ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারে আইসিজেতে দক্ষিণ আফ্রিকা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা থেকে ইসরায়েলকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) আবেদন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গত ১০ মে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর আলজাজিরার। রাফা হলো মিসর সীমান্তে অবস্থিত গাজার সর্বদক্ষিণের শহর। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে এই শহরে গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। এত মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করলেও বারবার রাফায় স্থল অভিযানের হুমকি দিয়ে আসছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এমন পরিস্থিতিতে রাফায় ইসরায়েলি হামলা ঠেকাতে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইসিজের দ্বারস্থ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর আইসিজেতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। মামলার অভিযোগ দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যামূলক। কারণ এসব কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনি জাতি ও গোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে ধ্বংস। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এই মামলার শুনানিতে গাজায় গণহত্যা কনভেনশনের আওতায় পড়তে পারে এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে এবং ইসরায়েলি সৈন্যরা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে কোনো গণহত্যামূলক কাজ না করে তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেন আদালত। আইসিজেকে বিশ্ব আদালত নামেও পরিচিত। এটি জাতিসংঘের একটি দেওয়ানি আদালত। সদস্যভুক্ত এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের বিরোধের বিচার করে এই আদালত। তবে এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) থেকে আলাদা। আইসিসি যুদ্ধাপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করে থাকে। জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরায়েল—দুই দেশই দুই আদালতের রায় মেনে চলতে বাধ্য। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। তেল আবিবের দাবি, তারা গাজায় আন্তর্জাতিক আইন মেনেই কাজ করছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম দিকে ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় হামলা চালায়। ফলে ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজায় এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এখন দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে রাফা শহরে স্থল অভিযানে নামার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে এই রাফা শহরে গাজার মোট ২৩ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। ক্রমেই এই সংখ্যা বাড়ছে।
১২ মে, ২০২৪

রাফা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারে আইসিজেতে দক্ষিণ আফ্রিকা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা থেকে ইসরায়েলকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) আবেদন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুক্রবার (১০ মে) জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত এই তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার। রাফা হলো মিসর সীমান্তে অবস্থিত গাজার সর্বদক্ষিণের শহর। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে এই শহরে গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয়গ্রহণ করেছেন। এত মানুষ আশ্রয়গ্রহণ করলেও বারবার রাফায় স্থল অভিযানের হুমকি দিয়ে আসছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এমন পরিস্থিতিতে রাফায় ইসরায়েলি হামলা ঠেকাতে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইসিজের দ্বারস্থ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর আইসিজেতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। মামলার অভিযোগ দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যামূলক। কারণ এসব কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনি জাতি, ও গোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে ধ্বংস। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এই মামলার শুনানিতে গাজায় গণহত্যা কনভেনশনের আওতায় পড়তে পারে এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে এবং ইসরায়েলি সৈন্যরা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে কোনো গণহত্যামূলক কাজ না করে তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেন আদালত। আইসিজেকে বিশ্ব আদালত নামেও পরিচিত। এটি জাতিসংঘের একটি দেওয়ানি আদালত। সদস্যভুক্ত এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের বিরোধের বিচার করে এই আদালত। তবে এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) থেকে আলাদা। আইসিসি যুদ্ধাপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করে থাকে। জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরায়েল— দুই দেশই দুই আদালতের রায় মেনে চলতে বাধ্য। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। তেল আবিবের দাবি, তারা গাজায় আন্তর্জাতিক আইন মেনেই কাজ করছে।
১১ মে, ২০২৪

ইসরায়েলি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েল সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেবেন। সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ দেশটির শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা। খবর: আলজাজিরার আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নেতজাহ ইয়েহুদা’ নামের এই ইউনিটটি ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীরে মোতায়েন রয়েছে। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু অভিযোগ রয়েছে এই ইউনিটটির বিরুদ্ধে। ইউনিটটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তুতির তথ্য নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা।  বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর অন্যান্য ইউনিট ও পুলিশের বিরুদ্ধেও মার্কিন প্রশাসন একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে বলে জানানো হয়েছে। নেতজাহ ইয়েহুদার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে ব্যাটালিয়নটি মার্কিন বাহিনীর কোনো সহায়তা পাবে না। এমনকি মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে কোনো প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারবেন না বাহিনীর সদস্যরা। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তায় চলা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম থেকেও তাদের বিরত রাখা হবে। শুক্রবারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের এক বক্তব্যের পর নেতজাহ ইয়েহুদার ওপর সম্ভাব্য এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সামনে আসে। ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের লেইহি আইনের লঙ্ঘন করেছে, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কিছু ব্যবস্থা নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।  ১৯৯৭ সালে লেইহি আইন কার্যকর করে যুক্তরাষ্ট্র। এই আইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো ইউনিটকে সামরিক সহায়তা বন্ধের কথা বলা হয়েছে। আইনটি কার্যকরের পর থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বিশ্বে নিরাপত্তা বাহিনীর শত শত ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন সরকার। নিষেধাজ্ঞার খবরে ইসলায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে উল্লেখ করেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত নয়। ইসরায়েল সরকার এ ধরনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করবে। নেতানিয়াহু বলেন, আইডিএফের একটা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ চরম অযৌক্তিক এবং অনৈতিক।   
২১ এপ্রিল, ২০২৪

গাজায় পঙ্গু সাড়ে ১২ হাজার ইসরায়েলি সেনা
গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটি বিমান হামলা দিয়ে অভিযান শুরু হলেও তা ক্রমে স্থল অভিযানের দিকে রূপ নিয়েছে। এতে করে একের পর এক বিপদের মুখে পড়েছে ইসরায়েল। উপত্যাকায় অভিযানের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যুদ্ধে ইসরায়েলের সাড়ে ১২ হাজার সেনা পঙ্গু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিয়ত আহরোনথ।  ইসরায়েলের এ সংবাদমাধ্যমের বরাতে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।   সেনাদের পঙ্গুত্বের এ তথ্য প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) কর্তৃক নিযুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। দেশটির এত সেনার পঙ্গুত্বের বিষয়টিকে ‘বিষণ্ন পূর্ভাবাস’ হিসেবে উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।  