সাগরকন্যার আমন্ত্রণ
পদ্মা সেতুর দ্বার উন্মোচিত হওয়ার পর থেকেই কুয়াকাটায় বাড়তে থাকে পর্যটকের সংখ্যা। সেটা দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ হয়ে যায় যদি কোনো উপলক্ষে টানা ছুটিতে পড়ে দেশ। এবার ঈদে টানা ছুটিতে পড়ছে দেশ, ফলে সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটার প্রথম সারির আবাসিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্টে অগ্রিম ৫০ শতাংশ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টের কর্মকর্তারা। তারা আরও জানিয়েছেন, প্রতিদিনই অসংখ্য পর্যটক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। রুমের কোয়ালিটি যাচাই-বাছাই করছেন। আমরা পর্যটকদের জন্য স্পেশাল কিছু ডিসকাউন্ট দিচ্ছি যা ঈদের দিন পর্যন্ত থাকবে। তারা আশাবাদী, ঈদের যে কয়েকদিন বাকি আছে তাতে শতভাগ বুকিং সম্পন্ন হবে। সরেজমিন দেখা গেছে, রমজানে অধিকাংশ হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট বন্ধ ছিল। দীর্ঘদিন পর পবিত্র ঈদে পর্যটকদের সামনে এগুলো নতুনভাবে উপস্থাপনা করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় সারির আবাসিক হোটেলগুলো এখনো কাঙ্ক্ষিত বুকিং না পেয়ে হতাশ বলে জানিয়েছেন মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

কুয়াকাটা সৈকতজুড়ে জেলি ফিশের ছড়াছড়ি
কুয়াকাটা সৈকতের বিভিন্ন জায়গায় স্তুপে স্তুপে পড়ে আছে জেলি ফিশ। গত এক সপ্তাহ পর্যন্ত সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে অসংখ্য মরা জেলি ফিশ বালুতে আটকে থাকতে দেখা গেছে। এসব মাছের মধ্যে কোনোটা আকারে ছোট, কোনোটা বড়। দেখতে অনেকটা অক্টোপাসের মতো। তবে বঙ্গোপসাগরের পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় জোয়ারের পানির সঙ্গে ভেসে আসছে বলে মনে করছে মৎস্য কর্মকর্তাসহ জেলেরা। জেলেদের তথ্য মতে, সমুদ্রে এত পরিমাণ জেলি ফিশ বেড়েছে যে সাগরে জাল দিতে পারছে না। জাল ফেলার সঙ্গে সঙ্গেই জেলি ফিশে ভরে যায় তাদের জাল। ফলে জাল কেটে দিতে হয় অথবা জাল গুটিয়ে তীরে নিয়ে আসতে হয়।  সরেজমিনে দেখা গেছে, কুয়াকাটা সৈকতের দীর্ঘ ৩২ কিলোমিটার সৈকতের একাধিক পয়েন্টে জোয়ারের পানির সঙ্গে অসংখ্য মরা জেলি ফিশ ভেসে এসে আটকা পড়েছে। সৈকতে এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে গোটা সৈকতে দুর্গন্ধ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় জেলেদের কাছে জেলিফিশ সাগরের ‘লোনা’ হিসেবে পরিচিত। গভীর সমুদ্রে জেলেদের জালে এসব জেলি ফিশ আটকা পড়ে মারা যেতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের। তবে জোয়ারের পানির সঙ্গে জেলিফিশ গুলো ওঠা নামা করে।  স্থানীয় জেলে মো. সোহেল নাজির জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে তাদের জালে বিপুল পরিমাণ জেলি ফিশ ধরা পড়েছিল। তারা জাল থেকে সমুদ্রে ফেলে দিয়েছে। শুধু তারাই নয় বর্তমানে জেলি ফিশ সমুদ্রে এতটাই বেড়েছে যে, জেলেরা বাধ্য হয়ে সমুদ্র থেকে জাল উঠিয়ে নিয়ে আসছে।  এদিকে ফিশারিজ বিভাগের গবেষকদের মতে, জেলি ফিশ গভীর সমুদ্রের মাছ। সমুদ্রের পানিতে কোনো বিপর্যয় বা পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলের কাছাকাছি চলে আসাটাই শঙ্কা। জেলিফিশ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণি। একটি প্রজাতি মিঠাপানিতে পাওয়া যায়। এরা সাধারণত পানির ওপর ভাগে ভাসমান অবস্থায় থাকে। গভীর সমুদ্রে জেলি ফিশের হরেক রকম জাত রয়েছে। এদের বিশেষ ধরণের দংশন কোষ আছে।  যাকে ইরেজিতে- jellyfish (জেলি ফিশ) বলে। বহির্বিশ্বে এটার বাজারমূল্য অনেক বেশি। এখান থেকে রপ্তানি করতে পারলে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। পাশাপাশি এগুলো সমুদ্রের তটে পড়ে থাকার সম্ভাবনা থাকবেবা।  