ছুরিকাঘাতে কৃষক লীগ নেতা নিহত
কক্সবাজারে ছুরিকাঘাতে এক কৃষক লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বদুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত নাজেম মওলা সাহেদ কচ্ছপিয়ার রূপনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, বড় জাংছড়ি এলাকার দেলোয়ার হোসেন ও বদু পাড়া এলাকার ওসমান মাতাল অবস্থায় চল্ন্ত গাড়ি থামিয়ে চালককে বকাবকি করছিল। এমন সময় নাজেম তাদের নিষেধ করে। পরে কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা নাজেমকে ছুরিকাঘাত করে। আহত নাজেমকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত্য ঘোষণা করেন। রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যেই আটক করা হবে। ওসি আরও বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত শেষে কচ্ছপিয়া হাজীপাড়া জামে মসজিদে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, ছাত্রলীগ থেকে বেড়ে উঠা নাজেম উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এলাকার ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিল। খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
২৭ মার্চ, ২০২৪

জুয়ার আসর থেকে কৃষক লীগ নেতাসহ আটক ৩
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে জুয়ার আসর থেকে ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতিসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন- দন্ডপাল ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি ও মৌমারি হাকিমপুর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ নুরুল (৬০), একই এলাকার শ্রী সুদূর চন্দ্র রায় (৬৫), মৌমারি প্রধানাবাদ এলাকার মো. আব্দুল হাই (৫৮)। অভিযানে তাসসহ জুয়া খেলার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, ‘উপপরিদর্শক মো. সোহেল রানার নেতৃত্বে উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের মৌমারিতে এ বিশেষ অভিযান করা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
২১ মার্চ, ২০২৪

বাগেরহাট-৪-আসন / বিএনএমের প্রার্থী হওয়ায় কৃষক লীগ নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার
বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী হওয়ায় কৃষক লীগের বাগেরহাট জেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. রেজাউল ইসলাম রাজুকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে বাগেরহাট জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শেখ আবুল হাসেম শিপন ও সাধারণ সম্পাদক মো. মনি মল্লিক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিস্কারের তথ্য জানানো হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন যাবৎ বিতর্কিত বেশকিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা জেলা কৃষকলীগ পর্যালোচনা করে অনুভব করি, আপনার কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থি। সুতরাং আপনাকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দলীয় সকল কর্মকাণ্ড হইতে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। বাগেরহাট জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শেখ আবুল হাসেম শিপন বলেন, দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী কার্যক্রমের কারণে সর্বসম্মতিক্রমে রেজাউল ইসলাম রাজুকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে অব্যহতি অব্যহতি প্রদান করা হয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকেও জানানো হয়েছে। সদ্য নিবন্ধন পাওয়া রাজনৈতিক দল বিএনএম থেকে বাগেরহাট-৪ আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় ব্যপক আলোচিত-সমালোচিত হন জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম রাজু। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন জমে শেষে সাংবাদিকরা তার কাছে দলের জেলা কমিটির সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতাদের নাম জানতে চাইলেও তিনি বলতে পারেননি। বলতে পারেননি জেলা কার্যালয়ের ঠিকানাও।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

জুয়ার আসর থেকে কৃষক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৮
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে পৌর কৃষক লীগের দপ্তর সম্পাদক হাকিম উদ্দিনসহ ৮ জুয়াড়িকে গ্ৰেপ্তার করেছে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌর শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সংলগ্ন মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড অফিসে অভিযান পরিচালনা করে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম।  অভিযানে জুয়া খেলার আসর থেকে পৌর কৃষক লীগের দপ্তর সম্পাদকসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৪ সেট প্লেয়িং কার্ড ও ৭ হাজার ৮৪১ টাকা জব্দ করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- দেবীগঞ্জ পৌর শহরের কামাতপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে আব্দুল লতিফ (৪২), পাটোয়ারী পাড়া এলাকার মোতালেবের ছেলে মামুনুল ইসলাম (৩১), সাহাপাড়া এলাকার পুলকেশ শর্মার ছেলে মিঠুন শর্মা (৩৭), নতুনবন্দর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে স্বাধীন ইসলাম (২৭), মধ্যপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে মামুন পারভেজ (৩২), উত্তরপাড়া এলাকার নূর ইসলামের ছেলে হাকিম উদ্দিন (৩৫), থানাপাড়া এলাকার একরামুল হকের ছেলে চয়ন ইসলাম (৩৮) ও দেবীডুবা ইউনিয়নের পেড়ালবাড়ি এলাকার মুক্তার আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪১)। দেবীগঞ্জ থানার ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল রাতে জুয়ার আসর থেকে গ্রেপ্তারকৃতদের আজ সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে গত ২৫ জুলাই দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত পৌর কৃষক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় মো. হাকিম উদ্দিনকে। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা যুবলীগের সহসম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর আগে আবাসিক হোটেলে জিম্মি করে রেখে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।
১৩ অক্টোবর, ২০২৩

