মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
মা দিবসে এসি মিলানের অনন্য উদ্যোগ
১৯০৭ সাল থেকে প্রতিবছরই মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে পালন করে বিশ্ববাসী। সে হিসেবে আজ পালিত হচ্ছে মা দিবস। মাকে মনে করে এই বিশেষ দিনে অনেকেই অনেক কিছু করে থাকেন। কেউ মাকে উপহার কিনে দেন, কেউ আবার মায়ের সঙ্গে সময় কাটান। বাদ যায় না বিভিন্ন সংগঠনও। এবার মা দিবস ভিন্ন রকম ভাবে পালন করল এসি মিলানসহ ইতালির বিভিন্ন ক্লাবগুলোও। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল লিগ বলে বিবেচিত ইতালির সিরি আর ক্লাব এসি মিলান, ক্যাগলিয়ারি, জেনোয়া, লিচে, তোরিনো, ভেরোনা এবং উদিনেসে এই সপ্তাহের শেষে তাদের শার্টে খেলোয়াড়ের নাম পরিবর্তন করে মা দিবস উদযাপন করবে। তবে ইতোমধ্যেই মিলান তাদের ম্যাচে এই উদযাপন করে ফেলেছে। এই উদ্যোগটির মাধ্যমে ক্লাবগুলো এই সপ্তাহে হওয়া তাদের ম্যাচে খেলোয়াড়দের জার্সিগুলোতে তাদের নাম বদলে তাদের মায়ের নাম দিয়ে উপস্থাপন করবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় শনিবার (১১ মে) রাতে হওয়া এসি মিলান ও ক্যাগলিয়ারির মধ্যকার সিরি আ’র ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়রা তাদের জার্সিতে নিজেদের নামের বদলে মায়ের নাম সংবলিত জার্সি পড়ে নেমেছিল। মিলানের ৫-১ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচে রাফায়েল লিয়াও এবং অলিভিয়ার জিরুডের শার্টের পিছনে যথাক্রমে লিয়াও এর মায়ের নাম ‘কনসিকাও’ এবং জিরুডের মায়ের নাম ‘ভিভিয়েন’ লেখা থাকে। তবে ইতালিতে কিন্তু এটি শুধু মা দিবসের জন্য নয়, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকেই ইতালিতে মায়েদের সম্মান দিতে নতুন সাংবাধিনক আইন পরিবর্তনের বার্ষিকীও এটি। ২০২২ সালের যুগান্তকরী এই আইন পাশের পর থেকে একটি শিশুকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরকারী কাগজপত্রে পিতার উপাধি দেওয়া অসাংবিধানিক বলে বিবেচিত হবে। এ কারণে উভয় পিতামাতাকে বর্তমানে জন্মের সময় সন্তানের উপাধিত কী হবে তাতে সম্মত হতে হবে। এদিকে এই আয়োজনের প্রধান উদ্যোক্তা মিলানের সিইও জর্জিও ফুর্লানি বলেন, আমরা এই উদ্যোগের জন্য খুশি এবং গর্বিত, মা দিবসের মতো বিশেষ উপলক্ষে নিজের সন্তানদের পদবি বেছে নেওয়ার সমান অধিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে আমাদের এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ। এ ছাড়াও সিরি আ এবং আমাদের লিগের অন্যান্য বেশ কয়েকটি ক্লাবের অংশগ্রহণের এটিকে যে উৎসাহের সঙ্গে স্বাগত জানানো হয়েছে তাতে আমরা সমানভাবে সন্তুষ্ট। এটি আমাদের মহান এই ক্লাবের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ একটি অপারেশন, যা একটি সাধারণ এবং ভাগ করা সাংস্কৃতিক পরিবর্তনে অবদান রাখতে সর্বদা ইতিবাচক মূল্যবোধ যেমন সামাজিক এবং লিঙ্গ সমতার প্রচার করছে। তবে অনান্য সিরি আ ক্লাবগুলোও এই প্রকল্পের অংশ হওয়ার আশা করেছিল। তবে স্কাই স্পোর্ট ইতালিয়ার মতে, সিরি আ দেরিতে ঘোষণা দেওয়ায় সংগঠিত করার মতো সময় ছিল না তাদের। কেউ কেউ ইতোমধ্যে কনসিকাও জার্সিতে লিওর কৌতূহলী দৃষ্টিভঙ্গি নির্দেশ করেছেন যখন মিলান তাদের নতুন কোচ হিসেবে সার্জিও কনসিকাওকে সুরক্ষিত করার চেষ্টা করছে।
১২ মে, ২০২৪

এই গরমে এসি ছাড়া ঘর শীতল রাখবেন যেভাবে
আগুনে রৌদ। তীব্র গরম। ওষ্ঠাগত প্রাণ। এর মাঝেও যেতে হচ্ছে বাহিরে। এ অবস্থায় ঘরে ফিরেও স্বস্তি মিলছে না। যাদের ঘরে এসি আছে তারা গরম থেকে কিছুটা রেহাই পেলেও গরমে পুড়ছে অন্যরা।  