তথ্য বলছে, উন্নতমানের হোটেলে উৎকৃষ্টমানের খাবার হিসেবে বিক্রি হয় এই মাছ। এগুলো স্পর্শ করলে শরীর চুলকায়, এমনকি ঘা হয়ে যেতে পারে। বিশেষ কোষের কামড়ে মানুষ মারাও যেতে পারে। কুয়াকাটা সৈকতে আটকে মরে যাওয়া জেলি ফিশগুলো পঁচে গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তাই কাঠ বা লোহা দিয়ে তুলে এ মাছগুলো বালুতে পুঁতে ফেলা উচিত। কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, গত কয়েক দিন থেকে এসব জেলি ফিশ উপকূলের কাছাকাছি এসে জেলেদের জালে আটকা পড়েছে। পরে জেলেরা মাছগুলো ফেলে দেয়ায় মরা মাছ কুয়াকাটা সৈকতের বেলাভূমিতে আসতে শুরু করেছে। তবে আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। জেলি ফিশ সমুদ্রে বেড়ে যাওয়ায় সমুদ্র থেকে বর্তমানে জেলেরা জাল উঠিয়ে রাখতেছে।
২৪ মার্চ, ২০২৪

প্রাণ ফিরে পেল কোলাহলমুক্ত কুয়াকাটা সৈকত
কদিন আগেও পদচারণায় মুখরিত থাকত কুয়াকাটার দর্শনীয় স্পটগুলো। পবিত্র মাহে রমজানের শুরুর পর থেকেই পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। ১৮ কিলোমিটার সৈকত এখন কোলাহলমুক্ত। কোনো টু শব্দটিও নেই। নীরবে নিশ্চুপ হয়ে প্রকৃতি তার আপন ডালা মেলেছে। জনমানবহীন হওয়ায় প্রকৃত সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে কুয়াকাটা সৈকত। এখানে প্রাণ প্রকৃতি ফিরে পেয়েছে স্বকীয়তা।  সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকতের পানি নীল বর্ণ ধারণ করেছে। বালিয়াড়িতেও পড়ে থাকতে দেখা যায়নি কোনো প্লাস্টিক বর্জ্য।  যতদূর চোখ যায় চিকচিক করছে বালুর স্তূপ। নতুন পাতা ছেড়েছে গাছগাছালি ও লতাগুল্ম। আপন মনে বয়ে চলছে সমুদ্রের ঢেউ। সৈকতের বিভিন্ন জায়গায় শিল্পীর তুলির যেন আঁচড় পড়েছে। সাগরের বুকে ঢেউ আছড়ে পড়ছে আর শো শো শব্দ করে বালিয়াটিতে মিশছে। মাঝে মাঝে পাখির কিচিরমিচির শব্দ। সবমিলিয়ে দারুণ অনুভূতি। স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে , যখন পর্যটকের আনাগোনা থাকে তখন সমুদ্রসৈকতের পরিবেশ থাকে নোংরা। এখানে সেখানে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র পড়ে থাকে। সমুদ্রের তীরে কোনো পাখি আসে না। এখন জনমানবহীন হওয়ায় পাখি উড়তে দেখা যায়। কাকড়া হাটে। সমুদ্রের পানির সুন্দর রং হয়। সব মিলিয়ে ভালো লাগে। সৈকতের বর্তমান সৌন্দর্যকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পরিবেশ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো। পাশাপাশি তাদের দাবি, জীববৈচিত্র্যকে তার আপন মহিমায় চলতে দেওয়া উচিত। এ জন্য মানুষের চলাচল সীমিত করে পরিবেশবান্ধব সৈকত গড়ে তোলা জরুরি মনে করছেন। স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি মো. চান মিয়া বলেন, আজ থেকে ২০ বছর আগে আমরা জিরো পয়েন্ট থেকে ৫ কিলোমিটার গাছ-গাছালির মধ্যে দিয়ে হেঁটে সমুদ্র পাড়ে গেছি। কি সুন্দর ছিল আগের পরিবেশ। এখন গাছপালাও নাই আর সমুদ্র সুন্দরও লাগে না।  হাঁটাও যায় না সমুদ্র পাড়ে। কেননা, আগের চাইতে সমুদ্রের পাড় নোংরা হয়ে গেছে। পানি ঘোলাটে থাকে। নির্দিষ্ট একটা জায়গা থাকা দরকার যেখানে কোনো পর্যটকের আনাগোনা থাকবে না। তাহলে সমুদ্র তার নিজস্ব সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে পারবে। এনিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর সদস্য বাইজিদ মুন্সি বলেন, প্রকৃতি সুযোগ পেলেই তার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। তার রূপের ডানা মেলে মানুষের মনকেই প্রশান্তি দেয় তা প্রমাণ করল পর্যটকদের আনাগোনা কম থাকায়। পরিবেশকর্মী ও সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান মিরাজ বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে কুয়াকাটায় ব্যাপক সংখ্যক পর্যটকের আনাগোনা বাড়ছে । ফলে কুয়াকাটায় যে পরিমাণে পর্যটকের ধারণ ক্ষমতা আছে তার চেয়েও বেশি সমাগম হয়। যার ফলে ব্যালেন্স হারাচ্ছে সৈকত। প্রকৃতি তার আপন ভুবনে বেড়ে উঠতে দেওয়া উচিত বলে মনে করছি। মানুষ প্রকৃতির কাছে গেলেই প্রশান্তি পায়। তাই মানবহীন সৈকতটি তার আসল সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। এমন সৌন্দর্য থাকুক সব সময়। সেক্ষেত্রে নিরাপদে প্রকৃতিকে বাড়তে সাহায্য করতে হবে। পটুয়াখালী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী সাইফুদ্দিন বলেন, ২ সপ্তাহ আগেও পর্যটকদের পদভারে সৈকত, রাস্তাঘাট টইটম্বুর ছিল। রমজান শুরুর পর থেকেই সৈকত শুন্য। এই শূন্য সৈকতই প্রকৃতি  এখন সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। প্রকৃতি পাল্টাতে শুরু করেছে। ১৮ কিলোমিটার সৈকত এখন নিশ্চুপ। তাই এই স্বপ্ল সময়ে প্রকৃতি ডানা মেলে বসেছে। প্রকৃতি ও পর্যটক এদের নিয়ে বাঁচিয়ে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২৪ মার্চ, ২০২৪

এবার কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে একটি মৃত ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছে। এর মাথা ও পিটের অংশে অংশে উপরের চামড়া উঠানো রয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুয়াকাটার গঙ্গামতি এলাকায় ডলফিনটি দেখতে পায় কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য জুয়েল রানা। সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, সমুদ্রের পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ায় সামুদ্রিক প্রাণিগুলো এভাবে মারা যাচ্ছে। আজকে ভেসে আসা ডলফিনটি ইরাবতী প্রজাতির পুরুষ ডলফিন। আমরা এটা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছি যে কেন প্রতিবছর এমন পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বনবিভাগকে অবগত করে আমাদের সদস্যরা নিরাপদ স্থানে ডলফিনটিকে মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এই উপকূলীয় এলাকাজুড়ে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি ডলফিন নিয়ে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে এই মৃত্যুর কারণগুলো বের করা হয়। চলতি বছরে এটাই প্রথম সৈকতে আসা মৃত ডলফিন। এর আগে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পরপর তিন দিন চারটি মৃত ডলফিন ভেসে আসে।
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত যেন ফিরে পেল প্রাণচাঞ্চল্য
বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনের ছুটিতে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় নভেম্বর মাসে প্রায় শূন্য থাকা সমুদ্রসৈকত পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠছে। এতে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছেন পর্যটননির্ভর ব্যবসায়ীরা। কুয়াকাটার সৈকত ছাড়াও আশপাশে দর্শনীয় স্থানগুলোতে এখন পর্যটকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।  বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত থেকে বাস, মাইক্রোবাস, পরিবহন ও প্রাইভেট কারে করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা কুয়াকাটায় আসছেন। বর্তমানে আবাসিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্টগুলো প্রায় হাউসফুল। খাবার হোটেলসহ পর্যটননির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেচাকেনার ধুম পড়ে গেছে। নির্বাচনকে ঘিরে দীর্ঘদিন হরতাল ও অবরোধের কারণে কুয়াকাটায় পর্যটক খুব কমে গিয়েছিল। বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে পর্যটক শূন্যতা কাটিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরেছে। হাসি ফুটে উঠেছে তাদের।  