ঢাবিতে কোড সামুরাই হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা সমাপ্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় কোড সামুরাই আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা ২০২৪ সমাপ্ত হয়েছে।  গতকাল শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এর সমাপ্তি হয়। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ডিফাইন কোডারস। ১ম ও ২য় রানার্স আপ হয়েছে যথাক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ডিইউ-প্রমিথিউস এবং ডিইউ ডিলিজেন্স।  প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. ইচিগুচি তমোহিদি এবং জেট্রো-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. ইয়ুজি আন্দো বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে বিরাজমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতিফলন ঘটেছে। এই আয়োজনকে অত্যন্ত সময়োপযোগী উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের সব ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি ঘটেছে। এর ফলে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। প্রযুক্তির এই অগ্রযাত্রায়, নতুন নতুন উদ্ভাবনে এবং অপব্যাবহার রোধে নিজেদের প্রস্তুত করতে তরুণ প্রোগ্রামার ও প্রযুক্তিবিদদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা আমাদের শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ প্রযুক্তিবিদ ও মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেবে।  তিনি বলেন, আমাদের তরুণ প্রোগ্রামাররা দেশে-বিদেশে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এই দক্ষ তরুণ প্রজন্ম এবং জাপানের উন্নত প্রযুক্তির সম্মিলিত প্রয়াস ও যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  এ ছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এবং কোড সামুরাই ২০২৪-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. উপমা কবির। সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে মনোমুগ্ধকর জাদু পরিবেশন করেন জাপানের জনপ্রিয় জাদুশিল্পী শুটওগাওয়া। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-জাপান জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানিসহ বেশকয়েকটি জাপানি আইটি কোম্পানির সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ দুদিনব্যাপী এই আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে দেশের ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬টি দল অংশ নেয়।
১২ মে, ২০২৪

ঢাবিতে কোড সামুরাই হ্যাকাথন শুরু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ জাপান ইনফরমেশন টেকনোলজি (বিজেআইটি) এবং গ্লোবালগিকস আয়োজিত ‘কোড সামুরাই আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন-২০২৪’ শীর্ষক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের মিলায়তনে প্রধান অতিথি থেকে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান। এবারের এ প্রতিযোগিতায় দেশের ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) শিক্ষার্থীদের ৪৬টি দল অংশ নিচ্ছে, যারা প্রথমে দুটি পর্বের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান বলেন, হ্যাকাথনের মতো প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে, যা সর্বোপরি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ সময় হ্যাকাথনের আয়োজক ও এ আয়োজনের সঙ্গে থাকার জন্য জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধন্যবাদ জানান তিনি।  অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্টিংগুইস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। তিনি বলেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের বিশ্বমানের করে গড়ে তুলবে এবং এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জাপান তথা বিশ্বের আইটি ডেভেলপমেন্টে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাপানের ৪০টি আইটি কোম্পানির ৮৫ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন এবং ১৫টি কোম্পানি তাদের কর্মস্থলের আইটি কাজের ধরন ও সুযোগ সম্পর্কে প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন।  মিস্টার সাপাওয়ারা, জেনারেল ম্যানেজার অফমারু বেনি বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পরিমাণে আইটি ইঞ্জিনিয়ার তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুরোধ করেন।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মো. হাসান বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া, এতে আরও বক্তব্য প্রদান করেন ইয়াসুহিরো আকাশি, কো-কনভেনার কোড সামুরাই। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক রেদোয়ান আহমেদ রিজভী। এদিকে আয়োজকরা জানিয়েছেন, উদ্বোধনের পর সিএসই বিভাগের ল্যাবে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। টানা ২৪ ঘণ্টা চলবে এ হ্যাকাথন। এ সময় শিক্ষক গবেষক, প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট খাতের পেশাজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারক প্যানেল প্রতিযোগীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও বিচার করবেন।  শনিবার (১১ মে) বিকেল ৪টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হ্যাকাথনের সমাপন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি  থেকে বিজয়ী দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। এছাড়া, এতে আরও উপস্থিত থাকবেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি জাইকা প্রধান মি. ইচিগুচি তমাহেদো, জেট্রোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইয়ুজি আন্দো, পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী। পাশাপাশি জাপানের জনপ্রিয় জাদুশিল্পী শুটওগাওয়া সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা পরিবেশন করবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
১০ মে, ২০২৪

ঢাবিতে কোড সামুরাই হ্যাকাথন ১০ মে শুরু, অংশ নেবে ৪৬ দল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) তৃতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে 'কোড সামুরাই-২০২৪' শীর্ষক এক আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা। আগামী ১০-১১ মে অনুষ্ঠিতব্য এ প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের মাধ্যমে নির্বাচিত দেশের ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়রনত সিএসই শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত ৪৬টি দল অংশ নেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগ, বাংলাদেশ জাপান ইনফরমেশন টেকনোলজি (বিজেআইটি) এবং গ্লোবালগিক্স যৌথভাবে এ হ্যাকাথনের আয়োজন করছে। বুধবার (৮ মে) ঢাবির সিএসই বিভাগ মিলনায়তনে হ্যাকাথন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।  এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কোড-সামুরাই হ্যাকাথন ২০২৪-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. উপমা কবির। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিএসই বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এবং বিভাগীয় অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, হ্যাকাথন এক ধরনের প্রায়োগিক সমস্যা সমাধানের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। হ্যাকাথনে অংশ নেওয়া প্রতিযোগীরা বিভিন্ন ধরনের বৈশ্বিক কিংবা স্থানীয় সমস্যার সফটওয়্যারভিত্তিক সমাধান বের করার সুযোগ পায়। আধুনিক প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ ও মানুষের জীবনধারার উন্নতিতে দারুণভাবে ভূমিকা রাখছে হ্যাকাথন। ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) ও রোবোটিক্স-এগুলো এখন প্রযুক্তিনির্ভর সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি আরও বলেন, কোড সামুরাই হ্যাকাথনের লক্ষ্য হলো, শিক্ষার্থীদের আসন্ন শিল্প বিপ্লবের টেকনিক্যাল বিষয়গুলোতে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তাদেরকে প্রস্তুত করা, যাতে তারা সমাজ ও অর্থনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এ আয়োজন তাদের ভবিষ্যত ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। তিনি জানান, ১০ মে সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের মিলনায়তনে হ্যাকাথনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান, উপাচার্য, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।  বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। উদ্বোধনের পর দুপুর ১১ টায় সিএসই বিভাগের কম্পিউটার ল্যাবরেটরীতে প্রতিযোগিতা শুরু হবে। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সম্মানিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও বিভাগীয় সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ। টানা ২৪ ঘণ্টার এ হ্যাকাথন পরের দিন অর্থাৎ শনিবার দুপুর ১১টা পর্যন্ত চলবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের সম্মানিত ডিন ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু। শনিবার বিকেল ৪টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথনের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদলের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান।  এ ছাড়া আরও উপস্থিত থাকবেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাইকা প্রধান মি ইচিগুচি তোমোহিদে, জেট্রো বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইয়ুজি আন্দো, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, এনবিপি, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি।  