সংরক্ষিত আসন / আ.লীগের মনোনয়নে উত্তরাধিকার প্রাধান্য
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নে উত্তরাধিকারকে প্রাধান্য দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে পিতা বা স্বামীর রাজনৈতিক জীবনকে। কারও ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেয়েছে ভাইয়ের যোগসূত্রও। মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের পারিবারিক অবস্থান বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এতে নিজেদের ২২৪ আসন এবং জোটের দুটি ও স্বতন্ত্রদের ৬২টি আসন নিয়ে সংসদে ৪৮টি নারী আসন পায় দলটি। বাকি দুটি আসন পেয়েছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। আগামী ১৪ মার্চ সংসদের নারী আসনের এ ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গত বুধবার দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের জন্য নির্ধারিত ৪৮টি আসনে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। ভোটের কথা থাকলেও রেওয়াজ অনুযায়ী দল যাদের মনোনয়ন দেয় শেষ পর্যন্ত তারাই সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। মনোনয়ন পাওয়া এই ৪৮ জনই দ্বাদশ সংসদে আওয়ামী লীগের নারী এমপি হতে যাচ্ছেন বলে ধরে নেওয়া যায়। এদিকে সংরক্ষিত আসনে মনোনীতদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবার বেশিরভাগই নতুন মুখ। একাদশ জাতীয় সংসদে ৪১টি আসনে আওয়ামী লীগের নারী এমপি ছিলেন। সেই তালিকা থেকে ৭ জনকে ফের দ্বাদশ জাতীয় সংসদের চূড়ান্ত তালিকায় রেখে ৩৪ জনকেই বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক, মুন্সীগঞ্জে ফজিলাতুন নেসা, ঢাকা থেকে নাহিদ ইজহার খান, চট্টগ্রাম থেকে ওয়াসিকা আয়েশা খান, নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম, কুমিল্লা থেকে অ্যারোমা দত্ত, ঢাকায় শবনম জাহান শিলা পুনরায় মনোনয়ন পেয়েছেন। এ ছাড়া চার সংরক্ষিত এমপি সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে খাদিজাতুল আনোয়ার, রুমানা আলী ও সুলতানা নাদিরা আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাহমিনা বেগম মাদারীপুর-৩ আসন থেকে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। বিশ্লেষণে দেখা যায়, মনোনয়ন পাওয়া মোছা. আশিকা সুলতানার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম ৭০ ও ৯১-এর সংসদ সদস্য ছিলেন। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জাতীয় চার নেতার সঙ্গে কারাবরণ করেন। সেই সূত্রে এবার নারী এমপি হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন। রেজিয়া ইসলামের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ছিলেন পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার তার বাড়িতে গেছেন। রেজিয়া ইসলাম জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হলেও তার মনোনয়নে স্বামীর বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ডা. রোকেয়া সুলতানার বাবা শহীদ মাহতাব উদ্দীন। ’৭১ সালে তাকে হত্যা করা হলেও আজ পর্যন্ত তার লাশের হদিস পাওয়া যায়নি। রোকেয়া সুলতানা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক হলেও তার এ অর্জনের পেছনে বাবার অবদানের কথাই বঙ্গবন্ধুকন্যা মনে রাখেন বলে ধারণা নেতাকর্মীদের। কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি হলেও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস ছিলেন তৎকালীন বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি। নৌকা প্রতীকে ছয়বারের বিজয়ী সংসদ সদস্য। নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও ছিলেন প্রয়াত আবদুস কুদ্দুস। জাতীয় নির্বাচনে সরাসরি মনোনয়ন চাইলেও এবার নারী আসনে মনোনয়ন পেলেন মুক্তি। জারা জাবীন মাহবুরের বাবা কাইয়ূম রেজা চৌধুরী শিল্পপতি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের জমিদার হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া মা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বান্ধবী বলেও পরিচিতি রয়েছে। খুলনার রুনু রেজার স্বামী শহীদ ইকবাল বিথার যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া বর্তমান সেনাপ্রধানের বোন তিনি। বাগেরহাটের ফরিদা আক্তার বানুর স্বামী মীর সাখাওয়াত আলী দারু তিনবারের এমপি ছিলেন। এ ছাড়া দেবর শওকত আলী বাদশাও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি। ভোলার খালেদা বাহার বিউটির বাবা মোখলেসুর রহমান লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। এ ছাড়া বিউটির স্বামী বাহার উদ্দিন খেলন ছিলেন বিটিভির মহাপরিচালক। সাবেক স্পিকার আব্দুল মালেক উকিলের ছেলে খেলন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগেরও সভাপতি পদে রয়েছেন। বিউটির মনোনয়নে বাবা, স্বামী ও শ্বশুরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পটুয়াখালীর নাজনীন নাহার রশীদের বাবা আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি। ময়মনসিংহের উম্মি ফারজানা ছাত্তারের বাবা আব্দুস সাত্তার আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি। এবারও দলের মনোনয়ন পেয়ে শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয় এ আসনটি। ফলে বাবা না পেলেও এবার মেয়েকে বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জয়পুরহাটের মাহফুজা সুলতানা মলির বাবা মজিবুর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ’৭০-এর এমপিও ছিলেন তিনি। পরে ১৯৭৩ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। মাহফুজা সুলতানা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক তিনি। ঝিনাইদহের পারভীন জামান কল্পনার বাবা ভাষাসৈনিক মরহুম অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান। আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক এমপি তিনি। নারী আসনে আবারও মনোনয়ন পাওয়া আরমা দত্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা, মানবাধিকার কর্মী। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-১১ থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। তার বাবা সঞ্জীব দত্ত ‘পাকিস্তান অবজারভার’ পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন। মা প্রতীতি দেবী হলেন চিত্রপরিচালক ঋত্তিক ঘটকের যমজ বোন। সাতক্ষীরার লায়লা পারভীন সেঁজুতির বাবা শ ম আলাউদ্দীন একজন মুক্তিযোদ্ধা। ভোমরা স্থলবন্দরের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। স্থানীয় একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে ওই পত্রিকা অফিসেই তাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। লায়লা পারভীনের স্বামীও সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের একাধিকবারের সভাপতি। বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের স্বামী ছিলেন শ্রমিক নেতা। তিনি নিজেও একজন শ্রমিক নেত্রী। সরকারের সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী তিনি। বেদৌরা আহমেদ সালাম ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর পরিচালক। শবনম জাহান শিলা মহিলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদেরও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পারুল আক্তার ও সাবেরা বেগম মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী। ড. শাম্মী আহমেদ এবার বরিশাল-৪ আসনে দলের মনোনয়ন পেলেও শেষ পর্যন্ত আদালতে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়। শাম্মী আহমেদের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দীন আহমেদ বরিশালের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। নাহিদ ইজাহার খান একাদশ জাতীয় সংসদেরও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ছিলেন। তার বাবা শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীরবিক্রম। মা নিলুফার দিলআফরোজ বানু। তার পৈতৃক আদি নিবাস ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া গ্রামে। ফরিদপুরের ঝর্ণা হাসানের স্বামী হাসিবুল হাসান লাভলু জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। জনপ্রিয় পৌর মেয়রও ছিলেন তিনি। ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা একাদশ সংসদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তার ভাই মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্মুখ যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেন। ইন্দিরা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের মহিলাবিষয়ক সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করছেন। শাহিদা তারেখ দীপ্তি সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। পল্লিগীতির সুধাকণ্ঠী শিল্পী হিসেবে পরিচিত অণিমা মুক্তি গমেজ। তার স্বামী ক্রীড়াবিদ রঞ্জিত চন্দ্র দাস। শেখ আনার কলি পুতুল মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন। পরিচিত মুখ তারানা হালিম আগেও নারী এমপি এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুর নাহার চাঁপার বড় ভাই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। মেহের আফরোজ চুমকি সাবেক সংসদ সদস্য এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী। তিনি মহিলা আওয়ামী লীগেরও সভাপতি। তার বাবা ময়েজ উদ্দিন। তিনি গাজীপুর-৫ আসন থেকে এবার দলের মনোনয়নে নির্বাচন করেও হেরে যান। একাদশ সংসদেরও নারী এমপি অপরাজিতা হকের স্বামী সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু একাত্তর টিভির সিইও। নাজমা আক্তার যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি এবং এর আগেও নারী এমপি ছিলেন তিনি। ফরিদুন্নাহার লাইলী এর আগেও একবার নারী আসনের এমপি ছিলেন। আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক তিনি। নোয়াখালীর কানন আরা বেগম প্রয়াত বাম নেতা নুরুল ইসলামের স্ত্রী। শামীমা হারুন লুবনা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার বাবা আবদুল্লাহ আল হারুন একদিকে ভাষাসংগ্রামী, অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। চট্টগ্রামের রাউজানে তার বাবার বাড়ি, দক্ষিণ জেলার চন্দনাইশে শ্বশুরবাড়ি। দিলোয়ারা ইউসুফ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার স্বামী ইউসুফ সিকদার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। তার গ্রামের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলায় ও শ্বশুরবাড়ি রাউজানে। ওয়াসিকা আয়শা খান গত সংসদেরও নারী আসনের এমপি। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সারের মেয়ে। সানজিদা খানম এর আগেও নারী এমপি ছিলেন। এবার ঢাকা-৪ আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি। এ ছাড়া রংপুরের নাছিমা জামান ববি তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

উত্তরাধিকার সনদ কী, কেন ও কীভাবে পাবেন
পরিবারে অভিভাবকের মৃত্যু সবার জন্য চরম বেদনাদায়ক। কিন্তু কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিকানা পেতে আইনি বিধিবিধান আছে, যা আমাদের অনেকেরই অজানা। তাই তো পারিবারিক কলহ এড়াতে নিজেদের প্রয়োজনে আইন জানা জরুরি। এবার আপনাদের জানাব উত্তরাধিকার সনদ কী, কেন ও কীভাবে পাবেন। উত্তরাধিকার সনদ কী? কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তার বৈধ উত্তরাধিকারী নির্ধারণ করে ক্ষমতাসম্পন্ন আদালত কর্তৃক যে সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয় সেটিই মূলত সাকসেশন সার্টিফিকেট বা উত্তরাধিকার সনদ। সাধারণত মৃত ব্যক্তির ব্যাংকে জমানো টাকা, কোম্পানির শেয়ার, ডিবেঞ্চার, অস্থাবর সম্পত্তি, সঞ্চয়পত্র ইত্যাদি তার বৈধ ওয়ারিশগণ ব্যাংকে জমা টাকা উত্তোলন বা অন্যান্য বিষয়গুলো (কোম্পানির শেয়ার, ডিবেঞ্চার, অস্থাবর সম্পত্তি (গাড়ি), সঞ্চয়পত্র ইত্যাদি) নিজেদের নামে রেজিস্ট্রিভুক্ত কিংবা মালিকানার অংশ নির্ধারণ করতে চাইলে প্রয়োজন হয় সাকসেশন সার্টিফিকেট। সাকসেশন আইন ১৯২৫ এর ৩৭০-৩৮৯ ধারায় সাকসেশন সার্টিফিকেটের বিধান বলা আছে। উত্তরাধিকারী হবেন কারা?  