তবে ভাবনার কিছু নেই এসি ছাড়াও ঠান্ডা করা যায় ঘর। এই গরমে ঘরের তাপমাত্রা কম রাখার জন্য আপনার বাড়িতে লাগাতে পারেন এই গাছগুলো, যা আপনার ঘরকে এসি ছাড়াই শীতল রাখবে। ঘর শীতল করবে যে গাছগুলো- ইংলিশ আইভি : গবেষকদের মতে, এই গাছ মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘরের বাতাসের প্রায় ৬০ শতাংশ টক্সিন এবং ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত দুর্গন্ধ শুষে নিতে পারে। ঘরের শোভা বাড়াতেও কাজ করে এটি। তাই ঘর ঠান্ডা ও দূষণমুক্ত রাখতে ঘরে রাখতে পারেন এই গাছ। স্নেক প্ল্যান্ট : অ্যালো ভেরার মতো এই গাছের পাতাও জলীয় উপাদানে সমৃদ্ধ। তাই জানলার কাছে রেখে দিলে তা উত্তাপ শোষণ করে নেবে, ঘরের হাওয়াকে করে তুলবে শীতল। এটিতেও অতিরিক্ত জলসেচনের দরকার হয়। এরিকা পাম : বাড়িতে জায়গার অভাব না থাকলে বসার ঘরে রাখতেই পারেন এরিকা পাম। এটি তাল গাছের তুতো ভাই। এরিকা পাম এক দিকে ঘর ঠান্ডা রাখে, আবার দেখতেও ভাল লাগে। শুধু বাড়ি নয়, এই গাছটি হোটেল, অফিস এবং অন্যান্য উন্মুক্ত স্থানে সাজাতেও ব্যবহৃত হয় এই গাছ। ঘৃতকুমারী : অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী অতি পরিচিত একটি উদ্ভিদ। বাড়ির ভিতরের তাপ ও অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে অ্যালভেরার গুণাগুণ বহু। মূলত বাংলার বুকে এই গাছ ঘৃতকুমারী নামে পরিচিত। এই গাছের পাতায় রয়েছে বহু ধরনের প্রতিকার। রবার প্লান্ট : এই গাছের পাতা এমনিতেই বড় হয়। পাশাপাশি যদি সব চেয়ে বড় পাতার শ্রেণি দেখে গাছটি কেনা হয়, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি তা ঘর ঠান্ডা রাখবে। এতে মাঝে মাঝেই একটু পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

গরমে মাথায় এসি লাগিয়ে ঘুরবে ট্রাফিক পুলিশ!
তীব্র গরমে জীবন ওষ্ঠাগত প্রায়। রেকর্ড গড়তে চলেছে তাপমাত্রা। এমন পরিস্থিতি পুলিশের জন্য উদ্ভাবন করা হয়েছে বিশেষ হেলমেট। যা মাথায় মিলবে এসির হাওয়া। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম) ভাদোদরার এক ছাত্র নতুন এ হেলমেট উদ্ভাবন করেছেন। এটি মাথায় দিলেই পাওয়া যাবে এসির হাওয়া। ফলে বাইরের গরম আর উপলব্ধি হবে না।  ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে তীব্র তাপদাহ বয়ে যেতে পারে। এ সময়ে প্রাক মৌসুমি বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। এমন পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের অফিস বা বাসাবাড়িতে এসির নিচে থাকলেও ট্রাফিক পুলিশের সেই সুযোগ নেই। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নতুন হেলমেট বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আইআইএম ভাদোদরার এক ছাত্র। এরফলে রোদে পুড়ে তাদের দায়িত্ব পালন কিছুটা হলেও সহজ হবে।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গুজরাটের ভাদোদারা ট্রাফিক বিভাগের ৪৫০ পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এ হেলমেট বিতরণ করা হয়েছে। তীব্র গরমে এটি মাথায় পরে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন তারা। ট্রাফিক পুলিশের জন্যই বানানো হয়েছে হেলমেটটি। যা তাদের তীব্র গরমের অসুস্থতা থেকে রেহাই দেবে। ইতোমধ্যে এ হেলমেটের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।  VIDEO | To help beat the scorching heat, Vadodara Traffic Police has provided AC helmets to its personnel. The AC helmet was developed by students of IIM Vadodara. Here's what police said about the new helmet. "These have been given to personnel deployed during daytime on roads. pic.twitter.com/47ftfwbUxt — Press Trust of India (@PTI_News) April 15, 2024 পুলিশের জন্য বিশেষভাবে তৈরি এ হেলমেট বিশেষ ব্যাটারির মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এটি শরীরে তাপমাত্র বজায় রাখতে সাহায্য করবে।  ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, ভাদোদরায় ট্রাফিক পুলিশেল একজন অফিসার সাইনবোর্ড হাতে রোদের মধ্যে দায়িত্বপালন করছেন। তার থাকা বোর্ডে লেখা রয়েছে, নো সিট বেল্ট, নো ট্রিপ। দায়িত্ব পালনের সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তার মাথায় রয়েছে এসি হেলমেট।   
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

গরমে গরিবের এসি যেন মাটির ঘর