সমাবেশে মির্জা ফখরুলকে আমন্ত্রণ জানাল কৃষক লীগ
রাজধানী ঢাকায় কৃষক লীগের সমাবেশে যোগ দিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এই সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির সভাপতি সমীর চন্দ।  কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কৃষক দলের সভাপতিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এই কৃষক সমাবেশে তাদের বক্তব্যের স্বাধীনতা ও কৃষকের পক্ষে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এমনকি তাদেরকে সম্মানের সঙ্গে যোগদান ও সমাবেশ শেষে তাদের গন্তব্যে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও নিশ্চিত করেছি। সমীর চন্দ বলেন, ‘কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন তার সহকর্মীর মুঠোফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে আমাকে ফোন করেছিলেন। আগামী কৃষক সমাবেশ এবং আমার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য ফোন করেছিলেন তিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমিও তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। তাছাড়া শনিবারের কৃষক সমাবেশে উপস্থিত হয়ে কৃষকের জন্য কৃষক দল কী কী করেছে, তার চিত্র তুলে ধরার জন্য তাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

চাঁদাবাজি মামলায় আ.লীগ ও কৃষক লীগ নেতা গ্রেপ্তার
গাজীপুরের কালীগঞ্জে চাঁদাবাজি মামলায় আওয়ামী লীগ ও কৃষক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মোশাররফ হোসেন শুক্কুর কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাগেরপাড়ার মৃত মমিন উদ্দনের ছেলে। অন্যজন হলেন কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি আলম ভূঁইয়া। তিনি একই এলাকার মৃত সরাফত ভূঁইয়ার ছেলে। জানা যায়, ঢাকার ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা এলাকার ডি ব্লকের বাসিন্ধা মো. মাহবুব হোসেন কালীগঞ্জ উপজেলার বাঘারপাড়া এলাকার ‘ভিআইপি ডোর অ্যান্ড ফার্নিচার ফ্যাক্টরি’ নামে প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা করছেন। ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর মো. মাহবুব হোসেন ফ্যাক্টরিতে নির্মাণকাজ করতে গেলে মোশারফ হোসেন শুক্কুর, আলম ভূঁইয়া, দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে পরাগ ভূঁইয়া, আয়নাল ভূঁইয়ার ছেলে নীরব, আলম ভূঁইয়ার ছেলে মাছুম ভূঁইয়াসহ অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-সাতজন দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। মাহবুব টাকা দিতে অস্বীকার করলে আয়নাল ভূঁইয়ার ছেলে নীরব মাহবুবকে গলা চেপে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে গত ৫ জানুয়ারি মাহবুব হোসেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২, গাজীপুরে মামলা করেন। গত ২০ জুলাই ফ্যাক্টরিতে গেলে বিবাদীসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১৫ জন তার গাড়ির গতিরোধ করে তাকে শারীরিক নির্যাতনসহ অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেয়। পরে বাদী কালীগঞ্জ থানায় ফোনে বিষয়টি জানালে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে তিনি বাদী হয়ে ২২ জুলাই কালীগঞ্জ থানায় আরও একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানায় জানতে চাইলে ডিউটি অফিসার এসআই আশরাফুল বলেন, গ্রেপ্তারদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
০৬ আগস্ট, ২০২৩
X