ধান ক্ষেতে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বোডিংয়ের অংশের ধান কাটতে গিয়ে ইউনুস আলী (৬০) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করার অীভিযোগ উঠেছে।   শনিবার (১৮ মে) সকালে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের খোদ্দর্বনগ্রামে নিহতের মালিকানাধীন বোডিংয়ের ধান কাটতে গেলে মাঠের মধ্যেই নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাকে।  এ সময় গুরুতর যখম হন আরও চারজন। আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত ইউনুস আলী খোদ্দর্বন এলাকার মৃত আকবর আলীর ছেলে এবং হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিলাইদহ ইউনিয়নের মাজগ্রামের হাসেন আলীর ছেলে মুক্তার হোসেনের সম্বন্ধী। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর পূর্বে ছেলে-মেয়ে উভয়ের সম্পর্কের জেরে মুক্তার শেখের মেয়ে জুঁইয়ের সঙ্গে ইউনুস আলীর ছেলে হোসেনের পারিবারিকভাবে মৌখিক বিয়ে দেওয়া হয়। বনি-বনা না হওয়ায় বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় উভয় পক্ষের সমঝোতায় কনে পক্ষকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রদান সাপেক্ষে বিষয়টির নিষ্পত্তি করা হয়। পরবর্তীতে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে একাধিক দিন ধার্য করেও ছেলেপক্ষ কনে পক্ষকে মিটমাটের ধার্যকৃত টাকা না দিলে বাড়তে থাকে অন্ত কলহ। উল্লেখ্য, ঘটনার কয়েকদিন পূর্বেও ধান কাটতে গিয়ে একইভাবে বাধার সম্মুখীন হন ইউনুস আলী। সহিংসতা ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি আঁচ করে গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কুমারখালী থানায় একটি অভিযোগ ও দায়ের করেন তিনি। মুক্তার হোসেনকে প্রধান আসামি করে তিনজনের নাম উল্লেখ পূর্বক ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে অভিযোগ দেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তাতেও। অভিযোগ প্রদানের একদিনের মাথায় সকালে মুক্তার হোসেনের হাতেই খুন হন তিনি। এ বিষয়ে নিহত ব্যক্তির ছেলে হোসেন আলী জানান, সকালে পানি সেচের ভাগের ধান কাটতে গেলে তার মামা মুক্তারসহ ২০-২৫ জন দেশীয় অস্ত্র কাঁচি, রামদা, হাসুয়া নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় তার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনিসহ অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ক্ষয়-ক্ষতির ভয়ে মালামাল নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। সহিংসতা এড়াতে এলাকায় মোতায়ন রয়েছে পর্যাপ্ত পুলিশ। কুমারখালী সদর হাসপাতালের আর এম ও ডা. সাইদ সাকিব বলেন, সকালে শিলাইদাহ ইউনিয়নের খোদ্দর্বন গ্রাম থেকে কয়েক জন মারামারির রোগী এসেছিল। এদের মধ্যে ইউনুস আলীর হাসপাতালের আসার পূর্বে মারা গেছে। সেই সঙ্গে দুইজন কুমারখালীতে চিকিৎসাধীন আছে এবং একজনের অবস্থা আংশকাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে একজন নিহত হয়েছে। অপরাধীধের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তিনাথ জানান, দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। সকালে ইউনুস আলী ধান কাটতে গেলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে মুক্তার হোসেনের লোকজন। এঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
১৯ মে, ২০২৪

ধানক্ষেতে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করল বোন জামাই
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ইউনুস আলী নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার বোন জামাই মুক্তার শেখ ও তার লোকজন। এ সময় আহত হয়েছেন নিহতের ছেলেসহ চারজন। শনিবার (১৮ মে) সকালে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের খোদ্দবন গ্রামে মাঠে ধান কাটতে গেলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত ইউনুস আলী শিলাইদাহ ইউনিয়নের খোদ্দবন এলাকার বাসিন্দা। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ক্ষয়ক্ষতি ও হত্যাচেষ্টার কথা জানিয়ে কুমারখালী থানায় একটি অভিযোগ করেছিলেন ইউনুস আলী। মুক্তার শেখকে প্রধান করে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১২ জনকে আসামি করে অভিযোগ দেন তিনি। এ ঘটনার একদিন পরেই মুক্তার শেখের হাতেই খুন হন ইউনুস আলী। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন আগে মুক্তার শেখের মেয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ইউনুস আলীর ছেলের। এ সম্পর্কে মুক্তার শেখ ও ইউনুস আলী দুজনে বেয়াই। বিয়ের পর থেকে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সকালে ইউনুস আলী বেশ কয়েকজন শ্রমিককে নিয়ে মাঠে ধান কাটতে গেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করে মুক্তার শেখ। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।  কুমারখালী সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. সাইদ সাকিব বলেন, শনিবার সকালে শিলাইদাহ ইউনিয়নের খোদ্দবন গ্রাম থেকে কয়েকজন মারামারির রোগী এসেছিল। তার মধ্যে ইউনুস আলী হাসপাতালের আসার আগেই মারা গেছেন। আহত দুজন কুমারখালীতে চিকিৎসাধীন আছে এবং একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সকালে ইউনুস আলী ধান কাটতে গেলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে মুক্তার হোসেনের লোকজন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
১৮ মে, ২০২৪