হিব্রু সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পঙ্গু হিসেবে স্বীকৃতি পেতে ইসরায়েলি সেনারা আবেদন করছেন। তাদের এ সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছাতে পারে। এ ছাড়া সাড়ে ১২ হাজার সেনা পঙ্গুত্ব বরণের বিষয়টিকে সতর্কবার্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ইসরায়েলি সেনাদের পুনর্বাসন বিভাগ ৬০ হাজার সেনার চিকিৎসা দিচ্ছে। এরমধ্যে ২০২৩ সালে অন্তত ৫ হাজার সেনা পঙ্গু হয়েছেন। এ ছাড়া গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত তিন হাজার ৪০০ সেনা নতুন করে ভর্তি হয়েছেন। এসব লোকদের সবাই সেনা সদস্য। তাদের মধ্যে কেউ বেসামরিক লোক নয়।  ইয়েদিয়ত আহরোনথ জানিয়েছে, প্রকাশিত এ তথ্যের সাথে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যের অনেক অমিল রয়েছে। ডিসেম্বরের শেষে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যানুসারে, গত ৭ অক্টোবর থেকে আহত সেনাদের সংখ্যা ৩০ হাজারে পৌঁছেছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের এ সংখ্যা দুই হাজার ৩০০ জনে পৌঁছেছে।   
০৬ জানুয়ারি, ২০২৪

ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কি পিছু হটার ইঙ্গিত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে যুদ্ধরত কয়েক হাজার সেনা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। নববর্ষের আগের রাতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তবে কবে নাগাদ কত সেনা প্রত্যাহার করা হবে, সে সম্পর্কে কিছু জানাননি হাগারি। অবশ্য, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধরত পাঁচটি ব্রিগেড প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। তিনটি প্রশিক্ষণ ব্রিগেডের পাশাপাশি ৫৫১তম এবং ১১৪তম রিজার্ভ ব্রিগেড প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। একটি ব্রিগেডে সাধারণত তিন থেকে পাঁচ হাজার সেনা থাকে। সে হিসাবে ১৫ থেকে ২৫ হাজার সেনা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে তেলআবিব। এদিকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি ইসরায়েলের পিছু হটার ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, গাজায় স্থল অভিযানে গিয়ে হামাসের হাত থেকে এ পর্যন্ত কোনো জিম্মিকে উদ্ধার করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে হামাসের নজিরবিহীন প্রতিরোধের মুখে পড়েছে তারা। উপরন্তু একের পর এক সেনা নিহত হচ্ছে—যাকে ইসরায়েলি বাহিনীর বড় একটি ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হচ্ছে খোদ ইসরায়েলেই। তেলআবিবে শনিবারের বিক্ষোভেও যুদ্ধরত সেনাদের ফিরিয়ে আনার দাবি করা হয়। এ অবস্থায় কয়েক হাজার যুদ্ধরত সেনাকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল সরকার। খবর আলজাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েলের। ইসরায়েলের সংবাদ মাধ্যম ইয়েদিওত আহরোনোথ জানিয়েছে, ইসরায়েলি অর্থনীতিকে ব্যাপক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এসব সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, গাজা উপত্যকার উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে তাদের লক্ষ্য ব্যাপকভাবে অর্জিত হওয়ায় এসব সেনা আর সেখানে মোতায়েন করে রাখার প্রয়োজন নেই। ইসরায়েল এর আগে গত মাসে গাজা থেকে তাদের সবচেয়ে প্রশিক্ষিত ও দুর্ধর্ষ গোলানি ব্রিগেড প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছিল। গাজা থেকে বিপুল সংখ্যক সেনা প্রত্যাহারের এই ঘটনাকে ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা প্যালেস্টাইন ক্রনিক গাজা যুদ্ধের বাস্তব তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে এ কথা বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে, এই যুদ্ধে ইসরায়েলের পরাজয়ের লক্ষণগুলো স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। উত্তর ও মধ্য গাজায় ইসরায়েলি সেনারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করে ফেলেছে বলে যে দাবি করেছে, বার্তা সংস্থাটি তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। প্যাল্টেস্টাইন ক্রনিক লিখেছে: ‘উত্তর ও মধ্য গাজায় লক্ষ্য অর্জিত হওয়ার দাবি কি সত্য? একেবারেই না। গাজা উপত্যকায় যে ১৭ ব্রিগেড ইসরায়েলি সেনা মোতায়েন রয়েছে, তাদের মধ্যে উত্তর গাজায় এখনো চার ব্রিগেড সেনা যুদ্ধ করছে এবং সেখানকার যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। উপরন্তু মধ্য গাজার স্থলযুদ্ধ এখন পর্যন্ত আল-বুরেজ শরণার্থী শিবিরের পূর্ব সীমান্তই অতিক্রম করেনি। ইসরায়েলি বাহিনীর কয়েকটি ব্রিগেড একসঙ্গে চেষ্টা করেও মাত্র কয়েক বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট একটি এলাকার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। নুসিরাত, মাঘজি কিংবা দেইর আল বালাহ এলাকায় এখনো সংঘর্ষ শুরুই হয়নি। অথচ এই তিনটি শরণার্থী শিবিরে ৭ অক্টোবর থেকে অবিরাম বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় ইসরায়েলের সাতটি ব্রিগেড যুদ্ধ করে যাচ্ছে ঠিকই; কিন্তু তারা উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য পেয়েছে বলে এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।’ উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দাবি করে আসছে যে, শিগগির গাজা যুদ্ধের তৃতীয় পর্যায় শুরু হতে যাচ্ছে। কিন্তু তৃতীয় পর্যায় শুরু হতে যাওয়ার অর্থ মোটেও এ কথা নয় যে, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধে ইসরায়েল বিজয়ী হয়েছে; যদিও তেলআবিব সেরকম কিছুই বোঝানোর চেষ্টা করছে। ইসরায়েল মূলত একের পর এক পর্যায়ের কথা বলে জনমনে এমন ধারণা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে যে, যুদ্ধ তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মূল সমস্যা হচ্ছে, তেলআবিব হামাসকে ধ্বংস করে গাজা পুনর্দখলের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যুদ্ধ শুরুর দিন থেকে সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের মতো কোনো সুস্পষ্ট সামরিক পরিকল্পনা তাদের ছিল না। শনিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘আরও বহু মাস’ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু তার ওই ঘোষণার পরদিন অন্তত ১৫ হাজার সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত এটাই ইঙ্গিত করে যে, গাজা থেকে কৌশলে পিছু হটছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বার্তা সংস্থা ওয়ালা নিউজ জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে গাজা থেকে আরেও সেনা প্রত্যাহার করার ঘোষণা আসতে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নামকাওয়াস্ত সংঘাতে পরিণত হবে।
০২ জানুয়ারি, ২০২৪

ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে নিহত ৫০১ ইসরায়েলি সেনা
ইসরায়েল অজেয়, এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে গেল ৭ অক্টোবর দেশটির অভ্যন্তরে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়ে তেলআবিবের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে সাজানো নিরাপত্তা ব্যবস্থা।  আকস্মিক ওই হামলায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় ইসরায়েল। এর জবাব দিতে প্রায় ৩ মাস ধরে গাজায় স্থল, নৌ ও আকাশপথে হামলা চালাচ্ছে নেতানিয়াহুর দেশ। উপত্যকায় স্থল অভিযান চালাতে গিয়েও প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক ইসরায়েলি সেনা। যুদ্ধের শুরু থেকে মোট কতজন সেনা নিহত হয়েছেন, বৃহস্পতিবার সেই তালিকা প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী- আইডিএফ। আইডিএফ বলেছে, ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া যুদ্ধে পাঁচশজনের বেশি ইসরায়েলি সৈন্য, কর্মকর্তা ও রিজার্ভ সেনা নিহত হয়েছেন। নিহত সৈন্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০১। যাদের অধিকাংশই ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত হন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, ওইদিন হামাসের যোদ্ধারা কমপক্ষে ২৭৪ ইসরায়েলি সৈন্য ও স্থানীয় ৩৮ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এ ছাড়া গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আরও ১৬৭ সৈন্য নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী আরেক গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের হামলায় ইসরায়েলের আরও ৯ সৈন্যও নিহত হয়েছেন। পশ্চিম তীরে হামলায় নিহত হয়েছেন আরও দুই সেনা। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর নিহত ৫০১ সৈন্যের তালিকায় পশ্চিম তীরে নিজেদের ভুল গুলিতে নিহত একজন, লেবানন সীমান্তে গোলাবারুদ ছোড়ার সময় বিস্ফোরণে একজন, উত্তর ইসরায়েলে ট্যাংক দুর্ঘটনায় দুজন এবং আরও কয়েকটি মারাত্মক ঘটনায় কয়েকজনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আইডিএফের তালিকায় ৭ অক্টোবরের হামলার সময় নিহত পুলিশের ৫৭, জেরুজালেমে হামলায় নিহত একজন এবং পশ্চিম তীরে সংঘর্ষের সময় নিহত অন্য একজন কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দুই মাসের বেশি সময়ের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ২১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।  
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

