তীব্র তাপপ্রবাহে বৃষ্টি চেয়ে হাজারো মুসল্লির কান্না
তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি কামনায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল ঈদগা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন হাজারো মুসল্লি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ডিএসসিসি ৬৫ নং ওয়ার্ডে মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে এ ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। এতে সর্বস্তরের মুসল্লিরা অংশ নেয়। নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাতুয়াইল কবরস্থান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আল্লামা মুফতি নাহিদুর রহমান মৃধা। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মসজিদের আলেম, ওলামা এবং স্থানীয় কাউন্সিলর ও বিভিন্ন রাজনীতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা। এ সময় ধর্মপ্রাণ হাজারো মুসল্লিরা ইসতিসকার নামাজ আদায় শেষে মহান আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে চোখের পানি ফেলে বৃষ্টির কামনায় ফরিয়াদ করেন। এর আগে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্য সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মশিউর রহমান মোল্লা সজল। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের দরবারে আমাদের একমাত্র আর্জি তিনি যেন আমাদের নিয়ত কবুল ও মঞ্জুর করেন এবং দ্রুত বৃষ্টি দিয়ে দাবদাহ থেকে আমাদের মুক্তি দেন। আমিন।  এ সময় সবাইকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আসুন সব হিংসা বিদ্বেষ ভুলে আমরা এককাতার শামিল হই। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি। আমাদের আমল ছাড়া পরকালে কিছুই নিয়ে যেতে পারব না। তাই আল্লাহ ও নবী রাসুলের পথ অবলম্বনের বিকল্প নেই। কেননা, কেয়ামতের আলামত দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। পরকালে বেহেশতে যেতে নামাজ-রোজা এবং আল্লাহ ও নবী রাসুলের পথে চলার বিকল্প নেই। এ ইসতিসকার নামাজে ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৬ নং ওয়ার্ডে বসবাসরত বাসিন্দা ছাড়াও ঢাকা -৫ নির্বাচনী এলাকার কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৬৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মোল্লা বাবুল, ডেমরা থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম আলো, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের নেতা জামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শান্তনুর খান শান্ত, পাড়া ডগাইর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম, ৬৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. সোহেল খান, ৬৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এনামুল ইসলাম এনাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাছান মাহমুদ অপু প্রমুখ।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদগাহ দখল নিয়ে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ
কুষ্টিয়া সদরে ঈদগাহ দখল নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বিত্তিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি (তদন্ত) তারেক কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থানা এলাকার বিত্তিপাড়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারমারি হয়। পরে দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পর গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বিত্তিপাড়া গ্রামে বছরের পর বছর ধরে দুটি গ্রুপের মধ্যে সামাজিক বিরোধ চলছিল। তাদের বিরোধ প্রায়ই সংঘর্ষে রূপ নেয়। যার  একপক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দীক ও অন্যপক্ষে বিত্তিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন মেম্বার। গ্রামের ঈদগাহ কমিটি নিয়ে দুপক্ষের মতানৈক্য চলছিল বেশ কয়েকদিন। এরই মধ্যে ঈদের দিন নামাজের পর বসে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব ছিল। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই গ্রুপের কর্মী রশিদ ও জামালের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর জেরে সংঘর্ষ লাগে। হোসেন মেম্বার গ্রুপের সমর্থক মিন্টু বিশ্বাস বলেন, সকালের ঘটনার পর গ্রামের ব্রিজের ওপর বক্কার গ্রুপের লোকদের মারধর করা হয়। পরে সাড়ে ৮টার দিকে ঈদের নামাজের ঈদগাহ দখল নিয়ে দুই গ্রুপের লোকদের সঙ্গে সংঘর্ষ লাগে। সেখানে বক্কার গ্রুপের যোয়াদ মন্ডল, আব্দুল্লাহ, শাহীন এবং হোসেন মেম্বার গ্রুপের রাজা ও মিন্টু আহত হন। বক্কার গ্রুপের সমর্থক কামাল হোসেন বলেন, আহত যোয়াদ মন্ডলের অবস্থা গুরুতর। যোয়াদসহ ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।   কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১ এপ্রিল, ২০২৪