মৃত ব্যক্তি যদি মুসলিম হন তাহলে মুসলিম আইন অনুযায়ী যারা ওয়ারিশ হওয়ার যোগ্য তারা উত্তরাধিকার সনদের জন্য আবেদন করতে পারবেন বা অন্য ধর্মের হলে সেই ধর্মের পারিবারিক আইন অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। স্থাবর সম্পত্তি যেমন, জমি-জমার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, তেমনভাবেই অন্যান্য সম্পত্তির হিস্যা বা অংশ অনুযায়ী সব ওয়ারিশগণ প্রাপ্ত হবেন। অনেক সময় দেখা যায়, মৃত ব্যক্তির বৃদ্ধ মা-বাবা জীবিত থাকতে স্ত্রী-সন্তানরা বৃদ্ধ বাবা-মাকে বাদ দিয়ে, ভাইয়েরা বোনদের বাদ দিয়ে বা একাধিক স্ত্রী থাকলে অন্য স্ত্রী একজন অপরকে বাদ দিয়ে আদালত থেকে উত্তরাধিকার সনদ হাসিল করেন, যা আইনত এবং ধর্মীয় দৃষ্টিতে ঘৃণিত অপরাধ। কোনো ওয়ারিশকে বাদ দিয়ে উত্তরাধিকার সনদ হাসিল করলে সংক্ষুব্ধ বা বঞ্চিত ওয়ারিশগণ ইতোমধ্যে ইস্যুকৃত সনদ বাতিল চেয়ে আদালতে আবেদন করতে পারেন। কোনো সম্পত্তি বাদ পরে থাকলে পরবর্তীতে সাকসেশন সার্টিফিকেট বর্ধিতকরণের জন্য আবেদন করা যায়। কোর্ট ফি ও অন্যান্য খরচ কত? ১ম ধাপ : আইনজীবীর ফি এবং ফাইলিং। ২য় ধাপ : আদালত শুনানি অন্তে আবেদন মঞ্জুর করলে কোর্ট ফি দাখিল করতে হয়। সেক্ষেত্রে যে সম্পত্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে তার মান ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হলে কোনো কোর্ট ফি দিতে হয় না। কিন্তু ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ১ শতাংশ কোর্ট ফি দিতে হয়। আর ১ লাখ ১ টাকা থেকে তদূর্ধ্ব হলে ২ শতাংশ হারে কোর্ট ফি জমা দিতে হয়।  কী কী ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র লাগবে? স্থানীয় চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক ইস্যুকৃত ওয়ারিশান সার্টিফিকেট। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা চেয়ারম্যান অফিস থেকে মৃত ব্যক্তির অনলাইন মৃত্যু সনদ। মৃত ব্যক্তিকে যে কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে, তৎমর্মে প্রত্যয়নপত্র (যদি সম্ভব হয়)। মৃত ব্যক্তি কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে মৃত্যুবরণ করলে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যয়নপত্র, যে যে সম্পদের জন্য আবেদন করা হবে তার বিস্তারিত প্রমাণপত্র। সাকসেশন সার্টিফিকেট পেতে কতদিন সময় লাগে? সময় আইন আদালতের কাজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। সাকসেশন সার্টিফিকেটের জন্য সাধারণত তিনটা ডেট বা তারিখের প্রয়োজন হয়। প্রথম ডেট ফাইলিং, দ্বিতীয় ডেট সমন ফেরত এবং তৃতীয় ডেট জবানবন্দি। আবেদন মঞ্জুর হলে কোর্ট ফি দাখিল (কমপক্ষে ১০ দিন সময় লাগতে পারে) করে সার্টিফিকেট ইস্যু করাতে হবে। বিবিধ : একাধিক ওয়ারিশ থাকলে যে কোনো একজনকে ক্ষমতা প্রদান করলে দিলে তিনি মামলা বা কোর্ট প্রসিডিউর পরিচালনা করতে পারবেন। ওয়ারিশন সনদ আর সাকসেশন সার্টিফিকেট এক নয়। উত্তরাধিকার সনদের আবেদন নিম্ন আদালতে খারিজ হলে, বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে আপিলের বিধান আছে। . (লেখক : আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট)।
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ / কর্তৃত্ববাদের ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার
রাষ্ট্রের আদর্শ এবং প্রকৃত বাস্তবতার মধ্যে বিরাট দ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও, রাজনীতিতে গণতন্ত্রের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আজ আর নেই। তথাপি শাস্ত্রীয় গণতন্ত্র এবং বিশ্বব্যাপী আমাদের দেখা গণতন্ত্রের মধ্যে রয়ে গেছে বিস্তর এক ফারাক।  গ্লোবাল সাউথ থেকে অভিবাসীদের বাদ দিতে বা দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের টার্গেট করার জন্য জনপ্রিয় সব স্লোগান ব্যবহার করেছে ডানপন্থীরা। ডানপন্থীদের এই উত্থান ‘গণতন্ত্রের ঘাটতির’ বিরুদ্ধে বড় ধরনের একটি শোরগোল তৈরি করেছে।  কিন্তু, এ ধরনের কুসংস্কারমূলক ও অগণতান্ত্রিক চর্চা কোনো নতুন ঘটনা নয়। ঐতিহাসিক ভাবেই এর ভিত্তি রয়েছে। গণতান্ত্রিক আকাঙ্খা এবং কর্তৃত্ববাদী দমন-পীড়নের অগণিত ঘটনাগুলো বিশেষ করে ঔপনিবেশিকতার উত্তরাধিকার থেকে পাওয়া যায়।  ঔপনিবেশিক শাসনের মূল দায়িত্ব ছিল শোষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরাপত্তা দেওয়া। তারা শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আইনের ডালি সাঁজিয়ে রাখতো এবং জনগণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্তরের জবরদস্তিমূলক শক্তি প্রয়োগ করতো। ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী সংগ্রামকে অনুপ্রাণিত করে এমন স্বাধীনতা এবং আর্থ-সামাজিক আকাঙ্খার প্রচার করেনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্ব ব্যবস্থা। পরিবর্তে তা ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রগুলোর নিপীড়নমূলক এবং অসাম্যমূলক কাঠামো এবং নীতিগুলোকেই বজায় রেখেছে।   স্নায়ুযুদ্ধের সময়কালে, উন্নত পুঁজিবাদী বিশ্বের কাছে একের পর এক আত্মসমর্পণ করে এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার উন্নয়নশীল দেশগুলো। সে সময় ওয়াশিংটন এবং তার মিত্রদের হতে এসব উন্নয়নশীল দেশ ব্যাপক সামরিক কর্তৃত্ববাদের শিকার হয়।     বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রচারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি তা কখনোই ওয়াশিংটনকে সামরিক স্বৈরশাসক এবং স্বৈরাচারি শাসকদের সমর্থন করতে বাঁধা দেয়নি। অথচ ওয়াশিংটনের নীতি ছিল এতে বাঁধা দেওয়া।  আজও সে পরিস্থিতি ভিন্ন কিছু নয়। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন মিত্র পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। পাকিস্তানের সামরিক কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র কাঠামোকে শক্তিশালী করতে অনেক কিছুই করেছে ওয়াশিংটন। তবে ইসলামাবাদ চীনের দিকে ঝুঁকে গেলে তা ওয়াশিংটনের ভূ-রাজনৈতিক লক্ষ্যগুলোর সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে ওঠে। ফলে তারা আবার পাকিস্তানকে তাদের গণতান্ত্রিক প্রতিশ্রুতির পর্যায়ক্রমিক পুনঃবিবৃতির জন্য একটি সুবিধাজনক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে।  অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি থাকা সত্ত্বেও, নির্বাচনী জালিয়াতি ও গণতন্ত্রের অপূর্ণতাগুলো সংশোধনে বাংলাদেশকে চাপ প্রয়োগ করছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের বাণীগুলো সাবেক বৃটিশ রাজের উত্তরাধিকার থেকে এসেছে। ব্রিটিশ রাজকে প্রতিস্থাপনকারী দেশগুলোতে বৃটিশদের সেই গণতন্ত্রের সংজ্ঞা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাত্রায় এসে পৌঁছেছে।  আমলাতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদের উৎকৃষ্ট উদাহরণ- ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রের গণতন্ত্রের বক্তৃতা। যার প্রধান লক্ষ্য প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সেখানে সুবিধাপ্রাপ্ত একটি শ্রেণি তৈরি করা। যারা উন্নয়নের প্রচারের জন্য একটি উপযুক্ত অবকাঠামো তৈরি করার চেষ্টা করে।   আমলাতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদের উত্তরাধিকার থেকে উদ্ভূত নাগরিকত্বের যে কোনো ধারণাই ঔপনিবেশিক যুগের বিকৃতি ও দুর্ভাগ্য এড়াতে পারেনি।  পাকিস্তান সুদীর্ঘ কাল ধরে সামরিক-আমলাতান্ত্রিক শাসনের আদর্শ হয়ে উঠেছে। সেখানে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করার যুদ্ধই এর গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কেন্দ্রবিন্দু। ২০০৮ এবং ২০১৭ সালে ইসলামাবাদের শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্ররোচণা এবং জটিল অর্থনৈতিক সমস্যার মুখে পুরানো কর্তৃত্ববাদ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল। পাকিস্তানের একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হলো- জবাবদিহিতা কমে যাওয়ার শঙ্কার সাথে সাথে সেখানে একটি বিচার বিভাগীয় সক্রিয়তার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সেনাবাহিনী প্রধান, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতা বণ্টণের অস্বস্তিকর সমীকরণে চতুর্থ উপাদান হিসাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির আবির্ভাব যে ইতিবাচক তাতে কারো দ্বিমত নেই। কিন্তু একজন প্রধানমন্ত্রী, একজন প্রধান বিচারপতি বা রাষ্ট্রপতির যতই জনপ্রিয়তা থাকুক না কেন সেনাবাহিনীর প্রধানই এখনও পাকিস্তানের শীর্ষ ক্ষমতার অধিকারী।  