গাজায় আরও দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এতে একের পর এক বেড়ে চলেছে মানবিক সংকট। তবে ইসরায়েলের সেনাদের প্রতিরোধে সোচ্চার রয়েছে হামাস। সর্বশেষ গাজায় আরও দুজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, সোমবার গাজায় তাদের আরও দুই সেনা নিহত হয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলে হামাসের সাথে সংঘর্ষে এসব সেনা নিহত হন।  একই সময়ে আইডিএফ জানায়, গাজার দক্ষিণেও হামাসের সাথে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষে ইসরায়েলের আরও দুই সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। আহত ওই দুই সেনা গোলানি ব্রিগেডের ১৩ ব্যাটালিয়নের সদস্য।  এদিকে গাজায় অভিযান চালিয়ে বিপাকের মুখে পড়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অব্যাহত হামলার মধ্যে ইসরায়েলে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার ল্যাপিড। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো কোনো ইসরায়েলি বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানালেন। খবর আনাদোলুর। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ইয়ার ল্যাপিড বলেন, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারেন না। যুদ্ধের সময়ও দেশে নির্বাচন হতে পারে। অন্যদিকে সম্প্রতি এক জনমত জরিপে উঠে এসেছে, দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন নেতানিয়াহু। অর্ধেকের বেশি ইসরায়েলি তাকে আর প্রধানমন্ত্রীর পদে দেখতে চান না। তার স্থলে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান তারা। জনমত জরিপটি করেছে লাজার ইনস্টিটিউট। দৈবচয়ন ভিত্তিতে বাছাইকৃত ৫১০ জন ইসরায়েলির ওপর এই জরিপ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গত শুক্রবার এই জরিপের ফল নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি সংবাদপত্র মারিভ। জরিপ অনুসারে, মাত্র ৩১ শতাংশ ইসরায়েলি মনে করেন, নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য উপযুক্ত। ৫১ শতাংশ মনে করে জাতীয় ঐক্য পার্টির নেতা গ্যান্টজ প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য উপযুক্ত। জরিপ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১৮ শতাংশ জানিয়েছেন এ বিষয়ে তাদের কোনো সুনির্দিষ্ট অভিমত নেই।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চান সাবেক ইসরায়েলি সেনা
ফিলিস্তিনজুড়ে ইসরায়েলি হামলা ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচার বোমাবর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে সারাবিশ্ব। এমনকি খোদ ইসরায়েলের কিছু নাগরিকও ফিলিস্তিনিদের জীবনের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার ইস্যুতে সমালোচনা করেন তেলআবিব প্রশাসনের। এসব নাগরিকের মধ্যে আছেন দেশটির সাবেক ও বর্তমান কিছু সেনাসদস্যও। যারা মনে করেন শান্তির জন্য স্বাধীন ফিলিস্তিনের কোনো বিকল্প নেই। তাদের একজন ইয়েল ওয়াল্ডম্যান। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহত হন ইয়েল ওয়াল্ডম্যানের মেয়ে ড্যানিয়েল ওয়াল্ডম্যান। গাজা সীমান্তের কাছে নেগেভ মরুভূমিতে সংগীত উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তার বাবা ইয়েল ওয়াল্ডম্যান ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন সাবেক মেজর ও বর্তমানে একজন প্রযুক্তি ব্যবসায়ী। ইয়েল ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চৌকস শাখা দ্য গোলানি ব্রিগেডের সদস্য ছিলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জানান তার মেয়ে নিহত হওয়ার ঘটনা ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার গুরত্ব।   ইয়েল জানান, তার কাছে যখন খবর আসে ড্যানিয়েলকে পাওয়া যাচ্ছে না তখন তিনি ইন্দোনেশিয়ায় ছিলেন। দেশে ফেরার তিন ঘণ্টা পরই অ্যাপল ঘড়ির সংকেত ব্যবহার করে মেয়েকে খুঁজতে বের হন ইয়েল, যা তাঁকে যুদ্ধের মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে গুলিতে ঝাঁঝরা হওয়া গাড়ির দেখা মেলে। কিন্তু ড্যানিয়েলের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। দুদিন পর ড্যানিয়েলের মরদেহ পাওয়া যায়। নিহত ড্যানিয়েল ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন সাবেক সার্জেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।    ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে সন্তান নিহত হওয়ার পরও সাবেক এ ইসরায়েলি মেজর বিশ্বাস করেন, ফিলিস্তিনিদের একটি রাষ্ট্র থাকা দরকার এবং সেটা শিগগিরই। জানান, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দু পক্ষেরই নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা দরকার। এর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের জন্য এমন দুটি রাষ্ট্র গঠন করা যাবে, যারা মিলেমিশে পাশাপাশি বসবাস করবে। তবে তার আগে ৭ অক্টোবরের ঘটনার জন্য দায়ি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করার দাবিও জানান ইয়েল।    