিয়ে কেন পিছু হটল ইসরায়েল?
ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা বিশ্বকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে। এমনিতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলেছে। তার ওপর ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়ালে আরেকটি সংকটে পড়বে বিশ্ব। তাই ইসরায়েলের মিত্র পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো চায় না আরেকটি যুদ্ধ দেখুক বিশ্ববাসী। ইরানের হামলার পর থেকে ইসরায়েলকে এসব নানা কারণে শান্ত থাকতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। তারপরও ইরানের হামলার পাল্টা জবাব দেওয়া থেকে ইসরায়েলকে আটকাতে পারেনি আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো। তেহরানকে আরও কঠোর জবাব দিতে চেয়েছিল তেলআবিব। কিন্তু প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে ভয়াবহ হামলার পথ থেকে সরে আসে নেতানিয়াহু প্রশাসন। সোমবার (২২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পত্রিকাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে গত শুক্রবার দেশটিতে ব্যাপক পরিসরে হামলা চালাতে চেয়েছিল ইসরায়েল। হামলার পরিকল্পনা ছিল ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছের সামরিক ঘাঁটিতেও। তবে পরে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ইসরায়েল সরকার। ইসরায়েলের তিন কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে পত্রিকাটি। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন মিত্রদেশের কূটনৈতিক চাপে ইরানে বড় ধরনের হামলার সিদ্ধান্ত বাতিল করে ইসরায়েল। ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরান কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এর জবাবে ১৪ এপ্রিল ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তেহরান। ওই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের ৯৯ শতাংশ ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করে ইসরায়েলি বাহিনী। এর কয়েক দিন বাদেই শুক্রবার ভোররাতে ইরানের ইস্পাহান শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সূত্রে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে বড় পরিসরে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ুক, তা চায়নি ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ওই হামলা চালালে তেহরানের পক্ষে তা প্রতিহত করা কঠিন ছিল। ফলে দেশটির পক্ষ থেকে শক্তিশালী পাল্টা হামলা চালানোর ঝুঁকি বাড়ত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও নেতানিয়াহুকে হামলা না করতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এর জেরেই নিজের পরিকল্পনা বাতিল করেন নেতানিয়াহু। ইসরায়েল ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, ইসরায়েল প্রাথমিকভাবে ১৫ এপ্রিল ইরানে হামলা চালাতে চেয়েছিল। এর জেরে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েলে ‘উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হামলা বাড়াতে পারে’—এমন শঙ্কায় পরে ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪
৫০০ কেজির ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরানে হামলা করেছিল ইসরায়েল
ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলার পর বিশ্বজুড়ে নতুন হিসাব-নিকাশ চলছে। দুই দেশের শক্তি নিয়ে হচ্ছে বিশ্লেষণ। চেষ্টা চলছে কারা কী অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা করেছে এবং সেই অস্ত্রের শক্তিই-বা কেমন। এবার জানা গেল ইসরায়েলের ভয়ংকর এক ক্ষেপণাস্ত্রের নাম। যেটি ইরানে হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে। দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানে হামলায় ইসরায়েল অত্যাধুনিক ‘র্যামপেজ’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। এটি শত্রুঘাঁটিতে তাণ্ডব চালাতে সক্ষম। এ ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েল ছুড়েছে বিমান থেকে। ইরানের কাছাকাছি একটি দেশ থেকে যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়। আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রটির ওজন ৫০০ কেজি। এটি খুব সহজে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফাঁকি দিতে সক্ষম। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, র্যামপেজ সেই সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে তা আঘাত হানে। ইসরায়েলের উদ্দেশ্য ছিল, ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনার কাছে বাংকারের মতো সুরক্ষিত স্থাপনায় হামলা চালিয়ে তাণ্ডব সৃষ্টি করা। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ইরানের মাটিতে হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলের মাটিতে তেহরানের হামলার জবাবে তেলআবিব এ হামলা করে। এর আগে ইরান নজিরবিহীনভাবে ইসরায়েলের মাটিতে সরাসরি হামলা করে। এতে দেশটি ৩০০-এর বেশি ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে।
২২ এপ্রিল, ২০২৪
ইরানে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল
সব আশঙ্কাকে সত্যি করে দিয়ে অবশেষে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু ও সামরিক ঘাঁটির শহরে এসব হামলা চালানো হয়। গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই পাল্টা হামলার হুমকি দেয় নেহতানিয়াহু প্রশাসন। যদিও বৃহত্তর সংঘাত এড়াতে এমন আচরণ না করতে অনুরোধ করে পশ্চিমা দেশগুলো। শেষ পর্যন্ত সেই অনুরোধ রাখেনি তেলআবিব। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন সিনেটরের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে ইরানের ভূখণ্ডে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর দেওয়া হয়। এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনও ইস্ফাহানে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তেহরান, ইস্ফাহাস, সিরাজসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। সক্রিয় করা হয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও। ইরানের মহাকাশ সংস্থার একজন মুখপাত্রের বরাতে কাতারি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ছোট ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত চলমান এ হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এমনকি পাল্টা এ হামলার দায়ও স্বীকার করেনি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। ইরানের ইস্ফাহান শহরটিকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শহরটিতে সামরিক গবেষণা ও উন্নয়নের সাইট এবং ঘাঁটিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এ ছাড়া নিকটবর্তী নাতাঞ্জ শহরে ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ সাইটগুলোর অবস্থান রয়েছে। এদিকে শনিবার রাতে ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলে ইরানের হামলার প্রতিশোধ নিতে নানান ছক কষছে পশ্চিমাদের ভরকেন্দ্র আমেরিকা। এরই মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে- ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পর তারা এখন ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের দিকে নজর দিচ্ছে। ইসরায়েল অবশ্য ইতোমধ্যেই তার মিত্রদের প্রতি তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে। মূলত ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ গত বছরের অক্টোবরে শেষ হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে এবং বিভিন্ন সময়ে নতুন নিষেধাজ্ঞাও যুক্ত করে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪
ইরানে হামলা চালাতে চাপ বাড়ছে বাইডেনের ওপর
জর্ডানে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে। রোববারের এ ঘটনায় আরও ৩৪ মার্কিন সেনা আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পর এটাই মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার প্রথম কোনো ঘটনা। এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ইরাকের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সন্দেহের তীর বরাবরের মতো ইরানের দিকে। কারণ ৭ অক্টোবরের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে যারা হামলা চালাচ্ছে, তারা ইরান সংশ্লিষ্ট বলে দাবি করে আসছে ওয়াশিংটন। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইরানে হামলা চালানোর দাবি উঠেছে রিপাবলিকান পার্টি থেকে। তারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র আর বসে থাকতে পারে না। সিরিয়া সীমান্তবর্তী জর্ডানের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হওয়া এই হামলার পর এ ঘটনায় ইরান জড়িত থাকতে পারে বলে অভিযোগ করে ওয়াশিংটন। ইরান তাৎক্ষণিকভাবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে। আর এরই মধ্যে ইরাকের রেজিস্ট্যান্স গ্রুপ এ ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছে। তার পরও যুক্তরাষ্ট্র সন্দেহ করছে এ ঘটনার পেছনে ইরান জড়িত থাকতে পারে। কারণ এ গ্রুপটির সঙ্গে ইরানের যোগসাজশ রয়েছে বলে মনে করে ওয়াশিংটন। আর তাই ইরানে হামলা চালাতে বাইডেনের ওপর বাড়ছে রাজনৈতিক চাপ। রয়টার্সের সোমবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত এবং আরও ৩৪ জন আহত হওয়ার ঘটনাটি ইরানে সরাসরি হামলা করার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর রাজনৈতিক চাপ তৈরি করছে। যদিও বৃহত্তর যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট এতদিন এই ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিতে অনিচ্ছুক ছিলেন। অবশ্য ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পর প্রতিশোধের হুংকার দিয়েছেন বাইডেন। মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই—আমরা এক সময় এবং আমাদের পছন্দের পদ্ধতিতে (হামলার জন্য) দায়ী সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনব।’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাণঘাতী এ হামলার জবাবে বাইডেন ইরানের বাইরে এমনকি ইরানের অভ্যন্তরেও ইরানি বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাতে পারেন। আবার সেই পথে না হেঁটে শুধু ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে আরও সতর্ক প্রতিশোধমূলক আক্রমণও বেছে নিতে পারেন তিনি। রয়টার্স বলছে, গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান বাহিনীকে ইরাক, সিরিয়া, জর্ডান এবং ইয়েমেনের উপকূল থেকে ইরান-সমর্থিত বাহিনী ১৫০ বারেরও বেশিবার আক্রমণ করেছে। তবে সিরিয়ার সঙ্গে জর্ডানের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের কাছে টাওয়ার ২২ নামে পরিচিত একটি দূরবর্তী চৌকিতে রোববারের হামলার আগ পর্যন্ত আগের কোনো হামলাতেই মার্কিন সেনা নিহত বা এত বেশিসংখ্যক সেনা আহত হয়নি। রোববারের হামলার পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এ হামলার প্রতিক্রিয়া জানাবে। তবে এ বিষয়ে আর বিশদ কোনো বিবরণ তিনি দেননি। বিরোধী রিপাবলিকানরা আমেরিকান বাহিনীকে ‘বসে থাকা হাঁস হতে দেওয়ার জন্য’ বাইডেনকে অভিযুক্ত করেছে। রিপাবলিকানদের দাবি, মার্কিন বাহিনী সেদিনের জন্য অপেক্ষা করেছে, যখন একটি ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র এসে সামরিক ঘাঁটির প্রতিরক্ষা ছিন্নভিন্ন করে দেবে। তারা বলছে, রোববার সেই দিনটি এসে গেছে। এদিনই রাতের আঁধারে জর্ডানে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা হয়। আর এর জবাবে তারা রিপাবলিকানরা বলছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে এবার ইরানে অবশ্যই হামলা করতে হবে। রিপাবলিকান সিনেটর টম কটন বলেন, ‘তিনি (বাইডেন) আমাদের সেনাদের বসা হাঁসের মতো বসিয়ে রেখেছিলেন। এই হামলার একমাত্র উত্তর হতে হবে ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক সামরিক প্রতিশোধ।’ রিপাবলিকান নেতা এবং মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক তদারকি কমিটির নেতৃত্বে থাকা প্রতিনিধি মাইক রজার্সও তেহরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪
আরও
X