খাকি-পোষাকের কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেয়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে লড়াই করার প্রবণতা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকে। প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কারের অভাবে পাকিস্তান আজ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সমস্যায় জর্জরিত।   বাংলাদেশের দিকে তাকালে দেখা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে রয়েছে তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এই দুটি দলই গত তিন দশক ধরে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের সরকার ও বিরোধী দলের আসনে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় এখনো গণতন্ত্র জীবিত থাকলেও তার দশা হয়েছে কলঙ্কিত এবং ভঙ্গুর। বাস্তবের সাথে গণতন্ত্রের আদর্শগুলো এখানে সংগ্রাম করছে।  ঔপনিবেশিক আমলের অনেক কর্তৃত্ববাদী বৈশিষ্ট্যই উত্তর-ঔপনিবেশিক দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই কর্তৃত্ববাদ আরও শক্তিশালী রূপ ধারণ করেছে।   ঔপনিবেশিক যুগের আরেকটি উজ্জ্বল ধারাবাহিকতা হল- দমনমূলক আটকের নীতি। কোনো ব্যক্তি সরকার বা ক্ষমতা কাঠামোর বিরুদ্ধমত হলে বা ক্ষমতা কাঠামোর বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে দমনমূলক আটক করা হয়। বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানে ব্যাপকভাবে এই নীতির অনুশীলন হচ্ছে। এসব দেশে বহু মানুষকে বিনা বিচারে বন্দি করা হয় এবং বন্দি রাখা হয়।  ১৯১৯ সালে বৃটিশদের প্রণীত যুদ্ধকালীন অধ্যাদেশ (যে আইনে বিনা বিচারে ভারতীয়দের বন্দি করার সুযোগ দেওয়া হয়) এর বিরুদ্ধে প্রথম সর্বভারতীয় গণ আন্দোলন শুরু করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। গান্ধীর পরিভাষায় এগুলো ছিল- ‘অনিয়ম আইন’। বৃটিশদের করা সেই আইন এখন অনুশীলন করছে ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের গণতন্ত্রীয়নামী কর্তৃত্ববাদী সরকার। আর সেই মডেল ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার থেকে প্রাপ্ত।  ঔপনিবেশিক পূর্বসূরি থেকে সার্বভৌমত্বের একক মতাদর্শের সাথে সুনির্দিষ্ট ‘অনাচারী আইনের’ ধারাবাহিকতা বা পুনঃপ্রবর্তনের রদ করা দরকার। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো অসংখ্য অভ্যন্তরীণ সমস্যায় জর্জরিত। এসব সমস্যা সৃজনশীলভাবে মিটমাট করার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশে কাঠামোগত পরিবর্তন জরুরি। উপমহাদেশ জুড়ে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য কূটনৈতিক অগ্রগতি অপরিহার্য।  ঔপনিবেশিক শাসনের কর্তৃত্ববাদী উত্তরাধিকার থেকে আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর আবার রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে ভাবা দরকার।   আয়েশা জালাল: পাকিস্তানি-আমেরিকান ইতিহাসবিদ, আমেরিকার টাফ্টস ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক এবং সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান অ্যান্ড ইন্ডিয়ান ওশান স্টাডিজের পরিচালক  ইংরেজি থেকে ভাষান্তর - মুজাহিদুল ইসলাম
২২ আগস্ট, ২০২৩

ড. সাজ্জাদ জহির-এর নিবন্ধ / আর্থিক সম্পদের উত্তরাধিকার নির্ণয়ে নমিনি প্রথা ও ওয়ারিশ ব্যবস্থার বৈপরীত্য নিরসন প্রয়োজন
অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির ফলে সমাজে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, যা অনেক সময় আইনি মালিকানা স্বত্বকে ভঙ্গুর করে। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি সরকারের অর্থপ্রাপ্তি যতখানি নিশ্চিত করতে সক্ষম, তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে, সমমাত্রায় সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে পারে না। দক্ষ ও সৎ কর্মীর অভাবে ব্যক্তির তথ্য নিরাপত্তা হুমকিতে থাকে, যা সব প্রকারের সম্পদের মালিকানা স্বত্বকে ভঙ্গুর করে তোলে। তথ্যপ্রযুক্তি থেকে উপযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি প্রয়োজন, যা রাজনৈতিক নেতৃত্বের দৃঢ়তার ওপর নির্ভরশীল।
২২ জুলাই, ২০২৩
X