বেশ কিছুদিন আগে গাজায় একটি নকশাকেন্দ্র খুলেছিলেন ইয়েল। সেখানকার একটি হাসপাতালে সাড়ে ৩ লাখ ডলারের বেশি দান করেছিলেন। এ জন্য তিনি অনুশোচনায় ভুগছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইয়েল জানান, না- তার অনুশোচনা হয় না। সাবেক এ ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা মনে করেন ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিরা একে অপরকে হত্যা বন্ধ করা দরকার। সেই সঙ্গে মিলে মিশে বসবাস করারও একটি উপায় খুঁজে বের করা প্রয়োজন।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

গাজায় যুদ্ধ গিয়ে পঙ্গু ২ হাজার ইসরায়েলি সেনা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন নিহত সেনার সংখ্যা প্রকাশ করলেও এত দিন আহতদের সংখ্যা প্রকাশ করেনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ প্রকাশ না করলেও এই যুদ্ধে ঠিক কতজন ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছেন, তা অবশেষে জানা গেছে। আহত ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি। এদের মধ্যে প্রায় ২ হাজার পঙ্গু বা বিকলাঙ্গ হয়ে গেছেন। ইসরায়েলি একটি সংবাদমাধ্যমের বরাতে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু। ইসরায়েলি দৈনিক পত্রিকা ইয়েদিওথ আহরনোথের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর গাজায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে পাঁচ হাজারের বেশি ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৫৮ শতাংশের (প্রায় ৩ হাজার) বেশি সেনা হাত ও পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অঙ্গচ্ছেদ করতে হয়েছে। এদের মধ্যে দুই হাজারের বেশি সেনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিকলাঙ্গ বা পঙ্গু ঘোষণা করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন বিভাগের প্রধান ও ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল লিমোর লুরিয়া বলেন, আমরা আগে কখনো এই ধরনের পরিস্থিতি দেখিনি। ৫৮ শতাংশের (প্রায় ৩ হাজার) বেশি আহত সেনা তাদের হাত ও পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের অন্তত ৪২০ সেনা নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে গত সপ্তাহে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছিল, গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রায় ৫ হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

গাজায় ভারতীয় বংশোদ্ভুত ইসরায়েলি সেনা নিহত
দুই মাস পার করেছে ফিলিস্তিনের ইসরায়েল যুদ্ধ। এ যুদ্ধে গাজায় ভারতীয় বংশোদ্ভুত এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দ্য ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  কমিউনিটি মেম্বাররা জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে ওই ভারতীয় বংশোদ্ভুত সেনা নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার ঘিল দানিয়েলে (৩৪) নিহত হন। তিনি মাস্টার সার্জেন্ট পদমর্যাদার সেনা। ইসরায়েলের সামরিক কবরস্থানে তার নিজে শহর আশদুদে বুধবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। গাজায় ওই দিন নিহত দুই সেনার মধ্যে গিল ছিলেন বলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী নিশ্চিত করেছে।  ইন্ডিয়ান জুইস হেরিটেজ সেন্টার জানিয়েছে, ভয়ানক এ যুদ্ধে অনেক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। তারা সেরা ছেলেমেয়ে যারা ইসরায়েলের পুরো জাতির সম্মানের জন্য লড়াই করতে দাঁড়িয়েছিল। আজ আমরা ইয়েল এবং মাজেলের ছেলে দানিয়েলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।  বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুদ্ধ শুরুর পর ১০ অক্টোবর গিল রিজার্ভ ফোর্সে নাম লেখান। তার স্মৃতি ধন্য হোক।  ভারতীয় বংশোদ্ভুত ইসরায়েলি এ সেনা হিব্রু বিশ্ববিদ্যায়ের ফার্মাসি স্কুল থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।  তার বন্ধু তির্যা লাভি বলেন, অত্যন্ত মেধাবী ও অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। তার সাথে একমাস আগে পরিচয় হয়েছিল। তার মৃত্যুতে বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল।  গাজায় ইসরায়েলের হামলায় চার শতাধিক সেনা নিহত হয়েছে। এরমথ্যে স্থল অভিযান শুরুর পর নিহত হয়েছেন অন্তত ৮৬ জন। গদ ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ফিলিস্তিনের নিহতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। 
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
X