এদিকে আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠেছে। সৈকতে গোসল, খেলাধুলাসহ নানা বিনোদনের মধ্য দিয়ে দিন কাটিয়ে দিচ্ছেন। আগতদের সার্বিক নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। সিরাজগঞ্জ থেকে বেড়াতে আসা রাফি বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে তারা ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। সাপ্তাহিক ছুটি ও বিজয় দিবসে হরতাল-অবরোধ না থাকায় তারা বৃহস্পতিবার রাতে তিন দিনের ছুটি কাটাতে কুয়াকাটা ছুটে আসেন। এখানে এসে সমুদ্রে গোসল, দর্শনীয় স্পটগুলো ঘুরে বেড়িয়েছেন। রাখাইন মহিলা মার্কেট, বৌদ্ধ বিহার ঘুরে দেখছেন।  ঢাকার মিরপুর থেকে আসা অফবিট কোচিংয়ের পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, স্কুল কোচিং ছুটি হওয়ায় কুয়াকাটা ভ্রমণে এলাম। ঢেউ আর বালুর সংমিশ্রণে দারুন সময় কাটল কুয়াকাটায়। এক কথায় কুয়াকাটা অসাধারণ। কম সময় আর কম টাকায় ভালোই ভ্রমণ করলাম।  ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার ( টোয়াক) সম্পাদক বলেন, অবরোধ হরতালের কারণে কুয়াকাটা পর্যটক শূন্য ছিল। বিজয় দিবস উপলক্ষে অনেক পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমনে সৈকত প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আমাদের ব্যবসা ভালোই হচ্ছে। আবাসিক হোটেল সৈকতের জেনেই ম্যানেজার আবজাল গাজী জানান, তাদের হোটেলে ৫০টি কক্ষ রয়েছে। সব কক্ষই বুকিং রয়েছে। আগামী থার্টি ফার্স্ট নাইট পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণ পর্যটক সমাগম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ইতিমধ্যে অনেক পর্যটকরা অগ্রিম বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করছেন। কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালেব শরীফ জানান, এক মাসের মধ্যে আজকে ভালো পর্যটক আসছে। সব হোটেলের কমবেশি রুম বুকিং রয়েছে। চলতি মাসজুড়ে পর্যটক দর্শনার্থীদের কমবেশি ভিড় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক মো. হাসনাইন পারভেজ জানান, গতকাল থেকে আজকে পর্যন্ত অনেক পর্যটক আসছে। আমরা তাদের সেবায় নিয়োজিত আছি। যে কোনো রকমের নাশকতা রোধে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার বলেন, বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে খুব পর্যটক এসেছে। এতে করে দীর্ঘ দেড় মাস পর পর্যটন ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি দেখা গেছে। তবে নির্বাচনের পর সব সংকট কেটে গিয়ে পুনরায় জমে উঠবে এই পর্যটন নগরী কুয়াকাটা এমনটাই আশা প্রকাশ করেছেন এই জনপ্রতিনিধি।
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

কুয়াকাটায় পর্যটন উন্নয়নে অংশীজনদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার
মুজিব’স বাংলাদেশ ব্র্যান্ডনেম প্রচারের অংশ হিসেবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়  ‘কুয়াকাটার পর্যটন উন্নয়নে অংশীজনদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল গ্রেভার ইন ইন্টারন্যাশনালের অডিটোরিয়ামে এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবেরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (গ্রেড-১) চেয়ারম্যান মো. রাহাত আনোয়ার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. ওবায়দুর রহমান, কলাপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ, হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব প্রমুখ। প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, উন্নত বিশ্বের সাথে চলতে গেলে এখনই পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে হবে। এগিয়ে নেওয়ার যুদ্ধে অংশীজনরাই মুখ্য। পর্যটন খাতে সম্ভাবনা জাগছে। এখানে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আপনাকে দক্ষ মানব হতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ আমরা দেব। কুয়াকাটা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সমাদৃত হয়েছে।  বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, শুধু পর্যটনকে ঘিরেই বিশ্বের বহুদেশ স্বাবলম্বী। কুয়াকাটা একটি সম্ভাবনাময় কেন্দ্র। এক্ষেত্রে অংশিজনরাই ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। সকল অংশীজনরা যেন ব্যবহার সুন্দর ও আন্তরিকতা দেখায় পর্যটকদের প্রতি। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। এখন পর্যটকদের আগমন ঘটবে।  কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিওনের ইনচার্জ আবু হাসনাইন পারভেজ বলেন, নির্বিঘ্নে পর্যটকরা কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান ঘুরতে পারে। এখানকার পরিবেশ পরিবর্তন হয়েছে। আমরা খোয়া যাওয়া মোবাইল, টাকা, স্বর্ণালংকারসহ যাবতীয় জিনিস আমরা পর্যটকদের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। আমরা এক কথায় বলতে পারি নিরাপদ জায়গা কুয়াকাটা। মূল প্রবন্ধে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার তুলে ধরেন এখন দেশের পর্যটক টানার চেষ্টা করার চাইতে বিদেশিদেরও টানতে হবে। আর এ কাজগুলো করে থাকে এখানকার ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইডসহ অনেক সেক্টরের লোকজন। এ ছাড়াও তিনি প্রতিটি অংশীজনদের দায়িত্ব তুলে ধরেন।   অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি  বিভিন্ন প্রশ্ন শোনেন ও উত্তর প্রদানসহ ‘ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা’ বিশেষ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন। মুজিব’স বাংলাদেশ ব্র্যান্ডনেম প্রচারের অংশ হিসেবে কুয়াকাটায় চলছে দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল কুয়াকাটা। গত দিন পর্যটকরা মেতে ছিল নানা উৎসবে। আজ উৎসবের শেষ দিনেও থাকছে পর্যটকদের জন্য সৈকতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফানুস উড়ানো, ঘুড়ি উৎসব, বিচ ফুটবল, বিচ ভলিবল, রাখাইন নৃত্যের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল কুয়াকাটা।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

কুয়াকাটা সৈকতে বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল উৎসব শুরু
মুজিব’স ক্যাম্পেইনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আইকনিক, ডেস্টিনেশন, সংস্কৃতি ঐতিহ্যকে বিশ্ববাসী ও দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরে ধরার জন্য পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে দুদিনব্যাপী ’বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল কুয়াকাটা- ২০২৩’ উৎসব। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে কুয়াকাটা সৈকতে ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এ সময় তিনি বলেন, এ দেশকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই পথেই মানুষকে সকল সমস্যা সমাধানে আপ্রাণ চেষ্টা করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কুয়াকাটা সৈকতে ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনীতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, শিল্প মন্ত্রণালয়ের এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মাসুদুর রহমান, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম, পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম, কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, কুয়াকাটা পৌর মেয়র প্রমুখ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ সময় আরও বলেন, কুয়াকাটা আসতে অনেক ঝাক্কি ঝামেলা পোহাতে হত। সেখানে আজ ৫ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় আসা যায়। এটা বর্তমান সরকারের একক প্রচেষ্টা। আমূল পরিবর্তন হয়েছে এই দক্ষিণাঞ্চলের। এখন কুয়াকাটাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছাতে হবে। পর্যটন খাত অনেক সম্ভাবনার খাত। পর্যটন খাতকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছাতে হবে সকলের প্রচেষ্টায়। প্রথমে আমাদের নিজ দেশ ভ্রমণ করতে হবে। এরপর বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সৌন্দর্য তুলে ধরতে হবে, যাতে তারা আমাদের দেশে ভ্রমণ করতে আসে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদারসহ প্রমুখ। এর আগে কুয়াকাটা পৌরসভার সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও শোভাযাত্রা শুরু হয়ে অনুষ্ঠানস্থলে এসে শেষ হয়। এবারের দুই দিনের বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল কুয়াকাটা উৎসবে থাকছে কুয়াকাটা সৈকতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফানুস, বিচ উৎসব, ঘুড়ি উৎসব, বিচ ফুটবল, বিচ ভলিবল, রাখাইন নৃত্য, গান, পুতুল নাচ, স্থানীয় সংস্কৃতি ও নানা ধরনের খাদ্যসামগ্রীর ফেস্টিভ্যাল স্টল, পর্যটনের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারসহ নানা আয়োজন। উৎসবে ৬০টির মত স্টল বানানো হয়েছে। স্টলগুলো ঘুরে দেখা গেছে খাবার, রাখাইন পিঠাপুলি, ফিস ফ্রাই, পান্তা ইলিশ, তাঁত বস্ত্র, হাস ও রুটি পিঠসহ নানা ধরনের আয়োজনসহ সমৃদ্ধ বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার গল্পে বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের আয়োজন।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো বিষধর সাপ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় একটি তীব্র বিষধর বেলচেরি সাপকে উদ্ধার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। গতকাল বুধবার রাত ১২টায় জিরো পয়েন্ট সমুদ্রসৈকত থেকে ওই সাপ উদ্ধার করে বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়। অ্যানিমেল লাভার অব পটুয়াখালীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এইচ এম সামিম বলেন, অনেকে ইনল্যান্ড তাইপানকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হিসেবে ধারণা করলেও পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হলো বেলচেরি। প্রকৃতপক্ষে এটি ইনল্যান্ড তাইপানের চেয়েও প্রায় ১০০ গুণ বেশি বিষাক্ত। জানা যায়, সমুদ্রে বসবাসকারী এ সাপটি ০.৫ মিটার থেকে ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর মাথা শরীর থেকে ছোট এবং এর পেছনে মাছের মতো সাঁতারে সহায়ক লেজ রয়েছে। এ সাপটি একবার শ্বাস নিয়ে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পানির নিচে ঘুরে বেড়াতে বা ঘুমাতে পারে। পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত এ সাপটি শান্ত স্বভাবের।
১৬ নভেম্বর, ২০২৩

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো বিষধর সাপ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বেলচেরি নামের বিষধর একটি সাপকে উদ্ধার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১২টায় জিরোপয়েন্ট সমুদ্রসৈকত থেকে ওই সাপ উদ্ধার করে বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়। এনিমেল লাভার আফ পটুয়াখালীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এইচ এম সামিম বলেন, অনেকে ইনল্যান্ড তাইপানকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হিসেবে ধারণা করলেও পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হলো বেলচেরি। প্রকৃতপক্ষে এটি ইনল্যান্ড তাইপানের চেয়েও প্রায় ১০০ গুণ বেশি বিষাক্ত। সমুদ্রে বসবাসকারী এ সাপটি ০.