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর। শীত-গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই মাটির ঘর আরামদায়ক বাসস্থান। দেশে চলছে গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ আর গরমে অতিষ্ঠ দেশের মানুষ। এ তীব্র গরমে মাটির ঘর যেন গরিব মানুষদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তীব্র গরমেও মাটির ঘরের ভেতরে বিরাজ করে ঠান্ডা। তাই গরিব মানুষের জন্য এসব মাটির ঘর যেন এসি। একটা সময় দেশের প্রতিটি গ্রামে গ্রামেই মাটির ঘর পাওয়া যেত। আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশের মতো কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থেকেও হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার চির ঐতিহ্যের নিদর্শন সবুজ শ্যামল ছায়াঘেরা শান্তির নীড় মাটির ঘর। যা এক সময় ছিল গ্রামের মানুষের কাছে মাটির ঘর বা গরিবের এসি বাড়ি নামে পরিচিত।  মাটির ঘরের কদর কমিয়ে দিয়েছে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ও বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এসব মাটির ঘর ঠান্ডা থাকায় এক সময় এটাকে গরিবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরও বলা হতো। এ ঘর গরমের সময় আরামদায়ক। তাই অনেক গ্রামেই বিত্তশালীদের দোতলা মাটির ঘরও ছিল।  এ উপজেলার অনেক গ্রামে এখনো রয়েছে মাটির ঘর। উপজেলার সিদলা, ধূলজুরী, পুমদিসহ কয়েকটি অঞ্চল ঘুরে চোখে পড়েছে কয়েকটি মাটির ঘর। ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি তীব্র গরম ও কনকনে শীতে আদর্শ বসবাস-উপযোগী মাটির ঘর। এসব ঘর শুধু মাটির বাড়িই নয়, ছিল ধান-চাল রাখার জন্য মাটির তৈরি গোলা ঘর ও কুঠি। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় একসময় প্রায় প্রতিটি ঘর ছিল মাটির তৈরি। কিন্তু আধুনিকতার স্পর্শে এখন মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। গ্রামীণ অর্থনীতির গতি সচল হওয়ায় মাটির ঘরের পরিবর্তে তৈরি হচ্ছে পাকা ঘর। কয়েক বছর পর পর মাটির ঘর সংস্কারের ঝক্কি-ঝামেলা ও ব্যয়বহুল দিক পর্যবেক্ষণ করে মাটির ঘরের পরিবর্তে দালান-কোটা বানাতে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন এখানকার মানুষ। উপজেলার ঢেকিয়া গ্রামের জসিম উদ্দিন জানান, মাটির ঘর তৈরি করতে প্রথমে এটেল বা আঠালো মাটি কাদায় পরিণত করে দুই-তিন ফুট চওড়া করে দেয়াল তৈরি করা হতো। ১০ থেকে ১৫ ফুট উঁচু দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের সিলিং তৈরি করে তার ওপর খড় অথবা টিনের ছাউনি দেওয়া হতো। এসব মাটির ঘর তৈরি করতে কারিগরদের সময় লাগত দেড় থেকে দুই মাস। এক সময় আমাদের এলাকার প্রতিটা ঘর মাটি দিয়ে তৈরি করা হতো। অনেকেই মাটি, বাঁশ, টিন সংগ্রহ করে নিজেরাই মাটির ঘর তৈরি করত। তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে একটি মাটির বাড়ি শত বছরেও বেশি স্থায়ী হয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে কালের বিবর্তনে ইটের দালানকোটা আর বড় বড় অট্টালিকার কাছে হার মানছে মাটির বাড়িঘর। মাটির ঘরে দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের শিলিং তৈরি করে তার ওপর খর বা টিনের ছাউনি দেওয়া হতো। মাটির বাড়িঘর অনেক সময় দোতলা পর্যন্ত করা হতো। মাটির ঘর বড় মাপের হয় না। গৃহিণীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রকমের আল্পনা এঁকে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বর্ষা মৌসুমে মাটির বাড়িঘরের ক্ষতি হয় বলে বর্তমান সময়ে দীর্ঘ স্থায়িত্বের কারণে গ্রামের মানুষ ইটের বাড়ি নির্মাণের আগ্রহী হচ্ছেন। উপজেলার ধূলজুরী গ্রামের গৃহিণী জেসমিন বেগমের বাড়িতে মাটির ঘর আছে। তিনি জানান, অর্থ সংকটে আজও তার টিনের ঘর তৈরি করা হয়নি। স্বামীর তৈরি করা মাটির ঘরটিতেই সন্তান স্বামী নিয়ে বসবাস করছেন তিনি। তাদের পূর্বপুরুষরাও এই মাটির তৈরি বাড়িতেই জীবন কাটিয়ে গেছেন।  হোসেনপুর আদর্শ মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আশরাফ হোসেন সোহাগ জানান, মাটির বাড়ি বসবাসের জন্য আরামদায়ক হলেও যুগের পরিবর্তনে আধুনিকতার সময় অধিকাংশ মানুষ মাটির বাড়ি ভেঙে অধিক নিরাপত্তা ও স্বল্প জায়গায় দীর্ঘস্থায়ীভাবে অনেক লোকের নিবাসকল্পে গ্রামের মানুষরা ইটের বাড়িঘর তৈরি করেছেন। অনেকেই শখ করে আবার অনেকেই বাড়ি করার অর্থবিত্ত না থাকায় মাটির বাড়িতেই বসবাস করছেন।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