এতে আরও থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু ডীন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ এবং অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক চেয়ারম্যান, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ। উক্ত সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, কোড সামুরাই নির্বাহী কমিটি ২০২৪ এর সদস্য সচিব ড. মো. মামুনুর রশীদ, বিজেআইটি এর চিফ অফারেশন অফিসার ড. মেহেদী মাসুদ, কোড সামুরাই নির্বাহী কমিটি ২০২৪ এর সদস্য মো. মাহমুদুর রহমান এবং মো. ফাহিম আরেফিন। উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতায় সেরা পারফরম্যান্সকারী দলগুলোর জন্য ১০ লাখ টাকার বেশি মূল্যের পুরস্কার জিতে নেওয়ার আকর্ষণীয় সুযোগ রয়েছে। অংশগ্রহণকারী বাকিদের জন্যও থাকছে বিশেষ স্বীকৃতি। পাশাপাশি জাপানে ইন্টার্নশিপ এবং মর্যাদাপূর্ণ আইটি ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাবেন যোগ্য প্রতিযোগীরা। প্রতিযোগিতার গত দুবারের বিজয়ীরা জাপানে ইন্টার্নশিপ করার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করার সুযোগের পাশাপাশি জাপানের সংস্কৃতির সাথের পরিচয় হতে পেরেছে। এ ছাড়া বিজয়ীরা বর্তমানে দেশের সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে অবদান রাখছে।
০৮ মে, ২০২৪

কোড সামুরাই হ্যাকাথনের দ্বিতীয় পর্বের ফল প্রকাশ, ৪৬ দল নির্বাচিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ (সিএসই) এবং বাংলাদেশ জাপান ইনফরমেশন টেকনোলজি লিমিটেডের (বিজেআইটি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কোড সামুরাই-২০২৪ হ্যাকাথনের দ্বিতীয় পর্বের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৯১ টি দল থেকে ৪৬টি দল নির্বাচিত হয়েছে। তারা চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে সিএসই বিভাগের অডিটোরিয়ামে কোড সামুরাই-২০২৪-এর আহবায়ক ও বিভাগের অধ্যাপক ড. উপমা কবির আনুষ্ঠানিকভাবে এর ফলাফল প্রকাশ করেন। এসময় আয়োজক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।   কোড সামুরাই-২০২৪ হ্যাকাথনের চূড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য তিন লক্ষ টাকার নগদ অর্থ পুরস্কারসহ বিজয়ী দলগুলোর জন্য মোট দশ লক্ষ টাকার পুরস্কার রয়েছে। একইসঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর জন্য জাপানিজ আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে ইন্টার্নশিপের সুযোগ রয়েছে। ফলাফল উপস্থাপনকালে অধ্যাপক ড. উপমা কবির বলেন, সারাদেশের ৭৬টি বিশ্ববিদ্যালয় হতে মোট ৪০৭ টি দল কোড সামুরাই-২০২৪ হ্যাকাথনে অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিল। এরমধ্যে ধারাবাহিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রথম পর্বে মোট ৯১টি দল নির্বাচিত হয়। এখন দ্বিতীয় পর্বে ৪৬ টি দল নির্বাচিত হয়েছে।  তিনি আরও জানান, নির্বাচিত ৪৬টি দল আগামী ৩ ও ৪ মে বুটক্যাম্পে অংশগ্রহণের পর আগামী ১০-১১ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে দু’দিনব্যাপী চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। এসময় চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক দলকে একটি বাস্তবধর্মী সমস্যার পূর্ণাঙ্গ ও সফটওয়‍্যার ভিত্তিক কারিগরী সমাধান প্রস্তুত করতে হবে বলে জানান তিনি।  এবারের আয়োজনে ইন্ডাস্ট্রির চাহিদানুযায়ী সফটওয়্যারের বাস্তব সমাধানে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে অধ্যাপক ড. উপমা কবির বলেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অভিযোগ থাকে, গ্র্যাজুয়েটরা ভালো পড়াশোনা করে যায় তবে ইন্ডাস্ট্রি যে ধরনের সফটওয়্যার সল্যুশন চায় তার সঙ্গে তাদের একটি দূরত্ব থেকে যায়। এজন্য গত দুইবার থেকে এবারের আয়োজন সম্পূর্ণ ভিন্ন। এবার আমরা একেবারে ইন্ডাস্ট্রিতে যেভাবে সল্যুশন দেওয়া হয়, ঠিক সেইরকম একটি সফটওয়্যার ভিত্তিক বাস্তব সমস্যার সমাধান দেওয়ার চিন্তা করছি।  তিনি আরও বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য ইন্ডাস্ট্রিতে যখন একটি সমাধান দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে। আমাদের শিক্ষার্থীরা সে ধরনের সমাধান দেওয়ার জন্য কতটা উপযোগী, তারা প্রস্তুত কিনা সেটি দেখা। একটা পূর্ণাঙ্গ সফটওয়্যার তৈরির যত কম্পোনেন্ট থাকে সেগুলোকে তারা এড্রেস করতে পারে কিনা সেটা দেখা হবে। এতে করে শিক্ষার্থীরা ইন্ডাস্ট্রির জন্য উপযোগী হয়ে উঠবেন।  উল্লেখ্য, কোড সামুরাই একটি সফটওয়্যার-সমস্যার সমাধানভিত্তিক প্রতিযোগিতা যেখানে অংশগ্রহণকারীরা যে কোনো সমস্যার সফটওয়্যারভিত্তিক সমাধান বের করেন। গত দুই বছর ধরে সিএসই বিভাগ ও বিজেআইটি এ আয়োজন করে আসছে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪
X