৫ মিটার থেকে ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর মাথা শরীর থেকে ছোট এবং এর পেছনে মাছের মতো লেজ রয়েছে। এ সাপটি একবার শ্বাস নিয়ে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পানির নিচে ঘুরে বেড়াতে বা ঘুমাতে পারে। পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত এ সাপটি খুবই ভদ্র স্বভাবের। এটি সাধারণত কাউকে কামড়ায় না। তবে বার বার একে বিরক্ত করলে এটি কামড় দিতে পারে। এ সাপটি নিয়ে বেশি ভয়ের কারণও নেই। কারণ এটি কাউকে কামড়ালেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিষ ঢোকায় না। তবে কারও ভাগ্য খারাপ হলে এর বিষাক্ত ছোবলে ১৫ মিনিটের কম সময়েই তার মৃত্যু ঘটতে পারে। মাত্র কয়েক মিলিগ্রাম বেলচেরির বিষ ১০০০ এর বেশি লোক বা ২৫ লাখ ইঁদুরকে মারার জন্য যথেষ্ট। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের এস আই ইদ্রিস বলেন, রাতে বক্সে ডিউটি চলাকালে এক পর্যটক সৈকতে হাঁটতে গিয়ে প্রথমে ওই সাপটি দেখতে পায়। একবার সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হলেও সে আবার ভেসে আসে। দ্বিতীয়বার দুজন পর্যটক সৈকতে হাঁটার সময় সাপটিকে দেখতে পেয়ে অবহিত করেন। পরে সাপটি উদ্ধার করে আবারও বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।  ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক আবু হাসনাইন পারভেজ বলেন, কুয়াকাটা সৈকতে বিভিন্ন সময় সমুদ্রের বিষধর সাপের আনাগোনা দেখা যায়। এ ব্যাপারে পর্যটকদের মাঝে সচেতনতা ছড়ানোর পাশাপাশি সাপসহ উপকূলের বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করছি। পর্যটকদের সুবিধার্থে কুয়াকাটা এন্টি বেনাম রাখা খুবই জরুরি বলেও জানান এই কর্মকর্তা। 
১৫ নভেম্বর, ২০২৩

শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে এসে হামলার শিকার কুয়াকাটা পৌর মেয়র
কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের পূর্ব ঘোষিত শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে এসে হামলার শিকার হয়েছেন কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আ. বারেক মোল্লাকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ সভাপতি স্থানীয় এমপিকে দোষারোপ করেছেন। ঘটনাস্থলে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মহিব্বুর রহমান উপস্থিত থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। কুয়াকাটা পর্যটন মোটেল ইয়োথ-ইন কমপ্লেক্সের সমাবেশস্থলে এ সময় কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগ ও কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। খবর পেয়ে মহিপুর থানার ওসি মো. ফেরদৌস আলম খান একদল পুলিশ নিয়ে উত্তেজিত নেতাকর্মীদের হাত থেকে পৌর মেয়রকে উদ্ধার করেন। এ সময় একটি আবাসিক হোটেলের ভেতরে পৌর মেয়র ও তার কয়েকজন সহযোগীকে অবরুদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। হামলার সময় মেয়র আনোয়ার হাওলাদারের পক্ষে থাকা অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়।    এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মহিব্বুর রহমান ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জের ধরে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কুয়াকাটা পৌর মেয়রের ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েছি। মহিপুর থানার ওসি মো. ফেরদৌস আলম খান মেয়রের ওপর হামলার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, উত্তেজিত নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিয়ে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে।  
০২ নভেম্বর, ২০২৩
X