গাজীপুর ওয়ালটন এসি কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন স্যানিটারি ব্যবসায়ী
ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ওয়ালটনের এসি কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়ে মিলিয়নিয়ার হলেন গাজীপুরের স্যানিটারি ব্যবসায়ী মো. আব্দুল আলী। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি বাজারে ওয়ালটন প্লাজার সামনে আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং  চলচ্চিত্র সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। নগদ পুরস্কার হাতে পেয়ে আলীর সঙ্গে উৎফুল্ল তার পরিবার ও এলাকাবাসী। গাজীপুরের অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ শ্রীপুর থানার সভাপতি মো. কমরুদ্দীন, ওয়ালটন প্লাজার চিফ ডিভিশনাল অফিসার শাহাদৎ হোসেন, ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার সালেহ আহমেদ, ওয়ালটন এসির ব্র্যান্ড ম্যানেজার খলিলুর রহমান, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার আজিজুর রহমান এবং ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম। চিত্রনায়ক মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, ওয়ালটন আমাদের দেশের পণ্য। সবাই নিকটস্থ ওয়ালটন প্লাজায় আসুন এবং নগদ ও কিস্তিতে সুবিধামতো পণ্য কিনুন। তাদের ফ্রিজ, টিভি, এসি, মোবাইল সবই গুণগত মান ভালো। আমি ওয়ালটনের সঙ্গে আছি, আপনারাও থাকুন। ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, ওয়ালটন মুখে যা বলে তাই করে। অনেকেই বলে দিবে কিন্তু দেয় না। তবে ওয়ালটন দিয়ে দেয়। এখন পর্যন্ত ৩৪ জন পেয়েছে, আরও কতজন পাবে তার ঠিক নেই। আমরা কেন এই পুরস্কার দিচ্ছি, এর কারণ হচ্ছে ওয়ালটন দেশের পণ্য, তাই আমাদের পুরস্কারও আমাদের দেশের মানুষ পায়। আপনারা নিজেদের দেশের পণ্য কিনুন, কেননা এতে আমাদের টাকা আমাদের ঘরে থাকবে। জানা গেছে, দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় 'সেরা পণ্যে সেরা অফার' স্লোগানে ক্রেতাদের 'ননস্টপ মিলিয়নিয়ার' হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। সিজন-২০ চলাকালীন দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম 'ই-প্লাজা' থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে আবারও মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। এ ছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। ক্যাম্পেইনের আওতায় মো. আ. আলী চলতি মাসের ২১ তারিখে কিস্তিতে শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি বাজারের ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৭৬ হাজার ৯৯০ টাকার দেড় টনের একটি এসি কেনেন। এসি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বর দিয়ে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার ম্যাসেজ যায়। এই নিয়ে ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারা দেশে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন এখন পর্যন্ত ৩৪ জন গ্রাহক।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য হ্যাটট্রিক পুরস্কার পেলেন এসি পরশুরাম জোন