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের প্রধান জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঈদ জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি সরেজমিন পরিদর্শন করবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাসের জানান, ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করবেন। এছাড়াও অনেক মুসল্লি মূল প্যান্ডেলের বাইরে ঈদের জামাত আদায় করে থাকেন।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

রাজশাহীতে ঈদের প্রধান জামাত হযরত শাহ মখদুম (রহ.) ঈদগাহে
রাজশাহীতে এবার ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল ৮টায়। তবে বৃষ্টি হলে বা আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে একই সময় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে হযরত শাহ মখদুম (রহ.) দরগা জামে মসজিদে। আর সেই ক্ষেত্রে মুসল্লির সংখ্যা বেশি হলে ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে দরগা মসজিদে পর পর ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামীয়া শাহ মখদুম (রহ.) মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি আবদুল খালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঈদ জামাত সম্পর্কে জানতে চাইলে মুফতি আবদুল খালেক বলেন, এবার কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করার কথা রয়েছে- রাজশাহী শাহ মখুদম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহর। তবে শেষ মুহূর্তে পরিবর্তনও হতে পারে। কারণ মহানগরীর হেতমখাঁ বড় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা ইয়াকুব আলী অসুস্থ। মুফতি শাহাদাত আলীর মৃত্যুর পর মুফতি ইয়াকুব আলীই প্রধান জামাতে ইমামতি করতেন। তিনি অসুস্থ থাকায় এবার তাই ঈদ জামাতে আরও ২-৩ জনের নাম জেলা প্রশাসক বরাবর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে সেখান থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি। এদিকে রাজশাহীতে ঈদের দ্বিতীয় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায় মহানগর ঈদগাহে (টিকাপাড়া)। এখানে ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। বৃষ্টি হলে একই সময়ে পাশেই থাকা টিকাপাড়া মোহাম্মপুর জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া সকাল ৮টায় মহানগরীর তৃতীয় বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বড় মসজিদ সংলগ্ন সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে। এখানে প্রধান সড়কের ওপর একটিই ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৮টায় এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে ঈদ-উল-ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম জানান, সুষ্ঠুভাবে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত আয়োজনের জন্য এরই মধ্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট ওলামায়ে কেরামদের নিয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বলে দেওয়া হয়েছে- সংশ্লিষ্ট মসজিদ কমিটিই বরাবরের মত আলোচনা করে নিজ নিজ ঈদগাহের ঈদ জামাতের সময়সূচি নির্ধারণ করবেন। তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশন বা রাজশাহী জেলা প্রশাসন এবারও ঈদের নামাজের সময়সূচি ঠিক করে দেয়নি। নিজ এলাকায় থাকা মসজিদ কমিটি তাদের সুবিধামতো ঈদ জামাতের সময় নির্ধারণ করবেন। ঈদের আগের দিন তা মাইকিং করে জানিয়ে দেবে। তবে সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যেই বেশিরভাগ ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এদিকে, মঙ্গলবার সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়েছে যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের লক্ষ্যে এবার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। সেই অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ঈদের দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ৮টায় মহানগরীর হযরত শাহ খদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানে ইদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় ঈদগাহে জামাত অনুষ্ঠানের পর রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ উপস্থিত মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এদিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার, এতিমখানা, শিশুকেন্দ্র, শিশুপরিবার, শিশুপল্লী, শিশুসদন, ছোটমণি নিবাস, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, সেফ হোম এবং অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। এ ছাড়া এদিন সরকারি ভবন ও সড়কসমূহ বিশেষভাবে সজ্জিত থাকবে।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ
একসঙ্গে ৩৫ হাজার মানুষের অংশগ্রহণে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতের জন্য প্রস্তুত রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ। ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ঈদগাহ ময়দানের প্রস্তুতি প্রায় শেষ হয়েছে। পুরো ঈদগাহকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বুধ বা বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। দেশে ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। সেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, দুই সিটির মেয়র, দেশি বিদেশি কূটনৈতিক ব্যক্তিসহ ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা অংশ নিয়ে থাকেন। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে বা অন্য কোনো কারণে জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া বায়তুল মোকাররমে পর্যায়ক্রমে ঈদের নামাজের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এক ঘণ্টা পরপর বাকি ৪টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল পৌনে ১১টায় সবশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সরেজমিন দেখা গেছে, ঈদগাহের বাইরে দেখা গেছে মূল গেটসহ আশপাশের এলাকা সাজানো হয়েছে রঙ-বেরঙের সাজসজ্জার কাঠামো দিয়ে। এবার ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করতে পারবেন। ইমামের পেছনে ভিআইপিদের জন্য নিরাপত্তা বেষ্টনী করে রাখা হয়েছে। মূল প্যান্ডেলের বাইরেও অন্তত ৫০ হাজার মানুষ নামাজ পড়বেন ধরে নিয়ে তাদের জন্যও নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের নামাজ আদায়ের জন্যও রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ঈদগাহ মাঠে প্যান্ডেল ও ত্রিপল লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে আরও দুদিন আগে। সর্বশেষ প্রস্তুতি হিসেবে লাইট, ফ্যান ও মাঠের সীমানা ঘেঁষে সাদা কাপড় টানানোর কাজ চলছে। মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় এবার ঈদগাহে রাখা হচ্ছে তিন স্তরের বিশেষ নিরাপত্তা বলয়। প্রধান গেটের পাশে র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। পুরো ঈদগাহে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। বরাবরের মতো এবারও ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুতের জন্য কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিয়ারু সর্দার অ্যান্ড সন্স ডেকোরেটর। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বলেন, ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ। এখন শুধু নিচে কার্পেটিং আর সাদা চাদর বিছানোর কাজ বাকি আছে। চাঁদ দেখা মাত্রই বাকি কাজ সম্পন্ন করা হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার ডিএসসিসির মেয়র ফজলে নূর তাপস ঈদগাহ সার্বিক প্রস্তুতি দেখতে পরিদর্শনে আসবেন বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয়। ঈদগাহ প্রস্তুত করার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের ইনচার্জ মাহফুজ আলম জানান, জামাতের কাতারগুলোর কাজ শেষ হলে প্যান্ডেলের নিচে মুসল্লিদের জন্য লাগানো হবে ৬০০টি সিলিং ফ্যান, ১৫০টি স্ট্যান্ড ফ্যান, ৪০টি মেটাল লাইট এবং ৭০০টি টিউবলাইট। প্রতি কাতারে কার্পেটের ওপরে বসানো হবে মখমলের বিশেষ কাপড়। কাতারগুলোর বিভিন্ন পাশে থাকবে খাবার পানি, ভ্রাম্যমাণ টয়লেট ও প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম। এদিকে ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশের জন্য ভিআইপি গেট থাকছে একটি। পাশাপাশি জনসাধারণের জন্য একটি এবং নারীদের প্রবেশের জন্য পৃথক একটি গেট রাখা হয়েছে। ঈদ জামাতে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ভিআইপি পুরুষ কাতার থাকবে ৫টি এবং নারী কাতার থাকবে একটি। আর জনসাধারণের জন্য পুরুষ কাতার থাকবে ৬৫টি, আর নারীদের কাতার ৫০টি। সেইসঙ্গে অজুখানায় একসঙ্গে প্রায় ১১৩ পুরুষ ও ২৭ জন নারী পৃথক স্থানে অজু করতে পারবেন। গরমের কথা বিবেচনায় জাতীয় ঈদগাহে ১০টি এয়ারকুলার ছাড়াও পর্যাপ্ত ফ্যান ও লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে খাবার পানি ছাড়াও থাকছে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র, ভ্রাম্যমাণ টয়লেটসহ বৃষ্টির পানি নিরসনের ব্যবস্থা। ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের বলেন, নামাজ শেষে মুসল্লিদের বের হওয়ার সময় যেন হুড়োহুড়ি না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত বের হওয়ার পথও রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পুলিশ, র্যাব এবং সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। ঈদগাহে প্রবেশের আগে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির পর আর্চওয়ে দিয়ে প্যান্ডেলে প্রবেশ করতে হবে।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪
X