গভীর রাতে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা
কুমিল্লা সদরে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে জনু মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১১ মে) গভীর রাতে নগরীর সংরাইশ এলাকার গোমতী নদীর বাঁধে এ ঘটনা ঘটে।  কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, নগরীর সংরাইশ এলাকার বাসিন্দা জনু মিয়া রাতে বাসায় ফিরে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত ৩টার দিকে কয়েকজন লোক এসে দরজার কড়া নাড়ে। এ সময় তার সঙ্গে কথা আছে বলে ঘর থেকে ডেকে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় আহত হন একজন। দীর্ঘক্ষণ জনু মিয়া ঘরে না ফেরায় পরিবারের লোকজন বের হয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় তার রক্তাক্ত মরদেহ পায়। ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে নিহত জনু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তদন্তসাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
১২ মে, ২০২৪

মোবাইলে গোপন ছবি, ডিলিট না করায় ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ কোম্পানির ছেলে ছাত্রলীগ নেতা রাকিব সাহরিয়ার মুরাদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (৬ মে) বিকেলে উপজেলার শামলাপুর বাজারে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত রাকিব সাহরিয়ার টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে। তিনি বাহারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত মুরাদের স্বজনরা জানান, আদিল ও রফিকের সঙ্গে কয়েকদিন আগে মুরাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে আজ বিকেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুরাদ ও তার ভাই মামুনকে শামলাপুর বাজারে কোপানো হয়। আহত অবস্থায় মুরাদ ও মামুনকে শামলাপুর বাজার থেকে নিয়ে আসেন তাদের এক প্রতিবেশি। গাড়িতে মুরাদের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মুরাদকে মৃত ঘোষণা করে। তার ভাই মামুন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। বাহারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জিয়া উদ্দিন বলেন, নিহত মুরাদ বাহারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আছেন।  টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, মুরাদ ও রফিকুল দুই বন্ধু ছবি আদান-প্রদানকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। রফিকুলের ছুরিকাঘাতে নিহত হয় মুরাদ। লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে রয়েছে। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি, মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৬ মে, ২০২৪

মির্জাপুরে যুবককে মধ্যরাতে কুপিয়ে হত্যা
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নূরুল ইসলাম নামে এক কৃষি শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বানাইল ইউনিয়নের বাদে হালালিয়া ঘোনাপাড়া গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। শুক্রবার ভোরে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নূরুল ইসলাম (৩৮) বাদে হালালিয়া গ্রামের রবি মিয়ার ছেলে। মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার মোল্লা জানান, শুক্রবার ভোরে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
০৪ মে, ২০২৪

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নে বাড়ির সীমানা ও গাছ থেকে বেল পাড়া নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে রাজীব হোসেন (৩০) নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনায় দুপক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। নিহত রাজীব একই উপজেলার ভাদ্রা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার ছেলে ও ভাদ্রা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি। স্থানীয়রা জানায়, ভাদ্রা গ্রামের আজাহার ও রাজীবের মধ্যে জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ওই বিরোধের জের ধরে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি বেল গাছ থেকে বেল পাড়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে আজাহার ও তার পরিবারের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাজীবকে কোপাতে থাকে। এ সময় পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাজীবকে মৃত ঘোষণা করেন। নাগরপুর থানার ওসি এইচ এম জসিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
০৩ মে, ২০২৪

রোহিঙ্গা যুবককে কুপিয়ে হত্যা করল সন্ত্রাসীরা
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে সৈয়দুল আমিন নামে এক যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উখিয়ার ক্যাম্প-২ ডব্লিউ ডি ব্লকের মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত সৈয়দুল আমিন উখিয়া ক্যাম্পের এ/১১ ব্লকের আশরাফ আলীর ছেলে। উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসাইন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২ ডব্লিউ এর এ/১১ এর বাসিন্দা সৈয়দুল আমিনকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে সৈয়দুল আমিন ঘটনাস্থলে মারা যান। তিনি আরও বলেন, কারা, কী কারণে এ খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে খুনাখুনির ঘটনা নতুন কিছু নয়। তারা এতই হিংস্র যে সামান্যবিষয়কে কেন্দ্র করে বড় ধরনের যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা করতে দ্বিধাবোধ করে না। ক্যাম্পে চিরুনি অভিযান জরুরি হয়ে পড়েছে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