পর পর তিন মাস (জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ) কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য হ্যাটট্রিক পুরস্কার পেলেন পরশুরাম জোন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার আল ইমরান হোসেন। তার এই অর্জনে সহকর্মীসহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) মার্চ মাসে অজ্ঞানপার্টি কর্তৃক হত্যা মামলা উদঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তারের স্বীকৃতি স্বরূপ রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ রংপুরের কমিশনার মনিরুজ্জামানের হাত থেকে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, এর আগে গত জানুয়ারি মাসে তিনি অটোরিকশা ছিনতাই ও মার্ডার মামলা এবং ফেব্রুয়ারিতে মোটরসাইকেল চোর চক্র শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্যও সার্টিফিকেট ও পুরস্কার গ্রহণ করেন। তিনি রংপুর মেট্রোপলিটন পরশুরাম জোনে ২০২৩ সালের ১০ আগস্ট সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

গরমের তীব্রতা / ফ্যান এসি ও এয়ারকুলার বিক্রির হিড়িক
তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত সারা দেশের জনজীবন। গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে রাজধানীবাসীর। এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীর ইলেকট্রনিক পণ্যের মার্কেট, দোকান ও শোরুমগুলোয় এসি, ফ্যান ও এয়ারকুলার বিক্রি বেড়েছে। ঈদের পর থেকে তাপমাত্রার পারদ বেড়েই চলেছে। কোনো কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। প্রথম দফায় দেশব্যাপী তিন দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কিন্তু তাপমাত্রা না কমায় ফের তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এমন গরম থেকে রেহাই পেতে এয়ারকন্ডিশনার এখন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও কিছুদিন আগেও ক্রেতাহীন দেখা গেছে এসি-এয়ারকুলার ও ফ্যানের দোকানগুলো। আর এখন তারা ক্রেতা সামাল দিতে খাচ্ছে হিমশিম। যাদের এসি কেনার সামর্থ্য নেই; তারা কিনছেন এয়ারকুলার বা ভালো মানের ফ্যান। তবে গরমের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে এসি, এয়ারকুলার ও ফ্যানের দাম তিনগুণ বেড়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। গতকাল সোমবার রাজধানীর গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটের পাইকারি ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান, নবাবপুর রোডের পাইকারি ইলেকট্রনিক্স দোকান, বায়তুল মোকারম মার্কেটের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকানসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুমগুলোয় ক্রেতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বেশিরভাগ ক্রেতাই সিলিং ফ্যান-স্ট্যান্ড ফ্যান ও এয়ারকুলার কিনছিলেন। বিক্রেতারা বলছেন, গরম বাড়ায় ফ্যান ও এসির চাহিদা বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় জোগানেও টান পড়েছে। ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলো চাহিদা অনুযায়ী স্থানীয় দোকানগুলোয় ফ্যান দিচ্ছে না। এজন্য তাদের নন ব্র্যান্ড ও বিদেশি ফ্যান বিক্রি করতে হচ্ছে। গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে আবেদ ইলেকট্রনিক নামের একটি দোকানে স্ট্যান্ড ফ্যান দরদাম করছিলেন কলেজশিক্ষার্থী রনি মিয়া। তিনি বলেন, ছোট নন-ব্র্যান্ডের টাইফুন ফ্যানগুলোর দাম চাইছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা। অথচ গত মাসেও এগুলোর দাম ছিল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। নবাবপুর রোডের টিইএস ট্রেড থেকে পাঁচটি ফ্যান কিনলেন নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ইলেকট্রনিক পণ্যের খুচরা দোকানদার কামাল। তিনি বলেন, দাম এখন অনেক বেশি। ১২ ইঞ্চি ফ্যান কোথাও চাইছে ৭ হাজার ৫০০ টাকা, কোথাও ৭ হাজার টাকা। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট স্ট্যান্ড (৯-১০ ইঞ্চি) বা টাইফুন ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ১৬০০ টাকা। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্ট্যান্ড ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ৮ হাজার টাকায়। এ ছাড়া দেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান ১৭০০ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা, বিদেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায়। একই ফ্যানের ভিন্ন ভিন্ন দাম প্রসঙ্গে বিক্রেতা সাজিদ হোসেন বলেন, কেউ আগের বছরের অবিক্রীত ফ্যান বিক্রি করছেন তারা কিছুটা কমে দিতে পেরেছেন। গরম বাড়লে ফ্যানের দাম আরও বাড়বে। মামুন ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী মামুন হোসেন বলেন, আমাদের ফ্যান বিক্রি হয় গরম বাড়লে। এখন সিলিং ফ্যানের চাহিদা বেশি। যেহেতু বিদ্যুতের কোনো সমস্যা নেই, তাই রিচার্জাবল ফ্যানের চাহিদা কম। তবে বিক্রি ভালোই হচ্ছে। গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম মার্কেটের ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান ও শোরুমগুলোয় বেড়েছে এসি-এয়ারকুলার বিক্রি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার ব্র্যান্ডের এসি ও এয়ারকুলারের দাম বেশি বলে মনে করেছেন ক্রেতারা। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, নানা অফার ও ইএমআইতে সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যাচ্ছে এসব পণ্য। আবুল হাসান নামে এক ক্রেতা বলেন, আসলে আমার মতো মধ্যবিত্তদের তো এসি কেনার সামর্থ্য নেই। তাই এখানে এসেছি, যদি কম টাকায় একটা ভালো এয়ারকুলার কেনা যায়। ইকোপ্লাসের শোরুম থেকে ইনভার্টার এক টনের এসি কিনছিলেন সরকারি কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে গরম তীব্র হয়েছে। বাসার পুরোনো এসিটাও বেশ সমস্যা করছে। তাই নতুন এসি কিনলাম। তবে দাম বেশি। কিন্তু অফার ও ইএমআইতে পাওয়ায় কিনতে পারলাম। লক্ষ্মীবাজারে পি আর এস ইলেকট্রনিকের পরিচালক জয় সাহা বলেন, আমরা কয়েকটি ব্র্যান্ডের এসি ও এয়ারকুলার বিক্রি করি। তবে গত কয়েক মাস এসি ও এয়ারকুলার একদম বিক্রি হয়নি। কিন্তু গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বিক্রি বেড়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই ৮ থেকে ৯টি এসি ও ১১ থেকে ১২টি এয়ারকুলার বিক্রি করেছি। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুমগুলো ঘুরে জানা যায়, ইনভার্টার এক টনের এসি ৪৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। দেড় টনের এসি ৬৫ হাজার থেকে ৮৩ হাজার টাকা, এবং দুই টনের এসি ৭৮ হাজার থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২০ লিটারের এয়ারকুলার ১১ হাজার ৫০০ থেকে ১৭ হাজার টাকা, ৬০ লিটারের এয়ারকুলার ২০ হাজার ৫০০ থেকে ৩৩ হাজার ৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

এসি চালানোর সঠিক নিয়ম
দিন দিন বাড়ছে তাপমাত্রা। গরম থেকে রেহাই পেতে অনেকেই ভরসা রাখছেন এসির ওপর। ঘর দ্রুত ঠান্ডা করতে এসির বিকল্প নেই। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ এ যন্ত্রটি চালানোর সঠিক নিয়ম অনেকেরই জানা নেই। ফলে একদিকে যেমন বাড়ছে বিদ্যুৎ বিল, অন্যদিকে রুম ঠান্ডা হতে সময় লাগছে বেশি। চলুন জেনে নিই এসি চালানোর সঠিক নিয়ম। দরজা-জানালা খুলে রাখুন ঘরের তাপমাত্রা যত বেশি হবে কুলার বা এ ধরনের যন্ত্র ঘর ঠান্ডা করতে তত বেশি সময় নেবে। সে ক্ষেত্রে বেশি সময় ধরে এসি চালানোর প্রয়োজন পড়ে। বিলও বাড়তে থাকে চড়চড় করে। ঘরে মোটা পর্দা লাগালে বাইরের গরম হাওয়া ও আলো কম আসবে। ফলে ঘরও তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০ মিনিট ধরে ঘরের জানালা-দরজা খুলে, পাখা চালিয়ে রাখুন। পরে যখন দরজা-জানালা বন্ধ করে আবার এসি চালাবেন, তখন ঘরটি ঠান্ডা করতে আপনার এসি মাত্র আধঘণ্টা বা তারও কম সময় নেবে। এসিতে টাইমার লাগিয়ে রাখুন রাতে এ যন্ত্রটি চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে ঘর ঠান্ডা হয়ে যায়। তারপর আর দরকার হয় না। কিন্তু গভীর ঘুমে তা নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ করা হয় না। ফলে সারা রাত এসি চলতে থাকে। সেজন্য টাইমার দিয়ে রাখলে