ইসরায়েল অজেয়, এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে গেল ৭ অক্টোবর দেশটির অভ্যন্তরে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়ে তেলআবিবের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে সাজানো নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আকস্মিক ওই হামলায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় ইসরায়েল। এর জবাব দিতে প্রায় ৩ মাস ধরে গাজায় স্থল, নৌ ও আকাশপথে হামলা চালাচ্ছে নেতানিয়াহুর দেশ। উপত্যকায় স্থল অভিযান চালাতে গিয়েও প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক ইসরায়েলি সেনা। যুদ্ধের শুরু থেকে মোট কতজন সেনা নিহত হয়েছেন, বৃহস্পতিবার সেই তালিকা প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী- আইডিএফ।
আইডিএফ বলেছে, ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া যুদ্ধে পাঁচশজনের বেশি ইসরায়েলি সৈন্য, কর্মকর্তা ও রিজার্ভ সেনা নিহত হয়েছেন। নিহত সৈন্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০১। যাদের অধিকাংশই ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত হন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, ওইদিন হামাসের যোদ্ধারা কমপক্ষে ২৭৪ ইসরায়েলি সৈন্য ও স্থানীয় ৩৮ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এ ছাড়া গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আরও ১৬৭ সৈন্য নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী আরেক গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের হামলায় ইসরায়েলের আরও ৯ সৈন্যও নিহত হয়েছেন। পশ্চিম তীরে হামলায় নিহত হয়েছেন আরও দুই সেনা।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর নিহত ৫০১ সৈন্যের তালিকায় পশ্চিম তীরে নিজেদের ভুল গুলিতে নিহত একজন, লেবানন সীমান্তে গোলাবারুদ ছোড়ার সময় বিস্ফোরণে একজন, উত্তর ইসরায়েলে ট্যাংক দুর্ঘটনায় দুজন এবং আরও কয়েকটি মারাত্মক ঘটনায় কয়েকজনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আইডিএফের তালিকায় ৭ অক্টোবরের হামলার সময় নিহত পুলিশের ৫৭, জেরুজালেমে হামলায় নিহত একজন এবং পশ্চিম তীরে সংঘর্ষের সময় নিহত অন্য একজন কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দুই মাসের বেশি সময়ের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ২১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
মন্তব্য করুন