হত্যা মামলার প্রধান আসামি সোহাগকে কুপিয়ে হত্যা
পিরোজপুর সদরে পূর্বশত্রুতার জেরে সোহাগ শেখ নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত সোহাগ শেখ কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরমপুর গ্রামের সিদ্দিক শেখের ছেলে। পিরোজপুর সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আসিকুজ্জামান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর শহিদুল নামে একজন খুন হন। সে মামলার প্রধান আসামি ছিলেন সোহাগ শেখকে। এ নিয়ে সোহাগ ও শহিদুলের পরিবারের বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের ভাতিজা শামসুর রহমান বলেন, রাতে বাড়ির কাছে মসজিদের পাশের বাগানে স্থানীয় শামসু ও এমামসহ কয়েকজন আমার চাচা সোহাগকে কোপাতে দেখি। এ সময়ে চিৎকার দিলে চাচাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায় তারা। স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজান হাওলাদার বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগেই সোহাগ মারা যায়। ঘটনার সময় সোহাগের ভাইয়ের ছেলে শামসুর রহমান কাছাকাছি ছিল। কারা কুপিয়েছে তা সে দেখেছে। এলাকায় আধিপত্য নিয়ে সোহাগদের সঙ্গে কিছু লোকজনের শত্রুতা ছিল। গত ইউপি নির্বাচনের পরে শহিদুল নামে একজন খুনও হয়েছেন। সে মামলায় সোহাগকে এক নাম্বার আসামি করেছিলেন তারা। ওসি মোহাম্মদ আসিকুজ্জামান বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গ পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমরা হত্যাকাণ্ডের কারণ বের করতে অনুসন্ধান শুরু করেছি।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

পাবনায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাবনার ঈশ্বরদীতে খায়রুল ইসলাম (৪২) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় দু’পক্ষের আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি আলহাজ মোড় এলাকায় দু’গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঈশ্বরদী হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত খায়রুল ইসলাম চরগড়গড়ি গ্রামের নছিম প্রামাণিকের ছেলে ও সাহাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি। নিহতের ভাতিজা আলিফ হোসেন বলেন, জমি সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে চরগড়গড়ি গ্রামের হুসেন আলী মাস্টারের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম, সামাদের ছেলে নুরুল ইসলাম, নায়েব আলীর ছেলে শাহীন ও ইয়ার আলী মৌলভীর ছেলে মজনুসহ ৩০-৩৫ জনের একটি গ্রুপের সঙ্গে একই গ্রামের আনছার আলী প্রামাণিকের ছেলে সাজু প্রামাণিকের গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় খায়রুল ইসলাম দু’পক্ষের বিরোধ মিটাতে গেলে রিয়াজুল ও মজনুসহ তার সঙ্গে থাকা লোকজন দা দিয়ে খায়রুল ইসলামের ঘাড়ের নিচে কোপ দেয়। এরপর তার সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে লাঠি দিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চরগড়গড়ি গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম সরদার জানান, জমি সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে কয়েক দিন ধরে দু’পক্ষের মধ্যে রেষারেষি চলছিল। শুক্রবার সকালে এ ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে কথাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। বিকেল ৪টার দিকে আলহাজ মোড়ের পশ্চিমপাশে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময়  ১৫ জনের বেশি আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, মসলেম মন্ডলের ছেলে আব্দুল মজিদ মন্ডল, জলিল ফকিরের ছেলে জামাত আলী ফকির, ইউসুফ আলীর ছেলে পিন্টু, শাহাদত হোসেনের ছেলে জমির উদ্দিন, জলিল ফকিরের ছেলে নাছির উদ্দিন ও রাসেল, আনছার প্রামাণিকের ছেলে সাজু প্রামাণিক, হানিফ হোসেনের ছেলে রব্বে হোসেন, সাত্তার হোসেনের ছেলে সানাউল্লাহ মন্ডল, হিরাজ সরদারের চেলে কহর আলী সরদার, ইয়ারুল সরদারের ছেলে আলিম সরদার, হালিম মন্ডলের ছেলে আলিম মন্ডল, মোজাম প্রামাণিকের ছেলে জিল্লু প্রামাণিক ও ইছাহক হোসেন। আহতদের ঈশ্বরদী, পাবনা ও রাজশাহী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, জমি সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পুলিশ মরদেহ হেফাজতে নিয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ছোট ভাইকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করল বড় ভাই
দিনাজপুর সদরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ছোট ভাই রাসেল রেজা বাবুকে হত্যা করেছে বড় ভাই মাসুদ রানা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে মারা যান তিনি।  ছোট ভাই নিহত রাসেল রেজা বাবু ও বড় ভাই মো. মাসুদ রানা শহরের বালুযাডাঙ্গা মহল্লার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাসান আলীর ছেলে। এর আগে সকালে শহরের পশ্চিম বালুয়াডাঙ্গা এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে। কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাসেল রেজা বাবুর সঙ্গে তার আপন বড় ভাই মো. মাসুদ রানার সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। বুধবার সকালে জমি নিয়ে পুনরায় বিরোধ শুরু হয়। একপর্যায়ে মাসুদ রানা, স্ত্রী রিমা বেগম, ছেলে ফারহান আলী কুড়াল দিয়ে রাসেল রেজাকে মাথায় ও পায়ে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।  তিনি বলেন, তাকে উদ্ধার করে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৫টার দিকে মারা যান তিনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আসামিরা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪
X