ভালো। দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার টাইমার লাগিয়ে রাখলে নির্দিষ্ট সময়ের পর তা নিজেই বন্ধ হয়ে যাবে। বিদ্যুৎ ও অর্থ—দুই-ই সাশ্রয় হবে। ইনভার্টার এসি ব্যবহার এসি কেনার আগে প্রতিটি ব্র্যান্ডে নতুন কী ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিলে ভালো ব্র্যান্ড বাছাই করা যাবে সহজেই। বিদ্যুৎ খরচে সাশ্রয় হবে। সে ক্ষেত্রে ইনভার্টার কিনুন। ইনভার্টার এসির ব্যবহারে বিল কম আসে। ইনভার্টার এসির বড় সুবিধা হচ্ছে ইনভার্টার এসির কম্প্রেসার মোটরটি প্রয়োজনমতো নিজস্ব চলার গতি পরিবর্তন করতে পারে। ইনভার্টার এসিতে এমন একটি সেন্সর থাকে, যা ঘরের তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে কম্প্রেসার পুরোপুরি বন্ধ না করে, মোটরটির চলার গতি কমিয়ে দেয়। এর কারণেই বিদ্যুৎ খরচ কমে আসে, যা পরিবেশবান্ধব। পিক আওয়ারে (বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা) বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে অফ-পিক আওয়ারে যে কোনো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার বিল কমানোর একটি কার্যকর কৌশল। সঠিক তাপমাত্রা সেট এসি অন করে তার তাপমাত্রা অন্তত ২০ মিনিটের জন্য ১৬ ডিগ্রিতে কুইক কুল মোডে রাখুন এবং তারপর সেটিকে ২৪ ডিগ্রিতে সেট করুন। এমনটা করলেও ইলেকট্রিক বিল কম আসবে। ব্যুরো অব এনার্জি এফিশিয়েন্সির একটি গবেষণা অনুযায়ী, এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রিতে রাখা সব থেকে ভালো। কারণ এ তাপমাত্রা মানব শরীরের জন্য স্বস্তিদায়ক। শুধু তাই নয়, রিসার্চে আরও বলা হচ্ছে, এসির তাপমাত্রা যত বাড়ানো হয়, প্রতি ডিগ্রিতে ৬ শতাংশ করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। তাই আপনার এসি ১৮ ডিগ্রির পরিবর্তে ২৪ ডিগ্রিতে চালিয়ে রাখলে ইলেকট্রিক বিল অনেকটাই বাঁচাতে পারবেন। ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ ঘরে টিভি, ফ্রিজ ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস থাকলে তা থেকে তাপ নির্গত হয়। রাতে এসি চালানোর আগে এ ধরনের ডিভাইস বন্ধ করে রাখলে কম বিদ্যুৎ খরচ হবে। এসি সার্ভিসিং এমন কোনো নিয়ম নেই যে, এয়ার কন্ডিশনার আপনাকে বছরে একবারই সার্ভিসিং করতে হবে। আপনি যদি এমন কোনো এলাকায় বসবাস করেন, যেখানে ধুলোবালি থেকে সৃষ্ট নোংরার পরিমাণ একটু বেশি, সেরকম জায়গায় দুই থেকে তিন মাস অন্তর এসি সার্ভিসিং করানো অত্যন্ত জরুরি। এমনটা করতে পারলে আপনার এসি যেমন ঠান্ডাও ভালো হবে, তেমনই আবার ইলেকট্রিক বিলও একটু সাশ্রয় করতে পারবেন। এসি খুব বেশি পুরোনো হয়ে গেলে তা চালানো ঠিক নয়। কারণ পুরোনো এসিগুলো নতুনের মতো খুব বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয় না।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

সাভারে কাপড়ের দোকানে এসি বিস্ফোরণ
সাভারে একটি কাপড়ের দোকানে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্য দগ্ধ দুজনকে সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে সাভারের গেন্ডা এলাকার আদ্রিতা ফেব্রিক্স অ্যান্ড টেইলার্স নামের একটি দোকানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- দোকানের মালিক ইউসুফ ও নাহিদ বাকিদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে ইউসুফ ও নাহিদ এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে সাভার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মেহেরুর ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে একটি ইউনিট যায়। তবে ইউনিট পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ বলেন, এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় হাসপাতালে দুজন এসেছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে। তাদের শরীরের কত শতাংশ পুড়ে গেছে তা পরে জানানো হবে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

ওয়ালটন এসি কিনে লাখ টাকা ক্যাশ ভাউচার পেলেন ইয়াসীন
ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ সারা দেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ক্যাম্পেইনের আওতায় ঈদে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যান কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন ‘নন-স্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুযোগ। এ ছাড়া রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। এরই ধারাবাহিকতায় চলমান সিজন-২০ এর আওতায় ওয়ালটনের এসি কিনে ১ লাখ টাকা ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন রাজধানী উত্তরার বাসিন্দা ডা. ইয়াসীন আলী। শনিবার (৭ এপ্রিল) ডা. ইয়াসীন আলীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে টাকার ক্যাশ ভাউচার তুলে দেন ওয়ালটনের কর্মকর্তারা।  উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন এসির ব্র্যান্ড ম্যানেজার খলিলুর রহমান, ওয়ালটনের ডেপুটি ডিরেক্টর অপূর্ব সরকার, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার নজরুল ইসলাম এবং নিকুঞ্জ ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার সুমন মোল্লা প্রমুখ। সিজন-২০ এ ইয়াসিন ছাড়াও কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরার তাজুল ইসলাম মিশু এবং হবিগঞ্জের নোয়াবাদের বাসিন্দা মোস্তফা আহমেদ ওয়ালটনের এসি কিনে ২০ হাজার টাকা করে ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতেও ক্যাশ ভাউচার তুলে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ডা. ইয়াসিন আলী বাসায় ব্যবহারের জন্য ৬ এপ্রিল (শনিবার) রাজধানীর নিকুঞ্জ ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৮ হাজার ৯৯০ টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ৫৬ হাজার ৯৯০ টাকা মূল্যের এক টনের একটি এসি কেনেন। এসি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার একটি ম্যাসেজ আসে। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ডা. ইয়াসীন আলী বলেন, যেকোনো পণ্য কেনায় সবসময় দেশিয় প্রতিষ্ঠানকে প্রাধান্য দেই। বিদেশি পণ্যের বদলে দেশি ভালোমানের পণ্য কেনার পরিকল্পনা করি। ওয়ালটনের এসি যেমন দামে সাশ্রয়ী, তেমনি টেকসই এবং সার্ভিসও পাওয়া যায় দ্রুত। তিনি বলেন, ওয়ালটন এসিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় সবচেয়ে বেশি। তাই এই ব্র্যান্ডের এসি কিনেছি। কিন্তু এসি কিনে এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাব সেটা ভাবিনি। ওয়ালটন থেকে পাওয়া উপহারের ক্যাশ ভাউচার দিয়ে ১ দশমিক ৫ টনের আরেকটি এসি এবং অন্যান্য আরও কিছু পণ্য নেব। ক্রেতাদের নানান সুবিধা দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।  ওয়ালটন এসির ব্র্যান্ড ম্যানেজার খলিলুর রহমান বলেন, সারা বছরই এসির পক্ষ থেকে গ্রাহকদের নানা ধরণের সুবিধা দিয়ে আসছে ওয়ালটন। চলমান সিজনে মিলিয়নিয়ারসহ কোটি কোটি টাকার উপহার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ওয়ালটন এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্টের পাশাপাশি ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে আছে ১০ বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি সুবিধা। এখন ওয়ালটন এসির এক্সচেঞ্জ অফারে যেকোনো ব্র্যান্ডের নতুন কিংবা পুরাতন এসির বদলে নতুন ওয়ালটন স্পিড এসি ২৩ হাজার টাকা এবং কমার্শিয়াল এসি ৪২ হাজার ৪৮০ টাকা পর্যন্ত ছাড়ে কিনতে পারছেন গ্রাহকরা। আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে ৮০টির অধিক সার্ভিস সেন্টারের পাশাপাশি প্রায় তিন হাজার সার্ভিস এক্সপার্টদের মাধ্যমে দেশব্যাপী এসির গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন। তাদের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানরা প্রতি ১০০ দিন পর পর এসি ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিস দেন।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪
X